Thursday 16 September 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – চৌদ্দই সেপ্টেম্বর টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান

লাইফ উইথাউট সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং প্রিমিয়ে রুতেঃ ১.৫ মিটারের সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং দিয়ে উইকিপেডিয়াতে জায়গা করে নেয়া নেদারল্যান্ডস পঁচিশে সেপ্টেম্বর থেকে এটি তুলে নিচ্ছে। হিপ হিপ হুড়ড়ে। তবে থিয়েটার, কনসার্ট, মুভি, মেলা, স্টেডিয়াম, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ইত্যাদিতে ঢুকতে তের বছর থেকে সবাইকে করোনা সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। চৌদ্দ বছরের ওপর থেকে আইডি কার্ড দেখাতে হবে। কোন অনুষ্ঠান যদি একদিনের বেশী হয় তাহলে অনুষ্ঠানের সবাইকে পরদিন থেকে প্রতিদিন সবাইকে করোনা টেস্ট করাতে হবে। আপাতত এগুলোর ব্যয় সরকার বহন করবে। প্রতি মিউনিসিপ্যালটিতে এজন্য বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ইত্যাদিতে যতজন আর যখন ইচ্ছে যেতে পারে তবে রাত বারোটা থেকে সকাল ছয়টা এগুলো বন্ধ থাকবে। মুভি, মেলা, কনসার্ট, থিয়েটার যেখানে নির্দিষ্ট বসার জায়গা আছে, সেখানে হলের পুরো ধারন ক্ষমতার সমান দর্শক থাকতে পারবে। যেখানে বসার জায়গা নির্দিষ্ট নয় সেখানে মূল ধারন ক্ষমতার পচাত্তর ভাগ মানুষ যেতে পারবে, তারপরও সবাইকে সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে। মেলা, খেলাধূলা ইত্যাদি বাইরের সব বিনোদন সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ মুক্ত। ট্রেন, ট্রাম, বাস, ট্যাক্সিতে মাস্ক পরতে হবে, সিকিউরিটি পার হওয়ার পর এয়ারপোর্টে মাস্ক বাধ্যতামূলক। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান আর চার্চে করোনা সার্টিফিকেট লাগবে না। এটি সম্পূর্ণ চার্চের ওপর নির্ভর করে, সরকার সেখানে কিছু বাধ্যবাধকতা দেয়ার এখতিয়ার রাখে না। শিক্ষাক্ষেত্রঃ ম্যাক্সিমাম পচাত্তর জনের বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। মাস্ক আর বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। প্রাইমারি স্কুলে একজন করোনা পজিটিভ হলে পুরো ক্লাশকে আর কেয়ারন্টিন যেতে হবে না, শুধু যারা পজিটিভ তারা গেলেই চলবে। পয়লা নভেম্বর আবার দেখা হবে প্রেস কনফারেন্সে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ংঃ ভ্যাক্সিন নেয়া কিংবা না নেয়া ব্যক্তির ইচ্ছের ওপর নির্ভরশীল থাকবে, ভ্যাক্সিন নিতে কাউকে বাধ্য করা হবে না। যারা ভ্যাক্সিন নেয়নি তাদেরকে কোথাও যেতে হলে প্রত্যেক বার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে আর এটি তারা বিনামূল্যে করাতে পারবে। তবে ভ্যাক্সিন নেয়ার জন্যে আমি অনুরোধ করবো, শতকরা পচানব্বই জন ভ্যাক্সিন নেয়া মানুষ হাসপাতাল ছাড়া সারভাইভ করতে পারে আর সাতানব্বই জন আইসিইউ ছাড়া সারভাইভ করতে পারে। হাসপাতালে আসা বেশীর ভাগ মানুষই যারা এখনও ভ্যাক্সিন নেয়নি। যত বেশী মানুষ ভ্যাক্সিন নেবে ততো আমরা সব নিয়ম শিথিল করতে পারবো, কারণ ভ্যাক্সিন নেয়া থাকলে অন্যদের সংক্রমণ করার সুযোগ কম থাকে। অফিসে জিজ্ঞেস করতে পারে, তুমি ভ্যাক্সিন নিয়েছো কিনা। তবে জবাব দেয়া না দেয়া কর্মীর ইচ্ছা। কিন্তু নিজেদের অফিস নিরাপদ রাখতে বা সংক্রমণ এড়াতে অফিস বলতে পারে, ভ্যাক্সিন নেয়ার কথা। কিংবা টেস্ট করার কথা। তবে কেউ কাউকে বাধ্য করতে পারবে না। যারা স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছে তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি প্রযোজ্য। দুর্বল স্বাস্থ্যের মানুষজন যাদের ইম্যুয়ন যথেষ্ঠ নয়, তারা নিজেদের ডাক্তারদের থেকে অক্টোবর মাসে তৃতীয় টিকা নেবার চিঠি পাবে। দুইশো থেকে চারশো হাজার মানুষ এর আওতায় পরবে। যেহেতু সাধারণ ভ্যাক্সিনটি বৃদ্ধ, অসুস্থ এমনকি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্যেও অনেক কার্যকর তাই আপাতত বুস্টার ডোজ কাউকে অফার করা হচ্ছে না। কিন্তু প্রয়োজন হলে আমরা তৈরিই আছি। সাংবাদিকঃ একদিকে বলছেন নিয়ম শিথিল করছেন অন্যদিকে বলছেন কফি খেতে গেলেও করোনা সার্টিফিকেট লাগবে। কেন? প্রিমিয়ে রুতেঃ আনফরচুনেটলি ইয়েস, দেড় মিটার দূরত্বের বাধ্যবাধকতা যেহেতু তুলে নিয়েছে, সবাই নিরাপদ আছে এটা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সাংবাদিকঃ কি করে সেসব নিশ্চিত করা হবে? প্রিমিয়ে রুতেঃ প্রতিটি মিউনিসিপ্যালটিকে এজন্য আলাদা টাকা দেয়া হয়েছে, তারা পুলিশ বা চেকার নিয়োগ করবে যারা রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে এসবে যেয়ে চেক করবে এবং যারা নিয়ম মানেনি তাদের জরিমানা করবে। সাংবাদিকঃ ফ্রান্সে পনেরশো টাকা জরিমানা ধরা হয়েছে আমাদের কত টাকা জরিমানা? প্রিমিয়ে রুতেঃ সেটা এখনও ঠিক হয়নি, আমার মনে নেই, তবে আলোচনা চলছে। শুধু জরিমানা নয় দরকার হলে ক্যাফে বন্ধও করে দেয়া হতে পারে। সাংবাদিকঃ নাইট ক্লাবস সব রাত বারোটায় বন্ধ করে দিতে বলেছেন? আপনি কি গত বছর নাইটক্লাবে গেছেন? সেখানে কি হয়? আর যদি রাত বারোটায় বন্ধ করেই দেন তাহলে মানুষ বাসায় যেয়ে পার্টি করবে, তাহলে লাভটা কি হলো? সংক্রমণতো ওখানেও হতে পারে? প্রিমিয়ে রুতেঃ আমাদেরকে প্রতিটি পা খুব গুনে গুনে ফেলতে হবে। ছাব্বিশে জুনের শিক্ষা আমাদের মনে রাখতে হবে। সাংবাদিকঃ আপনি ভাবছেন বারোটায় নাইট ক্লাব থেকে এসে মানুষ সব শুয়ে পরবে? প্রিমিয়ে রুতেঃ আমি কিছুই ভাবছি না, আমি শুধু বলতে চাই, সবাইকেই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সাংবাদিকঃ ভাইরাসের কি ঘড়ি আছে? সাংবাদিকঃ বাসায় পার্টি চলতে পারবে, মেলা, কনসার্ট চলতে পারবে শুধু ক্যাফেতে বসে রাত বারোটার পর ড্রিঙ্ক করা যাবে না? আমরা কি তাহলে ড্রাগ প্রমোট করতে চাইছি? প্রিমিয়ে রুতেঃ আমরা শুধু ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে চাইছি। সাংবাদিকঃ ডান্স ফিস্ট কেন বন্ধ করলেন? এত প্রটেস্ট হচ্ছে সেটা দেখেছেন? করোনা নিয়ে আপনাদের ওপর জনগনের আস্থা খুবই কম। হুগো দ্যা ইয়ংঃ ওএমটি’র উপদেশানুসারে বন্ধ করেছি, নাইট লাইফ থেকে যেহেতু সংক্রমণ বেশী হয়, সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সবাইকে। সাংবাদিকঃ ঠিক কখন এসব থেকে আমরা বের হতে পারবো? সংক্রমণ কোন হারে এলে নিজেদের স্ট্যাবল ভাববো? হুগো দ্যা ইয়ংঃ চল্লিশ জন হাসপাতালে, দশ জন আইসিইউতে সাতদিন কিংবা তারপরেও যদি এটাই কন্টিনিউ করে তাহলে আমরা আরও অনেক শিথিলতার দিকে যাবো বা যেতে পারবো। আমরা কিছুতেই আগের পরিস্থিতি বা লকডাউনে ফিরে যেতে চাই না।

No comments:

Post a Comment