Thursday 28 March 2013

এলোমেলো কাব্যকথন




যতোটা তোমাকে নিজের করে চাই সেই তুলনায় দূরত্ব অনেক বেশি
তুমি হাত না বাড়ালে এ পথ শেষ হবে না
যতোটা তোমাকে কাছে পাই সেই তুলনায় আকাঙ্খা অনেক বেশি
তুমি জল না হলে এ তৃষ্ণা মিটবে না

২৮.০৩.২০১৩ 



তোর চোখে দেখেছি জল জোছনার কাব্য

আজ রাতে আমি শুধু তোর কথাই ভাববো

২৭.০৫.২০১৩


অনেক দূর বসে কবি চাঁদকে নিয়ে কবিতা লেখে             
ধীরে ধীরে চাঁদে আর কবিতে দারুন সখ্য
খুনসুটি আর ভাল বাসাবাসি
দুজনে খুব কাছাকাছি মুখোমুখি
কবি অবাক এখানে মসৃন আলো কোথায়
চাঁদ ভর্তিতো গর্ত আর খাড়া পাহাড়
খানাখন্দ আরো শত অপরিপূর্নতা
কবিতা হারিয়ে যায় সাথে হারান কবি
অনাবৃত রহস্যময়তা লেখায় কবিতা
আলো আঁধার মাখা চাঁদ আনে ভালবাসা
২৮।০৮।২০১৩ 
 
শীতবেলার আনন্দ রোদ আর তাপ
অকৃপন সূর্য মেলেছে আজ ঝাঁপ
মেঘ এসে মেলে দেয় ডানা
আলো ছায়ার খেলা চেনা অচেনা
26.09.2013


স্বাতী, সূর্যপত্নী তুই, জ্যোতিষীর চোখে 
পঞ্চদশ নক্ষত্র যে-তুই, দেহে আগুনের 
আঁচ নিয়ে নেমে এলি চেরাগী পাহাড়ে। 
পবনদেবতা আমি, তোমার আজন্ম সখা
বিলিয়ন-বর্ষ ধরে মনে রাখো নাই যারে!  (Pranto, 14.11.2013)




সমান্তরাল পথ মিশবে না কোন প্রান্তে
তারপরও পথিক পৌঁছায় কোন সীমান্তে
অনেক বলা না বলা কথার ভীড়ে
কিছু পালক ফেলে যায় অনুভবে (14.11.2013)


একটি প্রভাত
একমগ সবুজ চা
হাতে একটি বই
সিড়িতে বসে একা
সূর্যালোক সবার্ঙ্গে জড়িয়ে
হালকা বাতাস চুল ছুঁয়ে
পৃথিবীর সমস্ত সুখ
যা আমায় ছুঁয়ে যা (04.12.2013)





তুমি আমার একী সর্বনাশ করলে শুভঙ্কর
তোমার সাথে একটিবেলা কথা না হলে
 এতো অস্থির কেন লাগে আমার
কোন কাজ হাতে ওঠে না
কোন খাবার মুখে রুচে না
কোন গানে সুর আসে না
কোন কবিতায় মন লাগে না
তুমিতো নিজেকে শান্ত করো ঐ সিগ্রেটের
টুকরো পুড়িয়ে ছাই করে
আমি নিজেকে ছাড়া আর কি পোড়াবো
বলতে পারো শুভঙ্কর

03/02/2014




রোদ কিংবা বৃষ্টি
তাতেই বা কী
অমাবস্যা আর জ্যোস্নায়
কীইবা আসে যায় 


একদিন কাশফুলে থৈ থৈ আশ্বিনের সুরেলা দুপুরে
তুমি এসে বলেছিলে, যাবে?
সম্মোহিত সেই থেকে গ্রাম গঞ্জ শহরের সব পথ ঘুরে
চলে যাই, শুধু যাই, আর ফেরা হয় না স্বভাবে।
কী করে ফেরালে মুখ অরুন্ধতী.......

আবু হেনা মোস্তফা কামাল



বন পাহাড়ী ঝর্ণা বৃষ্টি ফেলে

আমায় ভালবাসে সেই ছেলে 


. মন খারাপ?
হয়তো, জানি না
কেন?
খেয়াল করিনি
কী হয়েছে, এইইই?
ভেবে দেখিনি, কী হবে ভেবে দেখে
আমার জন্যে কোথাও কোন কারণ তো পাল্টাবে না   
সবকিছু তার নিয়মে চলবে
আমারই কী দায় তবে কারণ ভেবে দেখার
মন খারাপ লাগে তো লাগুক
চোখে জল আসে তো আসুক
সবাই থাকুক যার যার মত
আমিও এই বেশ আছি

 এই আমারই মতো। 10.02.2015


লিখুক কবিতা যার ইচ্ছে যাকে নিয়ে
কী আসে যায় তাতে
আমি ঘুরছি আমার বাঁধানো কক্ষপথে 
আমার নীল রঙা পৃথিবীতে
10.02.2015 



কাল যখন ইন্ডিয়া হেরে যাবে
তোমাকে এক হাজার চুমু খাবো
 ছিপছিপে কোঁকড়া চুলের কালো ছেলে
আর্দ্র ঠোঁটে ভিজিয়ে দিবো তোমার
শার্টের বুক, গলা আর ঠোঁট
সঘন উত্তপ্ত নিঃশ্বাসে পাগল হয়ে
যদি আরো বেশী কিছু চাও
উদার হয়ে দিতে পারি তাও
সামান্য অপেক্ষা শুধু কাল ভোরের

একটি উজ্জল মনোরোম, ভালবাসার সূযোর্দয়ের
25/03/2015 



কোপানোই যখন সংস্কৃতি
 চাইনা তবে নিষ্কৃতি
মার্কা হোক চাপাতি
থামলো কলম, নিয়তি
ভিন্নমতের এই পরিণতি

মুমিনগণ, শান্তি ওম শান্তি!
30/03/2015 



বর্ণমালারা যখন আকাশে লুকিয়ে যায়
শব্দগুলো তখন অথৈতে দিক হারায়
বাক্য বিলীন হয় তারায় তারায়
ব্যকরণ ঘর ছেড়ে ছুটে পালায়
মৌণতাই তখন ভাষা হয়ে কাঁদায়

বর্ণমালারা নিশ্চুপ হয়ে গেলে শব্দরা হারিয়ে যায়
বাক্য আর ব্যকরণ বিলীন হয় অসীম ধরায়

মৌনতায় হয় তখন পৃথিবীর একমাত্র ভাষা

০৭/০৯/২০১৫ 



ইচ্ছে সব বুকে নিয়ে যাবো নীরবে
আকাশ সেদিন হালকা হালকা নীল হবে
সূর্য ওম দিয়ে পৃথিবীকে বুকে জড়াবে
আবেশে ফিসফিসিয়ে বলবে কানে  
বেঁধে আছি ভয় পেয়ো নাকো

উড়বে পাখিরা আকাশের নীল ছুঁয়ে
নামবে শিল কুড়োনো বৃষ্টি রুক্ষতা ধুয়ে
প্রেমিক প্রেমিকা মিলবে একে দুয়ে  
কোথাও কোন ছন্দপতন হবে নাতো

শুধু ... শুধু সেই মেয়েটি থাকবে নাকো। 
১৩-০৯-২০১৫


মা রেগে মারলো তাকে
সে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে
জল ভরা চোখ নিয়ে
এদিক ওদিক দাপিয়ে হাঁটে।
মন খারাপ নিয়ে মা
ব্যস্ত ঘরের নানান কাজে।

চুপচাপ কিছুটা সময় কাটে
অভিমান ভুলে সে জড়িয়ে ধরে
বলে মা, ব্যথা পেয়েছো হাতে?
ভুল হয়েছে মা আমার
দুঃখ তোমাকে দেবো না আর
ক্ষমা করো তুমি আমাকে।

অবাক হয়ে মা তাকে দেখে
কী করে এতো জোস্ন্যা মেখে
এলো এই রাজকন্যা তার ঘরে
এতো মায়া জড়িয়ে পৃথিবীর পরে
চাঁদের আলো সারা ঘর ছেয়ে

মায়ের আঁচল জুড়ে এই মেয়ে।
১৫-০৯-২০১৫  




হাতে হাত রেখে হাঁটতে হাঁটতে
এক সমুদ্র পথ পেরিয়ে এসেছি
নিজের কাছে ফিরতে যেয়ে দেখি
ফিরে আসার চির চেনা
সেই পথটা হারিয়ে ফেলেছি
তোমাকে ফেলে, নিজের কাছে
তাই ফেরা হলো না আমার।  

১৩/১০/২০১৫





স্বপ্ন কি ছোঁয়া যায়
সেতো এক রঙীন ফাঁদ
ঘুম ভাঙ্গা চোখে লেগে
থাকে মিষ্টি এক দাগ।

গড়িয়ে যায় মুঠোর বালি
সোনার হরিণ ছোঁয়ার জন্য
বেলা শেষে একা জানালায়
জড়িয়ে থাকে একাকীত্ব শূণ্য।

15/10/2015 



পাশাপাশি কথার সূতো বুনতে বুনতে
নক্সীকাঁথার মাঠ হয়
অবহেলায় সূতো খুলে যেতে যেতে 

তেপান্তরের শূন্যতা, নয়? 
১৪/০১/২০১৬ 



হঠাৎ একদিন মলে দেখা হয়ে গেলে 
শুভঙ্কর বললো, এসো নীরা একটু বসি
ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ মুখোমুখি দুজন
শুভঙ্কর বলে, বড্ড মনে করি তোমাকে
আমার সারাদিনের অনেক মুহূর্তে
 মিশে আছো তুমি, নীরা 
আলতো হাসির ছোঁয়া নীরার চোখে
মিথ্যে শুনতে সত্যির চেয়ে মিষ্টি, নয় কী
কোনদিন না হয় একবার জানতে চাইতে
নীরা, কেমন আছো তুমি?

15.01.2016 



আমি জানি নীরা, কোন এক যুবক তোমার প্রতীক্ষায় আছে 
একটি বৃষ্টি ভেজা দিন কিংবা তুষার ঝরা ভোরে
তোমার কোমল হাতটি তার সবল হাতে স্পর্শ করবে বলে
আছে সে যুবক আজো তোমার প্রতীক্ষায় আছে 

১৯-০১-২০১৬



শুভ হোক নববর্ষ
মনে থাকুক হর্ষ
দুঃখ হোক ভস্ম
আনন্দের থাকুক স্পর্শ।

খাও চর্ব্য চোষ্য
সুন্দরীদের রুপ রহস্য
মাঠে সোনার শস্য
জীবনে  এক নবাদর্শ।


 ঘুচুক মন বিমর্ষ
 শুভ হোক নববর্ষ
০৪-১৪-২০১৬