পৃথিবীর সব দেশেই জেনোসাইডের সংখ্যা অনুমানের ওপর নির্ভর করে ধরা হয়, বাংলাদেশ কী তার ব্যতিক্রম কিছু? নাকি পৃথিবীর অন্যদেশে পাশে লোক রেখে গুনিয়ে নেয়া হয়? প্যালেষ্টাইন?
http://www.sachalayatan.com/shehab/53403
03/12/2014
প্রেসিডেন্ট ওবামার রাজত্বে এরিক গার্নার,মাইকেল ব্রাউন এর মৃত্যুকে
পিছনে ফেলে প্রশাসনকে বাঁচানোর জন্যে গ্র্যান্ড জুরির এই কান্ডামীকে আমরা কীভাবে
ব্যাখা করবো? ক্ষমতাহীন কালো প্রেসিডেন্ট এর ব্যর্থতা না একচোখা বর্ণবাদী এমেরিকান
সাম্রাজ্য?
তারা পৃথিবী জুড়ে দেশে দেশে মানবতা, ন্যায় পরায়নতার বানী হেঁটে হেঁটে
ফেরি করে বেড়ায় ............ স্বচ্ছ, আন্তর্জাতিক, নিরপেক্ষ ............ কী
বিচিত্র সেলুকাস
এরিক গার্নার, মাইকেল ব্রাউন, ফেলানী, তানবীরা ...... জন্মই যাদের
ক্ষমতাধরদের হাতে মৃত্যুর পরোয়ানা রেখে .........
04/12/2014
ছোটবেলায় প্রায় সকল স্কুলেই আমাদেরকে “সৃজনশীল” রচনা শেখানো হয়। বেশীর ভাগ থাকে, তোমার প্রিয়
চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, মানুষ, ঋতু এসমস্ত। আমরাও গৃহশিক্ষক কিংবা কোচিঙের সাহায্যে
জেনে যাই, আমার প্রিয় কে হলে নাম্বার বেশী পাওয়া যাবে। হয়তো প্রিয় মানুষ রিচার্ড
গিয়ার কিংবা হানিফ সংকেত। কিন্তু সেটা লিখলে নাম্বার পাওয়া যাবে না তাই লিখতে হবে,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা বেগম রোকেয়ার কথা।
তারচেয়ে বড় আইরনি বয়সের সাথে সাথে প্রিয় চরিত্র, ব্যক্তিত্ব
অনেক সময়ই বদলাতে থাকে। স্কুলের রচনায় লেখার জন্যে পড়া প্রিয় চরিত্ররা আসলে কখনো জীবনে
সত্যি প্রিয় থাকে কীনা, আমার জানা নেই। জীবনের এক এক পর্যায়ে এক এক জন প্রিয় হয়।
ধরা যাক এখন আমার কথা, আমার জীবনের এ পর্যায়ে আমার প্রিয় কারা ............
আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব = দর্জি
প্রিয় চরিত্র = উইকলি হেল্প
প্রিয় মানুষ = ম্যানেজার
প্রিয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি = হেয়ারড্রেসার
আপাতত এদের ছাড়া জীবন অচল। হাজার তেল মাখি তাই এরাই আমার
প্রিয়।
11/12/2014
দলকানাদের রকমফের
কিছু কিছু মানুষের দলকানাত্ব এমন পর্যায়ে যে এরা
যদি নিজ হাতেও খালেদা জিয়াকে পেট্রল বোমা মারতে দেখে তাও বলবে এসবই ফটোশপের
কারসাজি, বাকশালি ষড়যন্ত্র। কিছুতেই সত্যি নয়।
আর একদল সাথে সাথে শেখ হাসিনা বোমা ছুড়ছেন এমন
পোষ্টার, ভিডিও বানিয়ে মিডিয়াতে শেয়ার করা শুরু করবে।
অন্যদল, লেখালেখি শুরু করবে, ১৯৫২ সাল থেকে ২০০৮
পর্যন্ত শেখ মুজিব থেকে শুরু করে সজীব ওয়াজেদ জয় পর্যন্ত কোথায় কোথায়, কবে কবে কত
প্রকারের বোমা ফুটছিল। বটম লাইন, লীগ এতো ধোঁয়া তুলসীপাতা না যে এখন বোমা ফুটলে
কথা কইতে আসছো। তখন কী মানুষ মরে নাই। ঐ আমলে মরলে যদি ঠিক থাকে তাহলে এই আমলেও
আছে।
আর এক দল হলো, মডারেটেড বিম্পি। তারা বিম্পি
পছন্দ করে তার মানে এই না যে তারেক জিয়ারে পছন্দ করে। বিম্পি ক্ষমতা আসলেই তারেক
কেন, অন্য কেউ নাই? দলে কত অভিজ্ঞ, বর্ষীয়ান, যোগ্য নেতা আছে, যদিও তারা ভাল করেই
জানে, বিম্পি পরবর্তীতে ক্ষমতায় কোনদিনও আসতে পারলে তারেক চোরাই তার সর্বময়
অধিকারী হবে এবং আরো দু চারটা একুশে আগষ্ট ঘটিয়ে দেশের রাজনীতিবিদদের চুরচুর করে
দিবেন। তারা কিন্তু-পরন্তু মডারেটেড ভাব ধরবেনই।
বাংলাদেশের টিভি লাগালেই রোজ পেট্রোল বোমা,
মারামারি ইত্যাদির খবর। মেঘলা জানতো পাকিস্তানিরা বাংলাদেশিদের মেরেছে। কিন্তু
বাংলাদেশিরা কেন একজন আর একজনকে মারছে, দুজনেইতো বাংলাদেশি, ওরা কী বোকা মা? এই
সহজ কিংবা কঠিন প্রশ্নের কোন উত্তর আমার জানা নেই। যদিও সে হরতাল এবং অবরোধ দুটোই
তীব্রভাবে মিস করে। স্কাইপে কাজিনদের সাথে কথা হলেই শোনে, স্কুলে যেতে হয়নি,
হরতাল-অবরোধ। সকালে উঠে স্কুলে যেতে তার দুঃখের সীমা নেই। কী করলে একটা হরতাল
অবরোধ এখানে আনা যায় সেই ভাবনা তার ০৯/০২/২০১৫
বরফ পড়ে ঝুমুর ঝামুর
রাস্তাঘাট বন্ধ,
শিব ঠাকুরের বিয়ে হলে
তিন কন্যার কষ্ট।
এক কন্যা ফেবু করেন
এক কন্যায় খান,
আরেক কন্যা না খেয়ে
জিম করতে যান। ০৪/০২/২০১৫
মেয়ে
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে তার ক্লাশ পরীক্ষা, মেয়েকে পড়াচ্ছি। বিষয়ঃ ইসলামের ইতিহাস।
মেয়ে এ দেশের জাতীয় মাধ্যমে পড়ে, সরকারী স্কুলে। আমি পড়াতে পড়াতে ভাবছি, আমাদের
দেশের কোন মাধ্যমের স্কুলে ইসলাম বাদে অন্য ধর্ম কিংবা ধর্ম প্রচারক নিয়ে ধর্ম
কিংবা ইতিহাস কিংবা সমাজবিজ্ঞান বিষয় রুপে পড়ানো হয় কীনা। আমি যখন স্কুলে পড়তাম
আশির দশকে তখন আমি অন্তত আমার টেক্সটে পাইনি।
যে
দেশে দুই কোটি টাকার ক্যালেন্ডার পোড়ানো হয় মসজিদের পাশাপাশি মন্দিরের ছবি থাকার
কারণে সে দেশে সহনশীলতা শিক্ষা কিংবা অনুশীলন কোথা থেকে আসবে। সহনশীলতা অনুশীলন
বাচ্চাকালে স্কুলেই শুরু করতে হয় বোধহয় ............ ১২/০১/২০১৪
ফেব্রুয়ারী মাস মানে শুধু ভ্যালেন্টাইন কিংবা পহেলা ফাল্গুন নয়। বাংলাদেশীদের কাছে এর আরো একটি গুরুত্ব আছে সেটি হলো ভাষার মাস। আরো নির্ধারিত করে বললে, “মাতৃভাষার মাস”। এ বাস্তবতা যারা বাংলাদেশে বসবাস করে তাদের জন্যে।
প্রবাসী বাংলাদেশি বাচ্চাদের জন্যে কী এই হিসেব এতোটাই সরল? বোধ হয় না। অনেক আছে মা হয়তো কোন রকমে ইংরেজি কিংবা ফ্রেঞ্চ, জার্মান ভাষায় গুড মর্ণিং, থ্যাঙ্কু, প্লীজ বলতে পারে আর বাচ্চাও বাংলায় ঠিক একই রকম কুড়িয়ে বাড়িয়ে কেমন আছেন, ভালো, এই টুকুই বাংলা বলতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, ভাষার কারণে বাবা মায়ের সাথে বাচ্চাদের মনের ভাব আদান প্রদানের দূরত্ব এসে যায়।
মাতৃভাষার থেকে বেশি গুরুত্ব রাখে বোধ হয় “স্থানীয় ভাষা”। ইউরোপের বাস্তবতা অন্তত তাই বলে। এখানে মা-বাবা ও সন্তানের ভাষা হর হামেশাই আলাদা হতে পারে। চায়নীজ মায়ের সন্তানের প্রথম ভাষা হতে পারে ইটালীয়ান, টার্কিশ মায়ের সন্তানের প্রথম ভাষা হতে পারে জার্মান ইত্যাদি। অনেক শিশু তার মা-বাবার ভাষা শুদ্ধ উচ্চারনে বলতে পারে না, হোঁচট খায়। সেদিক থেকে বরং ইংলিশ স্পীকিং দেশের বাচ্চারা কিছুটা বাড়তি সুবিধা পায়।
বাংলাদেশের পিতা মাতা ও তাদের সন্তানরা এদিক থেকে সৌভাগ্যবান। ভাষার এতো ঝকমারি তাদের পোহাতে হয় না। জীবনের অঙ্ক অনেকটাই সরল সেখানে।
সবাইকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা, ফুলে ফুলে ভরে উঠুক পৃথিবীর সব স্থানের শহীদ মিনার
প্রিয়
নভেরা আহমেদ, বেঁচে থেকে তুমি শহীদ মিনারের স্থপতির স্বীকৃতি পাওনি কিন্তু মরে
গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা পেলে। জাতি জানলো, তুমি ছিলে, কোথাও বাংলাদেশের
আলো, জল, হাওয়া, ধূলোকনাতেই তুমি মিশে ছিলে।
অভিমানী
নভেরা, তুমি জানতেই পেলে না তুমি কতো সৌভাগ্যবতী। অনেকেই রাজপথে রক্তাক্ত পরে
থেকেও স্বীকৃতি পায়নি, পায় না, পাবে না। বাংলাদেশ তাঁর কৃতি সন্তানদের ধরে রাখতে
পারেনি, প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেনি। ইতিহাস তার সাক্ষী ছিলো, আছে, থাকবে।
সুন্দরী,
আধুনিকা নভেরা, যেখানেই থাকো, ভাল থেকো। ---------- বিনম্র শ্রদ্ধা জেনো আমাদের।
এদের সকল অনুভূতি
আহত হয় মনুষ্য অনুভূতি ছাড়া, কি বিচিত্র এই সেলুকাস 03/05/2015
৭/০৫/২০১৫
পশুত্ব যে করে আর
পশুত্ব যে সমর্থন করে, তব ঘৃণা তারে তৃণ সম দহে
ধর্ম কীঃ সভ্যতার
আদিকাল থেকে অদ্যাবধি যে আফিম খেয়ে একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের গলায় চাপাতি
চালায় তার নাম ধর্ম।
07/05/2015
আমি হয়তো মন থেকে “আমার সোনার
বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি” জাতীয় সঙ্গীতটি আর গাইতে পারবো না।
আমি কখনোই ভুলতে পারবো না, এদেশে
একজনের পর একজন স্বাধীন নাগরিক তার মত প্রকাশের জন্যে খুন হয়েছে, রাষ্ট্র তার
দায়িত্ব থেকে দূরে থেকেছে দিনের পর দিন। খুনের এই মহোৎসব ঘটানোর সুযোগ তারা দিয়ে
গেছে। প্রকাশ্যে নারীরা অসম্মানিত হয়েছে রাষ্ট্র তার কোন প্রতিকার করেনি।
তারপরও যেসব দলকানা গদগদ কন্ঠে
স্ট্যাটাস লিখবেন, জিডিপি বেড়েছে, ছিটমহল স্বাধীন হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি
হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি তাদের জন্যে অগ্রীম করুণা
আমি দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই,
এই ছাগলের চারণভূমি আমার দেশ না। এই মৃত্যু উপত্যাকায় আমরা ভুল করে জন্মেছিলাম, এ
কখনোই আমাদের দেশ ছিল না। কষ্টার্জিত পয়সা দিয়ে বহুদিন “পাসপোর্ট” খানা নবায়ন
করেছি, অনেক ভোগান্তি সহ্য করে জাতীয় পরিচয়পত্র, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট
বানিয়েছিলাম। এখন সময় এসেছে নভেরার মতো সব ত্যাগ করার। বাংলাদেশ আমাদের ডিজার্ভ
করে না।
প্রধানমন্ত্রীর বংশধর না হলে এদেশে
কোন খুনের বিচার হয় না, খুনীরা ধরা পরে না তাই সে ফরিয়াদ আর জানালাম না। রাজবংশের
লোক হলে পরে গ্রেনেড হামলা কিংবা সপরিবারের নিহত হওয়ার ঘটনার চল্লিশ পরও বিচার হয়।
আম জনতার মূল্যই কী? কী মূল্য ছিলো সাগর-রুনী, অভিজিত, বাবু কিংবা অনন্তের? তারা
শুধু লিখতো।
প্রধানমন্ত্রী বেডরুমে নিরাপত্তা
দিতে পারবেন না, রাজপথে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না, বইমেলায় নিরাপত্তা দিতে পারবেন
না, চারুকলায় নিরাপত্তা দিতে পারবেন না তারপরও কোন অধিকারে বছরের পর বছর
প্রধানমন্ত্রী থাকবেন? কেন থাকবেন? মৌলবাদীরা ক্ষমতায় থাকলে দেশে এর চেয়ে বেশী আর
কী খারাপ হতো? আপনি টপ টু বটম ব্যর্থ জেনে রাখুন আপনি তাই ১২/০৫/২০১৫
জাফর ইকবাল স্যারকে “ব্লগার”
হিসেবে অভিহিত করে বিরাট আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে সিলেটে। সারা পৃথিবীতে
যেখানে বেস্ট ব্লগ এবং ব্লগার বাছাই করে পুরস্কার দেয়া হয়ে সেখানে বাংলাদেশে “ব্লগিং”
হচ্ছে অপরাধ আর ব্লগার “অপরাধী।“ মালালা ব্লগিং করে নোবেল পেলো আর অভিজিৎ জীবন
দিলো। পাকিস্তান যে পথে হাঁটছে বাংলাদশ হাঁটছে তার থেকে চার কদম আগে তাও সে সময়
যখন যুদ্ধ সূত্রে পাওয়া দেশের মালিকপক্ষ ক্ষমতায়।
খুন করলে খুনী, ছিনতাই করলে
ছিনতাইকারী, নির্যাতন করলে পাপিষ্ঠ, ব্লগিং করলে ব্লগার, সবাই আইনের চোখে সমান
অপরাধী। কিন্তু “ব্লগার” শব্দটিকে “অপরাধী” হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করছে বা করেছে
কারা? একজন মানুষ খুন হলে “মানুষ খুন হয়েছে” পরিচিতি না পেয়ে “নাস্তিক খুন হয়েছে” “ব্লগার
খুন হয়েছে” বলে রাষ্ট্রে যে পরিচিতি পায় তা কতটুকু আইনসম্মত? কতটুকু যৌক্তিক? তার
জীবনে যে অন্য পরিচয়গুলো আছে সেগুলো সামনে আসে না কেন? ব্লগিং যারা করে তারা কী আর
কিছু করে না? তাদের পেশা কিংবা সামাজিক - পারিবারিক পরিচয়? তারা কী সমাজের বাইরের
কেউ? তাদের কেউ কী প্রকৌশলি, ব্যাঙ্কার, ছাত্র, কিংবা কারো ছেলে, ভাই, মামা নয়,
সেই পরিচয়গুলো কোথায় যায়?
ব্যাপারগুলো নিয়ে লেখার,
ভাবার, কথা বলার সময় এসেছে। মিডিয়া কি জনগনকে ভুল পথে প্ররোচিত করছে? আমার পরিচিত
বন্ধু যারা সংবাদপত্রের সাথে জড়িত আছেন তাদের প্রায় প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্লগার
এবং অনেকেই বিভিন্ন সময়ে নানা পুরস্কারের জন্যে মনোনীত হয়েছেন এবং লেখার জন্যে, সেরা
ব্লগের জন্যে পুরস্কার পেয়েছেন। পহেলা ফেব্রুয়ারীকে “বাংলা ব্লগ দিবস” হিসেবে ঘটা
করে অনেক ব্লগই উদযাপন করে থাকে। ব্লগ নিয়ে বাংলাদেশের জনগনের প্রতি তাদের
দায়বদ্ধতা জানতে চাই। কেনো আজকে “ব্লগিং” বাংলাদেশে “নেতিবাচক” একটি ধারনা পাচ্ছে
বা পেয়েছে। সাংবাদিক বন্ধুদের দায়িত্ব কিংবা বক্তব্য কি? কারা এভাবে অপপ্রচার
করলো? অপপ্রচার রোধে তারা কী করেছেন বা করছেন?
পরিশেষে, জাফর ইকবাল স্যার যেখানে
ব্লগিং করে সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার
লেখা ব্লগও আছে। তার বেলায়?
হায়েনা যখন রক্তের স্বাদ
পেয়েছে, রক্ত সে খাবেই। যে গতিতে এগোচ্ছে চুরাশি জন খতম হতে বেশি সময় লাগবে না
কিন্তু তারপর? তারপর অন্যদের পালা। তাই, সুশীল স্ট্যাটাস না লিখে বরং নিজের জন্যে
প্রস্তূত হই। টুডে ওর টুমরো? আজকে যদি জাফর ইকবাল স্যার হয়তো কালকে
...............? 19.0.2015
প্রাচীনকালঃ দুই নৌকায় পা
আধুনিককালঃ যতগুলো নৌকা, ততগুলো পা কিংবা নৌকায়
নৌকায় পা
গ্লোবালাইজেশানের যুগ, কাউকে বাদ দেয়া যাবে না।
সবার সাথে-পাছে থাকতে হবে। গ্লোবাল হওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা নিজেকে সবার জুতোয় ফিট
করে ফেলতে হবে, আর নিজের কোন জুতো থাকা চলবে না।
সত্যযুগে এটাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হলেও,
কলিযুগে এটা বিরাট ইতিবাচক ব্যাপার
ছেড়ে আসা হয়তো সহজ, ছেড়ে দেয়া অনেক কঠিন
যেখানে মন মেলে না শুধু শরীর মেলে সেখানে সব পেয়েও
জীবন ভর অতৃপ্তির বোঝা টেনে বেড়াতে হয়। বড্ড ক্লান্তিকর দুঃসহ সে জীবন। মন ছাড়া
শরীর বড্ড দ্রুত একঘেয়ে আর রুটিনড। শরীর কখনোই কেন যেনো মনকে ছাপিয়ে যেতে পারে না।
হাজার বার হাজার রকম করে সঙ্গম করেও একঘেয়েমি কাটানো যায় না। বড্ড শূণ্য লাগে,
সারাবেলা অতৃপ্তি, অপূর্ণতার হাহাকার। শূন্য হৃদয় থেকে প্রাপ্তিও শূণ্য
গতকাল ডাচ টিভি “নেদারল্যান্ড ওয়ানে” সামাদের হত্যাকান্ড দেখিয়েছে। বলেছে, এথিস্ট হওয়ার কারণে সামাদকে খুন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল, কাজের চাপ কম, কলিগরা আলোচনা করছিল, সামনে গরমের ছুটিতে কে কোথায় যাবে। আলোচনা তাসকিনের বলের মত
ঘুরতে ঘুরতে আমার টেবিলে এসে পড়লো, বাংলাদেশে গেলে কেমন হয়?
আমি মুখ খোলার আগেই আমার অন্য কলিগ বললো, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থার বয়ান।
একজন বললো, তোমরা কি মুসলিম? অন্যজন জবাব দিলো, হোয়াট এলস, অন্য কোথাও কী হয় এমন অবস্থা!
এখন শুরু হলো লেগ পুলিং, আমরাতো জানতাম না বাংলাদেশ এতো এক্সট্রিমিস্ট। তোমাকে দেখে তো ধারনা করা যায় না। বসকে বলতে হবে নীচে এক্সরে মেশিন লাগাতে, তুমি বোম, চাপাতি, কী না কী নিয়ে ঢুকবে, তোমাকে পুরো স্ক্যান করে ঢোকাতে হবে।
তোমাকে তো আমরা স্বাভাবিক-সাধারণ মানুষ মনে করেছিলাম। কাউকে বিশ্বাস নেই, ইত্যাদি ইত্যাদি
কলিগরা আল্লাহু আকবার ডাক দিয়ে দিয়ে একজনের পানির বোতল অন্য জনকে ছুড়ে ছুড়ে আই-সি-এল-আই-সি-এল, বোকো হারাম-বোকো হারাম খেলছে।
ওদের সাথে শুকনো পাট কাঠি মুখ করে হাসিতে যোগ না দিয়ে উপায় নেই কিন্তু ভেতরটা ময়নাকাঁটার ঘায়ে রক্তাক্ত। না ধর্মের জন্যে নয় মাতৃভূমির নামের অপমানের কারণে, জাতীয়তাবোধ অপমানিত হওয়ার কারণে। গরীব বলে তো পরিচিততো ছিলামই এখন সাথে সন্ত্রাসী উপাধিও যোগ হচ্ছে।
মনে মনে ভাবছিলাম, হে বাংলাদেশ, কোথায় যাচ্ছো তুমি!
এখন থেকে বাংলাদেশ শুনলে পশ্চিমা পৃথিবী আমাদের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাবে, শুরু হবে খানা তল্লাশি সর্ব জায়গায়। আমরা তো সব্বোর্চ
চেষ্টা চালিয়েছিলাম বিদেশে আমাদেরকে তাদের স্তরের সারাধণ-স্বাভাবিক মানুষ বলে প্রমান করতে, নিজের দেশের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি উপস্থাপণ করতে কিন্তু ভোটের রাজনীতির কাছে আমরা নিদারুনভাবে পরাজিত হলাম। ঠিক টি-টুয়েন্টি বাংলাদেশ-ভারত খেলার মত, জেতা খেলা অন্যে নিয়ে নিলো। হয়ে গেলাম শেষ পর্যন্ত উপহাসের পাত্র। এই উন্নতি – এই জিডিপি দিয়ে আমরা কী করবো? সৌদি আরবের মত "টাকাওয়ালা অমানুষ" পরিচয় হবে আমাদের?
“বিচ্ছিন আলোচনা” বলে আমার কথা গুলো অনেকেই আজ পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে হয়তো। আমি জানি এখন কর্মক্ষেত্রে আমার মত অনেক বাংলাদেশিই এ ধরনের আলোচনা, উপহাসের সম্মুখীন হবে। কিন্তু, কদিন পর থেকে যখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলে জায়গায় জায়গায় স্ক্যানিং শুরু হবে তখন আর পাশ কাটানোর উপায় থাকবে না। আর এই স্ক্যানিং থেকে আমাদের মন্ত্রীরাও বাদ যাবে না। দেশে তারা যত রকম ভাবের মূর্তিই হয়ে থাকেন না কেন, বিদেশে তাদের কী সম্মান আর আদর মেলে সে তো সকলেই জানে। এমেরিকা যদি শুধু নামের কারণে শাহরুখ খানের জুতো পর্যন্ত খুলিয়ে চেক করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের মন্ত্রীদের চাড্ডি খুলিয়ে স্ক্যানিং করানোর দিন আর দূরে নয়। সেদিনের অপেক্ষায় ... তাদের খোঁড়া গর্তে কী করে তারা গড়াগড়ি খাবেন, দেখতে হবে
কথিত মৌলবাদী দল বিএনপি-জামাতের অন্য সকল অর্জনের সাথে এই অর্জনকেও ম্লান করে দিয়ে সামনে এগিয়ে গেছে কথিত সেকুল্যার দল আওয়ামী লীগ। ০৯-০৪-২০১৬
সারাটি দিন কেটে যায় “পারফেকশান”
এর পেছনে ছুটে। ঘর গোছাও, জামা
কাপড় ইস্ত্রি করো, প্রোপারলি রান্না করো, চুল শ্যাম্পু করো, সব পরিপাটি চাই। পরিপাটি
নিরবিচ্ছিন জীবন। আসলে “পার্ফেক্ট”
ব্যপারটা কি? পৃথিবীতে কি পার্ফেক্ট?
বিজ্ঞান? কিছুতেই নয় – নিজের প্রতিষ্ঠা করা সত্যকে দশ বছর পরে নিজেই ভুল প্রমানিত করে
ধর্ম? প্রশ্নই আসে না,
সবটাই গোঁজামিল, নিজেই জানে না, আসল উত্তর কি হবে তাই প্রশ্ন করা, চিন্তা করাই নিষেধ, হীরক রাজার শাসনের
মত, চোখ বন্ধ করে
আনুগত্য আনতে হবে।
মানুষ? কোন দিক থেকে? সৃষ্টিকর্তার সর্ব নিখুঁত সৃষ্টি বলে দাবী করা মানুষ --- চোখ – এপেন্ডিক্স ---
একটোপেকিক প্রেগন্যান্সি ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক ব্যখায়, অসংখ্য ত্রুটিতে ভর্তি মানুষের
শরীর। অভিজিৎ রায় আস্ত আর্টিকেল
লিখেছেন, “ব্যাড ডিজাইন” চোখ থেকে আরম্ভ করে কত কত ত্রুটি আমাদের
শরীরে আছে তার নাতিদীর্ঘ বর্ননা আছে সেই প্রবন্ধে।
ধর্মীয় ব্যাখা তো আরো গোলমেলে, আমার
কথা শুনলে তুমি ঠিক মানুষ, না শুনলে তুমি বে-ঠিক মানুষ।
প্রকৃতি? নট রিয়েলি। আজকে ক্যাটারিনা
তো কালকে সাইফিনা। এখানে ভূমিকম্প তো
ওখানে সাইক্লোন।
তাহলে “পার্ফেক্ট” কি বস্তুর নাম?
বেঁচে থাকার জন্যে নিজের ওপর নিজে কতগুলো
নর্ম চাপিয়ে দিয়ে, দিন রাত তার পেছনে ছুটে চলাই কি আমাদের
“পার্ফেক্ট” হওয়ার যুদ্ধ?
বড্ড ক্লান্ত করে এই পার্ফেক্টের পেছনে
নিরন্তর ছুটে চলা
নিঝুম সন্ধ্যায় পান্থ পাখিরা
বুঝিবা পথ ভুলে যায়।
কুলায় যেতে যেতে কি যেন কাকলী
আমারে দিয়ে যেতে চায়।।
৩১/১০/২০১৭