জন্মদিনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো দিনটাকে যদি
প্রিয়জনরা মনে রাখে। অতি ব্যস্ত মাইক্রো ব্লগিং, টুইটারের যুগে কেউ যদি এইচ-বি-ডি
এর বদলে, শুভ জন্মদিন টুকু লিখে শুভেচ্ছা জানায় তাতেই আনন্দে চোখ ভিজে যায়। আমি
বোকা সোকা, সহজ মানুষ। এতো বড় পোস্ট মানে উপহারের ভার কী করে সইবো ............
এরে পড়তে গেলে চোখ ভিজে
সারাবেলা মনের ভেতর বাজে
এতো ভালবাসা কী আমায় সাজে এ এ এ এ
http://www.amrabondhu.com/aliarafat/7911
জন্মদিন নিয়ে আমি ব্যাপক হৈ চৈ করি নিজের চেনা
গন্ডির মধ্যে। অফিসে দু’মাস আগে থেকে রিমাইন্ডার দিতে থাকি, জুলাই হলো বছরের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস। কারণ আমি না জন্মালে এই কাজগুলো কে করতো? এটা কী করে হতো
কিংবা ঐটা কী করে হতো? আমার পাকনামির চোটে আমার কলিগ একবার বলেই বসলো, আমি দেখেছি
মেয়েদের যত বয়স হয়, জন্মদিন নিয়ে মাতামাতি কমে। তুমি একটা মানুষ, এখনো জন্মদিন
জন্মদিন করে মাথায় তুলে রাখো।
আমি বললাম মানে? এই যে বেঁচে আছি প্রতিদিন এটা কী
কম? কতো ইমেইল পাই, এ মারা গেছে ক্যান্সারে, সে মারা গেছে সেরিব্রেলে সেই তুলনায়
বেঁচে থাকাটাতো জাস্ট একটা “দ্যা ভেরি প্রেসাস” গিফট। রোজদিন ভোর দেখি, পাখির ডাক
শুনি, রাস্তায় হাঁটতে গেলে যত্নে লাগানো কেয়ারীর পাশে নিতান্ত অবহেলায় পরে থাকা
নাম জানা ফুলটির দিকেও মনের অজান্তেই চোখ পরে। এসব কী বেঁচে থাকা উদযাপন করার
জন্যে যথেষ্ঠ কারণ নয়? এই নীল আকাশের নীচে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারা কি কম
সৌভাগ্যের? আকশের রঙধনুর দিকে তাকালে সমস্ত পাওয়া না পাওয়া ভুলে যেয়ে আরো আরো
বহুদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে
এও সত্যি প্রকৃতির নিয়মে সবকিছু একদিন ঝরে যায়,
কেউ তার ব্যতিক্রম নয়। মিশরের রাজারা নিজেদের মমি বানিয়ে কত কী করে নিজেকে অমর
করার চেষ্টা করে গেছেন। আমি সাধারণ মানুষ। করজোড়ে প্রকৃতির কাছে মিনতি রাখি, যখন
সময় আসবে খুব নীরবে নাম না জানা ঘাস ফুলটির মত টুপ করে যেনো ঝরে যাই, কেউ উহ
শব্দটি শোনার আগেই ঐ আকাশের তারা হয়ে ফুটে উঠতে চাই ............ আর তার আগ
পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত জন্মদিনের আনন্দে কাটাতে চাই
No comments:
Post a Comment