Monday 25 March 2024

ইমানুয়েল হিলের দুটি কবিতা

https://www.deshrupantor.com/497671/%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE ওহ, আমার প্রেম, এসো! কতবার দুঃখে কেঁদেছি এমন নির্জনতায়: আমার কোলে এসো, স্বর্ণকেশী মেয়ে! তোমার স্পর্শে আমি আপ্লুত বুকে এসো আমার! তুমি যে আমার খুব প্রিয়, আমার আদরের বাচ্চাটা, চুমু খাও আমায়, বাতাসের মতো, ফুলের মতো- সুবাসিত চুমু চুমু খাও আমায়, আমার স্বপ্নের পারাপার আমার রূঢ় বাস্তবতায় তোমাকে চাই, সোনাটা! জলদি এসো হৃদয়, সুর তোমাকেই ডেকে যাচ্ছে চলে এসো, সোনা! ভালবাসা হারিয়ে যায় না নেই দুরন্ত যৌবন, ক্লান্ত এই প্রাণ হারিয়েছি প্রেম আকাঙ্খার সেই গান; তবুও প্রেম আমায় রাখেনি দূরে রেখেছে আজও তার উষ্ণতায় ধরে। নরম কোমল স্বপ্ন দেখায়, লোভ জাগায় তবু বাস্তবতার চোখ পারি না এড়াতে; বিবেকের যুক্তি এসে জড়িয়ে ধরে হাতে। হায় জীবন! এ টানাপোড়েন অনেক ভোগায়। হৃদয়ে আজ বন্যা আর অঙ্গে ফুলের আভা স্বর্গ, মর্ত্য বুঁদ হয়ে রয়েছে প্রেমের লাভা মন ডুবে আছে তার কথা ভেবে এই নরক যন্ত্রণার নিরাময় কে দেবে? ভালোবাসা! মেলে কি যুক্তি দিয়ে কান্নাকাটি, অভিযোগ যাই এড়িয়ে সবার মনে আসুক আলো, সবার মনে শান্তি উদার বসন্ত সূর্যের ভোর দূর করুক সকল ভ্রান্তি

উইলিয়াম আব্রাহাম সিমন আউডারল্যান্ড

উনিশো সতের সালের ছয়ই ডিসেম্বর আমস্টার্ডাম শহরে জন্ম নেন উইলিয়াম আব্রাহাম সিমন আউডারল্যান্ড, একমাত্র ডাচ-অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং একমাত্র বিদেশি নাগরিক যিনি বাংলাদেশ সরকার থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা “বীর প্রতীক” লাভ করেন। উনিশশো আটানব্বই সালে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে সশরীরে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেন নি। মাত্র সতের বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে প্রথমে জুতা পলিশের কাজ নেন তিনি তারপর তিনি বাটা সু কোম্পানীতে যোগ দেন। হিটলার নেদারল্যান্ডস আক্রমণ করার আগে তিনি ডাচ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ছত্রিশ জনের একটি দলকে তিনি নেতৃত্ব দিতেন। হিটলার যখন নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স আক্রমণ করলেন তখন উইলিয়াম গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে তিনি জেলখানা থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্যদেরকে যুদ্ধের জন্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন যাদের অনেকেই উনিশো একচল্লিশ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। উইলিয়াম অনর্গল জার্মান বলতে পারতেন বলে ডাচ আন্ডারগ্রাউন্ড রেসিস্টেন্স মুভমেন্টের জন্য গুপ্তচর হয়ে কাজ করেন। উনিশশো সত্তর সালে বাটা সু কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে তিনি ঢাকায় আসেন। পঁচিশে মার্চের রাতের এই ভয়াবহ হত্যাকান্ড তাকে প্রচন্ডভাবে নাড়া দেয়। তিনি ঢাকার প্রচুর ছবি তুলে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াতে পাঠান, সবার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেন। তিনি তাঁর টঙ্গী অফিসে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার আর ঔষধের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। তাঁর অফিসে বসে ঢাকার এবং এর আশেপাশে এলাকার অনেক গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণও দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাহায্য করার জন্যে তিনি পাকিস্তানি শাসক বাহিনীর সাথে একটি নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। রাও ফরমান আলি থেকে শুরু করে জেনারেল নিয়াজি, টিক্কা খান সবার সাথে যোগাযোগ রাখতেন এবং সেসব তথ্য দুই নম্বর সেক্টরের মেজর এটিএম হায়দারকে পাঠাতেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের ভূমিকাঃ ডাচেরা হলো এমেরিকার আজ্ঞাবাহক। এমেরিকা যা বলবে লেজ তুলে তুলে তাতে নাচবে এটাই তাদের রাষ্ট্রীয় নীতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেদারল্যান্ডসকে হিটলারের হাত থেকে রক্ষা করতে মিত্র বাহিনীতে মার্কিন সেনাদের প্রাধান্য ছিলো। একটি বিমান যুদ্ধেই প্রায় চার হাজার মার্কিন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন। সেই কৃতজ্ঞতা আজও নেদারল্যান্ডস বয়ে চলছে। উনিশো একাত্তর সালে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থণ দেয়নি। “বাংলাদেশ” লিখে সার্চ দিলে তাদের অনলাইন লাইব্রেরিতে সে সময়ের কোন রেফারেন্স পাওয়া যায় না কিন্তু “ইস্ট পাকিস্তান” লিখে সার্চ দিলে সামান্য কিছু রেফারেন্স পাওয়া যায়। তবে এখন অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা, বানিজ্য, প্রফেশনাল এক্সপার্টিজ, স্কিলস ইত্যাদির বিনিময় হার উল্লেখ করার মতো।