Thursday 6 August 2020

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ৯ (আগস্ট)

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ৯ (আগস্ট) 

 

নেদারল্যান্ডসের করোনা পরিস্থিতি আবার খারাপ হওয়াতে ছয়ই আগস্ট মার্ক রুতে টিভিতে এলেন নতুন করে আবার নিয়ম- নীতি নিয়ে কথা বলতে

বেসিক যে নিয়মগুলো দেয়া আছে সেগুলো পালনের কোন বিকল্প নেই। অনেক জায়গাতেই সেগুলো পালিত হচ্ছে না বলে পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। মিউজিয়াম, ট্যুরিস্টি প্লেস, রেস্টুরেন্ট আবারও বন্ধ হোক তা কেউই চায় না তাই সর্তক থাকার কোন বিকল্প নেই বলে আবারো সবাইকে জানালো হলো। ভাল লাগুক আর নাই লাগুক আপাতত এর কোন সমাধান কারো হাতে নেই।

দেখা যাচ্ছে, অনেক মানুষই টেস্ট করাচ্ছে না, সর্দি-কাশিতে বাড়ি থাকছে না, দেড় মিটারের সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছে না তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বেড়ে চলছে।

দেখা যাচ্ছে, বার্থ ডে পার্টি, বাসায় ডিনার পার্টি, অফিসের পার্টি কিংবা অফিসের কাজের ক্ষেত্র ইত্যাদিতে দেড় মিটার সোশ্যাল ডিসটেন্স মানা হচ্ছে না আর তাতেই হু হু করে এটি চারদিকে এত ছড়িয়ে পরছে। কিছু কিছু উদাহরণে দেখা গেছে, মামা, খালা, চাচা, দাদু মিলে পার্টি করার পর সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাই অবাধ মেলামেশার সময় এখনো আসে নি বলে আবারও জানালো হলো। বিশেষ করে তরুণ  সমাজ বড্ড বেপোরোয়া চলছে, কোন নিয়ম নীতির ধার ধারছে না। তাদেরকে বিশেষ করে বলা হচ্ছে, এত বাড়াবাড়ি করলে, আবার সবাইকে ঘরে বন্দী থাকতে হবে। যারা নিয়ম নীতির ধার ধারছে না তাদের বলা হচ্ছে, বাবা-মা, দাদু-দাদীর কাছে না যেতে, তাদের থেকে দূরে থাকতে। তাদের নিজেদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। দায়িত্বশীল আচরন করার জন্যে আবারও সতর্ক করা হয়েছে।

যেসব জায়গায় ঝুঁকি বেশি সেখানের মেয়ররা চাইলে “মাস্ক” ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পারে। সমুদ্র সৈকত আর সিটি সেন্টারে গাড়ি পার্কিং, ব্যস্ত মার্কেটের রাস্তা ওয়ান ওয়ে করে দেয়া, শৌখিন কিংবা নিয়মিত খেলাধূলার প্রতিযোগিতা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুযোগ দেয়া, নাইট শপ আর রেস্টুরেন্ট বারোটার মধ্যে বন্ধ করে দেয়া ইত্যাদি সব স্থানীয় প্রশাসনের হাতে থাকবে। টিকিট কিনে ফুটবল দেখতে আসা দর্শকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনও তাদের হাতেই থাকবে।   

হাই স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি তাদের ইন্ট্রোডাকশান ইভেন্ট অনলাইনে আয়োজন করবে। গ্রুপ এক্টিভিটি শুধুমাত্র ছোট ছোট গ্রুপের জন্যে আয়োজন করা যাবে। শরীর চর্চার স্কুল গুলোতে কঠোর শৃংখলার মধ্যে দিয়ে এক্টিভিটি আয়োজন করা হবে কিন্তু তাতে কোন এলকোহল থাকবে না, দেড় মিটার ডিসটেন্স আর রাত দশটার মধ্যে ছুটি। সেসবও আলাদা করে সিটি মেয়রের পারমিশান নিয়ে আয়োজন করতে হবে।

রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে এখন থেকে নাম আর কন্টাক্ট ডিটেলস দিয়ে আসতে হবে যাতে যেকোন দরকারে খুব তাড়াতাড়ি ট্রেস করা যায়। যদি দেখা যায়, কোন মিউজিয়াম, রেস্টুরেন্ট, এট্রাকশান পার্ক থেকে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে তাহলে সেটিকে সর্বোচ্চ চৌদ্দ দিনের জন্যে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। 

যেসব দেশে অরেঞ্জ আর রেড সাইন দেয়া আছে, সেখানে কেউ ভ্রমন করে ফিরে এলে, তাকে চৌদ্দ দিন কেয়ারন্টিনে থাকতে হবে। জি-জি-ডি থেকে ফোন করে তাদের খোঁজ খবর নেয়া হবে। প্রথমে স্কিপলে একটি টেস্ট বুথ বসানো হবে পরে অন্যান্য বিমান বন্দরে, যাতে ঐসব দেশ থেকে কেউ ফিরে এলে সাথে সাথে বিমান বন্দরেই টেস্ট করা যায়। সবাইকে এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে কারণ ঐ সকল দেশে সংক্রমনের হার অনেক বেশি। সবাইকে শিওর হতে হবে যে স্যুটকেসে করে ভাইরাস নিয়ে এসে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না। টেস্টে করোনা পাওয়া যাক বা না যাক, তাদেরকে চৌদ্দ দিন কেয়ারন্টিন থাকতেই হবে।

সতেরোই আগস্ট থেকে তুইন্তে আর ড্রেনতে শহরে মোবাইল এপের মাধ্যমে করোনার রিপোর্ট করা যাবে আর প্রথম সেপ্টেম্বর থেকে পুরো নেদারল্যান্ডস থেকে করা যাবে। যারা করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলো তারা এপের মাধ্যমে সেটা জানাবে আর কেয়ারন্টিনে থাকবে। সাত দিন পর তাদের টেস্ট করা হবে এবং সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হবে কেয়ারন্টিনের সময়টা আরও কমিয়ে আনা যায় কি না। বারোই আগস্ট থেকে ডিজিটাল পোর্ট ওপেন হচ্ছে যেখানে মানুষ সরাসরি তাদের স্বাস্থ্যের রিপোর্ট দেখতে পারবে। বড় কোন সমস্যার জন্যে অপেক্ষা করার আর দরকার নেই, সর্দি-কাশি সামান্য হলেও সাথে সাথে রিপোর্ট করতে বলা হচ্ছে। হট লাইন নম্বর ০৮০০ ১২০২। যাতে আক্রান্ত হওয়া, টেস্ট করা আর চিকিৎসা শুরু হওয়ার সময়টা আরও কমিয়ে আনা যায়।  

ভ্যাক্সিনের জন্যে চারদিকে আলোচনা হচ্ছে, আস্ট্রাজেনিকার সাথে চুক্তি হয়েছে ভ্যাক্সিন কেনার, আরও অন্য কোম্পানীর সাথে কথাবার্তা চলছে নতুন চুক্তি করার, ইউরোপীয়ান কমিশনের সাথে চুক্তি হয়েছে কিন্তু এখনও হাতে কিছু আসে নি।

 ০৬/০৮/২০২০

 

No comments:

Post a Comment