Thursday 26 March 2020

কেয়ারন্টিনে থাকা অবস্থায় কি কি করতে পারেনঃ

যতবার হাত ধোবেন, সাথে দুটো করে বাসন ধুয়ে ফেলতে পারেন। সংসারে শান্তি বিরাজ করবে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন। ব্যস্ততায় সাধারণতঃ যাদেরকে ফোন করা হয় না, ফোন করে তাদের খোঁজ খবর নিলেন। আপনার যে বোর লাগছে সেটা ছাপিয়ে আপনি কত কেয়ারিং, “করোনার” দিনে খোঁজ নিচ্ছেন সেটাই ফুটে উঠবে।

যেই মুভিগুলো দেখি দেখি করে দেখা হয়ে উঠছিলো না, সেগুলো দেখে ফেলতে পারেন। “Contagion” অবশ্যই এই লিস্টে থাকতে হবে। আগে দেখা হয়ে থাকলে আবার দেখবেন। মুভি দেখা হয়ে গেলে রিভিউ দিয়ে অন্যান্যদের জানাবেন।
একাত্তরের দিনগুলির মত বায়োগ্রাফী লিখতে পারেন, “কেয়ারন্টিনের দিনগুলো”

নার্গিস কোফতা, মালাইচপ, চমচম, রসমালাই, কিংবা তিন লেয়ারের চকলেট কেক বানাতে পারেন উইথ ফ্রেশ ফ্রুট এন্ড ফ্রেশ ক্রীম। বানানোর পর সবচেয়ে জরুরী যে কাজ, ফটো তুলে ফেসবুকে দেয়া সেটা ভুলবেন না। মিষ্টি বানালে রসটা ফেলবেন না, তাতে কাঁচা আম, আপেল, আনারস কিংবা পিয়ার ফেলে বানিয়ে নিন মজাদার চাটনি।
“শার্লক হোমস অমনিবাস” কিংবা “মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাসসমগ্র” টাইপ বই পড়তে পারেন।
ইনবক্সের যেসব ম্যাসেজের উত্তর সময়াভাবে দেয়া হয় না সেগুলোর উত্তর দেয়া যেতে পারে। তবে “করোনা” সম্পর্কে কিছু বলতে ও শুনতে চান না সেটা উল্লেখ করে দেয়া ভাল।

স্কুল,অফিস, উইকএন্ড আড্ডা, পার্টির ভিড়ে পরিবারের সাথে সেভাবে সময় কাটানো হয় না। এই সুর্বণ সুযোগে রোজ রোজ ভাল ভাল লাঞ্চ আর ডিনারের আয়োজন করতে পারেন। বিন্দাস খাবেন কিন্তু ভুলেও ওজন মাপার যন্ত্রের ওপর দাঁড়াবেন না। “দুনিয়া কয়দিনের, আজকে করোনায় ধরলে কালকে দুইদিন” মনোবল থাকা বাঞ্ছনীয়। আজাইরা স্ট্রেস জীবনে যোগ করা কোন কাজের কথা নয়।

মাকরসা’র ঝুল, ঘরবাড়ি ঝেড়ে সাফা করে ফেলতে পারেন, সাথে জামা-কাপড়ের আলমারি। পুরানগুলো ফেলে দিয়ে অনলাইনে নতুন অর্ডার করাই আকলমন্দের পরিচয়।

আবহাওয়া চমৎকার, শশা, স্কোয়াশ, টমেটো, বেগুন লাগানো শুরু করা যেতে পারে।
নানারকম নেইল আর্টের এটাই সুযোগ। ডিজাইন সবার সাথে শেয়ার করে নিন।

লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট, এরকম একটা লেইম পোস্ট লেখা যেতেই পারে।
বাই জো, পেনশন লাইফ কাটানোর ট্রেনিং হয়ে যাচ্ছে।

No comments:

Post a Comment