Tuesday 17 December 2013

যখন যা মনে হয়


বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম এতো রাজনৈতিক স্ট্যাটাস কেন দেয়? তারা খুব সমাজ সচেতন সেজন্যে? তাই যদি হবে আশেপাশে এতো অপকর্ম ঘটছে কী করে? নাকি ছাত্র – পেশাগত জীবনের ব্যর্থতা, স্বপ্নভঙ্গের গ্লানি, প্রেমিকার উপেক্ষা, ক্ষয়ে চলা জীবনের সব ক্ষোভ এক পাত্রে রেখে ঢেলে দেয়ার এটাই সর্বত্তোম উপায়?  


দাড়ি থাকলেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না। শফি সাহেব রবীন্দ্রনাথ হতে চেষ্টা করে ধরা খেলেন। রবি ঠাকুর মেয়েদের বহু কিছুর সাথে তুলনা করেছেন, সবাই ধন্য ধন্য করেছে আটকে গেছে বেচারা শফী। সরাসরি তেঁতুল না বলে ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া কাব্য করে এর থেকে বহু বেশী কিছু হয়তো বলা যায়, কবিরা তাই করেন।

রবি ঠাকুরের জন্যে কিছু লিখতে পারি না। চাকরী বাকরী কিছু করেন নাই, সারাদিন বজরায় বসে লেখালেখি করে অর্ধেক বাংলা সাহিত্য তিনি একাই লিখে ফেলেছেন। ভাগ্যিস তখন ফেবু ছিল না। কী করতেন কে জানে। এক লক্ষ ফলোয়ার পেতেনতো বটেই আর মুহুর্মুহু স্ট্যাটাস আপডেট দিতেন। (ফীলিং রাইটার্স ব্লক)

সকালে যখন কেউ কাউকে “সুপ্রভাত” লিখে শুভেচ্ছা পাঠায়, এটার মানে শুধু শুভ সকাল নয়। “আমার ঘুম ভাঙ্গার পর আমি তোমাকে ভেবেছি” এটাও জানানো হয় তাকে। (ভাষান্তর)

“ফাঁকি” সে যতো ধুরন্ধরই কাউকে দিক, এক সময় না এক সময় সেটা ধরা পড়ে, এটাই ফাঁকির নিয়তি আর প্রকৃতি। যারা ঠকে তারা নিসন্দেহে বোকা কিন্তু যারা ঠকায় তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন।

প্রেম করতে হলে এমন যুবকই শ্রেয় যে তোমার লিপিষ্টিক নষ্ট করবে, মাসকারা নয় (ভাষান্তর)

প্রেম আর সিগারেটের একই ধর্ম। দুজনেই ঠোঁটে সুখ দেয় কিন্তু বুকে যন্ত্রনা দেয়। (ভাষান্তর)

এ্যালকোহল কেন মহৎ? চোখে রঙ লাগিয়ে দু’গুন করে কিন্তু মনকে একলা করে (ভাষান্তর)

যা চাও তা পাওয়ার জন্যে যদি যুদ্ধ না করো, তা হারিয়ে ফেললে তার জন্যে কান্না করো না (ভাষান্তর)

একটি ভাল সম্পর্ক তোমাকে অনেক প্রেরণা দিতে পারে আর একটি খারাপ সম্পর্ক তোমাকে পরেরটির জন্যে অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান দিতে পারে (ভাষান্তর)

শরীরের মধ্যে “ঠোঁট” দুটো হলো সবচেয়ে বেশী ছদ্মবেশী অঙ্গ। ছোট একটা হাসি দিয়ে পৃথিবীর অনেক কঠিন সত্যি লুকিয়ে রেখে বলতে পারে, আমিতো ভাল আছি (ভাষান্তর)

তানবীরা
১৭/১২/২০১৩



ক’দিন ধরেই আমার ময়না পাখি দাঁত ব্যথায় কোঁ কোঁ করে আর আদুরীপনা করে। মাকে জড়িয়ে ধরে দাঁত আর ব্যথা সংক্রান্ত নানা রকম প্রশ্ন করে।

দাঁত কেনো ব্যথা করে মামুই?

পোকা কোথা থেকে আসে?

কেন আসে?

সব প্রশ্নের উত্তরতো আমি জানি না।

আমি বললাম, তুমি খুব ভাল করে পড়াশোনা করো, তাহলে বড় হয়ে দাঁতের ডাক্তার হতে পারবে, দাঁত সম্বন্ধে সব জানতে পারবে।

সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, দাঁতের ডাক্তার হওয়ার জন্যে ভাল পড়াশোনা করতে হয় নাকি? এটা কি কোন ভাল কাজ?

আমি উৎসাহ দেয়ার জন্যে বলতে শুরু করলাম, হয় না মানে? ডাক্তার হতে হলে কতো পড়াশোনা করতে হয় জানো? শুধুমাত্র খুব ভালো ছাত্র ছাত্রীরা দাঁতের ডাক্তার হতে পারে।

সে মুখ কালো করে ঘাড় গুঁজে বললো, আমি দাঁতের ডাক্তার হতে চাই না মামুই। তাহলে সারাদিন আমাকে নাকে মাস্ক গুঁজে মানুষের নোংরা নোংরা দাঁত দেখতে হবে। এটা কিছুই আনন্দের কাজ না, ছিঃ কী বোরিং। 05/10/2014





 ফেব্রুয়ারী মাস মানে শুধু ভ্যালেন্টাইন কিংবা পহেলা ফাল্গুন নয়। বাংলাদেশীদের কাছে এর আরো একটি গুরুত্ব আছে সেটি হলো ভাষার মাস। আরো নির্ধারিত করে বললে, “মাতৃভাষার মাস”। এ বাস্তবতা যারা বাংলাদেশে বসবাস করে তাদের জন্যে।

প্রবাসী বাংলাদেশি বাচ্চাদের জন্যে কী এই হিসেব এতোটাই সরল? বোধ হয় না। অনেক আছে মা হয়তো কোন রকমে ইংরেজি কিংবা ফ্রেঞ্চ, জার্মান ভাষায় গুড মর্ণিং, থ্যাঙ্কু, প্লীজ বলতে পারে আর বাচ্চাও বাংলায় ঠিক একই রকম কুড়িয়ে বাড়িয়ে কেমন আছেন, ভালো, এই টুকুই বাংলা বলতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, ভাষার কারণে বাবা মায়ের সাথে বাচ্চাদের মনের ভাব আদান প্রদানের দূরত্ব এসে যায়।

মাতৃভাষার থেকে বেশি গুরুত্ব রাখে বোধ হয় “স্থানীয় ভাষা”। ইউরোপের বাস্তবতা অন্তত তাই বলে। এখানে মা-বাবা ও সন্তানের ভাষা হর হামেশাই আলাদা হতে পারে। চায়নীজ মায়ের সন্তানের প্রথম ভাষা হতে পারে ইটালীয়ান, টার্কিশ মায়ের সন্তানের প্রথম ভাষা হতে পারে জার্মান ইত্যাদি। অনেক শিশু তার মা-বাবার ভাষা শুদ্ধ উচ্চারনে বলতে পারে না, হোঁচট খায়। সেদিক থেকে বরং ইংলিশ স্পীকিং দেশের বাচ্চারা কিছুটা বাড়তি সুবিধা পায়।

বাংলাদেশের পিতা মাতা ও তাদের সন্তানরা এদিক থেকে সৌভাগ্যবান। ভাষার এতো ঝকমারি তাদের পোহাতে হয় না। জীবনের অঙ্ক অনেকটাই সরল সেখানে।

১০/০২/২০১৫ 



হাউ টু বিকাম আ পপুলার ফেসবুক সেলিব্রেটিঃ অর্ব্যথ ফর্মূলা

আধা লিটার মেয়েদের কাপড় চোপড় আর চাল চলনের সাথে, এক মুঠো ধর্ম আর তার সাথে এক চিমটি মুক্তিযুদ্ধের লবন মিশিয়ে দিবেন ঘুটা আর ঘুটা। সবসময় সতর্কভাবে খেয়াল রাখতে হবে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সেন্টু কোনদিকে আছে। কোন পালে হাওয়া দিলে খেলবে ভাল। আফটার অল দিনের শেষেতো এগুলো খেলাধূলাই।

যেমনঃ কোন মেয়ে নির্যাতনের শিকার হলে, স্ট্যাটাসটি হবে এরকম, ভদ্র মেয়েদের ঐ সময় ঐ জায়গায় যাওয়ার কথা না। যদিও বা গেলো তার নিজেকে আপাদমস্তক লোহার বর্ম দ্বারা আবৃত করা দরকার ছিলো। এভাবে একা একা গেলে এ রকম ঘটনাতো ঘটে যেতেই পারে। যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে অবশ্যই তার শাস্তি দাবী করি কিন্তু, বাট, লেকিন, মেয়েটা যে উস্কানি দিয়েছে সেটা ভুললে চলবে না। সেজন্যে ধর্মে আছে, মেয়েদের পর্দাপুশিদা করা দরকার। একা একা চলাফেরা মানা। আমরা কী এজন্যেই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলাম, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত এভাবে বৃথা যেতে পারে না .........

কিংবাঃ স্বাধীন বাংলাদেশে কী আমরা মুক্তমনা লোকজন চেয়েছিলাম? মুক্তিযুদ্ধ কী এজন্যে করেছি? স্বাধীন বাংলাদেশ হবে ধর্মপ্রাণ মানুষের, মুক্তমনাদের কতল হতেই হবে। মুক্তমনারা ছেলে মেয়ে সমান সমান বলে। এটা সরাসরি ধর্মের তৌহিন। মেয়েদের স্থান সবসময় ছেলেদের নীচে। পড়ালেখা করলেই, চাকরি বাকরি করলেই ছেলে মেয়ে সমান সমান হয় না। আসেন সবাই, যারা ধর্মপ্রাণ মানুষের কোমল মনে দুঃখ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই, স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ে তুলি


গরম গরম ঘটনায় স্ট্যাটাসটি ভেজে ফেলতে পারলে সাড়ে তিন হাজার ফ্রেন্ডস সহ দশ হাজার ফলোয়ার কনফার্ম। স্ট্যাটাসটি শেয়ার করবে তেত্রিশ জন, লাইক দিবে দুই হাজার ছয়শ আশি জন আর একশ উনসত্তরটা কমেন্ট পড়বে, ভাই কী লিখছেন, আহ আমার মনে কথাটা ভাই ............ ০৩/০৩/২০১৫




আপেল যুগ যুগ ধরেই ওপর থেকে নীচে পরে, সবাই দেখেছে, এটাকেই স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছে, কেন ওপর থেকে নীচে পরে সেটা ভেবেছেন একমাত্র নিউটন যার কারণে মধ্যাকর্ষ-অভিকর্ষ এর আবিস্কার

গ্রহ তারা নক্ষত্র নিয়ে কবিতা গান লিখেছেন অনেকে। কিন্তু তাদের অবস্থান, দূরত্ব, গতিপথ নিয়ে হিসেব নিকাশ করেছেন ব্রুনো।

তারপরও চিন্তাশীল, আবিস্কারক, মুক্তমনারা যুগে যুগে অন্ধবিশ্বাসীদের আঘাতের আর প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন

অভিজিৎ রায়ের ইচ্ছে অনুযায়ী তার মরদেহ তার পরিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজকে আজ দান করে দিবেন। তার মরদেহ ছাত্র ছাত্রীরা কাটা ছেড়া করবে, জানবে, দেখবে, শিখবে। তাদের অনেকেই নিশ্চয় প্রচন্ড বিশ্বাসী। সেই জ্ঞান দিয়ে যাদের চিকিৎসা হবে তাদের অনেকেই মুক্তমনাদেরকে হয়তো ঘৃনা করেন। তারপরও মৃত অভিজিৎ যা কিছু ছিলো তার তা সভ্যতার অবদানে নিঃশর্তে দিয়ে গেলেন .........

উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, "ভয় নাই, ওরে ভয় নাই-- নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।'
বিদায় অভিজিৎ ভাই, যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন

 01/03/2015





প্রবাসীরা তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়মিত টাকা পাঠাবেন, টেলিফোন করে তাদের খোঁজ খবর জানবেন, সুখে দুঃখে পাশে থাকবেন। কিন্তু সংসারের কোন ব্যাপারে মতামত দিতে গেলে শুনতে হবে, তুমি বিদেশ থাকো, দেশের পরিস্থিতি জানো না। অন্য কথায়, তুমি কী বোঝ, চুপ থাকো।

ফেসবুকে দেশের কিংবা সমাজের কোন বিশেষ ঘটনা বা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে স্ট্যাটাস দিলে কিংবা লিঙ্ক শেয়ার করলে যারা এর সাথে দ্বিমত পোষন করে তারা এসে নিজ দায়িত্বে জানিয়ে যায়, বিদেশ থেকে দেশের জন্যে কী করছো? বড় বড় কথা বলো, পারলে দেশে আসো কিছু কইর‍্যা দেখাও।


সবিনয় নিবেদন এই যে, দেশে থাইক্যা দেশের মানুষজন দেশের জন্যে যা করে, বিদেশীরা বিদেশ থেকে দেশের জন্যে সেইম টু সেইম করে। আপনারা যেমন দেশে থেকে ফেসবুকে বিপ্লবী স্ট্যাটাস দিয়ে দেশ পরিবর্তনের আশা করেন, প্রবাসীরাও তাই করে। প্রবাসীরাতো আপনাদের আক্রমন করে বলে না, আপনারা সবাই মাঠে নামেন না কেন, নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে স্ট্যাটাস দেন, কেনু কেনু কেনু? 



“জীবনটা তো সরল সমান্তরালরেখায় সাজানো নয়। এর অধিকারী আমি সন্দেহ নেই, কিন্তু গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করেন – কি বললেন আল্লাহ, পাগল হয়েছেন! বাঙালি মেয়ের জীবন পরিচালিত হবে আল্লাহর নির্দেশে! তাহলে এদেশের মৌলবী মওলানারা তো বেকার হয়ে থাকবেন, আর রাজনীতিবিদরাই বা চেঁচাবেন কি উপলক্ষ করে? না এসব আমার মতামত, অভিযোগের নিজস্ব বাঁধা আটি নয়।“ ------ আমি বীরাঙ্গনা বলছি ঃ নীলিমা ইব্রাহিম




প্রকৃতি চলে নিজের নিয়মে। নিয়মের আবর্তে নিজেকে একবার বরফে মুড়ে দেয়, আবার বরফ সরিয়ে নানা রঙের ফুল বর্নিল প্রজাপতিতে নিজেকে খুলে দেয়। আসে তাপ, আসে দাহ। বৃষ্টি আসে কদমফুলের স্নিগ্ধতা নিয়ে। শরত আনে সাদা মেঘের ভেলারে ভাই লুকোচুরি খেলা। প্রকৃতির এই বৈচিত্র্যের সাথে খুব ধীরে ধীরে বদলাতে থাকি আমরাও। শিশু থেকে, বালিকা, কিশোরী, তরুনী, বৃদ্ধাপ্রকৃতির নিয়ম রক্ষা করতে যেয়ে ছিপছিপে তরুনী হয় থলথলে বৃদ্ধা, মেঘ কালো কেশরাজি বদলে যায় শনশনে সাদা ফাঁকা মাথায়, যুবকের রাতের ঘুম কেঁড়ে নেয়া কমলার কোয়ার মত দাঁতের হাসি বদলায় ফোঁকলা দাঁতের পান খাওয়া দিদিমাতে। জগতের বদলানোর নিয়মে আমরাও বদলে যাচ্ছি দিন দিন কখনো বা চোখে পড়ার মত  করে, কখনো নয়

আমি চোখ বন্ধ করলে এখনো সদ্য তরুনী একটা মুখ দেখি যার গায়ে স্প্রিঙয়ের মতো কিছু লাগানো আছে আর যে তীরের মতো গেয়ে, নেচে যাচ্ছে

Ek teri suhi suhi sang balliye,
Ek teri suhi suhi sang balliye ni teri sang balliye
Ek teri suhi suhi sang balliye,
Aja nachle, aja nachle
শুভ জন্মদিন, সুস্থ থাকো, আনন্দে থাকো। মেরি উমার ভি তুঝে লাগ জায়ে।

প্রকৃতি আমাদের হাড়গোড় না ভেঙ্গে দেয়া পর্যন্ত আমরা এভাবেই জড়াজড়ি করে নেচে যাবো। ইয়ে ওয়াদা রাহা


27/02/2015



গোটা দিনের আর সংসারের কাজ টাজ শেষ করে মাত্র কম্বলটা গায়ে টেনে সোফায় পা তুলে বসেছি, এখন “মাই টাইম”। মেয়ে সোফায় বসে ল্যাপটপে খেলছিলো। যেনো আমার অপেক্ষাতেই ছিল, বসার সাথে সাথে বলে, আম্মি আমার অনেক পিপাসা পেয়েছে, আমাকে একটু জুস এনে দাও।
আমি ওঠা থেকে বাঁচার জন্যে তাড়াতাড়ি বললাম, মাত্র বসেছি, পারবো না বাবা।
সাথে সাথে মেয়ে তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে উঠল, তুমি আমার মা আর আমি তোমার বাচ্চা, বাচ্চার জন্যে মায়ের সবকিছু করতে হয়

10/03/2015

টাইগারদের অভিনন্দন ...............
কোন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যেমন নিঃশর্ত দুঃখ পেতে পারি না, তাতে কিন্তু, বাট, লেকিন নিয়ে আসি ঠিক তেমনি কোন আনন্দজনক উপলক্ষ্যে নির্ভেজাল আনন্দও নিতে পারি না, বার বার "হ্যাপি"কে নিয়ে আসি
এমন কেন আমরা!

09/03/2015


মোদির অনুরোধে পি।এম বোধহয় মাশরাফিরে ফোন না করে আইসিসিকে ফোন করেছিল, ইন্ডিয়াকে আজকে জিতিয়ে দেয়ার জন্যে

গ্রামের স্কুলে বাচ্চারা পড়াশোনা করে। অবস্থাপন্ন গৃহস্থের ছেলেরা ভাল করবে সেটাই স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়। দরিদ্র কৃষকের ছেলেটিও যখন ধনীদের ছেলেদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে তখন গ্রামের জমিদারেরও কেমন যেন চোখ টাটায়। চেষ্টা থাকে তারও, কুলীনদের কাতারে যেন সে উঠে না আসে।

ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়েছে সে অবস্থা। যতই ভাল খেলো, কুলীনদের কাতারে আসতে দিতে জমিদার সাহেব নারাজ। কিন্তু, কান্ডামী করে কী সেসব অতীতে আটকানো গেছে না ভবিষ্যতে আটকানো যাবে!

পাকিস্তানি হারামজাদা একাত্তরের পরাজয়ের বিষ ঢেলে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ টীম, আমরা তোমাদের ভালবাসি, সাথে আছি, পাশে আছি।

বুদ্ধিজীবি হত্যার মধ্যে দিয়ে তোমার জন্ম হয়েছিল স্বদেশ। শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ।
“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি” তোমার ছায়ায় পালিত ছাগুদেরও ভালবাসি। 19.03.2015



আজ পুরো এক মাস হলো ...............


এফবিআই বাংলাদেশে এসে ভাত আর মুরগীর সালুন খেলো,
এবার দেখা যাক বাংলাদেশ তাদের থেকে কী পেলো  26.03.2015





শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ। জন্মদিনে ভালবাসা জেনো।


যদিও জানি তোমার বুকে কোন ভিন্ন মতালম্বী, মুক্তমনা, নাস্তিক, পাহাড়ি, আদিবাসী, ভিন্ন ধর্মালম্বীদের জায়গা হবে না। এ দেশ হবে পাক মন পেয়ারুদের দেশখুন হয়ে রাস্তায় পরে থাকবে, পুলিশ ধরবে না, এক মাসে কোন ক্লু পাওয়া যাবে না, কোন খুনীর বিচার হবে না, সাজাও না। রাষ্ট্র এমন ভাব করবে “তারা” তাদের নাগরিক না তারপরও তোমায় নিঃশর্ত ভালবাসি, তারপরও সুখে দুঃখে, আনন্দ, বেদনায় “বলবো আমি বাংলাদেশ”



আমরা হয়তো এমন বাকস্বাধীনতাহীন, মেধাহীন বাংলাদেশই চেয়েছিলাম। 

26.03.2015



বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম আর ধর্মসম্মত বিজ্ঞান খুঁজে খুঁজে ছাগুময় জীবনের পরিসমাপ্তি 

30/03/2015 



বিজ্ঞানের যেকোন একটি বিষয়ে পড়শোনা করা মানে কি বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া?

সাহিত্যের কোন শাখায় পড়া মানে কি সাহিত্যিক হওয়া?

বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার জন্যে যেমন বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়া জরুরি নয়,
ঠিক তেমনি সাহিত্যিক হওয়ার জন্যেও বোধহয় সাহিত্যের আদ্যোপান্ত জানা জরুরি নয়।

বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার জন্যে দরকার 'যৌক্তিক চিন্তাভাবনা, অনুসন্ধিৎসু মন, তথ্য নির্ভর সিদ্ধান্তগ্রহণ'
ঠিক যেমন সাহিত্যিক হওয়ার জন্যে দরকার 'কল্পনা বিলাসী মন', 'যা বাস্তবে দেখতে পাওয়া যায় না তাকে কল্পনায় দেখানো', 'মানুষের অনুভূতির কথা বলা'

যারা বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ার সুবাদে, 'ধর্মসম্মত বিজ্ঞান' কিংবা 'বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম' নিয়ে প্রবন্ধ লিখে লিখে গলদঘর্ম হচ্ছেন তাদের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা, ক্ষ্যামা দ্যান। বিশ্বাস আর যুক্তি এক পাত্রে আসে না। বিজ্ঞান পড়েছেন ভাল কথা, করে খান। যুক্তিবাদীদের তাদের মতো থাকতে দেন। সব সাহিত্যের ছাত্রই যেমন শেক্সপিয়ার নয় তেমনি সব বিজ্ঞানের গবেষকই গ্যালিলিও বা হকিং নন। এটা প্রমাণিত সত্য।

৩১/০৩/২০১৫



আমাদের রাজা বেটা তার মায়ের মোবাইল নিয়ে ভাইবারে আমাদের সবার ছবি দেখে দেখে এক একজনকে ফোন দেয়, আমাদের খোঁজ খবর নেয়। দাদুর কথা মনে পড়ে। ভাইয়ার সাথে মারামারি করলে দাদু বলতো, ভাইইতো খোঁজ নিবো, আর কে নিবো? দিন ঘুরেছে আমাদের, এখন ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের ছেলে নেয়।

একদিন এমন খোঁজ খবর নেয়ার সময় পাশ থেকে রাজা বেটার দিদু বললো, মিষ্টি মাকে আসতে বলো। বলো, এসে বেড়িয়ে যাও।
রাজা ঠোঁট উল্টে বললো, মিষ্টিমাতো অল্যান্ডে এ এ এ এ
দিদু বললো, হল্যান্ডে তো কী হয়েছে, বেড়াতে আসতে বলো তুমি
রাজা বললো, মিষ্টি মা তাহলে প্লেনওয়ালাকে কী বলবে, এই প্লেন আমি কলাবাগান যাবো, আমাকে কলাবাগান নিয়ে যাও?
দিদু হাসতে হাসতে বললো, হ্যাঁ তাই বলবে।
রাজাকে যদি বলি, রাজা বেটা আমাকে আই লাভিউ বলো, খুব লজ্জা লজ্জা গলায় আমাকে আলু আর মিসুউউ বলে


শুভ জন্মদিন রাজা বেটা। ভাগ্যিস তুমি আমাদের বাড়ি এসেছিলে, তাইতো বাড়িটি এতো উচ্ছল। দাদা-দিদু সারাদিন সময় কাটানোর জন্যে একটা মনের মত খেলনা পেয়েছে। হাজার বছরের পরমায়ু হোক তোমার। 

০৮/০৪/২০১৫



মায়ের ভাষায় “ছোটবেলা” ছোটবেলার সাথে হারিয়ে যায়। মেয়েদের কাজ হলো, বাপের বাড়িতে এলেই, পুরনো বইয়ের আলমারীতে, বাছাই আর যত্ন করে তুলে রাখা পুতুলের বাক্সে, ছাঁদের ফুলের টবে, বারান্দায় ঝোলানো মানিপ্ল্যান্টের লতায়, মায়ের পুরনো শাড়িতে ছোটবেলা খুঁজে ফেরা। তারপর উদাস গলায় বলেন মা, আমিও কত খুঁজেছি এক সময় ............

এখন আমার মেয়ের জুতোর মাপ প্রায় আমার সমান সমান। আমি হিল খুলে রাখলেই, সে তাড়াতাড়ি তাতে তার ছোট্ট পা দু’খানি গলিয়ে নেয়, মোবাইলটি হাতের কাছে পেলেই গুঁতোগুঁতি, গেইম খেলা, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার চেক করা, লুকিয়ে চোখে মাশকারা লাগায়, মা’কে ফাঁকি দিয়ে কতো দ্রুত কতো বড় হওয়া যায় সেই চেষ্টাতে সে বিভোর। আফটার অল, ক’দিন পর সে হাই স্কুলে যাচ্ছে বলে কথা। আমি দেখি আর হাসি, মাত্র সেদিন এই খেলা আমিও খেলে এসেছি ...... হ্যাঁ মাত্র ক’দিন আগেইতো ...... প্রকৃতি এখন রিভার্স গেইম খেলছে

“ছোটবেলা” হয়তো সবটাই হারিয়ে যায় না। কিছু কিছু সময় চকিতে আবার উঁকি দিয়ে পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে যায়। কখনো মেয়ের ছায়া হয়েতো কখনো মায়ের ছায়া হয়ে ...............

১০/০৪/২০১৫



বাজেরে বাজে ঢোল আর ঢাক
এলোরে এলো পহেলা বৈশাখ

নেট থেকে মারা ছবি দিয়ে নয়, হালাল ভাবে রান্না করে “নতুন বছর” উদযাপন করেছি। নতুন বছরে সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো, আমার হাফ বিদেশিনী মেয়ের ভর্তা বানাতে সাহায্য করা।
তার যুগান্তকারী সংলাপ, মামুই, একদিন আমরা যা যা ভুওয়ারতা হয়, তার সব সব ভুওয়ারতা বানিয়ে ফেলবো।
আমি, তাই?
হু, ভুওয়ারতা এতো মজা।


আদতে যেখানেই থাকুক, বাংলাদেশী বাংলাদেশীই

১৪/০৪/২০১৫ 


যারা বলে, লেখে কেন?লেখার কী দরকার ছিলো? তাদের জন্যে বলছি, আপনার পড়ার কী দরকার ছিলো? কেন যান মুক্তমনা ওয়েবসাইটে? কেন কিনেন যুক্তি? কেউ আপনাদের জোর করেছে? লিখলেই মেরে ফেলতে হবে এটা কোন ধর্মে লিখা আছে?

নিজেকে নিরাপদ ভেবে উৎফুল্ল হয়ে মন্তব্য করার মত পরিবেশ আসলে নেই। যখন চাপাতি দিয়ে কোপাচ্ছিল তখন পাশের লোকেরা জানতো না যে সে অন্তত কিংবা মুক্তমনার এডমিন যেমন আপনাকে কোপানোর সময়ও পাশের জন তামাশা দেখবে, সেও জানবে না আপনি কত পাক মন পেয়ারু ছিলেন। 12.05.2015


প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যৌক্তিক চিন্তা ভাবনার মানদন্ড নির্ধারন করে না। এ কারণেই একজন ডাক্তারী পাশ করেও ছাগু নায়েক হতে পারেন আর একজন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে দার্শনিক মাতুব্বর হতে পারেন। 12.05.2015 


ইতিহাসে লেখা থাকবে ভারত সরকার যখন নিজস্ব প্রযুক্তি, বিজ্ঞানী ব্যবহার করে মহাকাশে নিজস্ব নভোযান পাঠাতে ব্যস্ত ঠিক এই সময় বাংলাদশে গুটি কয়েক যে বিজ্ঞান লেখক ছিলেন তাদের সন্ত্রাসীরা একে একে খুন করেছে, এবং সরকার তাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে হ্যাঁ একই সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রভূত উন্নতি করেছে, বাংলাদেশ সরকার তথা জনগনের কাছে ক্রিকেটই প্রথম আর শেষ কথা ছিলো। 14.05.2015



আমি পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করি, আমার জানার, শেখার, দেখার, জ্ঞানের বাইরে এই মহাবিশ্বে আরো অনেক কিছু আছে। আরো  অনেক কিছু আছে আবিস্কারের অপেক্ষায়, খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায়, জানার অপেক্ষায়। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে, নতুন আলোক রশ্মি মানব জাতি খুঁজে পাবে, অনেক অজানাকে, রহস্যকে জয় করবে। ধ্বংস হয়ে আবার যে মুহূর্তটি থেকে নতুন করে সৃষ্টি শুরু হবে আবার শুরু হবে আবিস্কারের পালা, প্রকৃতিকে, কঠিনকে জয় করার সংগ্রাম ......... ঠিক যেমন আমাদের আদি পুরুষরা করেছিলেন কিংবা আমরা করছি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে


আমি পরিপূর্ণভাবে সর্বান্তকরনে অবিশ্বাস করি, যা জেনেছি তাই সত্য, শ্বাশত, সম্পূর্ন এবং শেষ, এই বাইরে আর কিছু নেই। 25/05/2015 



গারো মেয়েটাকে নির্যাতন করেছে পাঁচজন। কিন্তু ধরা পড়েছে দু'জন তারা আবার পেশায় দুজনেই ড্রাইভার। বায়িং হাউজ কী দুজন ড্রাইভারের সাথে বিদেশী অতিথিদেরকে যমুনা ফিউচার পার্কে পাঠিয়েছিলো যেখানে মেয়েটির সাথে তাদের পরিচয় হয়? ড্রাইভাররাতো গাড়ির পাশে থাকে, শপিং এ যায় না। এখানে ব্যতিক্রম ঘটার কারণটা কি! টাকার বিনিময়ে ধনীর দুলালদের দোষ মাথায় নিয়ে আর কতোদিন গরীবের ছেলেরা জেল খাটবে? প্রশাসন অনেক উন্নতি করছে বুঝতে পারছি, পকেট তাদের অনেক ভারী।  যারা আপাতত আনন্দিত হচ্ছেন, দোষী কাউকে ধরা হয়েছে বলে, তারা সাদা চোখে দেখে নিন, কাউকে ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে ...... সালমানের খানের ড্রাইভার বলেছিল গাড়ি সে চালাচ্ছিল, আদালত মানেনি ............পার্থক্য অনেক।


যারা বলছেন "গারো" না বলে একজন বাঙালি বলা উচিত তাদেরকে বলছি না "গারো"ই বলুন সেটা অনেক সম্মানের। "গারো" সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে ছোটবেলা থেকে শিশুরা মাকে, মেয়েদেরকে সম্মান দিয়ে অভ্যস্ত। "গারো" পুরুষরা নারী নির্যাতন করে না। দয়া করে তাদেরকে বাঙালি বলে অপমান করবেন না কিংবা অমানুষ বানাবেন না।


স্বাধীন দেশে পাহাড়ি-আদিবাসীদের ওপর বাঙালিদের অত্যাচার পাক হানাদার বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে।  ২৯/০৫/২০১৫

যারা “বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা” “ভিন্নমত” বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, ব্লগে, ফেসবুকে পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকে সবসময়, দেখা যায় বাস্তবে নিজেদের “কায়েতি”পনার জন্যে কারো সাথেই মিলে মিশে থাকতে পারে না, কদিন পরে পরেই ঝামেলা করে এই বলে নাক উল্টায়, অন্যেরা তাদের মেশার যোগ্য না।

আইরনি হলো, এই তারাই অন্যেরা যারা সব মতামতের লোকের সাথে ঝামেলা ছাড়া বসবাস করে যাচ্ছে দিনের পর দিন তাদেরকে জ্ঞান দিতে আসে। এই আঁতেল কায়েৎরা ধরেই নিয়েছে, তারা যা জানে তার বাইরে পৃথিবীতে আর কিছু নেই, তারা সর্বজ্ঞ, সর্বজ্ঞানী, সর্বোত্তম।


কথা হলো তারা যে মিজ/মিস্টার পার্ফেক্ট এই সার্টিফিকেট তাদের কে দিয়েছে? কবি এখানে নিরুত্তর ............... বলো দেখি কোথা যাই ১২-০৬-২০১৫

পন্ডিতের ভাইপো
বানান ভুল করে 
বলে, টাইপো ১২-০৬-২০১৫  


এক আকাশের নীচেই আমরা সবাই আছি
পাশাপাশি হয়তো নয় তবুও কাছাকাছি
দিনরাত তুমি আমাদের বুকে করে রাখো
আমাদেরও হৃদয় জুড়ে সারাবেলা থাকো
বড় হবে, ব্যস্ত হবে আমাদের সোনা মানিক
বন্ধুদের পেয়ে আমাদের ভুলেও যাবে খানিক
 তোমার এই ছেলেবেলা আমরা বুকে করে রাখবো
                তোমায় ভালবাসায় মাখিয়ে সামনে পথ হাঁটবো। 26-06-2015




বিশ্বব্যাংকের ঘোষনা অনুযায়ী বাংলাদেশ দরিদ্র থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে। অভিনন্দন বাংলাদেশ। এখন থেকে আমরা আর দরিদ্র নই তবে গরীব। হাঁটি হাঁটি পা পা করে হলেও সামনে এগোচ্ছ।

প্রত্যেকটি নতুন অর্জনের সাথে জড়িয়ে থাকে দায়িত্ব। অর্জনটিকে ধরে রাখার দায়িত্ব আর তার সম্মান রাখার দায়িত্ব। আশাকরি সামনেও আমরা আমাদের অগ্রগতি অক্ষুন্ন রাখবো। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে নৈতিকতা, মানবিকতা, সহনশীলতা, ইত্যাদি দিকগুলোতেও সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। এমন সব আচরনগুলো বাদ দিবো যেগুলো আর উন্নত জাতিকে মানায় না।


গার্মেন্টস শ্রমিক, প্রবাসী শ্রমিক, কৃষক যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাদের অবদান স্বীকার করে তাদের প্রতি নিজেদের আচরনটুকু উন্নত করবো, মানসিকতার পরিবর্তন করবো। গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেনো এই গরমে অন্তত একটু ফ্যানের বাতাস পেয়ে রাত্রিতে ঘুমোতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে তাদের নূন্যতম মানবিক মজুরীটুকু নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হোক। প্রতিটি দরিদ্র শ্রমিকের প্র্যাপ্য মজুরী মিটিয়ে দিয়ে জানিয়ে দেয়া হোক, আমরা সত্যি কিছুটা ওপরে উঠে গেছি, সার্থক হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা। 07/03/2015 



সেহরী খেয়ে শুলে ঘুম আসে না তাই মা তখন তার প্রবাসী মেয়েদের ফোন করে খোঁজ খবর নেন। কথায় কথায় গল্প গড়ায়।
উদ্বিগ্ন কন্ঠে জানালেন, রোজার দিনে কাঁচামরিচের দাম অনেক বেড়ে যায়
শুনতে শুনতে মায়ের জন্যে আরো একরাশ মায়া ঝরে পড়লো। এতো ব্যস্ত থাকি, মাকে সময়ই দেয়া হয় না। এতো মিস করে মা তাদের সন্তানদেরকে কতো সামান্য টুকিটাকি প্রবাসিনী মেয়েদের সাথে শেয়ার করতে চায়, সন্তানদের কাছে পেতে চায়।

একদিন আমারো মায়ের মত ব্যস্ততা কমে আসবে, যাদের নিয়ে আজ আমি ব্যস্ত তারা আমাকে পিছনে ফেলে সামনে এগোবে। মায়ের মত সব টুকিটাকি গল্প করার জন্যে আমিও কী কাছের কাউকে হাতরে ফিরবো না? ০৭/০৩/২০১৫


আমার মেয়েটার মধ্যে জাদু আছে, এই বলে আমি এখন বড় হয়েছি তার পরের মুহূর্তেই বলে, আমিতো এতো বড় না, আমিতো এখনো বাচ্চা। পুরাই দাবা ঘরের ঘোড়া। যেকোন দিকে সে আড়াই ঘর চলে :D ০৭/০৩/২০১৫




ফেসবুকে অনেকের স্ট্যাটাসেই আলোচনা দেখছি “রাজন” হত্যার শেষ অব্ধি বিচার হবে কী না এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। আমাদের দেশে এমনিতেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি তার ওপর আদালতের কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা, দরিদ্র রাজনের পিতাকে পয়সার লোভ দেখিয়ে কিনে নেয়া এ সমস্তই তাদের ব্যাখা বিশ্লেষনে উঠে আসছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় যেগুলো খুবই যৌক্তিক।

আমরা যদি এবার আমাদের দায়িত্ব ফেসবুকে স্ট্যাটাসাবাজিতে সীমাবদ্ধ না রেখে একটু সামনে আগাই? রাজনের দরিদ্র পিতাকে এই ছবি থেকে সরিয়ে নেয়া হোক। রাষ্ট্র বাদী হয়ে মামলা পরিচালনা করবে। আসামীপক্ষ যদি রাজনের পিতাকে পয়সা দিয়ে সমঝোতা করাতে পারে তাহলে রাষ্ট্র কেনো পারবে না? রাজনের বাবার কাছ থেকে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্র মামলার দায়িত্ব নিক। এমনিতেও দরিদ্র পিতা হয়তো মামলা চালাতে পারবে না।

আমার ফ্রেন্ড লিস্টে বেশ ক’জন জাজ, ল’ইয়ার আছেন, তারা ব্যাপারটা একটু ঘেটে দেখবেন কী? আজকে রাজনের হত্যার বিচার না হলে আগামীর রাজনদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি আগামীর রাজনদের বাঁচাতে পারবে।


আমি ভেবে অবাক হই। এরা হয়তো কোন পেশাদার অপরাধী নয়। হয়তো তেমন কোন অপরাধ সংগঠনের সাথেও জড়িত নয়। নেহাত খেলতে খেলতে হাসতে হাসতে একটা মানুষের প্রাণ নিয়ে নিলো! কী নির্মম এই খেলা।  ১৪/০৭/২০১৫


যখন আরবে রুটির সংকট ছিলো তখন আরবের লোকেরা ধর্ম প্রচার করতে দিকে দিকে বের হয়েছে, রাজ্য দখল করেছে, শাসন করেছে, ইসলাম প্রচারের নাম দিয়ে। তেলের খোঁজ পাওয়ার পর থেকে তাদের ধর্ম প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তারা আরবের গরমের সময় ইউরোপে চলে আসে দাসী বাঁদি নিয়ে ছুটি কাটাতে। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এই ভেবেই "লালসালু" লিখেছিলেন। ১৪/০৭/২০১৫


জাতীয়তা আর ধর্ম এ দুটোই সম্ভবত পারে সব ভুলিয়ে মানুষের মনে চরম উন্মাদনা সৃষ্টি করতে। ক্রিকেট আর রমজান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সারা দেশ ক্রিকেট জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কাজ কর্ম চুলোয় দিয়ে সরকারী পর্যায় থেকে সবাই দিন মান মাঠে বসে থাকে। স্বাস্থ্য, শরীর, গরম সব অগ্রাহ্য করে ঘন্টার পর ঘন্টা উপোষ করে মানুষ বসে থাকে। আর কোন কাজে মানুষের এমন একাগ্রতা পাবেন? 12/07/2015


আমরা প্রাচ্যের লোকেরা পাশ্চাত্যের মানুষের পশুপ্রেম বেশীরভাগ সময় নিয়ে বেশ হাসাহাসি করি, অবজ্ঞা করি, কটু কাটব্য ও করি। আমাদের এই হৃদয়হীনতায় প্রায় তারা দুঃখিত হয় কিন্তু আক্রমন করে না আমাদের।


আমরা কী কখনো ভাবি, মানুষ মানুষকে ধোঁকা দেয় কিন্তু পশু দেয় না? বিশ্বাসজনক সঙ্গী হিসেবে আসলে কাকে পাশে রাখা উচিত? কতো ঠেকে এটা তারা শিখেছে? আমরা শিখি নি হয়তো শিখবোও না ৩১-০৮-২০১৫ 



অধার্মিকদের কাছে যেটা অন্যায় কিংবা অপরাধ সেটাকে ধার্মিকরা অনেক সময় বলে থাকেন “গুনাহ”। দুটো জিনিস কি এক? আমার উত্তর হচ্ছে না।

অন্যায় বা অপরাধ করলে শাস্তি হয়, প্রতিকার কিংবা প্রতিবিধান হয়, এর থেকে পালানোর কোন পথ নেই বা প্রতিবিধান নেই।

গুনাহ করলে এর থেকে মুক্তির উপায় আছে। ধর্মে বিধান দেয়া আছে, উপবাস করলে, প্রার্থণা করলে, দান করলে, সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করে দিবেন। তিনি ক্ষমাশীল, ঠিক করে তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে এমন কোন অন্যায় নেই যার ক্ষমা তার কাছে নেই।
আমার ব্যক্তিগত ধারনা শুধু এই কারণে বিশ্বাসী লোকেরা কোন ধরনের অন্যায় করতে পিছপা হন না। তারা অন্যায়ের বদলে যথেষ্ঠ নির্বোধ প্রাণীর প্রাণ নিয়ে, দরিদ্রদের আহার বিহার করিয়ে স্রষ্টাকে খুশি রাজি করিয়ে পরবর্তী জীবনে সুবন্দোবস্ত করে নিবেন এই অগাধ বিশ্বাস তাদের এতো নিষ্ঠুর কঠোর নির্মম অপরাধী বানায়।

১৩-০৯-২০১৫




নির্জনতার একটি নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। ভয়ংকর বিষন্নতার আনন্দ আলাদা। প্রিয় কারো জন্যে কিংবা প্রিয় কোন জিনিসের জন্যে কোন প্রতীক্ষা নেই। নেই কোন টেলিফোন, চিঠি বা ডাকের উৎকন্ঠা। কারো যাওয়া নেই, আসাও নেই। কারো কাছে কথা রাখার দায় নেই, সময় মত পৌঁছানোর তাড়া নেই। শুরু শেষের তাড়া নেই, আহ্নিক গতি থেকে বার্ষিক গতিতে পৌঁছানোতেও কোন উচ্ছাস নেই।


নিজের সাথে বোঝাপড়ার জন্যে নির্জনতার কোন বিকল্প নেই। কোলাহলে মানুষ বড্ড নিজেকে হারিয়ে ফেলে। নিজেকে খুঁজে পেতে একাকীত্ব কিংবা বিষন্নতা খুব জরুরী। এতো হাজার কিছুর ভীড়ে নির্জনতা কোথাও পাই তারে, কোথায় পাবো তারে ......

18-09-2015 



যদি এমেরিকা কিংবা ইউরোপে পদদলিত হয়ে হাজার জন মানুষ এভাবে মারা যেতো তাহলে “জরুরী অবস্থা সহ জাতীয় শোক দিবস” ঘোষনা করা হত। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ডেকে এনে কোর্ট মার্শাল করা হয়ে যেতো। বিশ্ববাসীর কাছে সে দেশের রাজা-প্রেসিডেন্ট হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থণা করতেন। উগ্র বর্বর আরবেরা দাম্ভিক ঘোষনা দিয়েছে, “এমন ঘটনা ঘটতেই পারে”। কারণ তারা জানে, যত কিছুই হোক, কিছু লোক সেখানে যাওয়ার লোভ সম্বরণ করতে পারবে না। আরবেরা যেই বর্বর ছিল, সেই বর্বরই আছে, এতো ঐশী গ্রন্থও তাদেরকে “মানুষ” করতে পারেনি। বিন্দুমাত্র অনুতাপ বিশ্ববাসী তাদের চোখে দেখতে পায়নি।

হায়াত মউত যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছা, জায়গা – সময়ও নিশ্চয় তিনি নির্ধারন করেন। তাজরীন ফ্যাশন যদি সৌদি আরবে অবস্থিত হত তাহলে সম্ভবত বাংলাদেশের ছাগু সম্প্রদায় কোন গার্মেন্টসকর্মীর মৃত্যুতে দুঃখিত হত না। তাদের সিধা বেহেস্ত নসীব কল্পনা করে আনন্দে শিহরিত হয়ে উঠতো। মাঝখান থেকে তাজরীনের মালিক বেচারা ফেঁসে গেলো আর গার্মেন্টসে পুড়ে ঝলসে মৃত্যু বরন করে গার্মেন্টসকর্মীরা সিধা জান্নাত থেকে বঞ্চিত হলো। কিন্তু কেন? সবইতো তাঁর ইচ্ছা, তিনি কেন তাদের বঞ্চিত করলেন? গার্মেন্টসকর্মী হওয়াতেতো তাদের কোন হাত ছিলো না। তারাওতো সৌদি বাদশাহের পুত্র – কন্যা হতে পারতো?

পুনশ্চঃ ৬৮টি হাজার ছাগু মরলে বাংলাদেশ বাঁচবে।

সংবিদ্ধিবব্ধ সর্তকীকরণঃ এই লেখায় কোন ছাগুর, ছাগ মার্কা মন্তব্য করা নিষেধ করা হলো।



চিরকাল বলে আসলে কি কিছু আছে?

সব কিছুইতো সময়ের সাথে বদলায় ......... পছন্দ, সম্পর্ক, উপলব্ধি, দর্শন


আকড়ে ধরা হয়তো বেশির ভাগ মানুষের সহজাত স্বভাব। নিজেকে সান্ত্বনা দিতেই তবে কি মানুষ চিরকালের মত কিছু ভেবে নিয়ে আনন্দ বা স্বস্ত্বি পেতে চায়?


সব সত্যির বড় সত্যি হয়তো এটাই, চিরকালের অস্ত্বিত্বই আসলে নেই, চিরকাল হয় না, কখনো হয়তো হবে না ...... সবকিছু বদলাতে থাকবে, বদলানোই স্বাভাবিক সেটাই হয়তো চির সত্য। 

২৪-১১-২০১৫


চিরকাল মানুষ অনন্তের সন্ধান করে যাবে কিন্তু কখনো তার দেখা পাবে না –স্টিফেন হকিং ০৮-১২-২০১৫ 



খরগোশরা কচ্ছপদের চির জীবন অবহেলা করে গেছে, করে যায়। অবজ্ঞা করা সহজ কিন্তু অবজ্ঞা সহ্য করা কঠিন। কচ্ছপরা অভ্যাসের কারণে অবজ্ঞা মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়, খরগোশরা ভেঙ্গে পরে, সাহায্য কিংবা করুণা খুঁজে বেড়ায়।


ইতিহাসের ব্যর্থতা এখানেই যে ইতিহাস থেকে কেউ শিখে না, সবাই যার যার ইতিহাস গড়তে চায়। বাস্তবতা হলো, অধ্যবসায়ীরাই টিকে থাকবে, জয় কচ্ছপদের অবশ্যম্ভাবী। খরগোশরা পৃথিবীশুদ্ধ মানুষের সমবেদনা কুড়িয়ে নিয়েও সবসময় পরাজিতের দলেই থেকে যাবে। ০৩-০১-২০১৬ 


বাংলাদেশের অনেক ছেলে ইউরোপে, এ্যামেরিকায় এসে কখনো জীবনের তাগিদে, কখনো প্রেমের টানে আবার কখনো বা নিছক রোমাঞ্চের উদ্দেশ্যে পাশ্চাত্যর মেয়েদেরকে বিয়ে করে কিংবা লিভিং টুগেদারে থাকে। অনেক সময়ই হয়তো সর্ম্পকটি নানা কারণে টিকে না, ছাড়াছাড়ি হয় তারপর তারা দেশ থেকে পারিবারিক পছন্দে আবার বিয়ে করে। অন্যরকম ঘটনাও ঘটে, দেশীয় বউ পছন্দ না হলে, তাকে ত্যাগ করে বিদেশী বউ নিয়ে সুখে শান্তিতে কালাতিপাত করতে থাকে। কিন্তু তার এই ব্যক্তিগত কারণে তাকে কখনো সমাজচ্যুত হওয়ার কথা ভাবতে হয় না। যত ঘটনার জন্মই দিক, তারা নায়ক, তাদের সে ভাবনা নেই কখনো। বাংলাদেশের পুরুষশাসিত সমাজে সব এক্সেপ্টেড, সেটা বিদেশেও।

সেই পুরুষরাই কোন বাংলাদেশী মেয়ে যদি বিদেশে কোন ভিন দেশীকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়, তার সম্বন্ধে নানা কথা রটিয়ে ঘটিয়ে বেড়ায়, আড়ে ঢাড়ে তাকায় তার দিকে। দেশ, সমাজ, ধর্ম রসাতলে গেলো বলে চারদিকে রব তুলে তাকে সমাজচ্যুত করার জন্যে ব্যস্ত হয়ে পরে। হ্যাঁ, ঠিক পড়ছেন সেই মানুষ গুলোই তারা। সেই মেয়েটিকে কোন সামাজিক বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো তো দূরের কথা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বাকিদের আরো নির্দেশনা দেয়া হয় তাকে এড়িয়ে চলার জন্যে। শুধু সে “মেয়ে” কিংবা “বাংলাদেশী মেয়ে” বলে তার ওপর চলে এই মানসিক পীড়ন।
“বাংলাদেশ” নামক গুহার মানুষ গুলো বিদেশে এতো মুক্ত আলো হাওয়া খাওয়ার পরও নিজেদের চারপাশে তারা কেন এতো দেয়াল তুলে রাখে! ২০১৬ সালেও যদি এই মানসিকতা লালন পালন করে তবে তাদের পৃথিবী কবে বদলাবে? কবে তারা মূল পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে অনুধাবন করবে, যে যে কারণে একটা ছেলের একটা ভিন দেশী সঙ্গী খুঁজতে হয় সেই একই কারণ গুলো একটা মেয়ের বেলায়ও সমান সত্য হতে পারে। জীবন কাউকে ছাড় দেয় না এ সত্যিটা কবে বুঝবে আর কতোদিন লাগবে তাদের চিন্তাধারা বদলাতে!
আর বছরের পর বছর বিদেশে থেকে বিদেশীদের প্রতি রেসিস্ট মনোভাবের কথা তো বাদই দিলাম। তাদের দেশে বসবাস করে সব সুবিধা নেয়া যায় কিন্তু তাই বলে তাদের সাথে পরিবার গঠন !!! ভাবা যায় না ......... তাই না? ০৯/০১-২০১৬


কোন একটি বিষয় একজন মানুষকে কীভাবে এতোটা প্ররোচিত করতে পারে যে, সে আর একজন হাসতে, বলতে, চলতে থাকা মানুষের জীবন ঘড়ি স্তব্ধ করে দেয়! একজনের ইহকাল ধ্বংস করে দিয়ে অন্যজন পরকালে অনন্ত সুখে থাকবে, এই স্বার্থপরতা কী মানুষের ধর্ম হতে পারে!

সুস্থ-সবল, পড়ালেখা জানা মানুষদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে কেন সব সময় একটা অবলম্বন দরকার হবে? কেন তারা সারাবেলা ভয় পায় আর বলে আমাকে রক্ষা করো! কেন তাদেরকে রক্ষা পেতে হবে, কী থেকে রক্ষা পেতে হবে? তারা কীসের মুখোমুখি হতে ভয় পায়? সভ্যতার আগের আদিম কালের মানুষদের মত অদৃশ্য শক্তি কেন কল্পনা করে? কারণ, অসততা রন্ধ্রে রন্ধ্রে তাই ধর্ম স্কন্ধে স্কন্ধে।

‘The world suffers a lot. Not because of the violence of bad people but because of the silence of good people' -Napoleon Bonaparte   বাংলাদেশের বাস্তবতা তিনি হয়তো আগেই জেনে গিয়েছিলেন।  07-04-2016




যারা যারা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ ও জীবন বিধি নিয়ে লেখালেখি করে তারা যখন একাত্তর ও যুদ্ধাপরাধী, কিংবা বীরঙ্গানাদের নিয়ে মায়া কান্না ভরা স্ট্যাটাস ফাঁদে তখন তাদের দ্বিচারিতায় বিস্ময়ে মুক হতে হয়।

একাত্তরে রাজাকাররা ঠিক ইসলামি আর্দশ মেনেই বাংলাদেশে হত্যা, ধ্বংস, লুটপাট, ধর্ষণ চালিয়েছিলো। তারাও তখন ইসলাম রক্ষা করতেই মাঠে নেমে ছিলো। শত্রু পক্ষের মেয়ে তো গনিমতের মাল, তাদের ওপর অত্যাচার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জায়েজ ছিলো বই কী। তারা ধর্ম পথেই ছিলো, আপনি বা আপনারা কোন পথে হাঁটবেন সেটি ঠিক করেন।

বাঙালি জাতিটাই ভন্ডামীতে ভরপুর। তারা কোনটাই বাদ দিবে না, গাছের খেতে খেতে যতটুকু তলার কুড়িয়ে নেয়া যায়
10-05-2016


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গর্ভনর প্রমূখ, তারা তাদের কোন দায়িত্বটি সবচেয়ে নিষ্ঠার সাথে পালন করেন?

উত্তর হলো, উদ্বোধন করা

ব্রীজ, মার্কেট কমপ্লেক্স, এটিএম বুথ, নতুন মডেলের ল্যপটপ, বইমেলা, বানিজ্যমেলাবিমানবন্দর, নৌবন্দর, কীসের উদ্বোধন দেশে তারা না করেন

ফ্রান্সের কান, এমেরিকার অস্কারে তাদের দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী না গেলেও, বাংলাদেশের জায়গায় জায়গায় তাদের পদধূলি পরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার, পয়সার, সময়ের কী অপব্যবহার

শুধু সেলফি তুললেই ডিজিটাল হওয়া যায় না প্রথমে ক্ষ্যাতের থেকে স্মার্ট হতে হবে তারপর ডিজিটাল হওয়ার প্রশ্ন

03/06/2016

সবাই তার প্রিয়তম প্রাণকে প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের জন্যে উৎসর্গ করেছে। প্রতি বছরই এত প্রিয়তম জিনিস মানুষের ভান্ডারে জমা হয়!

যাক, এ বছর সিটি কর্পোরেশানের তরফ থেকে বিপুল প্রচারণা আর উদ্যেগ দেখেছি, নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানী দিয়ে পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করার উদ্দেশ্যে। টিভিতে তারা বিজ্ঞাপন, নাটক কোন কিছুরই কমতি রাখেন নি দেশবাসীকে লাইনে আনতে।

যদিও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। সেই পুরোনো রীতিমত পুরো দেশ রক্ত গঙ্গায় ভাসছে। সনাতন মতালম্বী মানুষেরা পরিবর্তনে বিশ্বাসী নয়। তারা তাদের ইগো, মর্যাদা, সুবিধা কিছুই ত্যাগ করবে না।

এই যে দেশ জুড়ে কোপাকুপির মচ্ছব চলছে, শিশুদের মানসিকতার ওপর যে প্রভাব পরে সেটুকুও তারা এড়িয়ে যেতে চায়। সবাই ভাবে, অন্যের ঘাড়েই কোপ পরবে তার নিজের ঘাড়টি পরিবার সমেত থাকবে অক্ষুন্ন।

অথচ, যার সাথেই কথা হবে, সেই বলবে, তারা পরিবর্তন চায়, উন্নতি চায়, সমাজের, পরিস্থিতির, দেশের। নিজেরা যদি এক চুলও পরিবর্তিত না হয় তাহলে পরিবর্তন আসবে কোথা থেকে? কে আনবে পরিবর্তন, শেখ হাসিনা, বারাক ওবামা না দেশের সরকারী কর্মচারীরা?

পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা, শিশুদের সুকুমার মানসিকতার চর্চা, আটিজান সবই ব্যর্থ এদেশের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে।

 13/09/2016



স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বাংলাদেশে যতটা সংগঠিত, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন তার সামান্য যদি আমাদের ক্ষমতাসীন দল, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কিংবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর থাকতো

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সবচেয়ে সোচ্চার ছিলো,“ব্লগার”রা। শাহবাগ আন্দোলনের হোতাও তারা। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি’র প্রথম নির্মম নিশানা ও হন তারা ই, “থাবা বাবা মানে রাজীব”কে দিয়ে শুরু। শত্রু পক্ষ অন্তত জানতো, কোথায় মারলে মেরুদন্ড ভাঙবে, তারা সফল হবে, যেমন জানতো একাত্তরে বুদ্ধিজীবি হত্যার পরিকল্পনার সময়, সাথে রটনা তোলেন, নাস্তিক ব্লগারদের, মুক্তচিন্তার মানুষদের খুন করা জায়েজ। মরতে মরতেও ব্লগার’রা বার বার সতর্ক করে গেছে, এ রক্ত গঙ্গা এখানেই থামবে না, আজকে আমি শিকার হলে কাল আপনিও হতে পারেন।

ব্লগারদের লেখা যাচাই করা হয়েছে, খুন’কে বৈধতা দানের চেষ্টা করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ মহল থেকে দেয়া হয়েছে অনুভূতির দোহাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই ঝাপিয়ে পরেছিলো, লেখো কেন? কেন লেখো? সাতান্ন ধারা আনা হয়েছে মুক্তি চিন্তা রোধ করার জন্যে। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন নি, এমন কি বুঝতেও চেষ্টা করেন নি এই আক্রমন এখানেই থেমে থাকবে না জনপদ বিপন্ন হবে, বিপদগ্রস্ত হবেন তারা ও সত্যকে বার বার অস্বীকার করেছেন, সমস্যা কে পালন করেছেন, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ভোটের হিসেব কষে গেছেন, গেছেন মৌলবাদীদের তোষন করে ছোট চারাকে আলো, জল, সার দিয়ে বটগাছ বানিয়ে ফ্রাঙ্কেস্টাইন এর কবলে পরেছেন তাদের পরিকল্পনা – ফাঁদ কে যদি বুঝতে পারতেন তাহলে হয়ত প্রতিকারের কথা ভাবতেন, কিন্তু নয় দেশের প্রধান থেকে জনগন সবাই এই ফাঁদে পা দিয়েছে।

আতিয়া মহল, আটিজান তুমি কোন অনুভূতির নাম? লেখায় যাদের অনুভূতি এত আহত হয়, রক্তে তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই কেন? রক্ত দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে আজ এ দেশের মানুষ তাই অনুভূতি কাজ করে না, না? কিছুতেই আর কারো কিছু আসে যায় না। সেখানে নিরীহ যে মানুষ গুলো প্রাণ দিলেন তাদের কি কি খতিয়ে দেখা যায় মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

বলি ও অনুভূতি আর ক’জন মানুষ গেলো হারিয়ে
জনগন আর মন্ত্রীরা দেখলো সব দাঁড়িয়ে


২৮/০৩/২০১৭



নেদারল্যান্ডসে থাকি শুনলে আগে লোকে জিজ্ঞেস করত, ওখানে নাকি লোকে রাস্তা ঘাটে গাঁজা খায়। সব রাস্তায় নাকি রেড লাইট এরিয়া। বিনয়ের সাথে বলতে হতো, আমি দেখিনি কখনো। আমি জানি না। নেদারল্যান্ডস বসবাসের প্রায় বছর আটেক পর জেনেছি, ক্যাফে মানে গাঁজার আড্ডা। নির্দিষ্ট এলাকায় থাকে আর নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে সেখানে মানুষ প্রবেশ করতে পারে। এমন কি এখানে সুপারমার্কেটেও অল্প বয়সীদের কাছে সিগ্রেট-ওয়াইন বিক্রি করা হয় না।

অবস্থা এখন পরিবর্তন হয়েছে। আজকাল অনেকেই জিজ্ঞেস করে, ওখানে নাকি অপরাধীর অভাবে জেলখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছেকথা সত্যি, বেশ কয়েকটা জেলখানা বন্ধ হয়ে গেছে, সামনে আরো যাবে। এভাবেই সবাইকে টাইট দিয়ে সোজা করে রেখেছে সরকার। তার ও মজা, ডান আর বাম মিলেও কোয়ালিয়েশান করে মাঝে মাঝে সরকার বানাতে হয়। প্রায় কোন সরকারই পাঁচ বছরের টার্ম পূর্ণ করতে পারে না, কোয়ালিয়েশান ভেঙ্গে সরকার ভেঙ্গে যায়। বিনা সরকারে দেশ চলে আবার কয়েক মাস।


নেদারল্যান্ডস ইউরোপের মোটামুটি নামকরা নাস্তিক দেশ। চার্চকে সিনেমার শুটিং এর জন্যে ভাড়া দেয়া হয়, স্কুল, লাইব্রেরীর কাজে লাগানো হয় এমন কী অস্থায়ী বাস স্থান করেও মানুষদের থাকতে দেয়া হয়। অথচ কোমল প্রাণ ধর্মপ্রাণ দেশের হিসেব পুরোই আলাদা। সেখানে আইন করে পর্ণ দেখা বন্ধ করতে হয়। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, বাচ্চা বয়সী ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়ার জন্যে আইন করতে হয়। অনেক কিছুই করতে হয় “ধর্মে”র আড়াল নিয়ে। সেই “ধর্ম” নিয়ে কথা বলতে গেলেই আবার বিরাট অংশের লোকজন তেড়েফুঁড়ে এসে ধরবে, “ধর্ম” ঠিকই আছে, এর অপব্যখা আর অপব্যবহার হচ্ছে। যে জিনিসের এতো যথেচ্ছ অপব্যবহার আর এতো সহজে অপব্যাখা হয়, সেই “জিনিসটা” ঠিক হয় কি করে, সেটা কেউ তলাতে চায় না। অপরাধেঅমানবিকতায় পুরো জাতিটা নিমজ্জিত কিন্তু তারকারণখোঁজা বারণ

জঙ্গীদের কোন ধর্ম নেই – জঙ্গীরা নাস্তিক? তাহলে তাদের ধরে ফাঁসি দেয়ার আন্দোলন হচ্ছে না  কেন? বাংলার মাটিতে নাস্তিকদের জায়গা নেই কিন্তু জঙ্গীদের তো বেশ আছে দেখা যাচ্ছে।

বোনাসঃ আরভিন বাবা সেদিন ফোনে একটা জোক্স শোনালোঃ
সোলজার দৌড়ে এসে বলছে, ক্যাপ্টেন, সর্বনাশ হয়ে গেছে ভাল মানুষ আর খারাপ মানুষ সব এক সাথে মিশে গেছে আমি কীভাবে এখন খারাপদের আলাদা করে করে মারবো?
ক্যাপ্টেন ঠান্ডা গলায়  জবাব দিলো, শ্যুট দেম অলগড উইল শর্ট দেম আউট


৩১/০৩/২০১৭


রাত তিনটে অব্ধি দুই বোন বন্ধু গুটুর মুটুর গল্প, খিক খিক হাসি চালিয়েই যাচ্ছে। সারা পৃথিবী’র কথা তাদের শেষই হয় না।
গল্প করতে করতে এক প্রসঙ্গে একজন বললো, আচ্ছা, বয়স হলে মানুষ এরকম বিচিত্র আচরন করে কেন?
আর একজন খুবই আত্মবিশ্বাসের গলায় বললো, ভীমরতি, আপু ভীমরতি।  
অন্যজন খুবই দুঃখিত গলায় বললো, আমাদেরও তো বয়স হচ্ছে, আমাদেরও কি তবে ভীমরতি হবে? আমরাও কি এমন উলটোপালটা করবো।
সে দৃঢ় গলায় বললো, না আপু, কখনোই না।
অন্যজন আশ্বান্বিত কন্ঠে বললো, তাই? কিভাবে এতো নিশ্চিত হলে?

তারচেয়েও ইস্পাত কঠিন গলায় সে নিশ্চিত করলো, আমাদের ভীমরতি হয়েই আছে, এরচেয়ে বেশি ভীমরতি হওয়ার আর কোন সুযোগ নেই।

১১/১১/২০১৭ 


দুই বাংলা’র প্রাত্যহিক জীবনে ভাষা রীতি (প্রমিত নাকি কথ্য), খাদ্য রীতি (পোস্ত আর কালো জিরার বাড়াবাড়ি না পেয়াজ-রসুনের কড়াকড়ি), মেট্রো-ট্যাক্সি-টানা রিকশা না সি,এন,জি, সাইকেল রিক্সা আর সীটিং বাস সার্ভিস এ রকমের বহু জিনিসে বহু পার্থক্য থাকলেও সংস্কৃতি, কৃষ্টি, রীতি রেওয়াজ, ঐতিহ্য এবং ধর্ম রক্ষার মৌলবাদি মানসিকতার সাদৃশ্য কিন্তু লক্ষ্যনীয়।
কখনো কোন মেয়েকে কোন বখাটে যুবক উত্ত্যক্ত করার অপরাধে শুনেছেন কোন মুরুব্বী রাস্তায় বা বাসে এগিয়ে এসেছে? কোন মেয়েকে নির্যাতন করার সময় তারা কি আদৌ বাড়ি থাকে? কোন মেয়ে ধর্ষিতা হলে তাদের পাওয়া যায় ত্রিসীমানায়? ভীড়ে’র মাঝে যখন মেয়েদের গায়ে হাত পরে তখন চাচামিয়া বা কাকাবাবু’রা কোথায় থাকে?
উল্টো মেয়েদেরই ধরে তারা চার কথা শুনিয়ে দেবেন। সন্ধ্যেবেলা কেন বাড়ি থেকে বেড়িয়েছো? একা বের হও কেন? জীন্স কি মেয়েদের পোশাক? ওড়না কোথায়! সামলে চলতে পারো না।
প্রকাশ্যে দুটো ছেলে-মেয়ে হাত ধরে চলা তাদের চোখে অশালীন, চুমু খাওয়া অপরাধ। এমন কি পার্কে বসে গল্প করলেও তাদের কে পুলিশ ধরতে আসে। ধর্ম, সংস্কৃতি, শালীনতা, সমাজের “নৌকাডুবি” একেবারে যাকে বলে ভরা ডুবি হয় তার। অথচ যত্রতত্র থু থু ফেলা, মলমুত্র ত্যাগ করা, ঘুষ খাওয়া... অপরাধ নয়, চুমু খাওয়া অপরাধ! বিচিত্র সভ্যতাবোধ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কথাই বার বার বলতে হয় সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।
.
ভাবছেন ছন্নছাড়া কি বকে যাচ্ছি! ঐ যে বলছিলুম, পাশের বাড়ি’র ঐ কাকাবাবু’র কথা আর কি। প্রাসংগিক বাকি কথা আছে মন্তব্যের ঘরে।

01/05/2018