প্রতিদিনের করণীয়
আমি যে ভাস্কর্য হয়ে উঠেছি
তাকে প্রতিদিন সাজিয়ে রাখি:
জীবনকে আড়াল করে
পান করি আকণ্ঠ।
কফি থেকে শুরু করে
আগের দিনের যত পরিকল্পনা
ভেঙে চূর্ণ করি সবই
আবার অবিশ্বাসকে রাখি ঝুলিয়ে
আমি নিজেকে তোমার বিশৃঙ্খলায় সঁপে দিই
তোমার দুই চোখ
আমাকে এখনো ভাবে অপরিচিত
এখনো বেঁচে আছে সময়ের পূর্ণতা নিয়ে
তোমার আয়নায় আবারো আসবে হাজার সম্ভাবনা নিয়ে
আমি ঠিক জানি না
কিসে তুমি বিশ্বাস করো
তোমার প্রতিদিনের শিল্প দেখে যাই
আর কী অজুহাতে
তুমিও হয়েছো পাকা কারিগর
সেদিনের সন্ধ্যা থেকে মৃত আমরা
ভান করে পড়ে থাকি জীর্ণ বিছানায়
খুব চুপচাপ শুয়ে থাকার প্রতারণা করে চলি
কাব্যগ্রন্থ : প্রেমের সেই দিনগুলো
কুড়েমি
ঈশ্বরের মতো কুঠার চালিয়ে কুড়েমি-নাটক চলে
যেনো সময় সানন্দে ফুরায়—গান শুনে।
ধীরে তালে যা করেছি অস্বীকার—
প্রায় নিঃশব্দে ওই সুরের সৃষ্টি।
আমরা কী করতে পারি:
বারবার গোঙানি
কেউ ফিরেও তাকায় না
রুখে দিতে পারি সব বিহ্বল প্রতিবাদে—
সবকিছু পেছনে থাকে পড়ে
কুড়েমি তার অস্পষ্ট গান গায়, আর
অসহ্য নীরবতা হাওয়ায় মিলায়
না, গানও লাগছে না ভালো!
সৌন্দর্য-পিপাসা আরো বেশি
দখলে নিয়েছে অনিচ্ছুক সত্তা—
পড়ে যাচ্ছি সময়ের মতো
কাব্যগ্রন্থ : কোথাও যেনো কিছু ঘটেছে
প্রণয়
আকাশ শুয়ে আছে মাটিতে
ওই দূরে, অদৃশ্য আর দৃঢ়
তুমি সেজেছো তোমার চুলেরই রঙে
তোমার চোখ, পোশাক আর কণ্ঠও তাই
দেবী তুমি
নিজেকে বিলিয়ে মরি
শিহরনে।
হয়ত তুমি অনন্যা
ক্ষমাহীন অধরা তুমি
যদি আমি পাখি হতাম
আমাকে চূর্ণ করে দেয়
তোমার স্পষ্টতা
বিশ্বাসের মতো
আমি তোমাকে দেখি আর
কেঁপে কেঁপে উঠি
তুমি বলো, আমি আছি নিশ্চুপ
গ্রহণ করো আমার কঠোরতা
গ্রহণ করো আমার স্থবিরতা
গ্রহণ করো আমার ভালোবাসা।
কাব্যগ্রন্থ : মহৎ শব্দের বিশ্বকোষ থেকে।
No comments:
Post a Comment