Monday 21 June 2021

প্রসঙ্গ ই-ব্যাঙ্কিং

দেশব্যাপী দুর্নীতি দমনে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কোন পরিকল্পনা আছে কি না কখনো জানতে পাইনি। তাদের কাজ কি সেটাও অনেকটা ধোঁয়াশা। এখনো পর্যন্ত যেটা জানি, সিনেমার শেষ দৃশ্যে যেমন পুলিশ এসে আসামীকে বলে, "আইন নিজের হাতে নিয়ে হাডুডু খেলছো, সবাই জেনে গেছে এখন গ্রেফতার না করে উপায় নেই" তারপর তারা তদন্তে নামে কিংবা তাদের অফিসে হাই প্রোফাইল আসামীদের দাওয়াত করে। যাহোক, প্রায় দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশে জীবনের বেশীরভাগ সময় কাটিয়ে দেয়া আর সামান্য পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যতদিন ব্যাঙ্কিং ট্রান্সপারেন্ট না হবে ততদিন কোন নেতা কেন ফেরেশতাও দুর্নীতি দমন করতে পারবে না। ব্যাঙ্কিং মানে ব্যাঙ্কে চেক আর বিল জমা দেয়া নয়। ই-ব্যাঙ্কিং চালু করতে হবে। দুর্নীতি দমন শুরু করতে হবে নগদ লেনদেন বন্ধ করার মধ্য দিয়ে। বাড়িওয়ালার ব্যাঙ্ক একাউন্টে ভাড়াটিয়া তার নিজের একাউন্টের মাধ্যমে ভাড়া দেবেন, চেক বা ক্যাশ নয়, সবার বেতন আসবে যার যার একাউন্টে, চেক বা ক্যাশ নয়, কেনাকাটা হবে ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কিংবা এটিএম কার্ড। যতবেশি একাউন্ট টু একাউন্ট লেনদেন হবে, ট্রান্সপেরেন্সি বাড়বে। ফলে বাম হাতের ব্যাপার এমনিতেই কমে আসবে। ট্যাক্স,রেভিনিউ ইত্যাদি আদায়ের পরিমান বাড়লে, টাকা সাইকেল বা রিসাইকেল হয়ে সেটা জনসেবাতেই খরচ হবে (আশাকরি)। ব্যক্তির ক্ষেত্রে ই-ব্যাঙ্কিং আর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে ই-ব্যাঙ্কিং এর পাশাপাশি অথোরাইজেশানের ব্যবহার অন্তত "টাকা পাচার হইয়া যাইবার পূর্বেই অন্যের কাছে খবর চলে যাওয়া" নিশ্চিত করবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশে প্রচুর ছেলেমেয়ে অনলাইন ব্যাঙ্কিং খাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। আমার ধারনা, তাদের যোগাযোগ করা হলে, বিনা পারিশ্রমিকেই তারা দেশের ব্যাঙ্কিং খাত আমূল বদলে দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাইলে, ই-ব্যাঙ্কিইয়ের কোন বিকল্প নেই।

No comments:

Post a Comment