Monday 14 January 2013

জীবন থেকে নেয়া (ঘুষাঘুষি)

১.
ছোটবেলায় পড়াশোনার করার সময় খুব আদর্শ মানুষ হওয়ার একটা স্বপ্ন দেখতাম, দেশের দশের জন্যে কিছু করব, অন্যায় করব না টাইপ ইত্যাদি। কালের আর্বতনে সব এখন গর্তে চলে গেছে। ভাইবোনদের মধ্যে এনিয়ে কখনো সরব প্রতিজ্ঞা হয়নি কিন্তু মনে মনে আমরা সবাই জানতাম, আমরা সবাই খুবই আদর্শ কিছু হবো। আমি বিয়ে করে দেশ ত্যাগ করে এলেও, দেশে যারা আছেন তাদের কাছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশা রেখে দিয়েছিলাম নিজের অজ্ঞাতেই হয়তো। একবার ঈদ করতে দেশে গিয়েছি। একদিন দেখি আম্মি ভাইয়াকে বলছে, ঈদে কিছু কিনে নাই কেনো? কালকে ঈদ? ভাইয়া বললো হাতে টাকা পয়সা নাই কি দিয়ে কিনবে? এই কথা শুনে মাতৃদেবীর কলিজা ফেটে যাওয়ার উপক্রম। তিনি তাড়াতাড়ি তিনার ব্যক্তিগত রিজার্ভ ভেঙ্গে পুত্রকে ঈদের কাপড়ের যোগাড় দিতে ছুটলেন। চার কন্যা ইস্টু এক পুত্র বিধায়, পুত্রের পাল্লা অলওয়েজ এই ভদ্রমহিলার কাছে ভারী। ঠিক হলো, আমিও যাবো কাপড় পছন্দ করে দিতে আর বাইরের ভাল মন্দ খেতে। রেডী হয়ে এসে দেখি বারান্দায় চোখ মুখ কুঁচকে মাতৃদেবী আর তার পুত্রজান দাঁড়িয়ে আছেন। নীচে এক ভদ্রলোক বেশ আনন্দিত ভঙ্গীতে চলে যাচ্ছেন। ভাইয়া কষে একখানা গালিও দিলো। ব্যাপার কি? 

তখন বাসায় দস্তুর হয়ে গেছে, সবকিছু আমাকে না জানানো। আমি চিল্লাপিল্লা করবো, শান্তি ভঙ্গের দরকার কি? কয়দিনের জন্যে মাত্র যাই। কিন্তু কোন এক কারণে সেই মুহূর্তে আর লুকাতে পারল না, নীচে মিটার চেক করার লোক এসে ঈদের বখশীস কাম ঘুষ যে নামেই ডাকা হোক না কেন, ভাইয়ার ঈদের কাপড়ের টাকা নিয়ে চলে গেছে। ভাইয়া ঘুষ দেয় শুনে আমার অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম। আমি বললাম ইউ টু ব্রুটাস? ভাইয়া বললো, উপায় নাইরে গোলাম হোসেন। অনেক চেষ্টা করেছিলাম, একদিন এসে বলে মিটার বদলান, তারপর দিন এসে বলে রিডিং ঠিক না, তারপর দিন অফিসে ডাকে, চেক ঠিক না, সই ঠিক না এই ভং চঙ্গের মধ্যে দুইমাস চলে গেছে, তারপর আসে বিল বাকি বলে, লাইন কেটে দিতে। ভাইয়া বললো, এক বিল দেয়ার চক্করে আমার চাকরী যাওয়ার উপক্রম। এখন মাস কাবারী সেটেল বিজনেস। তারাও খুশি আমিও শান্তি। এদের এমন সিন্ডিকেট ওপর থেকে নীচ অব্ধি, তুই পারবি না কিছুতেই কুলাতে। পকেটে হাত না ঢুকিয়ে কোন উপায় নেই। শুধু আজকেরটা উপরি নিয়ে গেলো, ঈদ সামনেতো তাই।
২.
দেশে গেলে কিছু রুটিন বেড়ানো থাকে, দেখা করতে যাওয়া মুরুব্বীদের সাথে। যানজটের যা অবস্থা, তাতে বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো মুরুব্বীদের সাথে দেখা করতে যাওয়াও একটা অভিজ্ঞতা বটে। একদিন ঠিক হলো শুক্রবার খুব সকালে উঠে দূরের দেখাগুলো করে আসবো, জ্যাম শুরু হওয়ার আগে। তাই সকালে ভাইবোন মিলে বের হয়েছি। পান্থপথ এসে দেখি দুই সার্জন প্রত্যক গাড়ি, সিএনজি, হোন্ডা, বাস, ট্যাক্সি থামিয়ে কাগজপত্র সব পরীক্ষা করছেন, জরিমানা লিখছেন ঘসঘষ করে। আমি অবাক হয়ে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম, কিরে আজকে কি ট্রাফিক সপ্তাহ টাইপ কিছু নাকি? এই অবস্থা, সাত সকালে জ্যাম। মুখ তিতা করে ভাইয়া বললো, আরে কিসের ট্রাফিক সপ্তাহ। সকালে সার্জন ঘুম থেকে উঠছে, তার বউ ঝাড়ি দিছে, টাকা পয়সা কিছু নাই হাতে, শুক্রবার দিন শপিং যেতে পারছি না, তুমি কি করো? ব্যস, সার্জন এসে এখন লাগাইছে এখানে, দুই ঘন্টা পর পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে হাসিখুশি বউরে নিয়ে শপিং এ যাবে। মাঝখানে সবার ভোগান্তি। কার গাড়ির কি আছে না নাই তা ব্যাপার না, ব্যাপার হলো কার থেকে কতো খেতে পারবে।
৩.
এবার ঢাকা গেছি। বসুন্ধরা শপিং মলের একটু আগে প্রিমিয়ামের সামনে দুই সার্জন গাড়ি থামিয়েছে। ড্রাইভারের সাথে কথাকতি আর শেষ হচ্ছে না। ব্লু বুক নিয়ে মুখ চুন করে ড্রাইভার বেড়িয়ে গেলো আবার। ছোটবোন দেখি মোবাইলে ফেসবুক করে যাচ্ছে। আমি বার বার ড্রাইভার আর ছোটবোন দুজনকেই জিজ্ঞেস করলাম, সমস্যা কি? কেউই কোন উত্তর দেয় না। আমি বিদেশ থাকি, দেশের কি বুঝবো, ভাব তাদের। আমি গাড়ি থেকে নামতে চাচ্ছি বারবার কি ব্যাপার দেখার জন্যে। ছোটবোন মহাবিরক্ত হয়ে ধমক দিলো, চুপ করে বইস্যা থাকো। এমন মাসে দুই একবার ধরবেই। হাজার টাকা ফাইন দিয়ে ছেড়ে দিবে। কিন্তু ফাইন কেনো দিবে? ওদের ইচ্ছা দিবে আর নইলে এখন তুমি ক্যাশ পাঁচশো দাও, এমনিই ছেড়ে দিবে। আমি ভাবলাম যাই ক্যাশই দেই আবার আব্বুর থেকে তিনগুন নিয়া নিবোনে। যেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, জনাব সমস্যা কি? জনাব বললো, গাড়ির নাম্বার প্লেট ঠিক মাঝখানে লাগানো হয় নাই, একটু সাইডে চাপা, এটা সমস্যা। আমি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম, কিরে সত্যি নাকি? ড্রাইভার ভয়ে বললো, আপা সত্যিইতো মনে হচ্ছে, এতোদিনতো খেয়াল করি নাই, কিন্তু আমি স্যারকে বলছি, এখনি আপনাদেরকে নামিয়ে দিয়ে নাম্বার প্লেট ঠিক করে লাগাচ্ছি, স্যার শুনছে না, ফাইন দিচ্ছে। আমি জনাবকে বললাম, নাম্বার প্লেটতো আমরা লাগাই নাই, গ্যারেজ লাগিয়েছে, কিন্তু এটা কি ক্রাইম পর্যায়ে পড়ে? তিনি আমাকে অনেক কিছু বুঝালেন কেনো, গাড়ির নাম্বার প্লেট মাঝখানে থাকা আবশ্যক। আমি বললাম, ভুল হয়েছে এবং সে ভুল স্বীকার করে ঠিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাহলে সমস্যা কি? ব্লুক বুক আটকাচ্ছেন কেনো?

জনাব অনেককিছু ততোমতো বললেন যা আমার বোধগম্য হয়নি। দেখি ব্লু বুক ড্রাইভারকে দিয়ে সে অন্যদিকে হেঁটে চলে যাচ্ছে। আমি ভাবলাম, অন্য কাউকে ডেকে আনতে যাচ্ছে বা কিছু ব্যাপার। পুলিশ সম্পর্কে যা যা পড়ি পত্রিকাতে তাতে নিস্তার পাওয়ার আশা মনে রাখি নাই। ড্রাইভার এসে বলে, আপা গাড়িতে উঠেন। আমি বললাম, কথাতো শেষ হয় নাই, ওনি কই গেলেন, আসবেন। ড্রাইভার বলে, কথাতো শেষ, সার্জন চলে গেছে। আমি বুঝতেই পারলাম না কি হলো, চলে গেলো মানে? ভাইয়াকে অফিসে ফোন করে বললাম, নাম্বার প্লেট ঠিক জায়গায় লাগানো হয় নাই। ভাইয়া হাসে, এখনো সেই নাম্বার প্লেট ব্যঁকাই আছে কিন্তু পুলিশের চোখে হয়তো আর পড়েনি। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার আমার বীরত্বে খুবই খুশি হয়েছে, আপা পুলিশকে ভাগায় দিছে এই গল্প সেই পাড়াশুদ্ধ সবাইকে করেছে কিন্তু আমি এখনো জানি না পুলিশ কি কারণে আমাকে জবাব না দিয়ে বিদায় না নিয়ে চলে গেলো? 

৪. সেই সত্যযুগে একবার বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে কোলকাতা গিয়েছিলাম। বাস থেকে নেমে সবচেয়ে আগে পাসপোর্ট নিজের হাতে জমা দিয়েছিলাম। তখন নিয়ম ছিল, দালালের কাছে পাশপোর্ট জমা দিবেন, সাথে টাকা। তারা সব করিয়ে এনে আপনার হাতে দিলে আপনি ট্যাক্সি চেপে কোলকাতা যাবেন। ব্যাস, যা হওয়ার হয়ে গেলো। ভোর পাঁচটায় নিজের হাতে পাশপোর্ট জমা দেয়ার অপরাধে ফেরত পেয়েছি সকাল আটটায়। যখন বাংলাদেশ থেকে কাক-পংখী সব কোলকাতা পৌঁছেছে তখন আমাদের পাশপোর্ট ফেরত দিয়েছে। এর আগে পাশপোর্টে – ভিসায় চিরুনী তল্লাশী চালানো হয়েছে, কোথাও কোন ছিদ্র যদি পাওয়া যায় তাহলে বেয়াদপ ছেলেমেয়েগুলোকে আটকে দেয়া যায়। আমাদেরও গোঁ, যা করার কর কিন্তু ঘুষ দিবো না। তবে দেরীতে ফেরত দেওয়াও খারাপ কিছু হয় নাই। সকালে যেই ট্যাক্সি সাতশ টাকায় যেতো আর যাত্রী পাবে না তাই দেরী হওয়াতে সেই ট্যাক্সি চারশো টাকায় গেলো। দুইজোড়া নাগরা কেনার পয়সা বেঁচে গেলো। 

আসার সময় আরো মজার খেলা। যাই করেছি কিছু বাজার টাজারতো করেছি। স্যুটকেস প্রতি দুশো টাকা এমন একটি রেট ধার্‍্য্য করা আছে বাংলাদেশ কাস্টমসে। আমরা আরো উলটা হম্বি তম্বি, স্যুটকেস খুললে খুলেন, কি আছে দেখেন, রেখে দেন, টাকা নাই, দিতে পারবো না। এমন হই চই যে উলটা পার্টি তারা আরো আমাদেরকে কাইন্ড অফ এপোলজি দিয়েছে। 

৫. ব্যাঙ্কে বহু আগের আমলের একখানা হিসাব খোলা ছিলো। তার একটা বই খুঁজে পেয়ে গেলাম ব্যাঙ্কে খোঁজ নিতে। তিনারা পাথর মুখ করে জানালেন, দুই বছর লেনদেন না করলে বনলতা সেন থুক্কু হিসাব “ফ্রীজ” হয়ে যায়। আমি বললাম আমি দেশে থাকি না, আর পাস বইও খুঁজে পাচ্ছিলাম না, একাউন্ট নাম্বারতো মুখস্থ নাই। কিছুতেই তাহাদের মন গলে না। “ফ্রীজ” হিসাবকে “থ” করতে আমারে বহু লাল কার্ড দেখানো হলো। আমি সোজা ম্যানেজারের কাছে গিয়ে বললাম, আমার টাকা আমি নিবো, আপনি ব্যবস্থা করে দেন। ম্যানেজার আমার ডু অর ডাই ভাব দেখে, একজনকে ডেকে আনলেন। তিনি ব্যবস্থা করে দিবেন কিন্তু সময় লাগবে। আমি বললাম সময় নেই, আজকেই, যতক্ষণ লাগে। ম্যানেজার আমাকে শান্ত করলেন, আর একদিন আসতেই হবে। ওনাদের নিয়ম। আমার সাত বছর আগের হাতের লেখার সাথে এখনকার স্বাক্ষর মিলানোর প্রাণান্তকর পরিস্থিতি দেখে খুবই ভয় লাগছিলো, নিজেকেই স্বাক্ষর জালকারী চোর চোর মনে হচ্ছিল। ছবির ক্ষেত্রেও সেই একই দশা। এই পুলসিরাত পার হয়ে পরদিন টাকা ক্যাশ করতে গেছি, দেখি এই দশ হাজার টাকা ক্যাশ হওয়ার খবর সবাই জানে ব্যাঙ্কময়। সবাই আমারে ধরে, আপনি বিদেশ থাকেন, এই টাকা দিয়ে আপনি কি করবেন, আমাদেরকে দিয়ে যান আমরা মিষ্টি খাই। এতো মিষ্টি খায়, এদের ডায়বেটিস হয় না? আবার বলে, দুলাভাইরে নিয়ে আসলেন না কেনো? তাহলেতো এই টাকা নিয়ে আপনাকে যেতেই দিতাম না। খাইছে!!!!! আপার লগে দেখা নাই, দুলাভাই লইয়া টানাটানি।

তানবীরা
১৫/০১/২০১৩

Sunday 13 January 2013

যখন যা মনে পড়ে



প্রবাসীদের রেমিট্যান্স নিয়ে এতো উথাল পাতাল চলছে দেশে। সিআইপি / ভিআইপি কার্ড দেবার পায়তারা চলছে। কিন্তু কার্ড পকেটে ঝুলিয়ে যাবো কোথায়, হরতাল দিয়ে সব বন্ধ করে রেখে দিলে? বছরে পঁচিশ দিন ছুটি পায় লোকে। এই পঁচিশ দিন ছুটি নিয়ে দেশে এলে পনর দিন হরতাল। চোখের নিমিষে ছুটি ফুরিয়ে যায়, প্ল্যান অনুযায়ী কোন কাজ করা যায় না। ভিআইপি – সিআইপি কার্ড বাদ দিয়ে স্বাভাবিক ছুটি কাটানোর নিশ্চয়তা দেয় হোক প্রবাসীদেরকে। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনার উপায় কি?
  ১৩/০১/১৩

 ইউরোপীয়ান ছেলেরা যে পরিমান ভদ্রতা-নিষ্ঠা দেখায় (বিশেষ করে) বউ বা সঙ্গীর প্রতি, তাই যদি সত্যি হয় তাহলে এদের মধ্যে এতো ডিভোর্স হওয়ার কারণ কি!!!!
১৪/০১/১৩

Sharmee Hossain ইউরোপ/ আমেরিকায় বিয়ে একটা আইনি দলিল। একজন মানুষ যখন তার সম্পর্ককে আইনী স্বীকৃতি দেন, তখন তার যেকোন রকম ব্যতয় ঘটলে তা আইনের চোখে অপরাধ। ইউরোপে বিয়েকে সর্বোতভাবে প্রটেক্ট করে রাষ্ট্র।একজন বিবাহিত মানুষ অন্যযেকোন সম্পর্কে জড়িয়েছেন তা প্রমান হলে তার চাকরি চলে যেতে পারে, সম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে পারে, পিতৃত্ব/মাতৃত্ব অধিকার খর্ব হতে পারে, বা বিচ্ছেদের পরে সারাজীবন প্রচুর টাকার এলিমনি দিতে হতে পারে। বিয়েতে Loyal থাকাটা তাই একভাবে প্রায় বাধ্যতামূলক। আর সামাজিক Hang-ups নাই বলে, বিয়ে কাজ না করলে তা ভেঙ্গে দেয়াটাই সুবিধা।

অন্যদিকে বাংলাদেশে বিয়ে আইনী দলিল হলেও সেটাকে মূলত প্রটেক্ট করে সমাজ। বিয়েটা কাজ না করলেও লোকলজ্জা, সামাজিক মূল্যবোধ, পারবারিক চাপ ইত্যাদির কারনে বিয়েতে থেকে যেতে হয় মানুষের। বিবাহবিচ্ছেদ গ্রহনযোগ্য না বলে তলে তলে চলে প্রচুর বিবাহবহির্ভূত পরকীয়া সম্পর্ক।
Humayun Chowdhury High divorce rate in west, clearly it is a far-fetched issue. Many studies suggest that the factors of age, education, and income seem to play a significant role. Lack of forgiveness can be observed among the new couples thus break up. More importantly, most western countries have individualistic mind set-up, while less developed countries have collectivistic societal structure which indeed creates a sort of collective protection. FYI - to those who mentioned: I do not agree that the Bengalis are emotional, have you looked at the statistics?



ছোট ছোট পায়ে পায়ে দেখো না (চাই চাই)

মানুষ জন কোথায় যায় বলো না

বরফের ওপর দিয়ে হাঁটে তারা (চাই চাই)

এমন সময় তাদের পিছু ডেকো না।
  

পিঁছু ডাকা অলুক্ষণের লক্ষণ (চাই চাই)

বরফের ওপর হবে পপাতধরনীতল

বরফপানি খেলা অনেকে জমেছে (চাই চাই)
ছড়া কেটে কেটে কষ্ট কমেছে।   



তাবত গুনীজনদের বিজ্ঞ আলোচনা থেকে শিখলাম পৃথিবীর সমস্ত “শালীনতা” মেয়েদের ওড়নায় অবস্থান করে।  



এফবি সামারি, সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধী কে? শেখ মজিবুর রহমান আবার কে? ঐ ব্যাটাইতো দেশে যুদ্ধ লাগাইছিলো। কাদের মোল্লা, বাচ্চু, গো আজম, দেইল্লা, সাকা, ভুট্টো, ইয়াহিয়া সব আছিলো মিলেমিশে ভালো। শেখের ব্যাটা লাগাইলো গোল, করলো সব কালো। স্বাধীনতা দাবীর অপরাধে বঙ্গবন্ধুর মরনোত্তোর ফাঁসি চাই। আর সাথে কবর থেকে তুলে আর সকল শহীদদেরকে তুলে ফাঁসি দেয়া হোক, যুদ্ধে গেছিলেন ক্যান আপনারা? আর কোন কাম ছিলো না? ০৭-০২-২০১৩
 
ভদ্র ভাষায় কাউকে গালি দেয়ার কায়দাটা কি? মানীর মান রক্ষা করে এমন গালি কোনগুলো? “কুত্তার বাচ্চার” ভদ্র ভার্সন কি কুকুরের পুত্র নাকি কুকুরে কন্যা কিংবা কুকুর সন্তান?

25/08/2013

জাতি আজকে আর এক ঐতিহাসিক জন্মদিনের কেক খাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো, ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনা নিহত হলে তারেক জিয়া তার জন্মদিন পালন করতেন আজ।

21/08/2013

প্রচলিত আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা, আইনকে নিজের প্রয়োজনে যথেচ্ছ ব্যবহার, রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্যায়কারী আর খুনীদের প্রশ্রয় ও লালন পালন, দেশকে এ অবস্থায় নিয়ে গেছে যে জনসাধারনের কাছে তুচ্ছ কারণে কাউকে খুন করে ফেলা একটি সাধারন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে একজনের চেহারা আর একজনের ভাল না লাগলে খুন করে ফেলছে। পুলিশ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের খুনের ঘটনায় এই উপলব্ধি হলো। সাগর রুনি থেকে বহু অন্যায়েরই প্রতিকার হয়নি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি, বরং অপরাধীদের আড়াল করতে বহু নাটকের আশ্রয় নেয়া হয়েছে যার ফলাফল আজকের আগামীকালের অসংখ্য খুন...... বিচারের বানী চিরদিন এইভাবে নিভৃতেই কাঁদবে ..............................

16/08/2013




যতোবার উঠে দাঁড়াতে চেয়েছি ঠিক ততোবার মুখ থুবড়ে পড়েছি


লিখতে হলে পড়তে হবে


গল্প লেখার জন্যে গল্প শোনা খুবই জরুরী (16.09.2013)


রোদ তাপ তখনই উপভোগ্য হয় যখন কেউ শীতের বেলা পেরিয়ে আসে (২৬.০৯.২০১৩)

শীতবেলার আনন্দ রোদ আর তাপ
অকৃপন সূর্য মেলেছে আজ ঝাঁপ 
মেঘ এসে মেলে দেয় ডানা
আলো ছায়ার খেলা চেনা অচেনা




কথায় আছে মেয়েরা বাপের বাড়ির দিক টানার জন্যে “চাঁদ”কে চাচা না বানিয়ে মামা বানিয়েছে। বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর সময় “চাঁদ” চাচা না বলে “চাঁদ” মামা বলে মায়েরা। কিন্তু “মামা” হোক আর “চাচা” হোক, বোঝা যাচ্ছে চাঁদ পুরুষ জাতির প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। তাহলে কবিরা কেন “চাঁদের” মুখে প্রেমিকার প্রতিচ্ছবি দেখেন?! প্রেমিকার সৌন্দর্যকে “চাঁদের” সাথে তুলনা করে কবিতা লিখেন?! ব্যাপারটা কেমন কেমন না? মানে একটু সেইম সাইড হয়ে গেলো না। ১১.১০.২০১৩


মানডে মর্ণিং এক কঠিন বস্তুর নাম। 
সকালে রাজকণ্যা মোচরা মুচরি করিয়া তাহার মাতে কে কহিলো, “মা, আমার “সমস্যা” হইয়াছে।
মাতে তাহার কন্যের মুখে বাংলা ভাষায় শুদ্ধ উচ্চারনে “সমস্যা” শব্দটি শুনিয়া চমকৃত হইলো। কন্যে প্রবাসে থাকিয়া এইরুপ কঠিন বাংলা ভাষা কবে শিখিলো? 
মাতে অবাক হইয়া প্রশ্ন করিলো “সমস্যা” কি তুমি তাহা জানো কণ্যে? 
কন্যে অনেকক্ষণ ভাবিয়া কহিলো, তুমিতো প্রায়ই বলো মাতে
মাতে হাসিয়া কহিলো, তাই নাকি?
সে অনুমান অনুভব হইতে কহিলো, সমস্যা মানে কি তাহা হইলে “পেইন” হইতে পারে?
মাতে কহিলো, তোমার কোথায় পেইন কন্যে?
কন্যে হালে পানি পাইয়া মুখখানি যতোসম্ভব কালো করিয়া কহিলো, পদ যুগলে
মাতে কহিলো, ঠিক আছে তুমি কষ্ট করিয়া বিদ্যালয়ের জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করো, তোমাকে মোটরযান দিয়া পৌঁছাইয়া দেয়া হইবে, পদযুগল “পেইনের” সঙ্কেত পাইবে না

কন্যে তুমিতো জানো না তোমার মাতে প্রাইমারী পড়িয়াই আজকের অবস্থানে আসিয়াছে। প্রায় প্রায় তিরিশ বছর পূর্বে সেও তাহার মাতের সহিত এইসব ইঁদুর বিড়াল (টম এন্ড জেরী) খেলিয়াছিল

History repeats itself and that fills some color in the gloomy grey Monday morning (৩০-০৯-২০১৩)




ধর্ম নিরপেক্ষ বা ধর্মহীন বলে দাবী করা মানুষেরা যখন সমানে “শুভ বিজয়া” কিংবা “ঈদ মুবারক” জাতীয় স্ট্যাটাস দেন তখন আমার মনে দ্বন্ধ আসে। এটা কি প্রকারান্তরে ধর্মেরই প্রচার নয়?! (১৪-১০-২০১৩)

শান্তি না থাকলে মনে, হজ্ব করলে কি হবে? (১৭-১০-২০১৩)

সতের কোটি সন্তানের হে বংগ জননী, রেখেছো ছাগু করে বাংগালী করোনি (১৫-১০-২০১৩)



যতোক্ষণ ইচ্ছে ঘুমাবো, তারপর রোদের কনা আলতো করে চোখ ছুঁয়ে দিয়ে আপনা থেকে চোখ খুলে যাবে। জেগে পাশে পাবো ধূমায়িত এক মগ সবুজ চা আর সাথে ল্যাপটপ, ফেসবুকে ঢুকে অন্যদের স্ট্যাটস পড়বো  .........

দুপুরে বিছানায় গড়াবো, হাতে সুচিত্রা মিত্র কিংবা বানী বসু। পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বো আবার ঘুম ভেঙ্গে কোথায় পড়ছিলাম খুঁজে নিয়ে আবার পড়তে শুরু করবো

গোঁধূলি বেলায় রবীন্দ্রসরোবরে বসে ফুচকা চটপটি কিংবা রহমানের বোটি কাবাব খেতে খেতে পাশ দিয়ে সদ্য প্রেম হওয়া তরুন তরুনীদের হাতে হাত ধরে সসঙ্কোচে হেঁটে যাওয়া দেখবো কিংবা এখনো প্রেম হয়নি কিন্তু হবে হবে করছে এমন তরুন তরুনীদের গালে শেষ বিকেলের আলো, সাথে খোলা গলার উদ্দাত্ত আবৃত্তি কিংবা গান

রাতে থাকবে না ইলেকট্রিসিটি, ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রিয় ঢাকা। বারান্দার মোজাইকে পা ছড়িয়ে বসলে গরম লাগে না তেমন, সেখান থেকে বাইরে তাকালেই জোনাকি পোকার জ্বলা – নেভার খেলা। দূরে দূরে হুশহুশ গাড়ি ছুটে যাওয়ার শব্দ আর একাকী এই আমি ........................ (15/11/2013)



ভুলভুলাইয়া আবার প্রমান করলো “কর্তার ইচ্ছায় কর্ম”।
তাদের নিজের কোন বোলবালা নাই

আপা বাংলাদেশের জনগনের ওপর তথা নিজের সুশাসনের ওপর আস্থা রাখতে পারেন নাই।

“গনজাগরন” মঞ্চের মতো অরাজনৈতিক একটা প্ল্যাটফর্ম থাকার কোন বিকল্প নেই

পরিশেষেঃ

শেষ বেলায় আপা “চাল”টা চেলেছেন মারাত্বক, ভাবীকে ঘায়েল করে ছেড়ে দিয়েছেন। যারা বলতেন “আপা” রাজনীতি বুঝেন না, সবসময় “ভাবী”র কূটনামী চালের কাছে ধরা খান, তারা এবার বাক্যরহিত। আপোষহীন ভাবী এবার নিজ থেকে শ্বশুরের ভিটেতে পা দিলো

এতোদিন “ভাগিনা” কোট গায়ে ভাষন দিছে এখন “ভাতিজা” সানগ্লাস পরে ময়দানে নামবে

সাবাশ – বাজাও তালিয়া – চলিতেছে নতুন সিনেমা “ননদ-ভাবী” (১৯/১১/২০১৩)

******************************************************************************


আমাকে কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন দেশের এমন ক্রান্তিকাল, ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আমার কোন
বক্তব্য নেই, কোন নোট নেই, লেখা নেই, আমি এ ব্যাপারে একদম নিশ্চুপ, এমনটি তারা আমার
কাছ থেকে আশা করেন নাই।

আমি আসলে এতো কর কর করি সব ব্যাপারে যে আমার শুভাকাঙ্খীরা, বন্ধুরা আমাকে চুপ
দেখলে হয়তো কনসার্নড হয়ে যান, আমি বুঝতে পারি। তাদের শুভকামনা আমি প্রতিনিয়ত
অনুভব করি, আমি অন্তর থেকে কৃতজ্ঞ।
Description: https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
  
আমার কথাঃ


দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই, কোন বক্তব্য আসার
কোন সম্ভাবনাও নেই।


যবে থেকে জন্মেছি এই দেশে তখন থেকেই আজ প্রায় চল্লিশ বছর আমি এই পরিস্থিতিতেই অভ্যস্ত। আজকে যদি জ্বলন্ত বাসে আমার বাড়ির কেউ পুড়ে যায়
আমাদের দূর্ভাগ্য, নাবিলা পুড়ে মারা গেলে তার কপাল, সেঁজুতি পুড়ে গেলে তার নসীব। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকেই ছিল, আছে, কোন পরিবর্তন নেই, ছিল না, আসবে না। প্যালেষ্টাইন সমস্যার মতো সমাধানের অযোগ্য সমস্যা এটি। দাদা ভুগেছিলেন, বাবা ভুগেছে, আমি ভুগছি, আমার মেয়ে, নাতনীও ভুগবে। জন্মেছি বাংলাদেশে – ভুগে তার শোধ দিতে হবে।


জনগন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন, আমাদের চরিত্রের প্রতিফলন আমাদের নেত-নেত্রী বৃন্দ। যেমন নির্বাচন করি তেমনই ফল ভোগ করি। পুড়ে মরার জন্যইতো আমাদের জন্ম। আমি যেহেতু ভবিতব্য মেনে নিয়েছি, এই হচ্ছে আর এই হবে তাই আমার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। কোন বিষয়ে অভ্যস্ত হওয়ার জন্যে চল্লিশ বছর কী যথেষ্ঠ সময় নয়?

যারা ভাবছেন এটা একটি প্রবাসী এস্কেপিষ্ট স্ট্যাটাস তাদের করজোরে মিনতি করে বলি, ঢাকার রাস্তায় আমার বৃদ্ধ বাবা চলেন, তাঁর হাঁটুতে বাতের ব্যাথা, কোন পরিস্থিতিতে দৌড় দিয়ে সরে যাওয়ার মতো শারীরিক সামর্থ্য তাঁর নেই। আমি তার অংশ। আমার ভাইয়ের ছেলে বোনের ছেলে স্কুলে যায় তারা আমার আমাদের শরীরের অংশ। রাস্তায় গাড়ি পুড়েছে বা বাস পুড়েছে শুনলেই প্রথমে মনে হয়, তারা নিরাপদে আছেনতো? তাদের কেউ সেখানে ছিলোনাতো?। বাসে আমার ভাই ছিলোনাতো, সিএঞ্জিতে আমার বোন ছিলোনাতো? আমি হয়তো প্রবাসী কিন্তু আমার বাকী অন্তর আর শরীর সবটাই দেশী। সবাই আমরা প্রবাসে থেকেও জ্বলছি পুড়ছি ঠিক আপনাদের মতোই।


মনে মনে সদা প্রার্থণা করি, “ও আমার ষোল কোটি ফুল দেখোগো মালী, শক্ত হাতে বাইন্ধো মালী লোহারও জালি” কে সে মালী আর কোন সে মালীর কাছে আমার প্রার্থণা সে আমি নিজেও জানি না। একজন অক্ষম মানুষের এটা হলো অসহায় সমর্পণ (০৫/১২/২০১৩)





অতি সাধারণ কিছু যা সহজে পেয়ে যাই

তা আনমনে নিতান্ত অবহেলায় হারিয়েও ফেলি

এই পাওয়া কিংবা হারানো কোনটাই জীবনে “অর্থবহ বা গুরুত্বপূর্ন” ঘটনা নয় ...... বয়ে চলা জীবনের গতানুগতিকতা, বেদনা শুধুই “সোনার হরিণ”এর তরে



আমি জানি, ভালো করেই জানি, কিছু অপেক্ষা করে নেই আমার জন্যে; কোনো বিস্মৃতির বিষন্ন জলধারা, কোনো প্রেতলোক, কোনো পুনরুত্থান, কোনো বিচারক, কোনো স্বর্গ, কোনো নরক; আমি আছি, একদিন থাকবো না, মিশে যাবো, অপরিচিত হয়ে যাবো, জানবো না আমি ছিলাম।
নিরর্থক সব পূণ্যশ্লোক, তাৎপর্যহীন প্রার্থনা, হাস্যকর উদ্ধত সমাধি; মৃত্যুর পর যেকোনো জায়গাই আমি পড়ে থাকতে পারি,- জঙ্গলে, জলাভূমিতে, পথের পাশে, পাহাড়ের চূড়োয়, নদীতে। কিছুই অপবিত্র নয়, যেমন কিছুই পবিত্র নয়; কিন্তু সবকিছুই সুন্দর, সবচেয়ে সুন্দর এই নিরর্থক তাৎপর্যহীন জীবন।
অমরতা চাইনা আমি, বেঁচে থাকতে চাইনা একশো বছর; আমি প্রস্তুত, তবে আজ নয়। চলে যাওয়ার পর কিছু চাই না আমি; দেহ বা দ্রাক্ষা, ওষ্ঠ বা অমৃত; তবে এখনি যেতে চাইনা; তাৎপর্যহীন জীবনকে আমার ইন্দ্রিয়গুলো দিয়ে আমি আরো কিছুকাল তাৎপর্যপূর্ণ করে যেতে চাই। আরো কিছুকাল আমি নক্ষত্র দেখতে চাই, নারী দেখতে চাই, শিশির ছুঁতে চাই, ঘাসের গন্ধ পেতে চাই, পানীয়র স্বাদ পেতে চাই, বর্ণমালা আর ধ্বণিপুঞ্জের সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই। আরো কিছুদিন আমি হেসে যেতে চাই।
একদিন নামবে অন্ধকার- মহাজগতের থেকে বিপুল, মহাকালের থেকে অনন্ত; কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার আগে আমি আরো কিছুদূর যেতে চাই। ঃ আমার অবিশ্বাস - হুমায়ুন আজাদ


প্রবাসীরা তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়মিত টাকা পাঠাবেন, টেলিফোন করে তাদের খোঁজ খবর জানবেন, সুখে দুঃখে পাশে থাকবেন। কিন্তু সংসারের কোন ব্যাপারে মতামত দিতে গেলে শুনতে হবে, তুমি বিদেশ থাকো, দেশের পরিস্থিতি জানো না। অন্য কথায়, তুমি কী বোঝ, চুপ থাকো।

ফেসবুকে দেশের কিংবা সমাজের কোন বিশেষ ঘটনা বা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে স্ট্যাটাস দিলে কিংবা লিঙ্ক শেয়ার করলে যারা এর সাথে দ্বিমত পোষন করে তারা এসে নিজ দায়িত্বে জানিয়ে যায়, বিদেশ থেকে দেশের জন্যে কী করছো? বড় বড় কথা বলো, পারলে দেশে আসো কিছু কইর‍্যা দেখাও।

সবিনয় নিবেদন এই যে, দেশে থাইক্যা দেশের মানুষজন দেশের জন্যে যা করে, বিদেশীরা বিদেশ থেকে দেশের জন্যে সেইম টু সেইম করে। আপনারা যেমন দেশে থেকে ফেসবুকে বিপ্লবী স্ট্যাটাস দিয়ে দেশ পরিবর্তনের আশা করেন, প্রবাসীরাও তাই করে। প্রবাসীরাতো আপনাদের আক্রমন করে বলে না, আপনারা সবাই মাঠে নামেন না কেন, নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে স্ট্যাটাস দেন, কেনু কেনু কেনু? 22.02.2015


“জীবনটা তো সরল সমান্তরালরেখায় সাজানো নয়। এর অধিকারী আমি সন্দেহ নেই, কিন্তু গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করেন – কি বললেন আল্লাহ, পাগল হয়েছেন! বাঙালি মেয়ের জীবন পরিচালিত হবে আল্লাহর নির্দেশে! তাহলে এদেশের মৌলবী মওলানারা তো বেকার হয়ে থাকবেন, আর রাজনীতিবিদরাই বা চেঁচাবেন কি উপলক্ষ করে? না এসব আমার মতামত, অভিযোগের নিজস্ব বাঁধা আটি নয়।“ ------ আমি বীরাঙ্গনা বলছি ঃ নীলিমা ইব্রাহিম



ডিপ্রেশনের বাংলা নাকি নিম্নচাপ ?
বৃষ্টি এল। সঙ্গে কফি এক-দু' কাপ
নামছে বিকেল, অল্প ভিজে রাস্তাঘাট
ছাতার নীচে মিইয়ে গেল পাপড়ি চাট
বন্ধুরা সব ফিরছে বাড়ি দূর থেকে...
কেন যে আজ হিংসে হল তাই দেখে,
দেখতে গিয়ে সন্ধ্যে হল জানলাতেই
আগের মত মেঘ করেছে ... কান্না নেই
কেবল মুঠোয় বন্দি কফির একলা কাপ
ডিপ্রেশনের বাংলা জানি । মনখারাপ ।
ডিপ্রেশনঃ কবি শ্রীজাত





এইভাবে সবকিছু একদিন গল্প হয়ে যায়।

জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা...'


........সকলের ভেতরেই বোধহয় এইরকম আরো একটা আলাদা সংসার পাতা থাকে, সেখানে সে তার খেলার পুতুলের জন্য নিজের যথাসর্বস্ব দ্যায়, এক টুকরো ভাঙা কাচের জন্য বুক ভরে কাঁদে, নিছক কাগজের নৌকা ডুবে গেলে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়...। মাহমুদুল হক (কালো বরফ)



স্রষ্টা যদি সর্বজ্ঞানী, সর্বদ্রষ্টা ও সর্বশক্তিমান হয়ে থাকেন, তবে তাঁর প্রেরিত গ্রন্থ এত আঞ্চলিকতা ও বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ কেন? পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের মানুষ, যাঁরা বাস করে সুদূর দূরে, যাঁরা এ নতুন অবতীর্ণ হওয়া স্রষ্টার অগোচরেই বিশাল বিশাল নগর-সভ্যতা-সংস্কৃতি সৃষ্টি করে চলেছেন হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকেই, তাঁদের কি আর নতুন করে নতুন স্রষ্টার দরকার আছে? যদি এ নতুন স্রষ্টাকে ছাড়াই এত কিছু ঘটে যেতে পারে, তবে তাঁকে এক, অদ্বিতীয়, সর্বজ্ঞানী, সর্বদ্রষ্টা কিংবা সর্বশক্তিমান বলবেন কোন্ যুক্তিতে?



ইসলাম ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় গ্রন্থটির কোথাও কিন্তু মুসলিম,ইহুদি,খৃষ্টান বা বিধর্মী কাফের (মূলত যাঁরা সে সময়ে আরবে মূর্তিপূজক)ব্যতিত অন্য কোন সম্প্রদায়, অন্য কোন দেশ-কাল-স্থান, অন্য কোন সভ্যতা-ইতিহাস-সংস্কৃতি-কৃষ্টি-ঐতিহ্য কিছুরই উল্লেখ নেই। এমনকি সে সময়ে আরবের অনতিদূরের সভ্যতার কথাও উল্লেখ নেই। উল্লেখ নেই ভারতবর্ষের কথা। উল্লেখ নেই ইউরোপ কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার কথাও। (ভজন সরকার)


ঢাকা শহরের মানুষের মানসিকতা আজকাল তাদের বসবাস করা এপার্টম্যান্টের বারান্দার মত।

শোনা যায়, বর পিএইচডি, মাল্টিন্যাশনালে কাজ করে। বউ এমবিএ, বিদেশী ফার্মে আছে।

সামাজিক সচেতেনতা, দায়িত্ববোধ, নৈতিকতা নিয়ে কথা বলতে যাবেন, আশা করবেন, সব ভোজবাজি। তাদের স্বার্থের জায়গাটুকু ছাড়া আর কোন দিকের জন্য সময় বা আগ্রহ নেই, ভাবনা তো নেই।

ঠিক যেমন, ধানমন্ডি – বারিধারাতে দুই কোটি টাকা দিয়ে কেনা দু হাজার স্কোয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের বারান্দার মত। কোন মতে গা গলিয়ে গামছা রোদে মেলা যায়, দোলনা পেতে দোল খাওয়ার কোন সুযোগ তাতে থাকে না।


দিন দিন সব সরু হয়ে হয়ে একদিন হয়ত আলো হাওয়া খেলার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। মনেও – বাড়িতেও। কৃত্রিমতাই হয়ে দাঁড়াবে জীবনের চরম সত্যি।