Wednesday 20 July 2011

সাবধানতাঃ সন্তানের জন্যে

আকিদার অঞ্জলি পেতেছি, জল দাও লেখাটা রোজ প্রায় একবার খুলি। কিছুদূর পড়ি কিন্তু পুরোটা পড়তে পারি না, মনটা অন্যকোথাও ঘুরতে থাকে। অনেককিছু অনেকভাবে মনে পড়ে একসাথে। নিজের কথা, মায়ের কথা, বন্ধুর কথা। প্রায় প্রতিদিন ভেবে চলেছি কিছু একটা লিখি, কিন্তু আমি এতো আবেগপ্রবণ যে কি লিখবো সেটাই গোছাতে পারছি না। লিখতে চাই অনেক কিছুই কিন্তু কোথা থেকে যে শুরু করি। আবেগটাকে সরিয়ে কিছু বাস্তব সমস্যার ওপর আলোকপাত করার চেষ্টা করবো আজকে। নিজের সম্বন্ধে সর্তক থাকা কিংবা সচেতন হওয়া একটা খুব জরুরী বিষয় জীবনে। অনেক খেয়ে খেয়ে হার্ট নষ্ট করে কিংবা ডায়বেটিস বানিয়ে তারপর সর্তক হলে, নিয়ম মেনে চললে কি হবে? আগেই সর্তক হই। তাহলে হয়তো ক্ষতি কম বা ক্ষতি নাও হতে পারে। সর্তকতা অনেক বিপদ এড়াতে সাহায্য করে। সেই দৃষ্টিকোন থেকে এ লেখাটির প্রয়াস। বাবা মা হিসেবে নিজের সন্তানকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আসুন সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব করি। তার সমস্যা তার জীবনটা বোঝার চেষ্টা করি। তার সুবিধা অসুবিধার মূল্য দেই।

সে কাকে বন্ধু হিসেবে চায়, কাকে চায় না সেখানে নিজের মতামত না দিয়ে তার কাছ থেকেই কারণটা বুঝতে চেষ্টা করি। কেনো সে কোন নির্দিষ্ট বন্ধুর সাথে খেলতে চায় না? সেকি খেলতে গিয়ে আমার সন্তানকে শারীরিকভাবে (Bully) আঘাত করে কিংবা এমনকিছু করে যাতে আমার বাচ্চাটি তাতে অস্বস্ত্বি বোধ করে? হয়তো একই বয়সি বাচ্চা কিন্তু অন্য বাচ্চার বিশেষ স্থানে হাত দেয় যেটা অন্যের অস্বস্ত্বির কারণ হয়? সে হয়তো ক্লাশের কিংবা স্কুলের সেরা কিন্তু আমার সন্তানকে কি সবার সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে? কোন নির্দিষ্ট শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকার সাথে কি আমার সন্তান অস্বস্ত্বিতে থাকে? তাকে ভয় পায়, পেলে কেন? আগের দিনে শিক্ষককে ভয় পাওয়া একটা স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল কিন্তু আজ নয়। আজ শিক্ষকের সাথেও বন্ধুত্ব নাহোক একটা কমফোর্ট লেভেল থাকাটা শিক্ষার জন্য একান্ত জরুরী বলে মনে করা হয়। ভালো শিক্ষকটি আসলে মানুষ হিসেবেও ভালো কীনা, সন্তান তার কাছে নিরাপদ কীনা সেটাও দেখার বিষয়। সন্তানটি কিসের মধ্যে দিয়ে সারাটিদিন যায় সেটা জানাও আমাদের কর্তব্য। তার মানসিক গতি প্রকৃতি কোন ধারায় বইছে বাবা মা যদি সেটি না জানবেন, তার মূল্য না দিবেনতো কে দিবে আর? গতি প্রকৃতি সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্যেই সন্তানের স্কুলের সাথে যোগাযোগ রাখা, সন্তানের বন্ধুদের সাথে মেশা, সন্তানের সাথে সময় কাটানো একান্ত জরুরি। সন্তানের বন্ধুদের বাবামায়ের সাথেও সামাজিক মেলামেশা সন্তানকে সঠিক পথে রাখতে সহায়তা করে। এক বন্ধু যদি সমস্যায় পরে, অন্য বন্ধু সাহায্য করতে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই বন্ধুটি কি করছে, তার পরিবারের ভিতরটা কতোটা সুস্থির সেটাও সন্তান মানুষ করতে অপরিসীম ভূমিকা রাখে।

আমাদের দেশে এখন কোএডে পড়াশুনা করা, ছেলেমেয়েরা একসাথে চাকরি করা স্বাভাবিক ব্যাপার। এর বাইরেও আড্ডা, ব্লগ, ফেসবুকিং কাধে কাধ মিলিয়ে করছে সবাই। মেয়েরা জীন্সটিশার্ট পরে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেমন ছেলেরাও কানে দুল, হাতে ব্রেসলেট পরছে। এগুলোকে আজকাল আর কেউই অন্যায়ের দৃষ্টিতে দেখছে না। সময়ের সাথে সাথে আমাদের মানসিকতায় সামান্য পরিবর্তন এসেছে। ছেলেমেয়েদের দ্রুত কাছে আসার সুযোগ অনেক ভালোর সূচনার সাথে কিছু ঝামেলাও বয়ে আনছে বইকি। তাই প্রয়োজন সচেতনতার। আত্মসচেতনতা একটা ভীষন জরুরি ব্যাপার। আগে মায়েরা তার নিজের কন্যার পিরিয়ড হলে সেটা নিয়ে মেয়ের সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে লজ্জা পেতেন কিন্তু আজকের দিনে তা বদলেছে। আধুনিক মায়েরা মেয়েদের এই সময়ের করনীয়, সাবধানতা অনেকভাবে গুছিয়ে বুঝিয়ে দেন। পিরিয়ড নিয়ে আজো দেশে অনেক লুকোচুরি করা হয়। লুকিয়ে রাখতে হবে যেন বাড়ির পুরুষরা কেউ না জানে, কারণ এটা খুবই একটা লজ্জার ব্যাপার। আসলে কি এটা একটা লজ্জার ব্যাপার? এটা একটা মেয়ের জীবনে চরম স্বাভাবিক প্রকৃতি প্রদত্ত ব্যাপার। বরং না হওয়াটাই অস্বাবাভিক। তাহলে কেনো এতো ঢাক ঢাক গুড় গুড়? এই ঢাক ঢাক গুড় গুড়ের ফলশ্রুতিতেই একটা মেয়ে তার চরম বিপদের মুহূর্তে মায়ের কাছে দৌড়ে যেতে পারে না। সেজন্যেই মা-বাবা আর সন্তানের আরো অনেক কিছু নিয়ে আজ খোলামেলা আলোচনা সময়ের দাবী, একান্ত প্রয়োজন।

পরিমলের ঘটনাটা বিচার করলে একটা প্রশ্ন আমার প্রথম মনে আসে, সেটা হলো, মেয়েটা ঘটনাটা প্রথমবার চেপে যায় পুরোপরি!!! কি করে সম্ভব এটা? এতোবড় দুর্ঘটনা, তাও এ বয়সে!!! পনর বছরের মেয়ে একদম শিশুতো আর না যে কি হয়েছে সে বুঝতে পারছে না। দ্বিতীয়তঃ সে প্রথম এটা তার মায়ের সাথে আলাপ না করে, করেছে বন্ধুদের সাথে!!! সেকি তার মায়ের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি? তার কি তাহলে মনে হয়েছে তার কষ্ট বন্ধুরা বুঝবে, মা বুঝবে না? কতোবড় শাস্তি একটা মেয়ের জন্যে এটা? তাই পশ্চিমের মতো আমাদের দেশেও আজকাল মায়েদের তার সন্তানের সাথে সেক্স নিয়ে প্রাইভেসী নিয়ে কথা বলা অনেক জরুরী। বাবারও এ ব্যাপারে অনেক উদার ভূমিকা থাকা প্রয়োজন কিন্তু আমাদের সমাজব্যবস্থা আর সংস্কৃতিতে, মেয়েদের সাথে মায়েদেরই এই আলাপগুলো কিছুটা হয়ে থাকে, বাবারা সাধারণত অনেক দূর থেকে এড়িয়ে যান বিষয়গুলো। অনেক ছোট বয়স থেকেই ছেলেমেয়েকে গোসলে নিয়ে যখন সারা গায়েতে সাবান মাখা হয় তখন খেলার ছলেই ছেলেমেয়েকে বলে দেয়া যায়, কি কি তার শরীরের প্রাইভেট পার্ট, এবং সেখানে কারো ছোয়া নিষেধ। কেউ ছুয়ে দিলে, ব্যাথা দিলে সবার আগে সে যেন তার মায়ের কাছেই দৌড়ে আসে। ছুয়ে দিলে কি কি হতে পারে তাও সিন্ডারেলার গল্পের মতো শুনিয়ে শুনিয়ে তার মাথায় গেঁথে দিতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে এবং এওয়ার করতে হবে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এশিক্ষা এড়িয়ে গেলে মা বাবা এবং সন্তান সবাইকেই দুঃখ পেতে হবে। সন্তানকে জানাতে এবং বুঝাতে হবে সেক্সুয়াল সমস্যা বা ঘটনা কোন লজ্জার বা লুকানোর বিষয় নয়। লুকোচুরি বাদ দিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে।

পশ্চিমা সংস্কৃতিতে সেক্স থেকে কি ধরনের ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তার কিছুটা শিক্ষা দেয়া হয় বারোর দিকে। এরা অনেক ঠেকে এটা শিখেছে। বিপদ এড়ানো না গেলেও কমানো জরুরী। শুধু যে দুর্ঘটনারোধের জন্য এ শিক্ষা তা নয়। ঘটনারোধের জন্যেও এ শিক্ষা অতীব জরুরী। বার বয়সের একটা মেয়ে জীবন সম্পর্কে অজ্ঞ। কিন্তু প্রকৃতির কাছে মেয়েরা অসহায়। প্রকৃতি মেয়েদেরকে দুর্বল করে দিয়েছে এই জায়গায়। সেই বারো বছরের শিশু মেয়েটিকে রক্ষা করার জন্যে এনিয়ে মায়েদের মেয়েদের সাথে আলোচনা করা আবশ্যক। আনসেফ সেক্সের কি পরিনতি হতে পারে, এইডস এর ঝুকি, সন্তানসম্ভবনা কোনটাই একটি বার বছরের মেয়ের আশা, প্রাপ্য কিংবা কাম্য হতে পারে না। তার হাত ধরতে তখন বাবা মাকেই আগাতে হবে, ক্ষণিকের আনন্দ বা উত্তেজনা যাতে তার বুকের ধনকে কোন সমস্যায় ফেলে না দেয় সেজন্যইতো মাকে বেশি চাই সন্তানের। এই আলোচনার অভাবে আমাদের দেশে অনভিপ্রেত গর্ভপাতের অসংখ্য ঘটনা ঘটে। শিশু বয়সের মেয়েগুলোকে জীবনের চরম এক ধাক্কা জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব এনে দেয়। এ সমস্ত আলোচনা শিক্ষা কি সম্পূর্ন বিপদমুক্ত সমাজ গড়ে দিবে? না, কখনোই না। কিন্তু অবশ্যই সচেতনতা তৈরী করবে যা বিপদ কমাতে সাহায্য করবে, দুর্ঘটনা এড়ানোর হার অনেক বাড়াবে।

আর এসমস্ত শিক্ষার ভার কি শুধু মেয়ের মাকেই বহন করতে হবে? না, ছেলের মায়েরও অনেক কিছু করনীয় আছে। তার জাদুমানিক কি পড়ছে, কি কার্টুন দেখছে, কি গেম খেলছে কম্পিউটারে তা লক্ষ্য রাখা একান্ত জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় আট নয় বছরের ছেলেরাও সেক্সুয়াল ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছে, চুমু খাওয়ার অনুশীলন করছে পাশের শিশু মেয়েটির সাথে। মা-বাবার প্রাইভেট লাইফের প্রাইভেসি সন্তানের সামনে বজায় রাখা একান্ত উচিত। ছেলের মধ্যে এধরনের প্রবণতা দেখা গেলে তানিয়ে তার সাথে আলোচনা করা, প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। এধরনের ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া কিংবা লুকিয়ে রাখা শুধু সন্তানের ভবিষ্যতকেই অন্ধকার করবে। সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্যে পড়াশোনার পাশাপাশি এ ব্যাপারগুলোও বাবা মায়ের মনোযোগ আকর্ষনের দাবী রাখে প্রবলভাবে। নইলে পরে তার সন্তানকে নানা ধরনের কুপথে চালনা করবে। মেয়েদেরকে যৌন হয়রানি করা বা নেশায় ডুবে থাকার কারণ হিসেবে অনেক সময় মনোবিজ্ঞানীরা ছেলেদের অল্প বয়সের যৌন হতাশাকে উল্লেখ করেছেন।

অতীতে যা হারিয়েছি তা আমরা ফিরাতে পারবো না। কিন্তু যা রক্ষা করতে পারি তার জন্যে চলুন নিজে সচেতন হই, পাশের জনকে সচেতন করার চেষ্টা করি। অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনি। লুকোচুরি কোন সমাধান নয়। স্বাভাবিক চিন্তাই পারে সুস্থ সমাজের জন্ম দিতে।

তানবীরা
২০.০৭.২০১১

Tuesday 5 July 2011

আমার মালতীলতা কি আবেশে দোলে ............

এক বছর হয়ে গেছে প্রায় বাড়ি যাইনি। আমার বাড়ি, নিজের বাড়ি। যেখানে নিজের সবাই আছে, নিজস্বতা আছে, আর আছি আমার আমি। পা থেকে চটিটা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়ার স্বাধীনতা আছে, চিৎকার করে কাঁদার সুযোগ আছে, হা হা করে হাসার উপলক্ষ্য আছে। কারণে এবং অকারণে বোনদের জড়িয়ে ধরে সারা বিছানায় গড়াগড়ি খাওয়ার আনন্দ আছে। ভাইয়ের ওপর বিনা কারণে চেঁচানোর ফান্ডা আছে। আমার লাগানো মানিপ্ন্যান্টের লতা আছে, মায়ের হাতের বোগেনভিলিয়ার ঝাড় আছে। সারা ঘর জুড়ে মায়ের হাতের স্পর্শ আছে, ডাইনীং টেবলের ওপর রোজ ছাঁদ থেকে তুলে আনা পুঁদিনার ভর্তা আছে। তেমন কিছু হয়তো নেই উল্লেখ করার মতো আবার সব আছে।

ভাইয়ের ছেলেটা জন্মে বড় হয়ে যাচ্ছে মাসে মাসে, তাকে এখনো ছুঁয়ে দেখা হলো না। বোনের মেয়েটা ফোনে আই-ডাই শব্দ করে তাকে ঠোঁট দিয়ে চেটে দেখা হলো না। মায়ের চুলের তেলের গন্ধ পাইনা আজ কতোদিন। আমার নিজের মেয়েটা রোজ কতো স্বপ্ন বুনে তার তুতো ভাইবোনদের নিয়ে সেগুলোতে রঙ মাখানো হলো না। ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে রবীন্দ্র সরোবরে এলোমেলো হাঁটা আর বটি কাবাব মিস করি। ধানমন্ডি পাঁচ নম্বরের মহুয়া চটপটি মিস করি, আট নম্বরের কোনের ঝালমুড়ি মিস করি, মুড়ি খেয়ে ঝালে পাগল হয়ে মেমোরীতে ঢুকে কোক খাওয়া মিস করি। কোক খেতে খেতে আবার বীফরোল কিংবা চিকেন প্যাটিস সাথে চকলেট পেস্ট্রি মিস করি। এই গরমে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে বাবার কড়া উপদেশ মাখা ঠান্ডা বেলের শরবত মিস করি। মায়ের আদর মাখা ঠান্ডা ডাবের পানি মিস করি।

একটানা বর্ষনের সাথে যুদ্ধ করে যে ক্লান্ত কাকটা নিরিবিলি জানালার সানশেডে আশ্রয় নিয়ে তার ডানা দিয়ে গা চুলকায় তাকে মিস করি। স্যাঁতস্যাঁতে ঢাকা মিস করি, ঘেমো ঢাকা মিস করি, হাস্নাহেনার গন্ধ মিস করি। ভয়াবহ জ্যামটার জন্যও আজকাল খারাপ লাগে। বসুন্ধরার এক টিকেটে দুজনের সিনেমা দেখা মিস করি। খোঁজ দ্যা সার্চ এর অনন্তকে মিস করি। আশে পাশের বাড়ির নাম না জানা সব ছেলেগুলোকে মিস করি। যাদের ফ্যাশন – ফ্যুশন নিয়ে, চুল-দাড়ি নিয়ে হাসাহাসি করে আমরা লোডশেডিং এর অসহ্য সময়গুলো সহজেই পার করে দিতে পারি। গোধূলি বেলায় ছাঁদের ওপর দাঁড়িয়ে বিদায় নিতে থাকা গোমড়া মুখো সূর্যটাকে মিস করি আর তার সাথে মিস করি নীড়ে ফেরার আনন্দে হুটোপুটি করতে থাকা আনন্দিত সেই পাখির ঝাঁকটাকে। শেষ পূর্নিমার মলিন কিন্তু বড় আপন চাঁদটাকে মিস করি। লোডশেডিং এর অন্ধকার সন্ধ্যায় অন্তাক্ষরী খেলা মিস করি, মশার কামড় মিস করি। ফেরা হবে না হয়তো আরো একটি বছর এই প্রিয় জিনিসগুলোর কাছে।

তানবীরা
০৫.০৭.২০১১