অভিজিৎ রায়, বাবু খুন হওয়ার পর বাংলাদেশের নামকরা
সেলিব্রেটি বুদ্ধিজীবিদের কাছ থেকে অনেক সুশীল পোস্ট নাযিল হয়েছিল। বাংলাদেশের
মানুষের কোমল অনুভূতি তথা ইসলামের মাহাত্ম্য না বুঝে লেখার জন্যে অভিজিৎ, বাবু,
রাজীব মৃত্যুবরন করেছে এটাকে তারা সিরিজ পোস্ট লিখে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন
ফেবুতে। উদাহরন ছিলো, স্টিফেন হকিং, গ্যালিলিও, ব্রুনো, সক্রেটিস খুন হন নাই,
হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তমনারা, সুতরাং দোষ লেখকদের, খুনীদের নয়।
বৈশাখের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈমানী পোস্ট নাযিল
হওয়া শুরু হয়েছে ফেসবুকে। হিন্দুয়ানি উৎসবতো বটেই তারওপর মেয়েদের কাপড় চোপড় ঠিক
ছিল না, নাভি দেখা গেছে, ওড়না সরে গেছিলো, ভাল মেয়েরা বাড়ি থেকে বের হয় না,
মেয়েদের দরকার ছিল কি বৈশাখ উদযাপন করার, আরো কত কী।
পুলিশের উপ কমিশনার বাতেন বলেছেন, “পাঁচটার মধ্যে
সবাইকে চলে যেতে বলা হয়েছিল” এখন যেহেতু অনেকে যায় নাই তাই ............ তাদের
শাস্তি হয়েছে বলে কী ধরে নেবো মাননীয় উপ কমিশনার!
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেছেন, “যারা ঘটনাটি
ঘটিয়েছে তারা বহিরাগত” ...... আপনার ব্যক্তিগত দাওয়াতে আসে নাই বলে কী তাদের
দায়িত্ব আপনার নয়! যারা ঘটনাটির শিকার হয়েছে তারাও সম্ভবত বহিরাগত। এটাতো কোন
সংরক্ষিত এলাকা নয় যে আপনি বহিরাগত বলে নিস্কৃতি চাইছেন মাননীয় প্রক্টর!
এখন অপেক্ষায় আছি সুশীল বুদ্ধিজীবি লেখক, গায়ক,
উপস্থাপক সেলিব্রেটি সমাজের লাইক ভিখিরি বাণীগুলো পড়ার অপেক্ষায়। কেনো সেদিন ঐ
মেয়েগুলোকে অবমাননা করা আসলে তেমন দোষের কিছু হয়নি জানিয়ে তারা নিশ্চয় শীঘ্রই, কোমল
অনুভূতি দৃষ্টিকোন, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন, ধার্মিক দৃষ্টিকোন থেকে তাদের
গুরুত্বপূর্ন মতামত ব্যক্ত করে জানাবেন, সব দোষ আসলে মেয়েগুলোরই ছিলো। ছেলেদের
প্রলুব্ধ করা মেয়েদের উচিত হয়েছে? তাদের প্রত্যেকটা পোস্ট দুইশ বারো জন শেয়ার
করবেন, তিন হাজার লাইক পড়বে আর তিনশ কমেন্ট আসবে।
কাদের কাদের লেখা পড়ার অপেক্ষায় আছি নামগুলো নাই
বা বললাম, আফটার অল বাংলাদেশের মেয়ে আমি, দেশীয় সংস্কৃতি “ভাশুরের/দের নাম মুখে
আনা মানা”। ভিডিও ফুটেজে যাদের চেহারা
পরিস্কার দেখা যায় পুলিশ তাদেরকে খুঁজে পায়না আর পেয়ে গেলেও ধরতে মানা
No comments:
Post a Comment