অভিজিত ভাইয়ের মৃত্যু আর একবার জানিয়ে দিলো, কতো
প্রকারের সুশীল ফেসবুকে পদচারনা করে। তাদের মুক্তিযুদ্ধে আপত্তি, যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারে আপত্তি, শাহবাগে আপত্তি, জয় বাংলাতে আপত্তি, বঙ্গবন্ধুতে আপত্তি, মানুষের
নামে আপত্তি, পোষাকে আপত্তি, মুক্তচিন্তা ভাবনায় আপত্তি ...... কিন্তু
মুক্তচিন্তাকারদের আবিস্কৃত ফেসবুক, ইউটিউব, ভাইবার, বাংলা সফটওয়্যার ইত্যাদি
কিছুর উপকারিতা নিতে তাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই
অসির চেয়ে মসি শক্তিশালী, এই ভুল কথাটি স্কুল বয়স
থেকে শেখানো হয়। আসলে অসিই দুনিয়ায় প্রথম আর শেষ কথা। মাথায় চারখানা কোপ, কল্লা ফতে,
মসি স্তব্ধ। পশুর জয় মানবতার পরাজয় ...... শুধু ইহকালে কুপিয়ে ক্ষান্ত হয় না
পরকালে তাকে কীভাবে কীভাবে বারবিকিউ করা হবে তার কল্পনায় নিজে উজ্জীবিত হয়,
স্ট্যাটাস লিখে অপরকেও উজ্জীবিত করে ......... তারচেয়ে দুঃখের কথা, এই ইসলামী
রাষ্ট্রে অভিজিৎ রায়ের খুনী ধরা পড়বে কীনা সন্দেহ। কাফের এ্যামেরিকার নাগরিকত্ব
যদি তিনি নিয়ে থাকেন তাহলে এ্যামেরিকা একটা চেষ্টা দিলেও দিতে পারে।
ধর্মের জন্মের ইতিহাসই কোপাকোপি, যুদ্ধ,
রক্তারক্তি, নারীদের লাঞ্ছনার মধ্যে দিয়ে সে ধর্ম নাকি শান্তির ধর্ম।
কানা ছেলের নাম সর্বযুগে পদ্মলোচন। নিজের কানারে নিজে পদ্ম ডেকে শান্তি নেই, সবার
কানপট্টিতে বন্দুক ধরে কানাকে পদ্ম বলাতে হবে। পৃথিবীর কোন ইতিহাসে এতো রক্তপাত
আছে নাকি সন্দেহ। সেই রক্তের গঙ্গা আজো বহমান, ফ্রান্স থেকে টিএসসি। পৃথিবীর যে
কোনায় রক্তারক্তি সে কোনাতেই এদের নাম এবং শুধু এদেরই নাম।
অসির কাছে মসী নতি স্বীকার করুক, বেঁচে থাকার
তাগিদে করুক। কোন মুক্তমনার লেখালেখির দরকার নেই। বাজার ছেয়ে যাক, ধর্মের যুদ্ধ আর
ধার্মিকদের জীবনীতে সাথে লাইলী মজনু আর শিরি ফরহাদের প্রেম কাহিনীতে। তবু
মুক্তচিন্তাবিদরা বেঁচে থাকুক পৃথিবীর কোন কোনে। কুপিয়ে না মারলে কেউ অমর হয়ে যাবে
না, বৃদ্ধ বয়স, জরা, বিভিন্ন অসুস্থতা মানুষের প্রাণ কেঁড়ে নিবেই তবুও এমন বীভৎস
লজ্জা আর ঘৃনার হাত থেকে বাঙালি জাতি মুক্তি পাক।
বইমেলা এখন ঘাতকদের টার্গেট, এর বিকল্প খোঁজার
বিকল্প নেই। হুমায়ূন আজাদ, রাজীব হায়দার, অভিজিত রায়, বন্যা আহমেদ ...... লিস্ট বড়
হতেই থাকবে …… বাংলাদেশের ইতিহাস বুদ্ধিজীবি হত্যার ইতিহাস
No comments:
Post a Comment