Friday 28 May 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – আটাশে মে টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – আটাশে মে টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান প্রিমিয়ে রুতেঃ স্বাভাবিক জীবনের প্রতি আমাদের তৃতীয় পদক্ষেপঃ হাসপাতালের ভীড় আর সংক্রমণ কমে আমাদের ভবিষ্যৎবানী এখন বাস্তবে রুপ নেয়া শুরু করাতে আমরা নয় জুনের পরিবর্তে পাঁচই জুন থেকে তৃতীয় পদক্ষেপের দিকে এগুনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাঁচই জুন থেকে নেদারল্যান্ডসে টানা সাত মাসের লকডাউনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হচ্ছে তবে কিছু রেস্ট্রিকশান আপাতত থাকছে। এর আগে সব বাইরের কর্মকান্ড খুলে দেয়া হয়েছিলো, তৃতীয় পদক্ষেপ থেকে এখন ভেতরের কর্মকান্ডও খুলে দেয়া হচ্ছে। শিল্প-সাহিত্য, রেস্টুরেন্ট-ক্যাফে, সাওনা, ক্যাসিনো, বোট রাইড সব খুলে দেয়া হচ্ছে, সর্বোচ্চ পঞ্চাশ জন। নাইট ক্লাব, ডিস্কো, গ্রীস্মকালীন মেলা, উৎসব এখনও বন্ধ থাকবে। বাসায় তের বছরের ওপরে চারজনকে নিমন্ত্রণ করা যাবে। যেখানে লোক হাঁটাহাটি করবে, যাদুঘর, শপিং সেন্টার ইত্যাদি সেখানে প্রতি দশ স্কয়ারমিটারে একজন, যেখানে মানুষ বসে থাকবে, যেমন থিয়েটার বা কনসার্ট সেখানে প্রতি হলে পঞ্চাশ জন। তবে এক হাজার মানুষের বসার ক্যাপাসিটি আছে এমন হলে আড়াইশো জন বসতে পারবেন। ছয়শো লোকের সিনেমা হলে, এন্ট্রি টেস্টের মাধ্যমে প্রায় দুশো মানুষ যেতে পারবে, সেখানে ম্যাক্সিমাম কত জনের ব্যাপার নেই কিন্তু দেড় মিটার সোশ্যাল ডিসটেন্সের ব্যাপারটি আছে। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে কিংবা ক্যান্টিনগুলো সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং রাত দশটার পর কোথাও কোন এলকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ, এর সাথে এটাও বলতে চাই, পার্কে কিংবা খোলা জায়গায় রাত দশটার পর এলকোহল পানও নিষিদ্ধ। তবে টেকওয়ে রাত একটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রতি সন্ধ্যায় এক টেবলে দুবারের বেশি খদ্দের বসাতে পারবে না। খাবার যারা পরিবেশন করবে তাদেরকে প্রতি সপ্তায় দুবার কাজ শুরু করার আগে নিজে নিজে বাসায় করোনা পরীক্ষা করতে হবে। ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ এবং ডিজে লাইভ প্রোগ্রামগুলো এখনও নিষিদ্ধ থাকবে। আঠারো বছর থেকে সবাই প্রতি অংশে পঞ্চাশ জন করে খেলা অনুশীলন করতে পারবে। সবসময় তাদের দেড় মিটার সোশ্যাল ডিসটেন্সের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। চেঞ্জ রুম আর ওয়াশ রুমও খুলে দেয়া হবে। আঠারো পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে তবে শৌখিন প্রতিযোগিতা আর দশর্ক সমাগম বন্ধ থাকবে। হুগো দ্যা ইয়ংঃ সোশ্যাল মিডিয়া ভরপুর মানুষের হাসিমুখের ছবিতে সবাই যারা করোনার প্রথম ভ্যাক্সিন পেয়েছে। ভ্যাক্সিন কাজ করছে, হাসপাতালে করোনা রোগীর ভীড় কমে আসছে, সংক্রমণের মাত্রাও কমে এসেছে। ভ্যাক্সিন আজকে নয় মিলিয়নের নাম্বার ছুয়েছে। আঠারোর ওপরের জনসংখ্যার অর্ধেক ভ্যাক্সিন পেয়ে গেছে। এখন প্রতি সপ্তায় এক মিলিয়ন ভ্যাক্সিন দেয়া হলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা সপ্তাহে দেড় মিলিয়নে পৌঁছবে। ভ্যাক্সিনের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় জুলাইয়ের প্রথম দিকে জায়গায় আমরা জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেয়া শেষ করতে পারবো। জনসংখ্যার প্রায় পঁচাশি ভাগকে ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে ত্রিশে জুন থেকে আরও অনেক নিয়ম শিথিল করে দেয়ার পরিকল্পনা আছে। শুরু হবে চতুর্থ ধাপ। পুরোপুরি সব হয়ত শিথিল করা যাবে না তবে যতটুকু সম্ভব নিয়ম উঠিয়ে নেয়া হবে। জুনের ত্রিশ তারিখ থেকে কোন অনুষ্ঠানে গেলে যাদের টিকার দুটো ডোজই দেয়া হয়ে গেছে সেই সার্টিফিকেট দেখালে টেস্ট ছাড়াই ঢুকতে দেয়া হবে। আর কোন অনুষ্ঠানে যদি এন্ট্রি টেস্ট আবশ্যিক হয়, তাহলে বাড়ির কাছে কোন ল্যাবে যেয়ে বিনে পয়সায় অনুষ্ঠানের চল্লিশ ঘন্টা আগে পরীক্ষা করাতে হবে। রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে ডিজিটাল এপের মাধ্যমে করোনাহীন প্রবেশ সার্টিফিকেট বানাতে পারবে। যতদিন দরকার এভাবে আমাদের করে যেতে হবে। প্রথম জুলাই থেকে ইউরোপের মধ্যে আমরা সবাই চেষ্টা করছি “ডিজিটাল করোনা সার্টিফিকেট” বানাতে যা দিয়ে আমরা ইউরোপের মধ্যে বিনা বাধায় চলাফেরা করতে পারবো। তবে হ্যাঁ ভ্রমণ নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। আশাকরছি এই গরমের পরে আমরা যতদূর সম্ভব স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো। ভ্যাক্সিনের প্রতিটি ডোজ আমাদেরকে স্বাভাবিক জীবনের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকঃ অনেকেই বলছে হেমন্তে আবার করোনার এক বিরাট ঢেউ আসবে। সে পর্যন্ত কি মাস্ক পরা আবশ্যক? হুগো দ্যা ইয়ংঃ কি হবে আর কি হবে না, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভাইরাসের মিউটেশান এবং আক্রমণ ঠেকাতে যেমন দরকার তেমনই ব্যবস্থা নিতে হবে। সাংবাদিকঃ প্রিমিয়ে রুতে, আপনি ১৯৬৭তে জন্মেছেন, আপনার টার্ন এসেছে, চিঠি পেয়েছেন? ভ্যাক্সিন নিয়েছেন? প্রিমিয়ে রুতেঃ এখনো নেইনি তবে এপয়ন্টমেন্ট নিয়েছি।

Tuesday 18 May 2021

রাজনীতি

* রাজনীতি* আসলে কি? অবশেষে একজন রাশিয়ান ইহুদীকে ইস্রায়েলে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মস্কো বিমানবন্দরে, শুল্ক কর্মকর্তারা তার ব্যাগেজে একটি লেনিনের মূর্তি খুঁজে পেয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল, " এটি কী? " লোকটি জবাব দিল, "এটি কী? এটাতো ভুল প্রশ্ন কমরেড। আপনার জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল: তিনি কে? তিনি হলেন কমরেড লেনিন। তিনি সমাজতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এবং রাশিয়ার জনগণের ভবিষ্যত ও সমৃদ্ধি তৈরি করেছিলেন। আমি এটি নিচ্ছি আমার সাথে আমার প্রিয় নায়কের স্মৃতি হিসাবে " এ কথা শুনে রাশিয়ান শুল্ক অফিসার তাকে আরও তদন্ত ছাড়াই চলে যেতে দিলেন। তেল আভিভ বিমানবন্দরে, ইস্রায়েলি শুল্ক কর্মকর্তা আমার বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলেন," এটি কি? " তিনি জবাব দিলেন, "এটা কি? এটাতো ভুল প্রশ্ন, স্যার। আপনার জিজ্ঞাসা করা উচিত, 'এ কে?' এই লেনিন, জারজ যা আমার, একজন ইহুদীর, রাশিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ, আমি এই মূর্তিটি সাথে নিয়ে যাচ্ছি যেনো তাকে আমি প্রতিদিন অভিশাপ দিতে পারি। " ইস্রায়েলি কাস্টমস অফিসার বলেছিলেন, "আমি ক্ষমা চাইছি স্যার, আপনি যেতে পারেন।“ নিজের নতুন বাড়িতে তিনি মূর্তিটি একটি টেবিলে ওপর সাজিয়ে রাখেন। তার অভিবাসন উদযাপন করতে, তিনি তার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁর এক বন্ধু জিজ্ঞাসা করলেন, _ "এ কে?" তিনি জবাব দিলেন, " প্রিয় বন্ধু, 'এ কে' এটি ভুল প্রশ্ন। তোমার জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল, এটি কি? এটি দশ কিলোগ্রাম খাঁটি সোনা যা আমি কোন প্রকার শুল্ক প্রদান ছাড়াই আমার সাথে আনতে পেরেছি? । " মোর‍্যাল অফ দ্যা স্টোরিঃ রাজনীতি হলো সেই ফালতু কথা যা বিভিন্ন ইতিবাচক উপায়ে বলে আপনি নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ করতে পারেন এবং বিভিন্ন মানুষকে বোকা বানাতে পারেন। মূলঃ অন্তর্জাল ভাষান্তরঃ তানবীরা

Saturday 15 May 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – এগারোই মে টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – এগারোই মে টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান প্রিমিয়ে রুতেঃ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা ওপেন রেস্টুরেন্টে বসতে পারছি, এপয়ন্টমেন্ট ছাড়া শপিং আর বাড়িতে দুজন করে গেস্ট ডাকতে পারছি, আস্তে আস্তে আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনের দিকে ফিরছি। তাতে করে তিনটে জিনিস চোখে পড়ছে, রেস্টুরেন্ট আর দোকানের মালিকরা স্বাস্থ্যবিধির দিকে খুব নজর রাখছেন, সাধারণ মানুষও নিয়ম মেনে চলছেন, সবাইকে কমপ্লিমেন্ট। আবহাওয়া ভাল থাকায়, প্রচুর মানুষ বাইরে বের হচ্ছে, তাতে দেড় মিটারের দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না তাই এদিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। তৃতীয়টি হলো, একদিকে অনেকেই দাবী করছে আরো অনেককিছু খুলে দেয়ার জন্যে অন্যদিকে হাসপাতাল, আইসিইউ এখনো করোনা রোগী দিয়ে ভর্তি। শুধু এক কিংস ডে’তে সতেরটি বড় জটলা থেকে আমস্টার্ডামেই এত সংক্রমণ বেড়ে গেছে। যেমনটি আগে বলেছি, আবারও বলছি, ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের সম্মুখীন যাতে হতে না হয় তার জন্যে আমরা আমরা ব্যালেন্স খুজঁছি। তবুও আমি ভ্যাক্সিনের কারণে সবাইকে সুন্দর গরমের ছুটির আশ্বাস দিচ্ছি। স্বাভাবিক জীবনের প্রতি আমাদের দ্বিতীয় পদক্ষেপঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মতে, হাসপাতালে আরো বিশ পার্সেন্ট পেশেন্ট কম হওয়ার পর আমাদের দ্বিতীয় পদক্ষেপের প্রতি যাওয়া উচিৎ। আশাকরছি এ সপ্তাহের মধ্যে সেটা সম্ভব হবে আর তাই উনিশে মে থেকে দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার চিন্তা। যদি সংক্রমণ না কমে তবে পরের সোমবারে আমরা এই দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনা স্থগিত করে দেবো। একঃ যৌনকর্মীরা আবার কাজ শুরু করতে পারবে দুইঃ ওপেন রেস্টুরেন্ট সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। খেলার স্কুলের খাবার ক্যান্টিনও এর আওতায় পড়বে, সব বেসিক নিয়ম মেনে। তিনঃ জিম, ফিটনেস, সুইমিং ও অন্যান্য শরীরচর্চা ও খেলার স্কুল খুলে দেয়া হচ্ছে, ম্যাক্সিমাম ত্রিশ জন। প্রতিযোগিতা, দর্শনার্থী, গোসল ও চেঞ্জের রুম বন্ধ থাকবে। চারঃ ওপেন এয়ার মিউজিয়াম, থিয়েটার, মনুমেন্ট খুলে দেয়া হবে, ম্যাক্সিমাম ত্রিশ জন। গান, নাচ, আঁকার স্কুলও খুলে দেয়া হচ্ছে তবে কোন গ্রুপ লেসন হবে না, প্রাইভেট লেসন চলতে পারে। পাঁচঃ চিড়িয়াখানা, এমিউজমেন্ট পার্ক, খেলার পার্ক এসবও খোলা হবে, দশ মিটারের মধ্যে একজন, রিজার্ভেশান ও রেজিস্ট্রেশান মাস্ট। একই পরিবারের না হলে দুজনের বেশি রেজিস্ট্রেশান করতে পারবে না, টয়লেট খুলে দেয়া হবে। আবারো পরিস্কার করা হচ্ছে, পার্ক বা চিড়িয়াখানার ওপেন এয়ারের অংশটুকু খোলা থাকবে, বাকি সব বন্ধ। সবকিছু পরিকল্পনামত এগুলে পয়লা জুন আবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তৃতীয় পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলবো আমি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ংঃ এ সপ্তাহে সাত মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। সব ষাটোর্ধ্ব এবং ক্যান্সার পেসেন্টসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা সব মানুষকে অন্তত টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। ফ্লু ভ্যাক্সিন যারা নিতো তাদেরও ভ্যাক্সিন দেয়ার কাজ চলছে। সাথে সব ধরনের সেবামূলক কাজে যারা জড়িত তাদের সবাইকেও ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা হয়েছে, এসব ক্যাটাগরিতে বয়স নয় পেশাকেই প্রাধাণ্য দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনামত সরবরাহ এলে জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকে যারা যারা ভ্যাক্সিন নিতে চায় আশাকরি সবাই ভ্যাক্সিন নিতে পারবে। করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্যে আমরা প্রচন্ডভাবে ভ্যাক্সিনের ওপর নির্ভর করছি, দেখা যাচ্ছে, এমনকি প্রথম ডোজ নেয়া থাকলেও সংক্রমণ ঠেকাতে এটি কাজ করে থাকে। গরমের ছুটি নিয়ে সবার মনেই অনেক প্রশ্ন, এতদিন সবাইকে বলা হয়েছিলো জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যেকোন দেশে ভ্রমণ নিষেধ, পনেরই মে’তে থেকে সেটি তুলে নেয়া হচ্ছে। গত গরমের ছুটির মতই প্রত্যেক দেশে অবস্থা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, পরিস্থিতি বদলালে সিদ্ধান্তও বদলানো হবে। পুরো ইউরোপে ভ্যক্সিন পাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে আর সংক্রমণ কমছে। সব তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। হলুদ রঙের দেশগুলোতে যাওয়া যাবে কিন্তু যে দেশেই যাবে সে দেশের নিয়ম মেনে যেতে হবে, করোনা টেস্ট, কেয়ারন্টিন ইত্যাদি। অনেক দেশই নেদারল্যান্ডসে এখনও করোনা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে। কমলা রঙের দেশগুলোতে বিনা প্রয়োজনে ভ্রমণ করা যাবে না এবং ফিরে আসার পর নেগেটিভ করোনা রিপোর্ট দেখানো সহ বাধ্যতামূলক কেয়ারন্টিনে থাকতে হবে। ইউরোপে আমরা সবাই, “ডিজিট্যাল গ্রীন সার্টিফিকেট” নিয়ে কাজ করবো। কোভিড নিয়ে ইউরোপের মধ্যে সুইডেনের পরেই সবচেয়ে বাজে পার্ফম করেছে নেদারল্যান্ডস। এবার আর প্রিমিয়ে গর্ব করে বলতে পারলেন না, আমার দেশের মানুষের ওপর আমার আস্থা আছে, তারা আমার কথা শুনবে। সাংবাদিকঃ আমরা কি আশা করতে পারি এ বছরের শেষের দিকে আমাদের দেশ থেকে করোনা পুরোপুরি চলে যাবে? স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ংঃ করোনা পুরোপুরি চলে যাবে না, তবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি যাতে করোনা আর আমাদের প্রাত্যহিক জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, দরকারে আমরা বার্ষিক ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করবো। আমরা এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছি, দুই হাজার তেইশের জন্যে ভ্যাক্সিনের অর্ডার দেয়া হয়ে গেছে। সাংবাদিকঃ একটি পরিবার যদি দুটো বাচ্চা নিয়ে কোথাও বেড়াতে যেতে চায়, ডিজিটাল গ্রীন সার্টিফিকেট থাকার পরও তাকে করোনা টেস্ট করাতে হবে, এবং প্রতিজন প্রতি টেস্ট একশো থেকে দেড়শো ইউরো মানে হাজার ইউরো তাদের শুধু টেস্টের জন্যে ব্যয় করতে হবে? এ ব্যাপারে তুমি কি মনে করো? স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ংঃ ভ্যাকেশান অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষের জীবনে কিন্তু আবশ্যিক না। সবকিছু সরকারের পক্ষে বহন করা সম্ভবও না। কেউ যদি দেশের বাইরে ছুটি কাটাতে চায়, সেটা তার সিদ্ধান্ত এবং আপাতত তাকে সেভাবেই প্রস্তূত হতে হবে, যতদিন না পুরো দেশের সবাই ভ্যাক্সিনড হচ্ছে। ছুটিতে গেলে কত ধরনের খরচা হয়, এটিও তার মধ্যে একটি। কিছু কিছু পরিবারের ছুটির জন্যে সব পরিবারের ট্যাক্সের টাকা খরচা করাও আমি ন্যায় মনে করি না। সাংবাদিকঃ প্রিমিয়ে রুতে, আমরা শুধু করোনার ক্ষতির কথাই শুনে যাচ্ছি, কিন্তু ক্ষতি পুনরুদ্ধার কোন পরিকল্পনার কথা এখনো শুনতে পাইনি। প্রিমিয়ে রুতেঃ আমাদের মন্ত্রীরা পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, অচিরেই সেটা সামনে আসবে।

Wednesday 5 May 2021

বিল গেটস আর মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ

বিল গেটস আর মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ, বিয়ের পর সাতাশ বছর। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে রচনা হয়েছে কত আনন্দ-বেদনার কাব্য। তিনটে সন্তান বড় করেছেন। বৃষ্টিতে ভিজেছেন, জোস্ন্যায় হাত রেখে হেঁটেছেন। হাজারো মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া এই পরিবারটি একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একটি সাধারণ পরিবারের ডিভোর্সের মত সিদ্ধান্ত নিতে যখন অনেক সময় লাগে তখন এদের লেগেছে কত বছর! এরমধ্যে কত রক্তক্ষরণ হয়েছে, কত কিছু বুকে চেপে টিভির সামনে এসেছেন, ইন্টারভিউ দিয়েছেন, সুখী মানুষের, আর্দশ দম্পত্তির অভিনয় করেছেন, ভেবেছেন তারপরও যদি চালিয়ে নেয়া যায়। বাঙালি জাতির পরিবারটির প্রতি কোন সহমর্মিতা নেই। তাদের কাছে ইস্যু হলো একশো চব্বিশ বিলিয়ন ডলার। মনে হয়, বিল আর মেলিন্ডা তাদের পয়সা বাঙালি জাতির কাছে জমা রেখেছিলো, এখন ঈদের আগে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের রিজার্ভ ভেঙে এই টাকা তাদেরকে বিশেষ করে মেলিন্ডাকে পরিশোধ করতে হবে। এই জাতি বউ, মেয়ে খুন করে টানিয়ে রাখতে অভ্যস্ত, এদের এরকম কিছু হজম করা কঠিন। এক ঘরোয়া আড্ডায় এডভোকেট তারানা হালিম আপা বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোন মেয়ে তার বরকে ডিভোর্স দিতে আর্জি দিলে, মেয়ের বিরুদ্ধে তার শ্বশুরবাড়ি চুরির কেইস দেয় নাই, এই ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ অব্ধি নেই। আর সামান্য কাবিনের টাকা না দেয়ার অসামান্য টালবাহানাতো আছেই। কিন্তু বিদেশে সাধারণত ফিফটি ফিফটি হয় আর এতে পুড়ে যাচ্ছে বাঙালি জাতি তাও অন্যের টাকা। শুধু টাকায় কি সংসার হয়! প্রত্যেক কর্মজীবি মেয়ে সে দেশে হোক কিংবা বিদেশে সংসারে পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশী শ্রম দেয়। ব্যতিক্রম বাদ দিলে। সেই অনুসারে ধরলে সেভেন্টি/থার্টি হওয়া উচিৎ। ঘরের বাসনটা কেনা, বাচ্চার এক্সাম, টিচারের সাথে কথা বলা, এই ইউরোপেও সকালের দৃশ্য আশির ভাগ মা বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন, অফিস থেকে ছুটি নিচ্ছেন বাচ্চার বিভিন্ন কারণে। বাঙালি জাতি এসবকে সব টেকেন ফো গ্র্যান্টেড ধরে নেয়। বারবার বিলের টাকা নিয়ে কষ্টে মরে যাচ্ছে, এটাকা বিল আর মেলিন্ডার টাকা, দুজনের টাকা, আপনার কষ্টের কোন কারণ নেই ব্রো। হিলারী রডহ্যাম ক্লিনটন, সাব্রিনা সোবহান, আমিনা ত্যাইয়িবা’র মত সংসার অন্তপ্রাণ নন বলে মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চকে সাধুবাদ জানাই। যদিও তুলনাটা অসম তারপরও আবার মিল আছে। এই টাকার কারণেই অনেকে সারাজীবন কাটিয়ে দেয়। সুখী হোক বিল আর মেলিন্ডা তাদের সামনের দিনগুলোতে, ভালবাসা তাদের জন্যে এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না শুধু সুখ চলে যায়, এমনই মায়ার ছলনা এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না এরা ভুলে যায়, কারে ছেড়ে কারে চায়…