“অপু বিশ্বাস”
বাংলাদেশ চলচিত্রের একজন স্বনামধন্য নায়িকা। বাংলাদেশের সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে তিনি
খুব সাহসী একটি “পেশা”কে নির্বাচন করেছন এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অর্থনৈতিক ভাবে,
সামাজিক ভাবে, পারিবারিক ভাবে যথেষ্ঠ প্রিভিলেজড। প্রকৃতির রীতি মেনে জীবনে প্রেম আসে
আর নানা কারণে সে প্রেম শেষ পর্যন্ত অনেকেরই তিক্ততায় গড়ায়। মানুষের জীবনে এটা এমন
কিছু অভিনব ঘটনা ও নয়। তার সাথে তার স্বামীর মনোমালিন্য হতে পারে, বিবাহ বিচ্ছেদ ও
সন্তানের অধিকারের দাবী নিয়ে মত পার্থক্য হওয়াটা ও খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। সে সব মত
পার্থক্য কে মেটানোর জন্যে, “আইন” আছে, “আদালত” আছে, “সালিশ” আছে। টিভি চ্যানেল কবে
থেকে স্বামী – স্ত্রী’র মনোমালিন্য মধ্যস্থতা করার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো?
যে কীটস্য কীট
তার ভালবাসার দাবী, সন্তানের কথা অস্বীকার করে, পাশে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কোন
আত্ম মর্যাদা জ্ঞান থাকা মেয়ে কি করে তার পরিচয়ে তার আত্মজ কে বড় করতে পারে? ভুল করে
যদি ভুল হয়েও যায়, ভুল তো ভুলই, প্রেমে মানুষের ভুল হয়ই। সেই ভুলের পরিচয় কে সারা জীবন
টেনে বেড়ানোর জন্যে যে মেয়ে পাবলিকলি টিভিতে কান্নাকাটি করতে পারে তার জন্যে কোন প্রকার
সমবেদনা বোধ করছি না। কোন কারণেই নয়। আইনের দরজায় না গিয়ে, টিভির দরজায় কেনো গেলেন
অপু বিশ্বাস? আপনাকে যে অপমান করা হলো তার প্রতিকার না চেয়ে করুণা কেনো চাইলেন? এ ধরনের নিম্ন শ্রেণী’র পশু যদি তার সন্তানের পরিচয়
নিজেও দাবী করে, যে কোন আত্ম মর্যাদা সম্পন্ন মেয়ে তা সমযার্দায় অস্বীকার করত। অপু
বিশ্বাস, আপনার সন্তানকে বড় করতে, মানুষ করতে – প্রতারক শাকিবের কি ভূমিকা থাকতে পারে?
হাজার হাজার সিঙ্গেল মা তার সন্তানকে সফলতার সাথে পরম মমতায় যত্নে বড় করে যাচ্ছেন দেশে
ও বিদেশে। আপনি তাদের গল্প জানেন?
আজ যদি বাংলাদেশের
পরিপ্রেক্ষিতে, সামাজিক ভাবে অত্যাচারিত, অর্থনৈতিক ভাবে অপ্রতিষ্ঠিত, পারিবারিক সমর্থন
ছাড়া কোন মেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পরে কান্নাকাটি করতো তাও
এক ধরনের মমতা অনুভব করতাম কিন্তু “নো মের্সি” ফর “অপু বিশ্বাস”। প্রতিষ্ঠিত নারী’র
নামের কলঙ্ক আপনি।
নূরা পাগলা পরছে “মঙ্গল শোভাযাত্রা” নিয়ে আর প্রধানমন্ত্রী “ভাস্কর্য”
নিয়ে। পাতানো খেলা আবার জমে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু’র অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা
প্রধানমন্ত্রী’র হাতে পরে এতো দূর পিছিয়েছে যে, সেখান থেকে বাংলাদেশ আবার কবে
সামনে হাঁটবে, আদৌ কি হাটঁতে পারবে কি, তা আজ অনিশ্চিত। ঐশ্বরিক কোন শক্তিতে আস্থা
থাকলে, আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যে প্রার্থণা করতাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যে বিষ
কাঁটা আপনি নিজ হাতে বোপন করে দিলেন, তার ফলাফল যেনো নিজে দেখে যেতে পারেন, সেই
কামনা করি।
জোক অফ দ্যা ডে “খালেদা জিয়া বলেছেন, হাসিনা ধর্ম নিয়ে
ব্যবসা করছে” – বেচারী, সোল এজেন্সী হাত ছাড়া হয়ে গেলো। ব্যবসায় ভাগীদার কার ভাল
লাগে।
12-04-2017
No comments:
Post a Comment