১. ইন্দ্রিয় সুখের মধ্যে সবচেয়ে অবিশ্বাসী হলো
“ঘুম”। যখন সুখে শান্তিতে আছেন সে আপনার বন্ধু হয়ে আপনার পাশেই আছে। যেই না দুঃখ
কষ্ট কিংবা দুশ্চিন্তায় পড়বেন, সবচেয়ে আগে যে আপনাকে ছেড়ে পালাবে তার নাম “ঘুম” –
বেওয়াফা সানাম।
২. শরীরের মধ্যে যে ইন্দ্রিয়টি কারণে অকারণে বিকল
হয় তার নাম “মন”। অথচ এটি শরীরের একটি অনাবশ্যক ইন্দ্রিয়। ক্ষণে ক্ষণে অন্যদের
কাজে, কথায় কষ্ট পেতে থাকে। তাকে কেউ পাত্তা দেয়
না জেনেও “গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল” হয়ে সে বুকের মধ্যে গেঁড়ে বসে দিন রাত নষ্ট
করে দিতে চায়।
৩. আমার মেয়েটার মধ্যে জাদু আছে, সুবিধা মত এই
বলে আমি এখন বড় হয়েছি অসুবিধা হলে তার পরের মুহূর্তেই বলে, আমিতো এতো বড় না, আমিতো
এখনো বাচ্চা। পুরাই দাবা ঘরের ঘোড়া সে। সুবিধা মত যেকোন
দিকে সে আড়াই ঘর চলে :D
৪. সেহরী খেয়ে শুলে ঘুম আসে না তাই মা তখন তার
প্রবাসী মেয়েদের ফোন করে খোঁজ খবর নেন। কথায় কথায় গল্প গড়ায়।
উদ্বিগ্ন কন্ঠে জানালেন, রোজার দিনে কাঁচামরিচের
দাম অনেক বেড়ে যায়।
কথা শুনে হাসতে যেয়ে মায়ের জন্যে আরো একরাশ মায়া
ঝরে পড়লো। এতো ব্যস্ত থাকি, মাকে সময়ই দেয়া হয় না। কত মিস করে মা তাদের
সন্তানদেরকে, সংসারের অর্থহীন সামান্য টুকিটাকি প্রবাসিনী মেয়েদের সাথে শেয়ার করতে
চায় আসলে কী তাই? নিছক বাহানা করে সন্তানদের কাছে পেতে চায়। বুকের পাশে জড়িয়ে
রাখতে চায়।
একদিন আমারো মায়ের মত ব্যস্ততা কমে আসবে, যাদের
নিয়ে আজ আমি মহা ব্যস্ত তারা আমাকে পিছনে ফেলে সামনে এগোবে। মায়ের মত সব টুকিটাকি
গল্প করার জন্যে আমিও কী কাছের কাউকে হাতরে ফিরবো না? ফিরবো হয়তো, প্রকৃতির নিয়মে
আমিও এই চক্রেই ঘুরবো। তখন তোমাকে আরো বেশি মনে পড়বে মা। নিঃসঙ্গ তোমাকে আরো বেশি
জড়িয়ে ধরতে চাইবো তখন এই নিঃসংগ আমি। আমার
পাশে থাকবেতো “মা” তখন তুমি?
No comments:
Post a Comment