Wednesday 6 September 2017

জার্নাল জুলাই - আগষ্ট

সেই অনেক অনেক কাল আগে বাড়ি’র কাছে আরশী নগর “প্যারিস” বেড়াতে আসতাম। নেদারল্যান্ডস থেকে বের হওয়ার তখন দুটোই সুলভ জায়গা, জার্মানী কিংবা ফ্রান্স। জার্মানী গেলে অনুধাবন করা কষ্ট হত যে নেদারল্যান্ডসের বাইরে এসেছি, ফ্রান্স তথা প্যারিসই ছিলো তখন আমাদের একমাত্র বিদেশ। “দ্যা সিটি অলোয়েজ লিভ”দিনে সুন্দর আর রাতে যাকে বলে তিলোত্তমা। আইফেল টাওয়ার এর পাদদেশে, সিনাইনদীর তীরে বসে, নদীর ওপরের সমস্ত কারুকাজ করা ব্রীজ গুলোতে তখন আলো জ্বলে উঠেছে, আইফেল টাওয়ারকে ঘিরেও রয়েছে হাজার আলোর মালা, সুখ সুখ অসহ্য একটা কষ্টে মনে হত – এ সময় এখানেই শেষ হয়ে যাক। মরন এলেও এখানেই, এই মুহূর্তটাই সত্যি হোক।

হেলেন কেলার’র কে বার বার মনে পড়তো, The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched. They must be felt with the heart.

নেদারল্যান্ডস থেকে গাড়িতে প্যারিস আসার সময়, ফ্রান্সের জাতীয় বিমান বন্দর “Charles de Gaulle Airport” এর পাশ দিয়ে আসতে হতো। হাইওয়ের ওপর ছিলো রানওয়ে। আমাদের মাথার ওপরে প্লেন নামছে, উড়ছে। মুগ্ধ হয়ে দেখতাম, যদিও গাড়িটা হাইওয়ে তথা রানওয়েটা ক্রস করার সময় মাথাটা একটু শিরশির করত, এই বুঝি পরলো মাথায় একটা অনুভূতি হত বৈকি। যত কটা রানওয়ে, যতক্ষণ দেখা যেতো চেয়ে থাকতাম আদেখেলা মত ভাবতাম যদি এখান থেকে একবার উড়তে পেতাম

কালের বির্বতনে সিনাই, মাস, রাইন, মুজেল সব নদীতে অনেক পানি বয়ে গেছে জায়গার অভাবে নেদারল্যান্ডসের “স্কিপল” বিমানবন্দরও হাইওয়ে’তে রানওয়ে তৈরী করেছে। মাথার ওপর প্লেনের ওড়াওড়ি দেখতে আর প্যারিস না গেলেও চলে। যদিও এখনও একই ভাবে গ্রাম্য লোকের শহর দেখার মতই মুগ্ধ হই মাথাও ওপরে প্লেন ওড়া দেখে।  আজ এতো এতো দিন পর অবশেষে ফ্রান্সের “Charles de Gaulle Airport” থেকে জন এফ কেনেডী’তে উড়ছি .................. কারণ অবশ্য – ডেল্টা এখান থেকেই সবচেয়ে সস্তার ডীলটা দিচ্ছিলো, আর কিছু না J

যদি সুস্থ ভাবে পৌঁছে যাই তবে আবার ফেসবুকে সবার সাথে দেখা হবে ...............

*****




কাছের মানুষ যারা আছে তারা জানেজন্মদিন নিয়ে আমার আদিখ্যেতার শেষ নেই প্রিয়জনদের জন্মদিন নিয়ে আহ্লাদপনা করতে আবার নিজের জন্মদিনে প্রিয়জনদের দ্বারা আহ্লাদিত হতে দুটোতেই আমার আগ্রহের সীমা নেই। অফিসেও সবাইকে পাগল বানিয়ে দেই, ওরা অবাক হয়ে বলেই ফেলে, এই নিয়ে এতো আনন্দের কি আছে? হয়ত মনে মনে বলে, তাও এই বয়সে J
আমি দ্বিগুন উৎসাহে বলি, আরে এটা বছরে একবার ই আসে।
প্রতিদিন কত ঘটনায় – অঘটনায় কতজন আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এই যে রোজ দিন সুস্থ ভাবে বেঁচে আছি, আনন্দ করছি – এসবই তো প্রকৃতির উপহার। দুহাত উজার করে দিয়ে যাচ্ছে। আই কল ইট “সেলিব্রেটিং লাইফ”।

যারা যারা নিজেদের ব্যস্ত রুটিন থেকে সময় বের করে আমাকে বিভিন্ন ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন – অসীম কৃতজ্ঞতা জানবেন, যারা জানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু জানাননি তারাও জানবেন J

আর যারা কষ্ট করে বাড়ি বয়ে এসেছেন, নানা রকম মন ভোলানো উপহার নিয়ে তাদের – লাভিউ – লাভিউ – লাভিউ – সামনের বছর এর চেয়েও আরও ভাল চাই :P আর যারা যারা এখনো পাঠাননি তারা বাল্যকালে “সময়ের মর্যাদা” রচনাটি পড়েননি – কি আর করা

গত পাঁচ বছর  ধরে জুলাই মাস আসলেই, ইনবক্সে একটা ম্যসেজ আসে, আপুজন্মদিন তো এসে গেলো --- আমার মনে আসার আগেই, তার মোবাইলের এলার্মের কোথাও ঘন্টা বাজে তারপর চৌদ্দ দিনে চৌদ্দ বার রিমাইন্ড দেয় J অন লাইন জগত নিয়ে অনেকের অভিযোগ আছে, ফেইক মানুষ, এই কিংবা ঐ। আমি আমার জীবনে সমমনা, সবচেয়ে কেয়ারিং ভাল বন্ধুদের দেখাও অনলাইনেই পেয়েছি।

শান্ত কি আমার বন্ধু? শান্ত আমার বোনদেরও বন্ধু। আব্বু’র সাথেও রাজনীতি নিয়ে আলাপ করে। ভাইয়া’রও ফেসবুক ফ্রেন্ড। কিন্তু জন্মদিনের শুভেচ্ছা সব সময়ই আমি পাই। শান্ত’র লেখা দিয়ে শুরু হয় আমার জন্মতিথি’র পুনরাবর্তন। ড্যাম প্রিভিলেইজড মি – এখন তো রীতিমত অপেক্ষা করি – পরীক্ষার রেজাল্ট পাবার মত - এই বছরের কি রিভিউ আসে দেখি টাইপ অবস্থা আমার............... ধন্যবাদ দিলে শান্ত খুব বিরক্ত হয় তাই ---- টেকিং ইট ফো গ্র্যান্টেড – এজ বিফোর – ইট মিন্স আ লট টু মি শান্ত – শুভেচ্ছা অফুরন্ত  … আপাতত দু হাত পেতে নিয়েই যাচ্ছি ……… সামনেও কোনদিন শোধ দেবো সেই সম্ভাবনা ক্ষীণজানি না ………

বার্থ ডে গার্লের পক্ষ থেকে আবারওকৃতজ্ঞতা সবাইকে

*****

আরভিন আর মেঘলা বহুদিন পর এক সাথে হয়েছে। দু’জনের জন্মের পর এই প্রথম এত দিন পর দেখা। টডলার থেকে টীনে --- দু ভাইবোনের গল্পের, হাসির কোন সীমা পরিসীমা নেই। কতক্ষণ ট্যাব তো কতক্ষণ ফোন, তারপর ধাক্কাধাক্কি আবার খিকখিক ... চলছে তো চলছেই --- স্কুলের গল্প, জোক্স, বন্ধুদের গল্প ...

এর মাঝে আছে সুখ – দুঃখের গল্প। মেঘ খুবই দুঃখী গলায় তার ভাইকে জানাচ্ছে, মামি’র যা পছন্দ তাই কেনে আর কিনছে কিন্তু সে কিছু চাইলেই না করে দেয়। সব টাকা একা খরচ করে, নিজে’রটা বাবা’রটা। আরভিন আরও দুঃখী গলায় জানালো, বেঙ্গলী মম’স আর সো মীন, দুষ্টুমি করলে পিট্টিও দেয় যেটা এমেরিকান ল’তে নিষেধ।

শুধু তারা তখনও জানে না, এই ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমী’র গল্প দুই মা ঠিক শুনে যাবে আর তাদের আরো “খিচাই” হবে। মীন কাহাকে বলে, কত প্রকার আর কি কি, প্রত্যেক প্রকার উদাহরণ সহ জানা যাবে। ছোট খালাম্মা এলে যেমন হত বাসায় সে’রকম একটা অবস্থা, বাসায় এখন দুই পার্টি – দুই বোন ভার্সেস দুই ভাই বোন। ফিসফিস করলেই বলি, বল, কি বললি আমাদের নামে, বল বলছি --- দুটোই কাঁদো কাঁদো বলে, আমরা সারাক্ষণ তোমাদের নামে বলি না, আমাদের কি নিজেদের গল্প নেই ...............।।

প্রতিবার বাড়ি এলেই ক’দিন পরেই মনে হয়, এই হুটোপুটি, মারামারি, খিকখিক, লেগ পুলিং এগুলো ছেড়ে, এই মানুষ গুলোকে ছেড়ে আমি এতো দূরে আসলে বাঁচি কিভাবে?  এই ঝগড়া, এই বকা, এই দুষ্টুমি, সব তো ফুড ফর লাইফ – এই আলো হাওয়া জল ছাড়া এই গাছটা কি আসলে বেঁচে থাকে! যে আমি রোজ দিন বাঁচি বলে ভাবি একা একা – সেই আমি আসলে আমি না – সেটা পুরো অন্য কেউ – বাড়িতে যে আমিটা থাকি, সবার সাথে, সবার মাঝে – সেটাই আসলে আমার আমি।  31-07-2017


*****


একটা কিছু কিনতে হবে নিশুর জন্যে। মহিলা জ্ঞানীদের জন্যে উপহার কেনা সহজ। গিফটের পেছনে একটা গল্প বানিয়ে বলতে হবে। মহিলা জ্ঞানীরা যাবতীয় গল্পগাথা বিশ্বাস করে। মতিন যদি রেললাইন থেকে একটা পাথর কুড়িয়ে নিয়ে বলে পাল আমলের পাথর। পালবংশের রাজা দেবপাল-এর পুত্র শূরপাল মন্দির বানানোর জন্যে পাথর সংগ্রহ করেছিলেন। পাথরগুলিকে শুদ্ধ করার জন্যে তিনি দুধ দিয়ে ধোয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমার হাতের পাথরটা তারই একটা।

এই কথা শুনে নিশু চোখ বড় বড় করে বলবে, বলো কী? পেয়েছ কোথায়?

প্রয়াত ডঃ হুমায়ূন আহমেদের লেখা “কে কথা কয়” উপন্যাসের থেকে উদ্ধৃত করা হলো ওপরের অংশটি।
তিনি আয়েশা ফয়েজের বড় পুত্র।
গুলতেকিন খান এর সাবেক স্বামী।
মেহের আফরোজ শাওন এর স্বামী।
নোভা, শীলা, বিপাশা এর পিতা।

২০০৬ এর বইমেলা এই বইটি’ত প্রথম থেকে তৃতীয় প্রকাশ কাল। আমার জানা মতে, বইটি কিংবা বইয়ের এই অংশটি নিয়ে কোথাও কোন আলোচনা হয় নি।

যাহোক, বইটিতে তাঁর লেখা একটি সুন্দর কবিতাও আছে,

জলে কার ছায়া পড়ে
কার ছায়া জলে
সেই ছায়া ঘুরে ফিরে
কার কথা বলে?
কে ছিল সেই শিশু
কী তাহার নাম?
কেন সে ছায়ারে তার
করিছে প্রণাম।



*****


১৭ কোটি মানুষের ছোট্ট এই ভূখণ্ডবাংলাদেশদুর্ণীতি আর অপরাধের বিভিন্ন র‍্যাঙ্কিয়ে প্রায়শঃই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পরিমাপে শীর্ষে অবস্থান করে। কিন্তু সে সব অপরাধের কারণে আজ পর্যন্ত দেশ থেকে কাউকে নির্বাসনে পাঠানো হয় নি। যুগে যুগে নির্বাসিত হয়েছে “ভিন্ন মতে” চিন্তা করা, লেখালেখি করা লোকেরা। জঘন্য সব অপরাধের ঘৃণ্য অপরাধীদের দেশের মাটিতে জায়গা হয়, রাজনীতি শুধু নয় মন্ত্রী সভায় স্থান হয়, জায়গা পায় না “ভিন্ন মতালম্বীরা”।

এক মাত্র “ছাগু সম্প্রদায়” ছাড়া কখনোই দু’জন স্বতন্ত্র ব্যক্তি সব বিষয়ে একমত হতে পারে না। যুক্তিশীল – চিন্তাশীল মানুষ’রা একই বিষয়ে ভিন্ন মত রাখতে পারেন। নানা বিষয়ে ঘরের মানুষ – বন্ধুদের সাথে মত পার্থক্য থাকেই। তাই বলে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো’র মত সাধারণ একটা সৌজন্যে বোধে মানুষের এতো কার্পণ্য এতো রাজনীতি!

নির্দ্বিধায় বলছি, লেখক তসলিমা নাসরীনের জন্মদিনে একরাশ শুভেচ্ছা। চিরআয়ুষ্মতী হোন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন। যে কথা গুলো কেউ কখনো বলতে সাহস করেনি সেগুলো বলার চেষ্টা করার জন্যে আপনি চির স্মরণীয়।

যারা যারা লেখক তসলিমা নাসরীন আর বেগম রোকেয়ার তুলনা করে প্যাঁচ কষাচ্ছেন, বুকে সুখ সুখ বাতাস অনুভব করছেন তাদের বিনীত কন্ঠে জানাচ্ছি, কষ্ট করে ইতিহাসটা একবার ভাল করে পড়ে নেবেন।  যখন বেগম রোকেয়া বেঁচে ছিলেন, তিনি কি “নন্দিত” ছিলেন? আমাদের পূর্ব পুরুষরা কি এতোটাই দূরদর্শী আর প্রগতিশীল ছিলেন? না, ছিলেন না। তাহলে কি ঠাকুরবাড়ির মত কিছু মুসলিম বাড়িও থাকত না? ধনী মুসলমান তো অনেক ছিলেন, কারো নাম করতে পারেন যে রোকেয়া’র সমর্থনে পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন? হ্যাঁ, চিরকালই মুসলমান’রা গোঁড়া, নতুনকে গ্রহন করতে ভয় পায়, প্রথা ভাঙার বিপক্ষে। বেগম রোকেয়া তার বিরুদ্ধে’র আন্দোলন কে থামাতে, মোল্লাদের সাথে আপস করতে “সুলতানার স্বপ্ন“ ও “মতিচূরের” মত বই লিখেছিলেন। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তিনি “মতিচূর” বইয়ের বিভিন্ন প্রবন্ধ বিভিন্নভাবে পরিবর্তন ও অর্ন্তভুক্ত ও বাদ ও দিয়েছেন। আপোষ রফা করার পর ও তার মৃত্যুর পর হুজুররা তাঁর নামাজে জানাজায় অংশ গ্রহণ করেনি।

বেগম রোকেয়া জন্মেছিলেন ১৮৮০ সালে। তাকে “বেগম রোকেয়া” হিসেবে স্বীকৃতি পেতে কম পক্ষে একশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল।  তসলিমাকে হয়ত তার চেয়ে অনেক বেশী সময়ই অপেক্ষা করতে হবে।  আমরা ফেসবুক ব্যবহার করে ডিজিটাল হলেও চিন্তা ভাবনায় আমাদের পূর্ব পুরুষদের থেকে বহু গুনে পিছিয়ে গেছি। সামনে আগাই নি মোটেও।

তবুও এই আশা বুকে রাখি, সূর্য একদিন উঠবেই – ভোর হবেই। ততদিন তসলিমা বরং পাখি হয়েই ব্রক্ষ্মপুত্রের পাড়ে পাড়ে নিজের শৈশবের গন্ধ খুঁজে ফিরুক


*****


“অপরাধী”দের পরিবার’রা ভীষণ অবাক হয়েছে, এত বড় “অপরাধের” পর “অপরাধী”রা বাড়ি ফিরে তাদের পরিজনদের সাথে খুব স্বাভাবিক আচরন করেছে।
এটা জেনে আপনি অবাক হয়েছেন? “অবাক” কান্ড কেনো? রোজ যে বাসে, রাস্তায়, অফিসে, ক্যাফে’তে মেয়েরা হেনস্থা হয়, সেই মানুষ গুলো কারা থাকে? তারা কি আমাদের এই সমাজের কিংবা পরিবারর অংশ নয়? মেয়েদের নিয়ে খিস্তি করা পুরুষ গুলো কি আমাদের খুব অপরিচিত! তারা বাড়ি ফিরে তো খুব স্বাভাবিক আচরন করে! সব্জি-ফলে’র মত ভাল মেয়ে-মন্দ মেয়ে, পাকা মেয়ে-কচি মেয়ে, কালো মেয়ে – সাদা মেয়ে এ ধরনের জাজমেন্টাল মনোবৃত্তি রাখা, কথায় কথায় মেয়েদের “স্লাট” বলা পুরুষ কি আমাদের খুব অপরিচিত নাকি তাদের আমরা আমাদের আশে পাশে “স্বাভাবিক”! ঘুরতে দেখি না!


ক্রিকেট বিজয়ের উৎসব, গাওছিয়া, বইমেলা, বৈশাখী মেলা কিংবা কনসার্ট গুলোতে যে মেয়েরা লাঞ্ছিত হয়, সেসব ঘটনায় আকাশ থেকে কোন এলিয়েন নামে না। এই আমার আপনার পাশে থাকা দারুন সব সুস্থ স্বাভাবিক”! মানুষ’রাই তো এই ঘটনা গুলো ঘটা

বাংলাদেশে বড় হয়েছে এমন কোন মেয়ে আছে যে বাসে, ভীড়ে, হুজুর, মাস্টার, নিকট আত্মীয়, বন্ধু, কারো দ্বারা কখনো নির্যাতিত হয় নি! আর যারা এই নির্যাতন করেছে তারা কি আমাদের চিরচেনা সেই স্বাভাবিক মানুষ গুলো নয়! তাদের তো স্ত্রী, মা, বোন, কন্যা সবই আছে!

যাহোক, “রূপা” গেছে তার পরিবার বুঝবে। রামপুরা’র “বউ” ট্রমা সেন্টারে আছে, তার পরিবার ভুগবে। আমাদের কি? ক্রিকেট আনন্দ তো হলো, এবার ঈদ করি তারপর আবার অন্য কিছু খুঁজে নেবো।







No comments:

Post a Comment