Friday 5 June 2020

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ৭ {জুন}

বাচ্চাদের ক্ষতির সম্ভাবনা কম তাই আট জুন থেকে প্রাইমারি স্কুল পুরোদমে তাদের প্রাত্যহিক ও স্বাভাবিক কার্যকর্ম শুরু করতে পারবে।
এখন ছুটির সময়। গোটা ইউরোপেই এটা ছুটির সীজন। সবার মনে ভাবনা ছুটিতে যেতে পারবো? বিশেষ করে এভাবে দিনের পর দিন অন্তরীন থাকার পর এখন সবার কাছে গরমের ছুটিই সবচেয়ে প্রার্থনীয় জিনিস। মার্ক রুতে জানিয়েছেন, হ্যাঁ ছুটিতে যাওয়া সম্ভব। যাদের বাচ্চাদের স্কুলের সাথে ছুটির প্রয়োজন নেই তারা হাই সীজনে না গেলেই ভাল, তাতে ভীড় এড়ানো সোজা হবে, ঝুঁকি কম । যারা অন্য দেশে ছুটি যেতে চাইছে, সেটা সে দেশের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। "ছুটি বুদ্ধিমত্তার সাথে হ্যান্ডেল করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে"। ছুটি সম্বন্ধে ট্রাভেল এডভাইস ফলো করার জন্যে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মার্ক রুতে তার স্পিচ তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন। ১. হল্যান্ডে ছুটি কাটানো। সেটা নিয়ে কোন বাধা নেই কিন্তু পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা যাবে না সেটা শুধুমাত্রই দরকারে ব্যবহার করা যাবে। বেসিক স্থাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
২. সেঙ্গুইন ইউরোপ, ইংল্যান্ড আর ক্যারাবীয়ান আইল্যান্ডসে ছুটি কাটানো। পনেরই জুন অব্ধি সব জায়গাতেই ট্রাভেলের ওপর অরেঞ্জ মার্ক দেয়া আছে। কেউ ট্রাভেল প্রেফার করছে না। ষোলই জুন থেকে হলুদ রঙ থাকবে, দায়িত্বশীলতার সাথে ট্রাভেল করো। এই হলুদ রঙের আওতায় সুইডেন আর ইংল্যান্ড পরবে না। বাকি নির্ভর করছে প্রত্যেক দেশের পরিস্থিতির ওপর। কারা ট্যুরিস্ট এলাও করবে আর কারা করবে না, সেটা প্রত্যেক দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। অনেক দেশেই নেদারল্যান্ডসের টুরিস্ট ওয়েলকাম নয় এবং তাদের কেয়ারন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। আপাতত বারোটি দেশে ছুটির এডভাইস দেয়া হয়েছে, জার্মানী, ইটালী, বেলজিয়াম, ক্রোয়াশিয়া আর বাকি ছ"ট ক্যারাবিয়ান দ্বীপ। পাঁচই জুলাইয়ের মধ্যে সুইটজারল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স আর অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডসের জন্যে তাদের বর্ডার ওপেন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। netherlandsworldwide.nl এ সব আপডেট দেয়া থাকবে। হলুদ মানে কিন্তু সবুজ নয়, সুতরাং পরিস্থিতি যেকোন মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। আর বিদেশেও শরীর খারাপ হলে , পরীক্ষা করতে হবে, কেয়ারন্টিনে থাকতে হবে এবং নেদারল্যান্ডসের জি।জি।ডিতে যোগাযোগ করতে হবে।
৩. ইউরোপের বাইরে ছুটিতে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। কারণ সব জায়গায় পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে নেই। শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যাতায়াত নিষিদ্ধ। আর ফেরত আসার পর দু সপ্তাহের হোম কেয়ারন্টিন বাধ্যতামূলক। নেদারল্যান্ডস স্টেপ বাই স্টেপ আগাতে চায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। ইউরোপের করোনা পরিস্থিতি সম্বন্ধে যত সহজে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, ইউরোপের বাইরেরটা সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।
আর হ্যাঁ, নেদারল্যান্ডসের সমকক্ষ স্বাস্থ্যবিধির দেশ ই-ইউ আর সেঙ্গুইন ইউরোপ হতে পনেরই জুন থেকে ট্যুরিস্ট নেদারল্যান্ডসেও আসতে পারবে। তারমধ্যে সুইডেন আর ইংল্যান্ড পরবে না। ট্যুরিস্ট স্পটে যেনো ভীড় না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হবে, ক্রাউড ম্যানেজম্যান্ট এর দায়িত্বে থাকবে আর গেস্টদেরও রেস্টুরেন্ট, পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট, মিউজিয়াম ইত্যাদিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকবে।
বিমানে সবাই মিলে ট্রাভেল করা কতটা নিরাপদ? হ্যাঁ, সব বিমান কোম্পানীকেও তাদের স্বাস্থ্যবিধি দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক কোম্পানী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়েই তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্লাইয়িং ন্যাশনাল নয় ইন্টারন্যাশনাল নিয়মের আওতায় পরবে।
ডেনমার্ক বলেছে তারা নেদারল্যান্ডসের ট্যুরিস্ট এক্সেপ্ট করবে না। নেদারল্যান্ডস কি তবে ডেনমার্কের ট্যুরিস্ট এক্সেপ্ট করবে? প্রিমিয়ে রুতে বলেছেন, অবশ্যই ডেনমার্কের ট্যুরিস্ট নেদারল্যান্ডসে স্বাগতম। ইংল্যান্ড আর সুইডেনের ট্যুরিস্ট এসে গেলে তাদেরকে কেয়ারন্টিনে থাকতে হবে, ঘুরে বেড়াতে পারবে না।

দেশবাসীর আচরনের প্রশংসা করে রুতে বলেছেন, পুলিশ নামিয়ে জনগনকে বাসায় রাখতে হয় নি, নিজ থেকেই সবাই বাসায় থেকেছে। যদিও আচরন বিধি ভঙের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় সেটা খুবই কম।

বাজারে রেশনিং উঠে গেছে। সবাই যার যার মত যতটা দরকার কিনতে পারছে।

০৪/০৬/২০২০

No comments:

Post a Comment