Thursday 13 December 2012

একখান ইমেইলের আত্মকাহিনী



এক পরিবার প্রবাসে থাকে। আর সকল প্রবাসীদের মতো তাদেরও দেশে টুকটাক খরচ লেগে থাকে বিধায় কিছু টাকা মাঝে সাঝে তারা দেশে পাঠান। কিছুদিন পর পর আবার খোঁজ নেন কতো টাকা আছে কিংবা আর কি লাগবে টাইপ ইত্যাদি প্রভৃতি। আজকালের মর্ডান ইস্মার্ট যুগানুযায়ী তারা ইমেইলের মাধ্যমে সকলের সাথে যোগাযোগ করেন। একদিন প্রবাসী কর্তা কোন কারণে তার শালা শালীকে ইমেইল দিলেন, কতো টাকা আছে, কিছু খরচ করতে হবে, দরকার জিজ্ঞেস করে।
শালী বললো, টাকাতো নাই, খরচ হয়ে গেছে
দুলাভাই বললো, কি খরচ?
শালী বললো, আপার জন্যে শাড়ি কিনেছি
দুলাভাই বললো, টাকাগুলো সব জলে গেলো।
শালী দুলাভাইকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে বললে, জলে কেনো যাবে দুলাভাই? আপা প্রথমে শাড়ি পড়বে পড়ুক, তারপর আপনি শাড়ি কেটে একটা লম্বা পাঞ্জাবী বানাবেন। পাঞ্জাবী পড়া হয়ে গেলে ফতুয়া বানাবেন। ফতুয়া হয়ে গেলে টিশার্ট। টিশার্ট এর পর টুপি তারপর রুমাল। রুমাল ক্ষয়ে গেলে সেটা পুড়িয়ে ছাই করে দাঁত মাজবেন।
দুলাভাই বললো, এইতো আইছো লাইনে, দাঁত মেজে কুলি করতে হবে না? তখনতো কুলি করলে পয়সা আমার জলেই গেলো, নাকি?
ছোটবোনের এমন নাকানি আর ভাই সহ্য করতে পারলো না। ভাই আবার ছোট বোনকে একটু বেশি ইস্নেহ করে।
তখন শালা লিখলো, কুলি করে পানি ফেলার দরকার কি? কুলি গিলে ফেলেন। তারপর অবশ্য একটা টাইমে পানি প্রকৃতির নিয়মে বের হয়ে যাবেই, তাতে কি? মানসিক সান্ত্বনাতো পাবেন, টাকাটা জলে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ পেটে ছিলো? নাকি?
দুলাভাই অগ্যতা দুইপা পিছিয়ে বললো, শ্বশুরবাড়ির টয়লেট নোংরা না করে নিজের টয়লেট নোংরা করা ঠিক হবে কি না ভাবছি।
অনুলিখনঃ
তানবীরা
১৪/১২/২০১২