গুনে দেখলাম, এটা তোমার তৃতীয় জন্মদিন যে দিনটিতে তুমি আমি এক সাথে নেই, সামনে হয়ত আরও অনেক বেশী হবে। তুমি বন্ধুদের সাথে স্টাডি ট্যুরের আনন্দে আছো আর আমি আছি তোমার প্রতীক্ষায় ………………
এই দিনটি যতটা তোমার প্রিয়, ঠিক ততোটাই আমারও প্রিয়। তুমি অনেকভাবে সেলিব্রেট করতে ভালবাস, আমিও। যদিও আমি তোমাকে কথা শোনানোর ওপরে থাকি, এত টাকা খরচ হচ্ছে তোমার জন্যে, এতো কাজ করতে হচ্ছে তোমার জন্যে ইত্যাদি ইত্যাদি। কথা না শুনলে ভয়ও দেখাই, পার্টি ক্যান্সেল। এখন তুমি একটু বড় হয়েছো, আর ভয় পাও না, তুমি জেনে গেছো মা এসব কিছুই মীন করে না, তুমিও মজা পাও, আমিও।
তাড়াতাড়ি ফিরে এসো মা সোনা কলিজা। আমার কার্ডের জবাবে তোমার কার্ডটা খুউউউউব মিষ্টি হয়েছে। জীবনের নিয়ম মেনে তুমি আমার থেকে দূরে যাবে, ঠিক যেমন আমি ফেলে এসেছি আমার মা’কে, ব্যস্ত থাকবে নানা কাজে, আমাকে এমন কার্ডে অভ্যস্ত হয়ত হতে হবে। কার্ড পেয়েই তোমার গন্ধ পাওয়ার সাধ মেটাতে হবে, তবুও কার্ড হলেও তোমাকে চাইই
যখন তুমি আরো ছোট ছিলে, তোমার এখনের চেয়েও অনেক বেশি “মামি” পেতো। গুটুল গুটুল হাত দুটো বাড়িয়ে আমাকে
বলতে, “আমার ইট্টু মামি পেয়েছে”। এখন দিন বদলেছে, অনেক ব্যস্ত তুমি,
ইনস্ট্রাগ্রাম, হোয়াটসএ্যাপ কিংবা স্ন্যাপচ্যাটে। সেই তুলতুলে হাত দুটো, সেই বেড়াল
বাচ্চা সম নরম “হাগ” মা অনেক মিস করি। এখন মায়ের অনেক বেশি “মেঘ” পেয়ে যায়।
যেমন বলি ঠিক তেমনই বলছি – শূচি শুভ্র স্নিগ্ধ থেকো – আনন্দে থেকো --- হাজার হাজার বছরের আয়ু নিয়ে ---- উজ্জল হয়ে থেকো। আমি যেখানেই থাকি – তোমাকে দেখবো – ভালবাসব …
ভরা কলসির পানি ঢালার সময় যেমন থেকে থেকে
একটা মিষ্টি সুন্দর আওয়াজ সৃষ্টি হয় – তুমি যখন “মাআআআআআমি” ডাকো – তেমনি আমার কান
পেতে শুনতে ইচ্ছে করে। যখন তুমি
ক্লান্ত বা ব্যস্ত, কথা বলতে চাও না, আমি
অনেক গল্প করি, আমার যে তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে করে, তুমি রাগ করো, সেটাও মিষ্টি লাগে। মিসিউ
মা – মিসিউ
No comments:
Post a Comment