Thursday 21 September 2023

“জলের বানী”

“জলের বানী” আপনার চিন্তা আপনাকে নয় বরং আপনি আপনার চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করুন – ডঃ মাসারু ইমোটো কোন এক শীতের সকালে জানালায় বসে তুষারপাত দেখছিলেন ডঃ ইমোটো। প্রতিটি তুষার কনা মাটিতে পড়েই একটি আকার ধারন করে। একটির আকারের সাথে অন্যটির আকারের কোন মিল নেই। প্রতিটি তুষারকনা’র আকারই অনন্য। তারা কিভাবে “অনন্য” আকার নেয়, এটি বিবেচনা করে তিনি কৌতুহলী হয়ে ওঠেন, পানি’কে বরফ করলে তাদের মৌলিকুলের আকার কিরকম হবে তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। তিনি নিজে একটি কাঠামো/তত্ত্ব নির্দিষ্ট করে পরীক্ষা শুরু করেন যা কয়েকমাস পরে সঠিক প্রমানিত হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা জানি, পানির নিজস্ব একটি বৈশিষ্ট্য আছে। ডঃ ইমোটো এটিকে বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা করে অকাট্যভাবে প্রমাণ করে দিয়েছেন, “পানির জীবনীশক্তি প্রাণবন্ত” । ঐতিহ্যগতভাবে চীনা চিকিৎসকরা “চিন্তাভাবনা”কে কম্পন হিসেবে দেখে। যাই ঘটুক না কেন, বিমূর্ত চিন্তাও অবশ্যই শরীরের মধ্যে অনুরণিত হবে। পদার্থবিদ্যার কোয়ান্টাম তত্ত্বেও আছে “এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই কম্পমান”। এবং ডঃ ইমোটোর পরীক্ষা প্রমাণ করেছে যে এই কম্পনগুলি জলেও অনুরণিত হয়। পরীক্ষার জন্যে ডঃ ইমোটো তার নিজস্ব জাপানী ভাষায় দুটো চিরকূট লেখেন, একটিতে লেখেন “প্রেম” অন্যটিতে “ঘৃণা। চিরকূট দুটোকে বোতলে আটকে দেন, লেখাটা ছিলো পানির দিকে মুখ করে। সারারাত তাদেরকে সেভাবে রাখা হলো। পরের দিন বোতলগুলোকে ডিপ ফ্রিজে রাখেন এবং তাদের ছবি তোলেন। “ভালোবাসা” লেবেলযুক্ত বোতলটির পানির মৌলিকূলগুলো চকচকে পরিস্কার একটি আকৃতি তৈরি করে আর “ঘৃণা” লেবেলযুক্ত বোতলটির পানি থেকে বিশৃঙ্খল একটি আকৃতি তৈরি হয়ে প্রমাণ করে যে, “পানি প্রকৃত পক্ষেই কম্পনের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে”। অবশ্যই ডঃ ইমোটো সেখানে থামেননি: তিনি তার পরীক্ষা চালিয়ে যান, বিভিন্ন শব্দ, সঙ্গীত এবং অন্যান্য পরীক্ষা বোতল শত শত বিষয় ভাইব্রেশনাল প্রভাব, এবং ফলাফল সব পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত. 'ইতিবাচক কম্পন' = সুন্দর স্বচ্ছ আকৃতি 'নেতিবাচক কম্পন' = বিকৃত অস্বচ্ছ আকৃতি আশার কথা হলো, নিজের চিন্তাভাবনাকে ইতিবাচক রাখার জন্যে নিজের ওপরেও আপনি এই পরীক্ষাটা করে দেখতে পারেনঃ ধরুন, আপনি নিজে আশি ভাগ আর পানি হলো বাকি বিশ ভাগ, আপনার নিজের ওপর কি প্রভাব পড়ছে? নিজের মস্তিকের কোষে? যদি নিজেকে ভালো বাসেন, নিজের প্রতি যত্নশীল থাকেন, সারাবেলা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা রাখেন, এর প্রভাব আপনার মস্তিকের কোষে পড়ে ঠিক তেমনি এর বিপরীত প্রভাবটাও স্পষ্টই হবে। সারাদিনের বেশিটা সময় মানুষ নিজের সাথে কাটায়। নিজের প্রতি সদয় থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাতে অন্যের প্রতি আপনার কমনীয়তা আরো বাড়বে সাথে নিজের স্বাস্থ্য, শক্তি ও জীবনীশক্তি আরো উন্নত হবে। তথ্যসূত্রঃ http://www.masaru-emoto.net/english/water-crystal.html