Monday 6 July 2015

জার্নাল ২৮

১. মেয়েদেরকে “গাই” (গাভী)বলে সম্বোধনটি যারা বেশী করে তাদের বেশীর ভাগ নিজেরাও মেয়ে। তাদের বেশীর ভাগই পড়াশোনা জানা, সমাজ সচেতন এবং সমাজের উঁচু তলায় তারা প্রতিষ্ঠিত।

২. একটি উপমহাদেশীয় মেয়ে স্বামীর সমান সমান কিংবা স্বামীর থেকে বেশি উপার্জন করেও কেমন করে যেনো অন্য মেয়েদের চোখে “স্বামীর ঘর” করে কিংবা “স্বামীর সংসার” করে। তার নিজের বলতে কিংবা ঘর-সংসার বলতে কিছুই থাকে না, অথচ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে পুরো দায়িত্ব পালনের পরেও সংসারের সিংহ ভাগ দায়িত্বও মেয়েটির মাথায়ই থাকে। স্ত্রী সম্পর্কে অন্য মেয়েদের এই মূল্যায়নটি সহজেই পড়ে ফেলতে পেরে স্বামীও গর্ব বোধ করে, তার মত উদার কারো সাথে আছে বলেই তো মেয়েটি এতো দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছে।


৩. দুজন ছেলে মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই সাথে বেড়িয়ে একই সাথে কর্মক্ষেত্রে ঢুকলো, ঘর বাঁধলো। প্রাকৃতিক কিছু কারণে কিংবা পারিবারিক কারণে মেয়েটি ক্যারিয়ারে পিছিয়ে পড়লে, অন্য মেয়েদের মুখে যে কথাটি শোনা যায় সেটি হলো, “বড়লোক ছেলে/স্বামী বাগিয়ে নিয়েছে” নিজের কিছু করার দরকার কী। সংসার পাতার সময় হয়তো জানতোই না মেয়েটি তার প্রেমিক দশ বছর পর কোন পজিশনে থাকবে কিংবা সে নিজে কোন পজিশনে থাকবে। যদি এর উলটোটা হয়, কোন মেয়ের মুখে শোনা যায় না, “বড়লোক দেখে স্ত্রী বাগিয়ে নিয়েছে।“ তখন ভাব থাকে, “সোনার আংটি তাও আবার বেঁকা”। অন্যদের মেয়েদের নিয়ে যারা এই আলোচনাগুলো অবলীলায় করেন তারা তাদের নিজেদের মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে কিংবা মেয়ের ভাবী বর নিয়ে টনটন সজাগ। 

০৫-০৭-২০১৫

1 comment: