Friday 7 August 2015

নীলয় নীল

একজনের পর একজন “নাস্তিক” খুন করে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা প্রমান করছে “ধর্ম” নামক আফিমটি মানুষকে কতো ভয়াবহ হিংস্র, অসহনশীল, কঠিনপ্রাণ উগ্র খুনী বানাতে পারে। “শক্তির ধ্বংস নেই” বিজ্ঞানের এই সূত্র ধরে আশা রাখছি, আত্মারা হয়তো অন্য কোন রুপে আবার ফিরে আসবে কিংবা এসেছে।

"আবার আসিব ফিরে ধানসিড়ির তীরে — এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয়
হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে; হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে"

না, প্লীজ না, এই কার্তিক নবান্নের দেশে আর এসো না তোমরা। এ দেশে ফুল, পাখি, শিশু, নারী, পাহাড়ি, নাস্তিক কেউই নিরাপদ নয়। অন্য কোন দেশে এসো যেখানে নিজের মতামত নিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারো।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া ঘটনার কারণে এই গেলো রমজান মাসে আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, শুধুমাত্র পরকালে অসীম সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের প্রলোভনের কারণে এই ইউরোপে অনেকে এতো গরমে বিশ ঘন্টা পর্যন্ত উপবাস পালন করেছে। উপবাস প্রায় সব ধর্মেই আছে, সনাতন ধর্ম্বালম্বীরাও সে আগের যুগে নির্জলা উপবাস দিতেন, সেও অনেক ঠান্ডা – গরম মিলিয়েই দিতেন। মৃত্যুর পরে অসীম সুখের জন্য বীমার কিস্তি পরিশোধে কেউ পিছপা নন। ধর্ম ছাড়া অন্য কোন কারণে কী মানুষ এভাবে পর পর ত্রিশ দিন বিশ ঘন্টা না খেয়ে থাকবে? মনে হয় না

এখন একদল ফেবুতে সোচ্চার হবে, “প্রকৃত ধর্ম এই বলেনি, প্রকৃত ধর্ম মানে এই না, ধর্ম মানে শান্তির এয়ারকন্ডিশানের হাওয়া” ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে। হেদায়েত করতে নামবে মুক্তমনা-নাস্তিকদের যাদের দ্বারা এক মাছিও আঘাতপ্রাপ্ত হয় না। কিন্তু যেখানে ধর্ম শিক্ষা দেয়া হয়, খুনী তৈরী করা হয় বছরের পর বছর ধরে সেখানে যেয়ে কেউ প্রকৃত ধর্ম, ধর্মের উদ্দেশ্য, বানী শিক্ষা দেয় না। হায় সেলুকাস। নিজের ছেলেমেয়েকে লাইন দিয়ে মারামারি করে সরকারী স্কুলে পড়ায় আর নিজেদের করের টাকায়, খুনী তৈরী করে নিরাপদে অন্য জায়গায়। এ সমস্ত ধার্মিক স্কুলে যেখানে “প্রকৃত ধর্ম” না শিখিয়ে খুনী তৈরী করা হচ্ছে তার খরচ কোথা থেকে আসে? আমাদের নিজেদের দেয়া করের টাকা থেকে।

তাই বলি কি, কাইন্দা আর কী হবে? কল্লা রেডি করে রাখলাম,

যস্মিন দেশ যদাচার
কাছ খুলে যতো তাড়াতাড়ি
সম্ভব দেশ ছাড়

No comments:

Post a Comment