Monday 21 June 2021

ফাটা টাইলস, পলেস্তরা ওঠা মডেল মসজিদ আর আমাদের রাজনীতি

চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতায়, হাসপাতাল সংকটে বাংলাদেশে অতীতে অনেক মানুষ মরেছে, বর্তমানেও মরছে, ভবিষ্যতেও যে মরবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, গীর্জা, প্যাগোডা সংকটে কখনো মানুষ মরেনি আর কোনদিন মরবেও না এটা নিশ্চিত। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি যদি ভয়ানক আকার ধারন করে বা ভবিষ্যতে যদি আরও ভয়ানক কোন ভাইরাস আক্রমণ করে আর হাসপাতাল সংকটে যদি মানুষ মারা যায় তাহলে বেশির ভাগই মুসলিম মারা যাবে। মডেল মসজিদ গুলি কি কাউকে বাঁচাতে পারবে? পেরেছে আজ অব্ধি কাউকে রক্ষা করতে? মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসায়, হরদম ধর্ষণ হয়, খুন হয়, চুরি হয়। অনেক সময়ই সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, ভেঙ্গে যায়। এরপর আছে, মন্দির, গীর্জা দখল করে মসজিদ বানানো আবার মসজিদ, গীর্জা দখল করে মন্দির হওয়া। অন্যায়ের কাছে, জুলুমের কাছে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা অসহায়। ঘুষখোর, সুদখোর, দুর্নীতিবাজদের হারাম টাকায় মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, মাদ্রাসা নির্মাণ হয়, হারাম টাকায় মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, মাদ্রাসা পরিচালিতও হয়। এসব ধর্ম প্রতিষ্ঠান থেকে মানব জাতি অতীতে কি উপকার পেয়েছিলো, বর্তমানে কি উপকার পাচ্ছে বা ভবিষ্যতে মানব জাতি এসব থেকে কি উপকার লাভ করতে পারে? জীবন চলার ক্ষেত্রে অতীতে কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠান কি অবদান রেখেছিলো, বর্তমানে কি অবদান রাখছে বা ভবিষ্যতেই এদের হাত ধরে কি আসবে? ‘যদি বেঁচে যাও এবারের মতো। যদি কেটে যায় মৃত্যু ভয়। জেনো বিজ্ঞান লড়েছিলো একা। কোন মন্দির-মসজিদ নয়’। স্বার্থান্বেষী রাজনীতির অবসান হোক, রাজনীতি হোক মানবকল্যানমুখী। মডেল মসজিদের মত বাস্তবতা বির্বজিত, অনুৎপাদনশীল অশ্বডিম্বের জায়গায় আসুক চিকিৎসাকেন্দ্র, পাঠাগার, কেয়ার হোম, হাতের কাজ শেখার মত প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় জনকল্যানমূলক ব্যবস্থা। সুস্থভাবে বেঁচে থাকা হোক মানুষের বড় ধর্ম। শফিউল আলমের লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।

No comments:

Post a Comment