Wednesday 2 September 2020

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ১১ (সেপ্টেম্বর)

 

 

“পরিস্থিতি এখন উদ্বেগজনক নয়, কিন্তু উত্তেজনাপূর্ণবললেন মিনিস্টার প্রেসিডেন্ট মার্ক রুতে তার পয়লা সেপ্টেম্বরের “করোনা” কনফারেন্সে। কোন বড় কিংবা অপ্রত্যাশিত কারণ ছিলো না তারপরও কনফারেন্সটি রাখা হয়েছিলো, যাতে সচেতনতা বজায় থাকে সেই রুটিন মেইনটেইন করার জন্যে। দুটি ব্যাপার নিয়ে কথা বলবেন তিনি, একঃ প্রায় ছয় মাস ধরে নেদারল্যান্ডস করোনা সারভাইভ করছে, এই মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান কোথায়? আক্রান্তের এই সংখ্যা আমরা কিভাবে দেখছি? আর দ্বিতীয়ঃ সেকেন্ড গলফ এড়ানোর জন্যে আমরা কি ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তূত থাকবো? এই নিয়ে কথা বলবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডি ইয়ং। শুরু করার আগেই মার্ক রুতে জানিয়ে দিলেন, প্রত্যেকের অধিকার আছে সংসদরা “করোনা” নিয়ে কি কাজ করছে সে প্রশ্ন করার এবং তাদের কাজের সমালোচনা করার। এটা খুবই স্বাভাবিক ছয় মাস পরে মানুষ এই কারণগুলো অনুসন্ধান করবেই। কেউ যদি কোন ধরনের পরামর্শ দিতে চান চিকিৎসা কিংবা ডিসিপ্লিন নিয়ে সেটা নিয়ে সাংসদরা সংসদে আলোচনা করতে পারেন। এ ব্যাপারে সবাই স্বাগত। আজকেও তিনি চতুর্থবারের মত যুব সমাজের সাথে এই নিয়ে মত বিনিময় করেছেন। ভাইরাস মোকাবেলা করার তো শুধু একটি পন্থা নয়, অন্যান্য পন্থাগুলো নিয়েও আলোচনা আর কাজ করতে চান। আর তাই তিনি আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সামনের সপ্তাহে অনলাইনে দেশের সবার সাথে এই নিয়ে আলোচনা করবেন, ভবিষ্যতের কর্মপন্থা ঠিক করবেন। মার্ক রুতে বললেন, আমরা শতভাগ জ্ঞান নিয়ে শুরু করি নি কিন্তু প্রতিদিনই নতুন নতুন জিনিস শিখছি।   

 

দুই সপ্তাহ আগের স্পীচের পর মানুষজন আবার সচেতন হয়েছে। সংক্রমণের হার শুধু স্থিতিশীল নয়, কমছে। এই মুহূর্তে প্রতিদিন প্রায় পাঁচশো লোক আক্রান্ত হচ্ছে, আই-সি-ইউ আর হাসপাতালের ওপর চাপ পরছে না কারণ প্রস্তূতি রয়েছে। পয়লা জুলাইয়ের তুলনায় সংক্রমনের হার অনেক বেড়েছে কিন্তু পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল। আর এটা শুধু নেদারল্যান্ডসেই হচ্ছে তা নয়, অন্যান্য দেশে যেখানে ‘করোনা” স্থিতিশীল ছিলো সেখানেও একই রকমই চিত্র। আজকেও বিশেষজ্ঞ দল বলেছেন, সংক্রমনের আশঙ্কা বেশি থাকায় নাইট ক্লাব আর ডিস্কোথেক আপাতত বন্ধ থাকবে। আর সংক্রমনের আশঙ্কা কম থাকায়, শূন্য থেকে বারো বছর পর্যন্ত বাচ্চারা ডে কেয়ারে যেতে পারে, তাদের কেয়ারন্টিনের দরকার নেই।   

 

কিছু মানুষ সারাক্ষণ শুধু দুঃখ করছে, কি কি করতে পারছে না তাই নিয়ে। কিন্তু আজকে আমি সেই কথাগুলো উল্লেখ করবো, অন্যদেশের তুলনায় নেদারল্যান্ডসে সবসময় মানুষ অনেক বেশি কিছু করতে পেরেছে। এখানে কখনো বলা হয় নি, বাসা থেকে এক কিলোমিটারের বেশি দূরে যাওয়া নিষেধ কিংবা বাজার করতে যাওয়ার জন্যে সিটি করপোরেশানের সীল লাগবে হাতে। তারওপর এখন স্কুল খোলা, রেস্টুরেন্ট খোলা, সিনেমা-থিয়েটার খুলে দেয়া হয়েছে, শুধুমাত্র সামান্য কিছু প্রাথমিক নিয়ম-নীতি পালন করতে হবে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেন, সচেতনতা বেড়েছে তাই পরীক্ষার সংখ্যাও বেড়েছে। শুধুমাত্র গত দুই সপ্তাহে পরীক্ষার হার একশো হাজার থেকে একশো ষাট হাজারে পৌঁছেছে। ল্যাবের ওপর চাপ পরেছে তাই টেষ্ট করতে আর রেজাল্ট জানতে মানুষকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে সামনের সময়টাতেও পরিস্থিতি এরকমই থাকবে। তাই আবারও বলা হচ্ছে, উপসর্গ না থাকলে পরীক্ষার জন্যে ভীড় করতে না, আর এই অবস্থা সাময়িক, পরীক্ষার হার বাড়ানোর জন্যে চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন যেহেতু সীজন চেঞ্জ হচ্ছে, সর্দি-কাশি এ সময়টাতে এমনিতেই হয়ে থাকে। পরীক্ষার সুযোগ বাড়াতে, জার্মানের দুটো ল্যাবের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। জিজিডি মানুষকে দ্রুত ট্রেইন করছে, যাতে তাড়াতাড়ি পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো যায়। যেহেতু করোনার লক্ষন সব সময় একই রকম নয়, তাই স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে প্রতি সপ্তাহে টেষ্ট করতে হবে।  

 

এখন থেকে করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইটে এলাকা ভিত্তিক বিধি-নিষেধ দেয়া থাকবে। প্রত্যেক এলাকার পরিস্থিতি আলাদা হতে পারে বিধায় নিয়ম নীতিও আলাদা থাকতে পারে। পাঁচটি কোম্পানীর সাথে ভ্যাক্সিন নিয়ে কথা হয়েছে আর আশা করা হচ্ছে সব ঠিক থাকলে দুই হাজার একুশের প্রথম দিকে ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে। প্রথম সেপ্টেম্বর থেকে “করোনা এপ” চালু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হয় নি এখনও ট্রায়াল ফেজে আছে, চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত চালু করার।

No comments:

Post a Comment