Thursday 23 January 2014

প্রেমিকা ও দস্যু

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=2d0eb2c95d00fb681a9bf130296342f2&nttl=13012014256443

ঢেউয়ের মৃদু ছন্দে দুলছে ঈষৎ ডিঙ্গি নৌকা।
হাঁটুতে চিবুক রেখে একমনে নদীর পানির দিকে তাকিয়ে আছো। তাকানোর ভঙ্গিতে জলের দাপট আছে,তন্ময়ও আছে । নদীর পানিতে তারাদের যেনো চাঁদর পাতা। আকাশে বিরাট রুপোর থালা চাঁদ ভেসে যাচ্ছে সুখসুখেপানিতে তার ছায়া তিরতির
অনেক দূরে অন্য নৌকোর মাঝির ভাটিয়ালি গান খুব হালকা করে ছুঁয়ে যাচ্ছে,আর নৌকোর দুলুনিতে মাঝে মাঝে আমার নাক তোমার চুল ছুঁয়ে হালকা করে তোমার গলায় উম দিচ্ছে। যতোবার আমার নাক তোমার গলা ছুঁয়ে দিচ্ছে, তুমি কেঁপে উঠছো জীবনে

কোথা থেকে এলো দমকা বাতাসে তোমার চুল উড়তে লাগল মণিপুরী সকাশে সাথে আঁচল। তুমি ভীষন ব্যস্ত, একহাতে মুখ থেকে চুল সরাচ্ছো আর একহাতে আঁচল। দেখে আমার নেশা লাগছিলো। যেন জলের কাব্যে থির হয়ে আছে সেই উড়ান,মোহন ।

দুষ্টুমি ভরা ঠোঁট ও চোখ নিয়ে বললাম, কার কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করছো সখী ?
তুমি কপট রাগ দেখিয়ে বললে, দেখছো না কী দমকা উড়াল সই বাতাস ?
বাতাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে আজ ওলো ডরপুক ?
আমার গলায় কিছু ছিলো কি? চকিতে আমার দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলে কেন?
লজ্জায় শ্যামলা দু’গাল নদীর জলে চাঁদের ছায়া শ্যামলা রঙে লজ্জা লাল যতো খোলে আর কোন রঙেই নয়। ধবধবে ফর্সা প্রেমিকাও তো ছিল। সেখানে এই নির্যাসটুকু ছিলো না। ছিল না এ ক্ষণকাল,থাকে না জন্মের লাজ সাধ ।

আমি আর একটু সামনে ঝুঁকে তোমার দিকে আসতেই তুমি অস্ফুট আর্তনাদ করে উঠলে, এই না এসো না, নৌকো কাত হয়ে যাবে
আমাকে যে তখন তোমার নেশায় পেয়ে গেছে সখী, তপ্ত অনুরাগ আমার সারা শরীরের রক্তে তখন উঠানামা করছে। ইচ্ছার ঘুড়ি হানাহানি করছে চেতনার গরাদে ।
বেপোরোয়া গলায় বললাম, কাত হয়ে গেলে কি?
আমার কামার্ত চোখ দেখে ভয়ার্ত তুমি বললে, ভিজে যাবো ডুবে যাবো..
ঠোঁট তখন তোমার গলা চন্দ্রগ্রহন স্পর্শ করেছে, আমি জিজ্ঞেস করছি তারপরও, ভিজে গেলে ?
তপ্ত স্পর্শে কিছুটা সমর্পিত,বেণুধ্বনি বাজলো নদীর প্রবালে । তুমি মৌ গলায় বলছো, আমি জানি না, আমাকে তুমি তীরে নিয়ে চলোচলো মাটির কাছে ..জল থেকে দূরে ।
তীর কোথায় সখী, তীর কি চাইলেই পাওয়া যায় ?

তোমার লজ্জা, তোমার ভয়, তোমার ঘাম, তোমার প্রেম সব মিলিয়েই তুমি “আমার মাদকতা”
বাতাস ছুঁয়েছে, বাতাস হার মেনেছে কিন্তু আমি যে হার মানবো না সখী।
অস্ফুট স্বরে তোমার বলা “ডাকাত” শব্দটি আমার সমস্ত বাঁধের ওপর যেনো কুঠার মারলো
এখন আমায় ডুবতে দাও, নিমজ্জিত হতে দাও। তুমি আমার দুই স্বপ্নের মাঝে এখন।
আমার অশান্ত আদরে ভেসে যাচ্ছো ডুবে উঠছো ছটফট করছো নদীর ভাসানে ভেসে যাচ্ছে ছোট নুড়ি, প্রণয় শৈবাল । তিমির নেই কোনোখানে । আমাদের বৈভবে আজ জলের পাহারা ।

আহ এতো নড়ে না মেয়ে, স্থির থাকো একদম মাতৃভূমির মতো ।
২১/১০/২০১৩


Saturday 11 January 2014

যখন যা মনে হয় ২

প্লেনে আর বিমানবন্দরে ধূমপান নিষিদ্ধ কিন্তু ডিসকাউন্টে সিগ্রেট বিক্রি আইনসিদ্ধ।

কিছু বিখ্যাত লোকের সংস্পর্শে এসে অনুভূতি হয়েছে, আরমানী গুচ্চি বাহিরে কেবল, ভিতরে সবাই সমান নাঙা

প্রতিদিন সকালে অফিস যাওয়ার আগে কাবার্ড খুললে খুঁজে পাই না কোন কাপড় পরবো। সবগুলোইতো কতোবার পরা। আবার সপ্তাহান্তে কাবার্ড গুছাতে গেলে মনে হয়, একী অবস্থা, কি করেছি, জায়গা হয় না। বাহান্ন সপ্তাহই একী অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যাই। কোন অনুভূতিটা সত্যি নাকি আমি অস্বাভাবিক?


ভালবাসা একটা বায়বীয় পর্দাথের নাম, যেটা অনুভব করতে পারায় আর না পারায় দৈনন্দিন জীবনে অনেক পার্থক্য হয়ে যায়
মদ খাওয়া হারাম কিন্তু ঘুষ খাওয়া হালাল। 


সংসার হলো কারগিল সীমান্ত যেখানে ইন্ডিয়া পাকিস্তানের শান্তিপূর্ন সহাবস্থান। বর্ডার লাইন ক্রস করলেই গোলাগুলি। 


আগেরদিনে মেয়েদের জন্যে সন্তানটি পুত্র হোক এই কামনা করা হতো। পুত্র সন্তানের জননীকে সার্থকরুপে ধরা হতো। কারণটা হয়তো পুরোই বৈষয়িক ও কিছুটা স্বার্থপরতাও ছিল। মেয়েরা প্রথমে বাবার ওপর তারপর স্বামীর ওপর আর বুড়ো বয়সে ছেলে মাকে দেখাশোনা করবে এরকম একটা সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার ব্যাপার ছিল। পুত্রসন্তানকে ভালবাসার মাঝে একটা স্বার্থপরতা কাজ করতো। এখনতো মেয়েরা স্বাবলম্বী আর সমাজও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তাহলে এখনো পুত্রসন্তান জন্ম দেয়াই কেনো নারী জীবনের স্বার্থকতার দন্ড থাকবে?


একজন মাকে যখন কেউ বলেন, তোমার মেয়েটা তোমার মত সুন্দরী হয় নাই, বাবার মতো হয়েছে দেখতে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মায়ের কিংবা একজন পজেসিভ অস্বাভাবিক মায়ের কি প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত। তাকে সুন্দরী বলেছে তাতে সুখী হওয়া উচিত নাকি সন্তানকে অপমান করেছে তাতে দুঃখিত হবেন? জুতো মেরে গরু দান --- কী এর নাম? মানুষ কথা বলার আগে কবে ভাববে? 


ইন্ডিয়ান কূটনৈতিক দেবযানী তার গৃহপরিচারিকাকে চার ডলারের নীচে ঘন্টায় বেতন দিতেন বলিয়া যেসব মানবতাকর্মী সুশীলরা তার বিরুদ্ধে আর্টিকেল লিখে ফেবু ভাসিয়ে দিচ্ছেন, তাদের জন্যে বলছি, বাংলাদেশীরা ঘন্টায় এক ডলারও হয়তো বেতন দেন না আর পাকিস্তানীরা গৃহপরিচারিকাকে হয়তো কোন বেতনই দেন না উপরন্তু ধর্ষন করেন। খামাখা জায়গায় অজায়গায় সুশীলতা দেখানোর দরকার নেই। 

কিছু কিছু ফেসবুক বন্ধু যে নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষ্যে (আর্ন্তজাতিক ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ, বিজয় দিবস, ক্রিকেট, নারী দিবস, পশু দিবস, ফুল দিবস, কাঠাল দিবস ইত্যাদি ইত্যাদি) তাদের প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করে এবং বিভিন্ন বানী সম্বলিত স্ট্যাটাস দেয় তাতে আমি মুগ্ধ এবং বিস্মিত। মনে মনে ভাবি ডিজিটালি যারা এতো সিনসিয়ার – স্ব স্ব ক্ষেত্রে তারা তাদের দায়িত্ব সম্বন্ধে জানি কতো সিনসিয়ার ---- গর্বিত এমন লোকজনের বন্ধু হতে পেরে --- স্যালুট বন্ধুগন

salmon grandy born on Monday , named on Tuesday, Married on Wednesday, got ill on Thursday, died on Friday, burried on Saturday, prayed for on Sunday. That was the end of salmon Grandy---

প্রকাশক যত্ন করে বই ছাপিয়ে লেখককে উপহার দিবেন আর লেখক সেই বই তার বন্ধু শুভান্যুধায়ীদের উপহার দিবেন। বেশীরভাগ বাংলাদেশী পাঠকদের এই চাওয়া।

এই পাঠকরা সেই উপহারের বই নিয়ে বসুন্ধরায় দই ফুচকা খাবেন, সিএনজি চড়ে বান্ধবী নিয়ে আশুলিয়া বেড়াতে যাবেন, মোবাইলে ফেসবুক করবেন, আজিজে যেয়ে বইয়ের বদলে টিশার্ট কিনবেন। কিংবা ম্যাকে যেয়ে “বিগ ম্যাক” মেন্যু খাবেন, স্মার্টফোনে স্মার্টগেইম খেলবেন, আইফেল টাওয়ার কিংবা লন্ডন আই দেখবেন কোন সমস্যা নেই।

কষ্ট হয় শুধু বইয়ের জন্যে টাকা কিংবা ইউরো খরচ করার বেলায় 



অসংখ্য ক্ষুদ্রতা আর নীচতার নীচে চাপা পরে ঈশ্বর রোজ প্রমান করেন, ঈশ্বর বলতে কিছু নেই, কোথাও নেই ---- 



রাতের বেলা ল্যাপিতে কিছু নোট করছি। মেঘ কানের কাছে কী যেনো বলেই যাচ্ছে। আমি দু’দিকে মনোযোগ দিতে পারছি না, কিছুটা বিরক্তির গলায় বললাম,

আহ মেঘ, থামো, কিছু লিখছি।

মায়ের কাছে তার প্রায়োরিটি মিস হলেই তার আকাশ কালো হয়ে যায়।

মেঘ কিছুটা আহত, অভিমানী আর কিঞ্চিত ভয়ার্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো, তুমি কী আবার বই লিখছো?

তার অভিমানী গলা আমার কানে যেতেই, আমি নোটটা শেষ না করেই ফিরে জিজ্ঞেস করলাম, কেনো মায়ের বই লেখা তুমি পছন্দ করো না?

একটু ইতঃস্তত করে জবাব দিলো, না মানে তাহলেতো আমি সন্ধ্যেবেলা তোমার সাথে গল্প করতে পারি না।আমাকে অনেকক্ষণ চুপ থাকতে হয়। ----------- 07-07-2014

মেয়ের এই দুঃখী জবাবটা মনটাই ভেঙ্গে দিলো।

এরা ভুলে যায় কারে ছেড়ে কারে চায়
 তাই কেঁদে কাটে নিশি ,
তাই দহে প্রাণ ,.
তাই মান অভিমান

তাই এত হায় হায়



বৃষ্টি নামল যখন
আমি উঠোন পানে একা
দৌড়ে গিয়ে ভেবেছিলাম
তোমার পাব দেখা

কিন্তু তুমি নেই বাহিরে
অন্তরে মেঘ করে
ভারি ব্যাপক বৃষ্টি আমার
বুকের মধ্যে ঝরে



হৃদয় দিতে দেখিতে হয় যারে 
যে পায় তারে সে পায় অবহেলে
পাওয়ার মতন পাওয়া যারে কহে
সহজ 'লেই সহজ তাহা নহে,
দৈবে তারে মেলে


বাংলা ব্যাকরনে শিখেছিলাম, “ধর্ম মানে যা ধারণ করা হয়” 


বেলা শেষে শুধু তারাই মনে রাখে ---- যাদের উপস্থিতি জীবনে অক্সিজেনের মতো। অস্তিত্বে আর সত্বায় রোজ মিশে থাকে কিন্তু আলাদাভাবে তাদের অনুভব করি না একটি দিনও।---


যে জানার সে জানে রে বন্ধু যে জানার সে জানে 14.07.2014 

কথা বলতে বলতে যে রাত ভোর হয়ে যায়
সে রকম রাত আমি চাই না
হাত ধরে চলতে চলতে যে হাত ছেড়ে দেয়
সে রকম হাত আমি চাই না
সাখাওয়াত নয়ন 



প্রতিটি দিনই খুব অন্যরকম যায়। একটি দিনের সাথে অন্য দিনটি মিলে না। আগের দিন যা ভেবে রাখি, পরদিনের কাজের সাথে ভাবনার কোন মিল থাকে না। ভাবি এক, বাস্তব এক, করি এক, হয় এক। হয়তো নিজের মতো সব ভাবতে এতো ব্যস্ত থাকি যে অন্যে কি ভাবছে সেটা লক্ষ্য করার বা ভাবার কথা মনে করি না। ভাবনা আর বাস্তবের গরমিল কী তাহলে এখানে ............30-08-2014


প্রত্যেকটি সম্পর্ক-ভালবাসাই শর্ত সাপেক্ষ, কোন না কোন মোড়ে শর্ত প্রযোজ্য ---- 15/09/2014 


“দলকানা” লোকেরা অন্ধ ধার্মিক লোকদের মতো যা কিছু ঘটে সবকিছুতেই খালি “কুদরতী মাহাত্ম্য” খুঁজে পায়। কষ্ট লাগে, দুঃখ লাগে। আত্মসমালোচনা করতে পারাও একটা বিরাট গুন। “ভুল করেছি, করছি” বলতে নিজেকে নিজের থেকে বের হতে হয়। তাহলে অবশ্য আর কানা থাকা যায় না .........

দেশে লোকে দলাদলি করে বুঝতে পারি হয়তো টিকে থাকার সংগ্রামে বাধ্য হয় কিন্তু প্রবাসে কৃতী সন্তানরা যখন “দলকানা” আচরন করে তখন বারবার গাইতে ইচ্ছে করে, “ষোল কোটি জনগনের মুগ্ধ জননী, রেখেছো আওয়ামী লীগ আর বিএনপি করে, বাংলাদেশি করোনি”  


কবে এদেশের মানুষ জাতীয় ইস্যুতে খালেদা হাসিনা না হয়ে শুধু বাংলাদেশ হবে ......... 17/09/2014 





ভুলে যাই তাই হাত বাড়াই
আকুল হয়ে আকাশ ছুঁতে চাই
তারপর আবারো সেই শূণ্যতা
শুধু শূণ্যতা ফিরে পাই
নিজের কাছে আবারো হেরে যাই
25/09/2014 





আমাকে আমার মতো বাঁচতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মধ্যে মানিয়ে নিয়েছি
যা কিছু অপারগতা
তা অপারগতাই থাক
সব পারলে হতো অন্য জীবন
           
স্বপ্ন দেখা সময়ের রঙীন আলো
কিছু বাস্তবের গুড়ো হাওয়া পেরেকের মতো
গতানুগতিকতার বাইরে যেতে চাও তবে শুধু লড়ে যাও
বিষন্নতা চোখ ছাড়বে না না না না

                    
 এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার
তবু চেষ্টা করছি বাঁচবার
আমি দেখতে চাই না আর কারো
কোন পরিবর্তনের আবদার
তাই চেষ্টা করছি বার বার
সময় পাড়ি দেবার



 ০১/১০/২০১৪




জীবন মানে প্রিয়, প্রয়োজনীয়, জরুরী অনেক কিছু হারিয়ে তারপরও রোজ দিন বেঁচে থাকা।

01-10-2014 



রোজ সকালে এ্যার্লামের কর্কশ শব্দ কানে গেলে চোখ না খুলে প্রথমেই যে কথাটা মনে হয়,

আর একটু ঘুমাই আজকে। আমি অনেক ক্লান্ত, ঘুমটা পুরো হয়নি। একদিন দেরী করে উঠলে আর কী হবে।

এটা ভাবতে ভাবতে বিছানায় মোচড়ামুচড়ি করি আরো দশ মিনিট আর ভাবি অফিসে ফোন করে বলি, আমি অসুস্থ, অফিসে আসবো না আজকে।

সারাদিন ইচ্ছে অনিচ্ছেয় অফিসে কাটিয়ে দিয়ে বেরোনোর সময় ভাবি আবার, রান্না করতে ইচ্ছে করছে না, আজকে যা হয় করে চালিয়ে দিবো।

রান্না-খাওয়া আর গৃহস্থালী শেষ করে যখন রাত দশটায় গালে হাত দিয়ে সোফায় বসি তখন ভাবি, ইচ্ছের বিরুদ্ধে রোজ একই কাজের পুনরাবৃত্তি করে কীভাবে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছি!


স্যালুট আমাকে বস! 

১৭/১০/২০১৪




ঘুম ভাঙলেই জানা যায়
ওটুকু স্বপ্ন ছিলো
কষ্ট পেয়েই অনুভব করি
ওখানে ভালবাসা ছিলো।



জীবন থেকে নেয়া মুহুর্তগুলো
যদিও খানিকটা এলোমেলো
শুধুই গল্প মনে হলেও
তারমধ্যেও কিছু সত্যি ছিলো।
26/11/2014



প্রতিটি কষ্টের কারণ কোথাও না কোথাও কিছু প্রত্যাশা রাখা। সচেতনে কিংবা অবচেতন মনে, হয়তো প্রকৃতির কাছে, কিংবা নিয়তির কাছে বা অতি সঙ্গোপনে নিজের কাছে .....................
26/11/2014 




"ত্রিশ লক্ষ" মানুষ শহীদ হয়নি, তর্কের খাতিরে মানলাম কেউ ভুল কয়েছেন, "তিন লক্ষ" হয়েছে কিংবা "তিরিশ হাজার" বা "তিন হাজার"? তাতে কি জেনোসাইড জাষ্টিফায়েড হয়? যারা আজো পাকুদের পক্ষ ধরে গান করেন, জেনোসাইডকে মৌন সমর্থন দেন, পিয়ারা পাকিস্তানের জন্য বুকে ভালবাসা অনুভব করেন, তারা প্লিজ পাসপোর্ট বদলান। হাত জোর অনুরোধ, এটুকুতো করতেই পারেন .....................
"সঠিক সংখ্যা" নিয়ে যারা বড়াই করার বাহামী করেন তাদের জন্যে, গুলি করার সময় পাশে একজনকে রেখে দিতে বলতে পারতেন, তারা মারতো অন্যেরা গুনে খাতায় টুকে রাখতে পারতো। ১৬ ডিসেম্বরে খাতা খানা জমা দিয়ে চলে যেতো। এডমিনিষ্ট্রেশান ভুলতো তাদের হয়েছে। ঠিকাছে পেয়ারা পাকিস্তানকেই না হয় জিজ্ঞেস করা হোক, কতোজনকে মেরেছে এবং কেন? সঠিক সংখ্যা বলার দায়িত্ব এখন আপনাদের, আর না বলতে পারলে আমাদেরটাই মানতে হবে।


পৃথিবীর সব দেশেই জেনোসাইডের সংখ্যা অনুমানের ওপর নির্ভর করে ধরা হয়, বাংলাদেশ কী তার ব্যতিক্রম কিছু? নাকি পৃথিবীর অন্যদেশে পাশে লোক রেখে গুনিয়ে নেয়া হয়? প্যালেষ্টাইন?

রেখেছো অদ্ভূদ প্রানী করে, বাঙ্গালী কিংবা মানুষ করোনি
http://www.sachalayatan.com/shehab/53403
03/12/2014


প্রেসিডেন্ট ওবামার রাজত্বে এরিক গার্নার,মাইকেল ব্রাউন এর মৃত্যুকে পিছনে ফেলে প্রশাসনকে বাঁচানোর জন্যে গ্র্যান্ড জুরির এই কান্ডামীকে আমরা কীভাবে ব্যাখা করবো? ক্ষমতাহীন কালো প্রেসিডেন্ট এর ব্যর্থতা না একচোখা বর্ণবাদী এমেরিকান সাম্রাজ্য?

তারা পৃথিবী জুড়ে দেশে দেশে মানবতা, ন্যায় পরায়নতার বানী হেঁটে হেঁটে ফেরি করে বেড়ায় ............ স্বচ্ছ, আন্তর্জাতিক, নিরপেক্ষ ............ কী বিচিত্র সেলুকাস


এরিক গার্নার, মাইকেল ব্রাউন, ফেলানী, তানবীরা ...... জন্মই যাদের ক্ষমতাধরদের হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা রেখে .........

04/12/2014


ছোটবেলায় প্রায় সকল স্কুলেই আমাদেরকে “সৃজনশীল”  রচনা শেখানো হয়। বেশীর ভাগ থাকে, তোমার প্রিয় চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, মানুষ, ঋতু এসমস্ত। আমরাও গৃহশিক্ষক কিংবা কোচিঙের সাহায্যে জেনে যাই, আমার প্রিয় কে হলে নাম্বার বেশী পাওয়া যাবে। হয়তো প্রিয় মানুষ রিচার্ড গিয়ার কিংবা হানিফ সংকেত। কিন্তু সেটা লিখলে নাম্বার পাওয়া যাবে না তাই লিখতে হবে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা বেগম রোকেয়ার কথা।

তারচেয়ে বড় আইরনি বয়সের সাথে সাথে প্রিয় চরিত্র, ব্যক্তিত্ব অনেক সময়ই বদলাতে থাকে। স্কুলের রচনায় লেখার জন্যে পড়া প্রিয় চরিত্ররা আসলে কখনো জীবনে সত্যি প্রিয় থাকে কীনা, আমার জানা নেই। জীবনের এক এক পর্যায়ে এক এক জন প্রিয় হয়। ধরা যাক এখন আমার কথা, আমার জীবনের এ পর্যায়ে আমার প্রিয় কারা ............

আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব = দর্জি
প্রিয় চরিত্র = উইকলি হেল্প
প্রিয় মানুষ = ম্যানেজার
প্রিয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি = হেয়ারড্রেসার


আপাতত এদের ছাড়া জীবন অচল। হাজার তেল মাখি তাই এরাই আমার প্রিয়। 

11/12/2014

দলকানাদের রকমফের


কিছু কিছু মানুষের দলকানাত্ব এমন পর্যায়ে যে এরা যদি নিজ হাতেও খালেদা জিয়াকে পেট্রল বোমা মারতে দেখে তাও বলবে এসবই ফটোশপের কারসাজি, বাকশালি ষড়যন্ত্র। কিছুতেই সত্যি নয়।

আর একদল সাথে সাথে শেখ হাসিনা বোমা ছুড়ছেন এমন পোষ্টার, ভিডিও বানিয়ে মিডিয়াতে শেয়ার করা শুরু করবে।

অন্যদল, লেখালেখি শুরু করবে, ১৯৫২ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত শেখ মুজিব থেকে শুরু করে সজীব ওয়াজেদ জয় পর্যন্ত কোথায় কোথায়, কবে কবে কত প্রকারের বোমা ফুটছিল। বটম লাইন, লীগ এতো ধোঁয়া তুলসীপাতা না যে এখন বোমা ফুটলে কথা কইতে আসছো। তখন কী মানুষ মরে নাই। ঐ আমলে মরলে যদি ঠিক থাকে তাহলে এই আমলেও আছে।

আর এক দল হলো, মডারেটেড বিম্পি। তারা বিম্পি পছন্দ করে তার মানে এই না যে তারেক জিয়ারে পছন্দ করে। বিম্পি ক্ষমতা আসলেই তারেক কেন, অন্য কেউ নাই? দলে কত অভিজ্ঞ, বর্ষীয়ান, যোগ্য নেতা আছে, যদিও তারা ভাল করেই জানে, বিম্পি পরবর্তীতে ক্ষমতায় কোনদিনও আসতে পারলে তারেক চোরাই তার সর্বময় অধিকারী হবে এবং আরো দু চারটা একুশে আগষ্ট ঘটিয়ে দেশের রাজনীতিবিদদের চুরচুর করে দিবেন। তারা কিন্তু-পরন্তু মডারেটেড ভাব ধরবেনই।

বাংলাদেশের টিভি লাগালেই রোজ পেট্রোল বোমা, মারামারি ইত্যাদির খবর। মেঘলা জানতো পাকিস্তানিরা বাংলাদেশিদের মেরেছে। কিন্তু বাংলাদেশিরা কেন একজন আর একজনকে মারছে, দুজনেইতো বাংলাদেশি, ওরা কী বোকা মা? এই সহজ কিংবা কঠিন প্রশ্নের কোন উত্তর আমার জানা নেই। যদিও সে হরতাল এবং অবরোধ দুটোই তীব্রভাবে মিস করে। স্কাইপে কাজিনদের সাথে কথা হলেই শোনে, স্কুলে যেতে হয়নি, হরতাল-অবরোধ। সকালে উঠে স্কুলে যেতে তার দুঃখের সীমা নেই। কী করলে একটা হরতাল অবরোধ এখানে আনা যায় সেই ভাবনা তার ০৯/০২/২০১৫

বরফ পড়ে ঝুমুর ঝামুর
রাস্তাঘাট বন্ধ,
শিব ঠাকুরের বিয়ে হলে
তিন কন্যার কষ্ট
এক কন্যা ফেবু করেন
এক কন্যায় খান,
আরেক কন্যা না খেয়ে
জিম করতে যান। ০৪/০২/২০১৫

মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে তার ক্লাশ পরীক্ষা, মেয়েকে পড়াচ্ছি। বিষয়ঃ ইসলামের ইতিহাস। মেয়ে এ দেশের জাতীয় মাধ্যমে পড়ে, সরকারী স্কুলে। আমি পড়াতে পড়াতে ভাবছি, আমাদের দেশের কোন মাধ্যমের স্কুলে ইসলাম বাদে অন্য ধর্ম কিংবা ধর্ম প্রচারক নিয়ে ধর্ম কিংবা ইতিহাস কিংবা সমাজবিজ্ঞান বিষয় রুপে পড়ানো হয় কীনা। আমি যখন স্কুলে পড়তাম আশির দশকে তখন আমি অন্তত আমার টেক্সটে পাইনি।


যে দেশে দুই কোটি টাকার ক্যালেন্ডার পোড়ানো হয় মসজিদের পাশাপাশি মন্দিরের ছবি থাকার কারণে সে দেশে সহনশীলতা শিক্ষা কিংবা অনুশীলন কোথা থেকে আসবে। সহনশীলতা অনুশীলন বাচ্চাকালে স্কুলেই শুরু করতে হয় বোধহয় ............ ১২/০১/২০১৪ 



ফেব্রুয়ারী মাস মানে শুধু ভ্যালেন্টাইন কিংবা পহেলা ফাল্গুন নয়। বাংলাদেশীদের কাছে এর আরো একটি গুরুত্ব আছে সেটি হলো ভাষার মাস। আরো নির্ধারিত করে বললে, “মাতৃভাষার মাস”। এ বাস্তবতা যারা বাংলাদেশে বসবাস করে তাদের জন্যে।
প্রবাসী বাংলাদেশি বাচ্চাদের জন্যে কী এই হিসেব এতোটাই সরল? বোধ হয় না। অনেক আছে মা হয়তো কোন রকমে ইংরেজি কিংবা ফ্রেঞ্চ, জার্মান ভাষায় গুড মর্ণিং, থ্যাঙ্কু, প্লীজ বলতে পারে আর বাচ্চাও বাংলায় ঠিক একই রকম কুড়িয়ে বাড়িয়ে কেমন আছেন, ভালো, এই টুকুই বাংলা বলতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, ভাষার কারণে বাবা মায়ের সাথে বাচ্চাদের মনের ভাব আদান প্রদানের দূরত্ব এসে যায়।
মাতৃভাষার থেকে বেশি গুরুত্ব রাখে বোধ হয় “স্থানীয় ভাষা”। ইউরোপের বাস্তবতা অন্তত তাই বলে। এখানে মা-বাবা ও সন্তানের ভাষা হর হামেশাই আলাদা হতে পারে। চায়নীজ মায়ের সন্তানের প্রথম ভাষা হতে পারে ইটালীয়ান, টার্কিশ মায়ের সন্তানের প্রথম ভাষা হতে পারে জার্মান ইত্যাদি। অনেক শিশু তার মা-বাবার ভাষা শুদ্ধ উচ্চারনে বলতে পারে না, হোঁচট খায়। সেদিক থেকে বরং ইংলিশ স্পীকিং দেশের বাচ্চারা কিছুটা বাড়তি সুবিধা পায়।
বাংলাদেশের পিতা মাতা ও তাদের সন্তানরা এদিক থেকে সৌভাগ্যবান। ভাষার এতো ঝকমারি তাদের পোহাতে হয় না। জীবনের অঙ্ক অনেকটাই সরল সেখানে।
সবাইকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা, ফুলে ফুলে ভরে উঠুক পৃথিবীর সব স্থানের শহীদ মিনার

প্রিয় নভেরা আহমেদ, বেঁচে থেকে তুমি শহীদ মিনারের স্থপতির স্বীকৃতি পাওনি কিন্তু মরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা পেলে। জাতি জানলো, তুমি ছিলে, কোথাও বাংলাদেশের আলো, জল, হাওয়া, ধূলোকনাতেই তুমি মিশে ছিলে।

অভিমানী নভেরা, তুমি জানতেই পেলে না তুমি কতো সৌভাগ্যবতী। অনেকেই রাজপথে রক্তাক্ত পরে থেকেও স্বীকৃতি পায়নি, পায় না, পাবে না। বাংলাদেশ তাঁর কৃতি সন্তানদের ধরে রাখতে পারেনি, প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেনি। ইতিহাস তার সাক্ষী ছিলো, আছে, থাকবে।

সুন্দরী, আধুনিকা নভেরা, যেখানেই থাকো, ভাল থেকো। ---------- বিনম্র শ্রদ্ধা জেনো আমাদের।


এদের সকল অনুভূতি আহত হয় মনুষ্য অনুভূতি ছাড়া, কি বিচিত্র এই সেলুকাস 03/05/2015 


৭/০৫/২০১৫


পশুত্ব যে করে আর পশুত্ব যে সমর্থন করে, তব ঘৃণা তারে তৃণ সম দহে


ধর্ম কীঃ সভ্যতার আদিকাল থেকে অদ্যাবধি যে আফিম খেয়ে একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের গলায় চাপাতি চালায় তার নাম ধর্ম।
07/05/2015

আমি হয়তো মন থেকে “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি” জাতীয় সঙ্গীতটি আর গাইতে পারবো না।

আমি কখনোই ভুলতে পারবো না, এদেশে একজনের পর একজন স্বাধীন নাগরিক তার মত প্রকাশের জন্যে খুন হয়েছে, রাষ্ট্র তার দায়িত্ব থেকে দূরে থেকেছে দিনের পর দিন। খুনের এই মহোৎসব ঘটানোর সুযোগ তারা দিয়ে গেছে। প্রকাশ্যে নারীরা অসম্মানিত হয়েছে রাষ্ট্র তার কোন প্রতিকার করেনি।

তারপরও যেসব দলকানা গদগদ কন্ঠে স্ট্যাটাস লিখবেন, জিডিপি বেড়েছে, ছিটমহল স্বাধীন হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি তাদের জন্যে অগ্রীম করুণা

আমি দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, এই ছাগলের চারণভূমি আমার দেশ না। এই মৃত্যু উপত্যাকায় আমরা ভুল করে জন্মেছিলাম, এ কখনোই আমাদের দেশ ছিল না। কষ্টার্জিত পয়সা দিয়ে বহুদিন “পাসপোর্ট” খানা নবায়ন করেছি, অনেক ভোগান্তি সহ্য করে জাতীয় পরিচয়পত্র, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বানিয়েছিলাম। এখন সময় এসেছে নভেরার মতো সব ত্যাগ করার। বাংলাদেশ আমাদের ডিজার্ভ করে না।

প্রধানমন্ত্রীর বংশধর না হলে এদেশে কোন খুনের বিচার হয় না, খুনীরা ধরা পরে না তাই সে ফরিয়াদ আর জানালাম না। রাজবংশের লোক হলে পরে গ্রেনেড হামলা কিংবা সপরিবারের নিহত হওয়ার ঘটনার চল্লিশ পরও বিচার হয়। আম জনতার মূল্যই কী? কী মূল্য ছিলো সাগর-রুনী, অভিজিত, বাবু কিংবা অনন্তের? তারা শুধু লিখতো।

প্রধানমন্ত্রী বেডরুমে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না, রাজপথে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না, বইমেলায় নিরাপত্তা দিতে পারবেন না, চারুকলায় নিরাপত্তা দিতে পারবেন না তারপরও কোন অধিকারে বছরের পর বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন? কেন থাকবেন? মৌলবাদীরা ক্ষমতায় থাকলে দেশে এর চেয়ে বেশী আর কী খারাপ হতো? আপনি টপ টু বটম ব্যর্থ জেনে রাখুন আপনি তাই ১২/০৫/২০১৫ 



জাফর ইকবাল স্যারকে “ব্লগার” হিসেবে অভিহিত করে বিরাট আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে সিলেটে। সারা পৃথিবীতে যেখানে বেস্ট ব্লগ এবং ব্লগার বাছাই করে পুরস্কার দেয়া হয়ে সেখানে বাংলাদেশে “ব্লগিং” হচ্ছে অপরাধ আর ব্লগার “অপরাধী।“ মালালা ব্লগিং করে নোবেল পেলো আর অভিজিৎ জীবন দিলো। পাকিস্তান যে পথে হাঁটছে বাংলাদশ হাঁটছে তার থেকে চার কদম আগে তাও সে সময় যখন যুদ্ধ সূত্রে পাওয়া দেশের মালিকপক্ষ ক্ষমতায়।  

খুন করলে খুনী, ছিনতাই করলে ছিনতাইকারী, নির্যাতন করলে পাপিষ্ঠ, ব্লগিং করলে ব্লগার, সবাই আইনের চোখে সমান অপরাধী। কিন্তু “ব্লগার” শব্দটিকে “অপরাধী” হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করছে বা করেছে কারা? একজন মানুষ খুন হলে “মানুষ খুন হয়েছে” পরিচিতি না পেয়ে “নাস্তিক খুন হয়েছে” “ব্লগার খুন হয়েছে” বলে রাষ্ট্রে যে পরিচিতি পায় তা কতটুকু আইনসম্মত? কতটুকু যৌক্তিক? তার জীবনে যে অন্য পরিচয়গুলো আছে সেগুলো সামনে আসে না কেন? ব্লগিং যারা করে তারা কী আর কিছু করে না? তাদের পেশা কিংবা সামাজিক - পারিবারিক পরিচয়? তারা কী সমাজের বাইরের কেউ? তাদের কেউ কী প্রকৌশলি, ব্যাঙ্কার, ছাত্র, কিংবা কারো ছেলে, ভাই, মামা নয়, সেই পরিচয়গুলো কোথায় যায়?

ব্যাপারগুলো নিয়ে লেখার, ভাবার, কথা বলার সময় এসেছে। মিডিয়া কি জনগনকে ভুল পথে প্ররোচিত করছে? আমার পরিচিত বন্ধু যারা সংবাদপত্রের সাথে জড়িত আছেন তাদের প্রায় প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্লগার এবং অনেকেই বিভিন্ন সময়ে নানা পুরস্কারের জন্যে মনোনীত হয়েছেন এবং লেখার জন্যে, সেরা ব্লগের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন। পহেলা ফেব্রুয়ারীকে “বাংলা ব্লগ দিবস” হিসেবে ঘটা করে অনেক ব্লগই উদযাপন করে থাকে। ব্লগ নিয়ে বাংলাদেশের জনগনের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা জানতে চাই। কেনো আজকে “ব্লগিং” বাংলাদেশে “নেতিবাচক” একটি ধারনা পাচ্ছে বা পেয়েছে। সাংবাদিক বন্ধুদের দায়িত্ব কিংবা বক্তব্য কি? কারা এভাবে অপপ্রচার করলো? অপপ্রচার রোধে তারা কী করেছেন বা করছেন?

পরিশেষে, জাফর ইকবাল স্যার যেখানে ব্লগিং করে সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার লেখা ব্লগও আছে। তার বেলায়?


হায়েনা যখন রক্তের স্বাদ পেয়েছে, রক্ত সে খাবেই। যে গতিতে এগোচ্ছে চুরাশি জন খতম হতে বেশি সময় লাগবে না কিন্তু তারপর? তারপর অন্যদের পালা। তাই, সুশীল স্ট্যাটাস না লিখে বরং নিজের জন্যে প্রস্তূত হই। টুডে ওর টুমরো? আজকে যদি জাফর ইকবাল স্যার হয়তো কালকে ...............? 19.0.2015



প্রাচীনকালঃ দুই নৌকায় পা
আধুনিককালঃ যতগুলো নৌকা, ততগুলো পা কিংবা নৌকায় নৌকায় পা
গ্লোবালাইজেশানের যুগ, কাউকে বাদ দেয়া যাবে না। সবার সাথে-পাছে থাকতে হবে। গ্লোবাল হওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা নিজেকে সবার জুতোয় ফিট করে ফেলতে হবে, আর নিজের কোন জুতো থাকা চলবে না।

সত্যযুগে এটাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হলেও, কলিযুগে এটা বিরাট ইতিবাচক ব্যাপার  

ছেড়ে আসা হয়তো সহজ, ছেড়ে দেয়া অনেক কঠিন

যেখানে মন মেলে না শুধু শরীর মেলে সেখানে সব পেয়েও জীবন ভর অতৃপ্তির বোঝা টেনে বেড়াতে হয়। বড্ড ক্লান্তিকর দুঃসহ সে জীবন। মন ছাড়া শরীর বড্ড দ্রুত একঘেয়ে আর রুটিনড। শরীর কখনোই কেন যেনো মনকে ছাপিয়ে যেতে পারে না। হাজার বার হাজার রকম করে সঙ্গম করেও একঘেয়েমি কাটানো যায় না। বড্ড শূণ্য লাগে, সারাবেলা অতৃপ্তি, অপূর্ণতার হাহাকার। শূন্য হৃদয় থেকে প্রাপ্তিও শূণ্য 



গতকাল ডাচ টিভি “নেদারল্যান্ড ওয়ানে” সামাদের হত্যাকান্ড দেখিয়েছে। বলেছে, এথিস্ট হওয়ার কারণে সামাদকে খুন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল, কাজের চাপ কম, কলিগরা আলোচনা করছিল, সামনে গরমের ছুটিতে কে কোথায় যাবে। আলোচনা তাসকিনের বলের মত
ঘুরতে ঘুরতে আমার টেবিলে এসে পড়লো, বাংলাদেশে গেলে কেমন হয়?

আমি মুখ খোলার আগেই আমার অন্য কলিগ বললো, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থার বয়ান।
একজন বললো, তোমরা কি মুসলিম? অন্যজন জবাব দিলো, হোয়াট এলস, অন্য কোথাও কী হয় এমন অবস্থা!
এখন শুরু হলো লেগ পুলিং, আমরাতো জানতাম না বাংলাদেশ এতো এক্সট্রিমিস্ট। তোমাকে দেখে তো ধারনা করা যায় না। বসকে বলতে হবে নীচে এক্সরে মেশিন লাগাতে, তুমি বোম, চাপাতি, কী না কী নিয়ে ঢুকবে, তোমাকে পুরো স্ক্যান করে ঢোকাতে হবে।
তোমাকে তো আমরা স্বাভাবিক-সাধারণ মানুষ মনে করেছিলাম। কাউকে বিশ্বাস নেই, ইত্যাদি ইত্যাদি
কলিগরা আল্লাহু আকবার ডাক দিয়ে দিয়ে একজনের পানির বোতল অন্য জনকে ছুড়ে ছুড়ে আই-সি-এল-আই-সি-এল, বোকো হারাম-বোকো হারাম খেলছে।
ওদের সাথে শুকনো পাট কাঠি মুখ করে হাসিতে যোগ না দিয়ে উপায় নেই কিন্তু ভেতরটা ময়নাকাঁটার ঘায়ে রক্তাক্ত। না ধর্মের জন্যে নয় মাতৃভূমির নামের অপমানের কারণে, জাতীয়তাবোধ অপমানিত হওয়ার কারণে। গরীব বলে তো পরিচিততো ছিলামই এখন সাথে সন্ত্রাসী উপাধিও যোগ হচ্ছে।
মনে মনে ভাবছিলাম, হে বাংলাদেশ, কোথায় যাচ্ছো তুমি!
এখন থেকে বাংলাদেশ শুনলে পশ্চিমা পৃথিবী আমাদের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাবে, শুরু হবে খানা তল্লাশি সর্ব জায়গায়। আমরা তো সব্বোর্চ
চেষ্টা চালিয়েছিলাম বিদেশে আমাদেরকে তাদের স্তরের সারাধণ-স্বাভাবিক মানুষ বলে প্রমান করতে, নিজের দেশের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি উপস্থাপণ করতে কিন্তু ভোটের রাজনীতির কাছে আমরা নিদারুনভাবে পরাজিত হলাম। ঠিক টি-টুয়েন্টি বাংলাদেশ-ভারত খেলার মত, জেতা খেলা অন্যে নিয়ে নিলো। হয়ে গেলাম শেষ পর্যন্ত উপহাসের পাত্র। এই উন্নতি – এই জিডিপি দিয়ে আমরা কী করবো? সৌদি আরবের মত "টাকাওয়ালা অমানুষ" পরিচয় হবে আমাদের?
“বিচ্ছিন আলোচনা” বলে আমার কথা গুলো অনেকেই আজ পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে হয়তো। আমি জানি এখন কর্মক্ষেত্রে আমার মত অনেক বাংলাদেশিই এ ধরনের আলোচনা, উপহাসের সম্মুখীন হবে। কিন্তু, কদিন পর থেকে যখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলে জায়গায় জায়গায় স্ক্যানিং শুরু হবে তখন আর পাশ কাটানোর উপায় থাকবে না। আর এই স্ক্যানিং থেকে আমাদের মন্ত্রীরাও বাদ যাবে না। দেশে তারা যত রকম ভাবের মূর্তিই হয়ে থাকেন না কেন, বিদেশে তাদের কী সম্মান আর আদর মেলে সে তো সকলেই জানে। এমেরিকা যদি শুধু নামের কারণে শাহরুখ খানের জুতো পর্যন্ত খুলিয়ে চেক করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের মন্ত্রীদের চাড্ডি খুলিয়ে স্ক্যানিং করানোর দিন আর দূরে নয়। সেদিনের অপেক্ষায় ... তাদের খোঁড়া গর্তে কী করে তারা গড়াগড়ি খাবেন, দেখতে হবে
কথিত মৌলবাদী দল বিএনপি-জামাতের অন্য সকল অর্জনের সাথে এই অর্জনকেও ম্লান করে দিয়ে সামনে এগিয়ে গেছে কথিত সেকুল্যার দল আওয়ামী লীগ।  ০৯-০৪-২০১৬


সারাটি দিন কেটে যায়পারফেকশানএর পেছনে ছুটে ঘর গোছাও, জামা কাপড় ইস্ত্রি করো, প্রোপারলি রান্না করো, চুল শ্যাম্পু করো, সব পরিপাটি চাই পরিপাটি নিরবিচ্ছিন জীবন আসলেপার্ফেক্টব্যপারটা কি? পৃথিবীতে কি পার্ফেক্ট?
বিজ্ঞান? কিছুতেই নয়নিজের প্রতিষ্ঠা করা সত্যকে দশ বছর পরে নিজেই ভুল প্রমানিত করে
ধর্ম? প্রশ্নই আসে না, সবটাই গোঁজামিল, নিজেই জানে না, আসল উত্তর কি হবে তাই প্রশ্ন করা, চিন্তা করাই নিষেধ, হীরক রাজার শাসনের মত, চোখ বন্ধ করে আনুগত্য আনতে হবে।
মানুষ? কোন দিক থেকে? সৃষ্টিকর্তার সর্ব নিখুঁত সৃষ্টি বলে দাবী করা মানুষ --- চোখ এপেন্ডিক্স --- একটোপেকিক প্রেগন্যান্সি ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক ব্যখায়, অসংখ্য ত্রুটিতে ভর্তি মানুষের শরীর অভিজিৎ রায় আস্ত আর্টিকেল লিখেছেন, “ব্যাড ডিজাইনচোখ থেকে আরম্ভ করে কত কত ত্রুটি আমাদের শরীরে আছে তার নাতিদীর্ঘ বর্ননা আছে সেই প্রবন্ধে
ধর্মীয় ব্যাখা তো আরো গোলমেলে, আমার কথা শুনলে তুমি ঠিক মানুষ, না শুনলে তুমি বে-ঠিক মানুষ
প্রকৃতি? নট রিয়েলি আজকে ক্যাটারিনা তো কালকে সাইফিনা এখানে ভূমিকম্প তো ওখানে সাইক্লোন
তাহলেপার্ফেক্টকি বস্তুর নাম?
বেঁচে থাকার জন্যে নিজের ওপর নিজে কতগুলো নর্ম চাপিয়ে দিয়ে, দিন রাত তার পেছনে ছুটে চলাই কি আমাদেরপার্ফেক্টহওয়ার যুদ্ধ?
বড্ড ক্লান্ত করে এই পার্ফেক্টের পেছনে নিরন্তর ছুটে চলা
নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা
বুঝিবা পথ ভুলে যায়।
কুলায় যেতে যেতে কি যেন কাকলী
আমারে দিয়ে যেতে চায়।।


৩১/১০/২০১৭