Thursday 15 March 2012

কিছু কিছু প্রোডাক্ট এর কোন এক্সপায়ারী ডেট থাকে না

আর সব লেখাপড়া জানা মানুষদের মতো (লেখাপড়া জানা মানে বলতে চাইছি যারা লিখতে ও পড়তে জানেন, শিক্ষিত নয়। লেখাপড়া জানা আর শিক্ষিত দুটো আলাদা ব্যাপার। ) সকালে ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকার লিঙ্কে ক্লিক করার একটা অভ্যাস জন্মে গেছে। অভ্যাসে রোজ শিরোনামগুলোতে চোখ বুলাই আর বিরক্তি নিয়ে পড়া শেষ করি। সংবাদতো বটেই শিরোনামগুলোও এক, কোন পরিবর্তন নেই, শেষ নেই এর কোথাও। লঞ্চডুবিতে নিহত একশ বারো জন, স্বজনহারাদের আর্তনাদে আকাশ ভারি, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রীর গভীর শোক প্রকাশ। সংসদে শোক প্রস্তাব পাস। সংসদের শোক প্রস্তাব নিহত কিংবা নিহতদের পরিবারের কি কাজে লাগে কে জানে? ভাবি তাই, কতো কম জানি .........।

ফেসবুকে এলোমেলো একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যেমন অহরহ দেই। ভাস্করদার সাথে আলাপ করতে করতে মনে হলো, কথাটাকে কোথাও ধরে রাখি। সেই হাসিনা – সেই খালেদা – সেই সাহারা – সেই মতিয়া – সেই এরশাদ। কোন অদল বদল নেই আজ একচল্লিশ বছর ধরে। সেই শাড়ি, সেই সাজ, সেই কাজ (নেই কোন লাজ)। সেই গালি সেই বুলি। সেই পোড়া রাজনীতি। এখন প্রশ্ন উঠবে এদের লালন করে কারা? অবশ্যই আমরা। আমরা সুশীলরা যাদের মুখে মানবতার বাণী, অন্তরে সীমাহীন লোভ। আমাদের লোভকে পুঁজি করে খেলেন রাজনীতিবিদরা। নতুন নতুন মুখ, কঁচি কঁচি লোভ, তার মাঝে ফেলে যান, রাজনীতির টোপ। মুখে যতই নীতি বাক্য ছাড়ুক না কেন সুযোগের অভাবে সৎ থাকা এই সুশীলেরা, তেল আর ঘুষে (উপহারে) ভিজে না এমন উদাহরণ বিরল। উদাহরণ নেই বলছি না বলছি বিরল।

রাজনীতি আর দেশপ্রেম দুটো দুই জিনিস। যারা রাজনীতি করেন তারা কি কোথাও বলেছেন যে তারা দেশপ্রেমিক? আমরা ধরে নেই তারা দেশপ্রেমিক। এটা আমাদের মূর্খতা। সেধে সেধে ধোকা খেলে কি রাজনীতিবিদদের দোষ? রাজনীতি হলো পেশা আর দেশপ্রেম হলো ধর্ম। সত্যের লড়াই বলো, ন্যায়ের লড়াই বলো আর অস্তিত্বের লড়াই বলো, লড়তে হয় একা। কেউ পাশে থাকে না, ইতিহাসের শিক্ষা। সুশীলতার ধর্ম হলো অন্যের ঝামেলায় না জড়ানো, পাশ কাটিয়ে যাওয়া। তবে লড়াইতে জিতে গেলে তখন হয়তো কেউ কেউ পাশে থাকবে। রাজনীতিবিদেরা কেন যেনো কোথায় থামতে হবে জানেন না। কিন্তু তাদেরকে থামানো দরকার। বেড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধবে কে? নাকি আমরা অসহায় হয়ে হাতে হাত রেখে রোজ ফেসবুক আর পত্রিকায় এ খেলার দর্শক আর সাক্ষী হয়ে থাকবো?

অর্থ দেখলেই সুশীলদের চোখ চকচক করে। মানুষের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত হয় অর্থের দ্বারা। কিন্তু এই অর্থের উৎস কোথায়, কে তা ভাবতে চায়? দুজন সমপেশার লোকের যখন একের অন্যের তুলনায় অর্থের ছড়াছড়ি দেখা যায়, তখন একটা সিগন্যাল বাজার কথা মনে। বাজে কি মনে? না থাক বেশি ভাবার দরকার নেই, ব্রেইনে চাপ পড়বে। উৎস যাই হোক, আমি প্রসাদ পেলেই হলো। তারচেয়ে চলেন ফার্মভিল খেলি। চোরতো হবে আর রবে গরীবরাই, তাদের যে পেটের দায়। বড়লোকরাতো এগুলো এমনে এমনেই করে ............

তানবীরা
১৫/০৩/২০১২

No comments:

Post a Comment