Friday 31 January 2020

স্লিপিং উইথ দ্যা এনিমি নাকি শত্রুর সাথে বসবাস



ক্রমবর্ধমান “ধর্ষণ” সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে “ধর্ষক” এর সাথে যারা “ধর্ষিতা”র বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করছেন, তাদের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই, একবার “ধর্ষিত” হওয়া কি একটা মেয়ের জন্যে যথেষ্ঠ নয়? প্রতিবার তাকে “ধর্ষন”এর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে? নাকি একটা কাগজে স্বাক্ষর দেয়া থাকলে রাষ্ট্রের কাছে সেটি আর অপরাধ বলে গন্য হবে না, রাষ্ট্র নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়ার দায় থেকে মুক্তি পাবে?

এসব কথা অপরাধকে বৈধতা দেয়, অপরাধের গুরুত্ব কমিয়ে দেয়, অপরাধকে আরও উৎসাহিত করে। যার যার ইচ্ছে হবে, প্রথমে “ধর্ষন” করবে তারপর বিয়ে করার নাটক করবে, আরও অত্যাচার করবে, কয়েক মাস পর তালাক দিয়ে দেবে। আজীবনের দায়িত্ব নেয়ার কোন আইন তো এখনও তৈরী হয় নি, সমস্যা কোথায়?

আর “বিয়ে” মানে কি? প্রেম-ভালবাসাহীন, বোঝাপড়াহীন একটি জৈবিক সম্পর্ক? শুধুই এই? দাদুদের সময়ের গল্প শুনতাম, সারাদিন বর-বউ দেখা হতো না, রাতের আধারে স্বামী হারিকেন জ্বালিয়ে বউয়ের মুখ দেখতো, দিনের বেলায় চিনতে পারতো না, কে কার বউ আর কে কার স্বামী। বছর বছর সন্তান উৎপাদন ছাড়া আর দুজনের মধ্যে কোন সম্পর্ক থাকতো না, আমরা কি দিন দিন সেই পথে ফিরে চলেছি?

এসব উদ্ভট সমাধান যারা খুঁজে বের করেন সেসব নীতি নির্ধারকদের “দাম্পত্য জীবন” সম্পর্কে জানতে কৌতুহল হয়, জানতে ইচ্ছে করে, তারা তাদের “পার্টনারকে” কিভাবে ট্রীট করেন।

এসব চিন্তাধারার ব্রণ অবশ্য অন্য জায়গায়। সেকথা উল্লেখ করা যাবে না, উল্লেখ করলে কল্লা থাকবে না।

২৯/০১/২০২০

No comments:

Post a Comment