প্রবাস জীবনে অবসর মুহূর্ত বলতে গেলে হাতে গোনা যায়। সেই দুষ্প্রাপ্য অবসর মুহূর্তের বেশির ভাগ সময়ই যায় মুখে বই গুঁজে। বাবা - মা দুজনেরই এক অবস্থা। দরকারে অদরকারে শেলফে বই রাখি আবার বের করি। অনেক সময় দরকারেও বই টানতে হয় বইকি। বাংলা - ইংলিশ - ডাচ ডিকশনারী, রেফারেন্সের জন্য বই খুঁজতে হয়, অনুষ্ঠানের স্ক্রীপ্ট বানাতে বই খোঁজ়ো। কিছু কিছু বই আছে বন্ধুদের, পরিচিতদের, আলাপে সালাপে গল্পে তাদের বই বের হয়। আমার ছয় বছরের মেয়ে সেগুলো দেখে প্রতিনিয়ত।
এখন মেয়ের স্কুলে শরৎকালীন ছুটি চলছে। মেয়েকে বলা হয়েছে, নিজে নিজে কিছু করো। আমার সোনার ময়না বই বানিয়েছে। নিজে নিজে কাগজ স্ট্যাপল করে তাতে এ থেকে জ়েড পর্যন্ত লিখেছে। ছোট ছোট শব্দ লিখেছে, লেখার পাশে ছবি এঁকেছে। তারপর সেই বই আমার হাতে এনে দিয়ে বলেছে, এটা রেখে দাওতো আম্মি। আমি বুঝতে পারিনি, বলেছি তোমার বইয়ের পাশে রেখে দাও। তখন ঝুটি নাড়িয়ে বলেছে, “আম্মি এটা আমার বই, আমি বানিয়েছি, তোমার বইয়ের সাথে রেখে দাও। তুমি পড়তে পারবে, যখন অন্যেরা আসবে তারাও পড়তে পারবে। সবাইকে বলবে এটা আমার বইযে, আমিযে বানিয়েছি।“
ময়না পাখা, খেলায় খেলায় যে কাজের শুরু তুমি করেছো তা যেনো পূর্নতা পায়, সার্থক হোক তোমার এই আশা, সেই কামনা রাখছি।
তানবীরা
২৮.১০.০৯
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment