Tuesday 28 March 2017

Happy Birthday Bhaiya

আই মিস দ্যাট চাইল্ড হুড, দুপুরে মা ঘুমিয়ে গেলে, আমরা চার্লিস এঞ্জেলস, সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান খেলতাম। দোতলার ক্যান্টিলের ওপর থেকে রাস্তার পাশে বাড়ি বানানোর জন্যে জমিয়ে রাখা, ইট বালুর ওপর লাফ দিয়ে দিয়ে পরা। সমস্ত অমূল্য মধুর স্মৃতির আনন্দ ধারা এন্ড ইউ আর দ্যা হিরো

আমি মিস দোজ নাইটস, ইউনিভার্সিটিতে পড়ার লির্বাটির কারণে বাইরে থেকে শিঙ্গারা, সমুচা, ঝালমুড়ি, ফুচকা সব খেয়ে আসতাম। শরীর নিতে পারতো না। প্রচন্ড ব্যথায় মধ্য রাতে উঠে, কারো ঘুম না ভাঙিয়ে নিঃশব্দে বেসিনে বমি করার সময়, অসীম মমতায় দুটো হাত আমাকে ধরে রাখতো। বমির দমকে আমার সারা শরীর ভেঙে চুরে আসতো, মনে হত বেসিন ভেঙে নিয়ে পরবো আমি, তখন সেই মমতার দুই হাত আমাকে শক্ত করে ধরে রাখতো। সব কিছু নিজে পরিস্কার করে, আমাকে বিছানায় ঘুমোতে পাঠাতো। দুজনের মধ্যে একটা শব্দ বিনিময় হতো না বটে কিন্তু আমি জানতাম, মায়ের বকুনি খানিকটা পিটুনির হাত থেকে ও আমাকে আনকন্ডিশনালি রক্ষা করা হলো।

আই মিস আমাদের পুরনো সাদা টয়োটা করলা। আমরা চার বোন আর তুমি আমাদের হিরো, সব এক সাথে বের হতাম, ঢাকার অন্যদের ভয় দেখাতে (আমাদের ভাষায়)। ফুল ভলিউমে, মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে চালিয়ে দিয়ে, সাভার, আশুলিয়া, গুলশান কিংবা সংসদ ভবন। আমাদের খিক খিক এর কারণে, রাস্তার পুলিশরা আমাদের ধরে অকারণে, নিয়ম নীতি শেখানোর চেষ্টা করতো, ভদ্র আচার ব্যবহার শেখানোর ব্যর্থ চেষ্টা বাবা মায়ের পর তারাও করতো

And I miss u terribly when I’m somber and helpless – every tough moment of my life – I wish u were here to hold me like before.  Again and again I realize – I should have listened to you.

He says, we r unmissable parts of his body. We say, you are the “heart” of us. 
Happy Birthday Bhaiya – You are the “best” thing ever happened to us.
All the RED tomatoes of the whole world are only for you.
The most unbeatable coolest guy on the earth --- The ever green hero – have a blast today

মানুষ আশায় বাঁচে, আমরাও তোমার দেয়া আশার ওপর ভরসা করে আছি পেনশান লাইফে সংসারের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়ে তোমার প্ল্যান মত আবার সবাই একসাথে থাকবো আমাদের বুড়ো বেলায় আবার আমরা ছোট হয়ে যাবো তোমার জন্মদিনে তোমার পাশে দাঁড়িয়ে কেক কাটার নানা পোজের ছবি তুলবো




Tuesday 14 March 2017

তোলা থাক কিছুটা সময় ..... ওসব উচিৎ অনুচিৎ..

কে তুমি?
ভয়াবহ শুদ্ধ সুন্দরেররূপ ধরে!
বরং এক চিলতে নেমে এসো অল্পকরে
অবান্তর আনন্দের অশোভনতায়
যেমন মাঝেমধ্যে শীতে গরম নেমে আসে
আর গ্রীষ্মে নেমে আসে শীত.......
তোলা থাক কিছুটা সময়
ওসব উচিৎ অনুচিৎ.......

১৫/০৩/২০১৭ 

Friday 10 March 2017

আমার সৌমিত্র

“জীবনে কি পাব না ভুলেছি সে ভাবনা সামনে যা দেখি, জানি না সেকি আসল কি নকল সোনা” মান্নাদের এই গানটা ছোটবেলা থেকে অনেক বার শোনা, ক্যাসেটের বদৌলতে। ছোটবেলায় চটুল গানে আকর্ষিত হতাম এমনিতেই বেশি। তার অনেক পরে বাড়িতে যখন ভিসিআর এলো তখন দেখলাম সাদা কালো পর্দায় ছিপছিপে স্মার্ট অত্যন্ত সুর্দশন এক ছেলে টুইস্ট নাচছে এই গানের সাথে। হয়ত সে সময়ের বাংলা সিনেমার এই একমাত্র নায়ক সে টুইস্ট নেচেছেন। তাকে দেখা মাত্র প্রেম, মানে হাবুডুবু প্রেম, যাকে বলে “লাভ এট ফার্স্ট সাইট”। “তিন ভুবনের পারে” ছবিতে তনুজা’র ওপর তো রীতিমত রাগই হচ্ছিলো, এই মারাত্বক “হ্যান্ডশাম” বরকে এতো কষ্ট দিচ্ছে বলে। সারা বাংলা যখন উত্তম – সুচিত্রায় মগ্ন, আমি তখন মগ্ন “সৌমিত্র – অপর্ণা”তে। সত্যজিতের “অপুর সংসার” ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি। সেখানে অবশ্য নায়িকা কিশোরী শর্মিলা ঠাকুর। তারপর হীরক রাজার দেশে। আস্তে আস্তে সাত পাঁকে বাঁধা, তিন কন্যার সমাপ্তি, চারুলতা, পরিণীতা ইত্যাদি। সৌমিত্রকে দেখার জন্যেই এতো সত্যজিত দেখা হয়ে গেলো এক সময়।

আমি কিশোরী থেকে তরুনী হয়েছি, তিনি যুবকেই থেকে গেলেন আজীবন, চির সবুজ। আজও বেলা শেষে বা প্রাক্তনে তাকে দেখে ভাল লাগে। সিনেমা’র বক্তব্যের সাথে একমত না হলেও তার উপস্থিতির কারণে মুগ্ধতা অস্বীকার করতে পারি না। সত্যজিত ছাড়া বাংলা সিনেমার আর এক দিকপাল মৃণাল সেনের সাথে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন, তপন সিংহ, অজয় করের মত পরিচালকদের সাথেও। তার নাটক দেখার সৌভাগ্য হয় নি কিন্তু মুগ্ধ হয়েছি তার আবৃত্তি শুনে, বার বার। এতোটা ভরাট কন্ঠ শুধু আবৃত্তি’র জন্যেই বোধ হয় তৈরী হয়। অরন্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, ফিফটিন পার্ক এভিনিউ, আবার অরন্যে, শাখাপ্রশাখা, গনশত্রু, মনিহার, আকাশ কুসুম কোথায় ভাল লাগে নি তাকে। বোধ হয় তার প্রতি বেশি আকর্ষন কাজ করেছে, তিনি ছকের বাঁধাধরা নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন নি বলে, সেরকম মেকাপ গেটাপ নেয়ার চেষ্টা করেন নি বলে। তিনি যা তিনি তাই ছিলেন, অন্য ভাষায় বলতে গেলে একদম “ছাঁটকাট” সৌমিত্র। সত্যজিত কে এ জন্যে ভাল লাগে, তিনি নায়িকা অনেক বদলেছেন, কিন্তু নায়ক ততো নন। সৌমিত্র কে ছাড়া ফেলুদা কল্পনা করতে পারি না।

বহুমুখী প্রতিভা তাঁর। নিজে নাটক লেখেন, পরিচালনাও করেন, ছবি আঁকেন, কবিতা লেখেন। তার প্রথম কাব্য গ্রন্থের নাম “জলপ্রপাতের ধারে দাঁড়াবো বলে”, ৮১৩ পাতার বই (২০১৪)। যদিও আনন্দ পাবলিশার্সের ইচ্ছে ছিলো প্রথমে তার নাট্যসংগ্রহ বের করার। অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে যতোটা আড়াল করেন, কবিতার মধ্যে দিয়ে নিজেকে ততোটাই প্রকাশ করেন তিনি। আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আঠারো বছর বয়স কি দুঃসহ, সেই আমিকে প্রকাশ করতেই প্রথমে কবিতা লিখি। কবিতায় আমি মুক্ত। কবিতা সমগ্রের ভূমিকাতে আমি লিখেছি, আমি কবিতা লিখতে শুরু করেছিলাম কৈশোরের নতুন জন্মানো প্রেম আকাঙ্ক্ষার আন্দোলনে। পরবর্তীকালে অবশ্য একটু একটু করে প্রকৃতি, সমাজ, বেঁচে থাকার অপরিহার্য অভিজ্ঞতাও কবিতার মধ্যে ফুটে উঠতে আরম্ভ হলো। কোন বড় ভাব বা আদর্শের প্রভাবে আমার লেখা শুরু হয়নি।“ স্ত্রী দীপাকে চিঠির বদলে কবিতা লিখতেন তিনি। কখনও বা চিঠির ফর্মে না দিয়ে আমার অনুভূতিগুলো কবিতার আকারে আমি ওকে পড়ে শুনিয়েছি। দীপা বরাবরই আমার কবিতার বড় শ্রোতা।“

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান 'Officier des Arts et Metiers' পেয়েছেন । সত্তরের দশকে তিনি পদ্মশ্রী পান কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি । পরবর্তী কালে তিনি পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১২ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেছেন।

ভাল লাগে ভাবতে, উই আর গ্রোয়িং ওল্ড টুগেদার। যতো বড় হয়েছি, ততোই মুগ্ধতা বেড়েছে, প্রেম দীর্ঘস্থায়ী থেকে চিরস্থায়ী হয়েছে।

টাক পড়ুক আর নাই পড়ুক তিনি সৌমিত্র,
সে জানুক আর নাই জানুক, প্রেম তার সাথেই দিবা রাত্র।

Image may contain: 1 person, smoking, outdoor and close-up

“জীবনে কি পাব না ভুলেছি সে ভাবনা সামনে যা দেখি, জানি না সেকি আসল কি নকল সোনা” মান্নাদের এই গানটা ছোটবেলা থেকে অনেক বার শোনা, ক্যাসেটের বদৌলতে। ছোটবেলায় চটুল গানে আকর্ষিত হতাম এমনিতেই বেশি। তার অনেক পরে বাড়িতে যখন ভিসিআর এলো তখন দেখলাম সাদা কালো পর্দায় ছিপছিপে স্মার্ট অত্যন্ত সুর্দশন এক ছেলে টুইস্ট নাচছে এই গানের সাথে। হয়ত সে সময়ের বাংলা সিনেমার এই একমাত্র নায়ক সে টুইস্ট নেচেছেন। তাকে দেখা মাত্র প্রেম, মানে হাবুডুবু প্রেম, যাকে বলে “লাভ এট ফার্স্ট সাইট”। “তিন ভুবনের পারে” ছবিতে তনুজা’র ওপর তো রীতিমত রাগই হচ্ছিলো, এই মারাত্বক “হ্যান্ডশাম” বরকে এতো কষ্ট দিচ্ছে বলে। সারা বাংলা যখন উত্তম – সুচিত্রায় মগ্ন, আমি তখন মগ্ন “সৌমিত্র – অপর্ণা”তে। সত্যজিতের “অপুর সংসার” ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখি। সেখানে অবশ্য নায়িকা কিশোরী শর্মিলা ঠাকুর। তারপর হীরক রাজার দেশে। আস্তে আস্তে সাত পাঁকে বাঁধা, তিন কন্যার সমাপ্তি, চারুলতা, পরিণীতা ইত্যাদি। সৌমিত্রকে দেখার জন্যেই এতো সত্যজিত দেখা হয়ে গেলো এক সময়।
আমি কিশোরী থেকে তরুনী হয়েছি, তিনি যুবকেই থেকে গেলেন আজীবন, চির সবুজ। আজও বেলা শেষে বা প্রাক্তনে তাকে দেখে ভাল লাগে। সিনেমা’র বক্তব্যের সাথে একমত না হলেও তার উপস্থিতির কারণে মুগ্ধতা অস্বীকার করতে পারি না। সত্যজিত ছাড়া বাংলা সিনেমার আর এক দিকপাল মৃণাল সেনের সাথে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন, তপন সিংহ, অজয় করের মত পরিচালকদের সাথেও। তার নাটক দেখার সৌভাগ্য হয় নি কিন্তু মুগ্ধ হয়েছি তার আবৃত্তি শুনে, বার বার। এতোটা ভরাট কন্ঠ শুধু আবৃত্তি’র জন্যেই বোধ হয় তৈরী হয়। অরন্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, ফিফটিন পার্ক এভিনিউ, আবার অরন্যে, শাখাপ্রশাখা, গনশত্রু, মনিহার, আকাশ কুসুম কোথায় ভাল লাগে নি তাকে। বোধ হয় তার প্রতি বেশি আকর্ষন কাজ করেছে, তিনি ছকের বাঁধাধরা নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন নি বলে, সেরকম মেকাপ গেটাপ নেয়ার চেষ্টা করেন নি বলে। তিনি যা তিনি তাই ছিলেন, অন্য ভাষায় বলতে গেলে একদম “ছাঁটকাট” সৌমিত্র। সত্যজিত কে এ জন্যে ভাল লাগে, তিনি নায়িকা অনেক বদলেছেন, কিন্তু নায়ক ততো নন। সৌমিত্র কে ছাড়া ফেলুদা কল্পনা করতে পারি না।
বহুমুখী প্রতিভা তাঁর। নিজে নাটক লেখেন, পরিচালনাও করেন, ছবি আঁকেন, কবিতা লেখেন। তার প্রথম কাব্য গ্রন্থের নাম “জলপ্রপাতের ধারে দাঁড়াবো বলে”, ৮১৩ পাতার বই (২০১৪)। যদিও আনন্দ পাবলিশার্সের ইচ্ছে ছিলো প্রথমে তার নাট্যসংগ্রহ বের করার। অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে যতোটা আড়াল করেন, কবিতার মধ্যে দিয়ে নিজেকে ততোটাই প্রকাশ করেন তিনি। আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আঠারো বছর বয়স কি দুঃসহ, সেই আমিকে প্রকাশ করতেই প্রথমে কবিতা লিখি। কবিতায় আমি মুক্ত। কবিতা সমগ্রের ভূমিকাতে আমি লিখেছি, আমি কবিতা লিখতে শুরু করেছিলাম কৈশোরের নতুন জন্মানো প্রেম আকাঙ্ক্ষার আন্দোলনে। পরবর্তীকালে অবশ্য একটু একটু করে প্রকৃতি, সমাজ, বেঁচে থাকার অপরিহার্য অভিজ্ঞতাও কবিতার মধ্যে ফুটে উঠতে আরম্ভ হলো। কোন বড় ভাব বা আদর্শের প্রভাবে আমার লেখা শুরু হয়নি।“ স্ত্রী দীপাকে চিঠির বদলে কবিতা লিখতেন তিনি। কখনও বা চিঠির ফর্মে না দিয়ে আমার অনুভূতিগুলো কবিতার আকারে আমি ওকে পড়ে শুনিয়েছি। দীপা বরাবরই আমার কবিতার বড় শ্রোতা।“

Wednesday 8 March 2017

আকাশ আর মেঘ

মেঘের খুব অভিমান হয়েছে
জেনে ও আকাশ, দূরে সরে রয়েছে
মেঘ ভেঙে পরেছে
অবিরাম ঝরে যাচ্ছে
আহত আকাশ অনেক রেগে গেছে
গর্জে উঠেছে, বর্ষে যাচ্ছে
স্টক এক্সচেঞ্জে কি শেয়ার দর পড়েছে
ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তার ইস্যু থেকে নড়েছে
দুজনের অভিমানের খেলায়
আমাদের ভিজিয়েই যাচ্ছো
শোন বোকা, তোমার কান্নায় এই পৃথিবীর আহ্নিক গতির
কোন পরিবর্তন হবে না,
কোন ফুল পাপড়ি মেলা বন্ধ করবে না
কান্না থামাও মেঘ
আমাদের দোহাই লাগে,
আকাশের সাথে বোঝাপড়া নিভৃতে হোক
ভালবাসায়ায় মিলুক ঐ দু চোখ
ভিজিয়ে ভিজিয়ে সারাবেলা
কষ্ট দিও না আর ম্যালা

০৭/০৩/২০১৭

আকাশ, তুমি কি তোমার হারিয়ে ফেলা প্রেমিকার জন্যে
আজ কেঁদেই যাবে?
সকাল দুপুরে গড়াবে আর দুপুর বিকেলে
জানো না বুঝি, যা হারিয়ে যায়
তা হারিয়ে যায়, মহাকালের গর্ভে
হারানো জিনিস আর ফেরে না
তোমার হাজার কান্নায় তোমার প্রেম
ফিরবে না আকাশ, জেনে রেখো।

২৬/০৮/১৬

Friday 3 March 2017

নরম রোদের উদাস দুপুর - হাত ছানি দেয় কোন সে নুপূর

হাঁটছিল পিয়া আলতো পায়ে কাঁধে বইয়ের ব্যাগ আর তাতে শেষ না হওয়া এসাইনমেন্টের বোঝা কিন্তু মন উড়ছে কোথাও, কোন সে দূরে হঠাৎ ভাবলো, কি হবে এসব সারাক্ষণ ভেবে, ঢাকার যানজটের মতই কখনো সমাধান হবে না, সমস্যা হলো পড়াশোনা এসাইনমেন্ট শেষ হলো সেটা ডি, এই এক্সাম শেষ হলো তো অন্যটা মাথার ওপর, পাশের ফ্ল্যাটের বেরসিক রমনীর নেড়ে দেয়া পেটিকোটের মত ঝুলছে তার চেয়ে বরং কফি খাই এক কাপ

নির্জনতা চাইছে মন খুব করে কোলাহল ছাড়িয়ে কোনের দিকের নিরিবিলি টেবলটাই সে বেছে নিলো কি খাবে? একটু অন্যরকম কিছু, যা রোজ খায় না। মেনু কার্ড দেখে অর্ডার করলো, লাটে মাকিয়াতো, অনেকটা দুধ দেয়, কাপুচিনোর মডার্ন ভার্সণ, খেতে বেশ লাগে। আজকে নিজেকেই নিজে ট্রিট দিচ্ছে সে। মাঝে মাঝে নিজের সাথে নিজের এই ডেট, নিজেকে যত্ন করতে, ভালবাসতে আজকাল বেশ লাগে।

রোদ উঠেছে, শীতের এই রোদে কোন তাপ নেই, আছে সর্বাংগ জড়িয়ে থাকা প্রেমিকের মিষ্টি ওম। পিঠে রোদের নরম সেই ছোঁয়া পিয়া’র মনকে অন্য কোন দিকে টানতে চাইছে। ভার্সিটির এই করিডোর টা অসাধারণ। ভিক্টোরিয়ান মোজাইকের এই ডিজাইন গুলোর দিকে সারাবেলা তাকিয়ে থাকলেও কোন ক্লান্তি আসে না। আজ তার ওপর বাড়তি পাওয়া এই আলো আধারি’র খেলা।

এ সময় ক্যাফেটারিয়াটা খুব ব্যস্ত থাকে। তার লাটে মাকিয়াতো আসতে বেশ সময় নিচ্ছে। নিজের ভেতর ডুবে যাওয়ার এর চেয়ে ভাল সময় আর হয় না। বড় একটা নিঃশ্বাস নিয়ে চোখ বন্ধ করলো, কোথাও কোন ছবি ভাসে কি? এক মিনিট, দু মিনিট, তিন মিনিট – পাঁচ মিনিট --- না কোথাও কোন ছবি নেই। মন এখন স্থির, কোন চঞ্চলতা নেই এখানে। এতোটা পথ পেরিয়ে আসতে তাকে অনেক নির্ঘুম রাত, অনেক চোখের জল ত্যাগ দিতে হয়েছে। সেসব ভুলে যেতে চায়। কথা হলো, পেরেছে, মন কে স্থির করতে, এটাই সত্যি আর বাকি সব মিথ্যে।


এলো লাটে মাকিয়াতো, চিনি মেশাবে নাকি মেশাবে না, ভাবতে কিছুটা সময় নিলো। তারপর তাতে অল্প চিনি মেশাতে গিয়ে নিজের অজান্তেই হেসে ফেললো, কেন এতো শাসন করে সারাবেলা নিজেকে সে? নিজের প্রতি কেন এতো কাঠিন্য? সে তো তার নিজের কাছে কিছু ট্রিট পাওনা আছে। অনেকটা চিনি মিশিয়ে নিয়ে গরম লাটে মাকিয়াতো’র কাপে আলতো ঠোঁট ছুঁয়ে, ব্যাগ থেকে সদ্য কেনা, দাউদ হায়দারের “ভালবাসার কবিতা” বইটি বের করে তাতে চোখ বোলাতে লাগলো। মনটা ঝরঝরে, ফুরফুরে – ফিসফিস করে নিজেকে বললো, চিয়ার্স পিয়া