তৃতীয় বিশ্বের
মানুষের ফ্যান্টাসী নাম্বার একঃ
বেহেস্তে
সারা বেলা শুয়ে থাকা যাবে, কোন পরিশ্রম বা কাজ
করতে হবে না, পুরো
বেহেস্ত শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত হবে। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়বেটিস থাকবে না,
ইচ্ছে মত শামি কাবাব, কাচ্চি বিরিয়ানী, চিকেন টিক্কা সব বেলায় বেলায় খাওয়া যাবে, সাথে থাকবে, আপেল, কমলা, বেদানা, নাসপাতি,
আঙ্গুর। পরীরা-হুরেরা তাদের পা টিপে দিবে, আর যখন তখন ইচ্ছে
করলেই, দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাট কাইফ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াদের কাছে পাওয়া যাবে। সাথে থাকবে উত্তম সূরা যার স্বাদ গ্রীন লেবেল,
জ্যাক ডানিয়েল বা সিভ্যাস রিগ্যাল থেকেও উন্নত। সারা বেলা শুধু মৌজ মাস্তি আর মৌজ
মাস্তি, অন্তত কাল ধরে।
তৃতীয় বিশ্বের
মানুষের ফ্যান্টাসী নাম্বার দুইঃ
ইউরোপ
এমেরিকাতে সব মানুষ নামধারী পশু বাস করে, নাস্তিক সব এরা দিন রাত মদ খায়, গাজা খায়
আর শুয়োর খায়, এদের কাজ সব মেশিন করে। এদের বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসা কর্তব্য বলতে
কিছু নেই, বাবা মাকে বুড়া বয়সে ওল্ড হোমে ফেলে দেয় আর বাবা মা বাচ্চা জন্মানোর
পরদিন থেকেই বাচ্চাকে আলাদা রুমে ফেলে দেয়, আঠারো বছর হলেই বাচ্চাদের বাড়ি থেকে
বের করে দেয়, ব্যস বাবা মায়ের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এগুলো দোজখে যাবে, আর
সারাবেলা মুমিনদের এঁটো বাসন কোসন ধোবে, রান্না খাওয়া সার্ভ করবে, বড় চুল্লিতে কাপড়
সিদ্ধ করে করে পরিস্কার করবে। এদের কোন নৈতিকতা মূল্যবোধ বলে কিছু নেই, পারিবারিক
বন্ধন নেই, দিন রাত যখন তখন যার সাথে ইচ্ছে শুয়ে পরে।
পাদটীকাঃ কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধা মৌলবাদীকে দেখা যায় আজকাল, সারাক্ষণ ফেবুতে বঙ্গবন্ধুর
ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ছবি এগুলো প্রচার করে কিন্তু চেতনায় পাকিস্তান। দেশের
কোন ধরনের সামাজিক পরিবর্তনে তারা আগ্রহী নয়, হাহা রেরে করে উঠে। তাদের ভাষ্য মতে,
স্বাধীন বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতই কট্টরপন্থী জীবন যাপন করবে, দেশ স্বাধীন হয়েছে
ভাল কথা, শাসক গোষ্ঠীর প্রতিনিধি পরিবর্তন হয়েছে, পাকিস্তানের বদলে এখন বাঙালিরা
শাসক থাকবে কিন্তু সমাজ এগোতে পারবে না যেখানে ছিলো সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে
হবে। এক চুল নড়লেই সেটা নাস্তিকদের দোষ। কারণ তাদের ধারনায়, নাস্তিকরা ইহকালে এগিয়ে
আছে অনেক দিক থেকে, যা যা তারা পরকালে পাবে বলে আনন্দে আছে, নাস্তিকরা সে সুবিধাগুলো
ইহকালেই নিয়ে নিচ্ছে।