Thursday 18 June 2015

অভিমান নাকি নিস্পৃহতা

দিনের পর দিন কারো সাথে কথা না বললে কী হয়
মনের মধ্যে আর কোন গল্প জমে না
কারো জন্যে কোন অপেক্ষা থাকে না।
সবকিছুতেই কী একটা অদ্ভূত নিস্পৃহতা
আকাশে বড় একটা চাঁদ উঠলে মনে হয়, কী যায় আসে
ভরা পূর্ণিমায় পৃথিবীর গাছপালা হেসে লুটিয়ে পড়লে মনে হয়, বয়েই গেলো তাতে।
রঙিন ফুলে প্রজাপতির ওড়াওড়ি খানিকক্ষণ চুপটি করে দেখার পর
হয়তো অজান্তেই মৃদু নিঃশ্বাস বেড়িয়ে যায়
কিন্তু কী অদ্ভূত জানো
এই নিঃসঙ্গতার মধ্যে অন্য একটি মাদকতা আছে।
কাউকে ছুঁয়ে না ছুঁয়ে থাকার অন্যরকম ভাললাগা
যার নাম জানা যায় না, যার আসলে কোন নাম নেই।


কল্পনা করতে ভাল লাগে, আচ্ছা কেউ থাকলে কী হতো?
মনের মধ্যে নিশ্চয় কথার ঢেউ বুদবুদ ফুটাতো
সারাদিনের সারাবেলার অর্থহীন টুকিটাকি তাকে হয়তো জানাতে ইচ্ছে করতো
তার গলা জড়িয়ে ধরে কী লুটিয়ে পড়তাম?
সে কি এই আকুলতা অনুভব করতে পারতো?
নাকি বিরক্ত হয়ে বলতো, থামাওতো বকবক, সারাক্ষণ শুধু বকবক।
গোটা দিনের জাগতিক যুদ্ধ আর সারা পৃথিবীর কাঠিন্য যাকে ছুঁতে পারেনি
হয়তো তার এই সামান্য কথায় কী সে ভেঙে যেতো চুরচুর হয়ে?
দুচোখে কি অভিমানের কুয়াশা মেঘ করে নামতো? 


তার চেয়ে কথারা হারিয়ে যাক নয়তো কথারা বরং দূরে থাক
কথারা কেঁদে ঝরে পড়ুক অক্ষরমালা হয়ে আকণ্ঠ খাতা জড়িয়ে
না বলা কথারা না হয় মনেই গেঁথে থাকুক খেই হারিয়ে  
দ্রুত বহু দ্রুত কাটে জীবনের প্রহর কী লাভ বলো আর কথা বাড়িয়ে

তানবীরা
১৭/০৬/২০১৫