Friday 27 March 2020

শেষ “করোনা”, শুরুতে খেল দিয়েছো খতম করে

শেষ “করোনা”, শুরুতে খেল দিয়েছো খতম করে
রোগ পাঠিয়ে এখন ফাইজলামি “করোনা”

চায়নীজরা প্রথমে সারা বিশ্বজুড়ে “করোনা” ছড়িয়েছে, এখন তারা গোটা পৃথিবীকে “মাস্ক”, “কিট”, “ট্রিটমেন্ট” এন্ড “টেকনোলোজী” সাপ্লাই ও সাপোর্ট দিচ্ছে। পুরাই “চায়নীজ ট্রিক”। একসময় ইউরোপীয়ানরা উপনিবেশ গড়েছে এখন চায়নীজরা রিভার্স খেলছে। “এশিয়ান ফ্লু” নিয়ে যেহেতু ইউরোপীয়ানদের অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান কম, এটা দিয়ে ইউরোপকে দখল করা ইজি হবে। বছর বছর চায়না যদি বানিজ্যের প্রসারে নতুন নতুন “ফ্লু” এদিকে সাপ্লাই দিয়ে মার্কেট দখলে রাখে, অবাক হবার কিছুই থাকবে না।
আমার ধারনা, জাপান আফশোস করতেছে, হাতের কাছ থেকে বানিজ্য ফস্কে গেলো, এরপর তারাও কোমর বেঁধে লাগবে, টয়োটা, মিটসুবিশি, লীন-মুডা ট্রেইনিং এর পর আর নতুন কি প্রোডাক্ট রপ্তানী করা যায়।

ভারতীয়রাও পিছিয়ে থাকবে না। আইটি সেক্টর তো পুরাই কব্জায় এখন মেডিক্যাল সেক্টর। স্পেশালিস্টরা অন সাইট আর সাধারণরা অফ সোর। ফ্লু হলে ব্যাঙ্গলোরে হেল্প লাইনে ভিডিও কল দিয়ে ট্রিটমেন্ট নেবো।

অর্থনীতি নতুন মোড় নেবে, এশিয়া নির্ভর ইউরোপ। তবে সবদিক দিয়ে আমরা ধরা। ইউরোপ যখন এশিয়াতে উপনিবেশ বানিয়েছিলো তখন ভুগেছে আমাদের পূর্বপুরুষ, এখন চায়নীজরা এসে ইউরোপকে ধরেছে এখন ভুগবো নিজেরা। গরীব যেদিকে যায়, সাগর শুকাইয়া যায়।

বাংলাদেশ অবশ্য সবসময়ই দুধভাত, তারা কোন প্রতিযোগিতায় বা ট্রেন্ডে বিশ্বাসী নয়। আন্তর্জাতিক অংগনের ক্রিকেট এক্সপিরিয়েন্স নেয়ার মত তাদের এই বিশ্বের বানিজ্যের ভাবগতিক বুঝতে বুঝতে কেটে যাবে আরও পঞ্চাশ বছর।

এমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠোঁট গোল গোল করে যখন বলেন, “চায়নীজ ভাইরাস”, খুবই কিউট লাগে, জাস্ট লাভিট।

করোনা প্রমাণ করলো, দিনের পর দিন অফিস, স্কুল, বাজার, সব বন্ধ থাকলেও জীবন চলে। সবকিছু অনলাইনেই সম্ভব। অফিস প্লেস হায়ার না করেও বিজনেস রান করা যাবে, এবং ভালই যাবে। স্কুল চলবে এবং শপিং ও। “কস্ট কাটিং” ইউরোপ এবার তাদের জীবন ব্যবস্থাকে আবার নতুন করে ঢেলে সাজাবে। ওয়েটিং ইগারলি টু মীট দ্যা নিউ চেঞ্জেস হুইচ আই উইল কল “আফটার করোনা ইফেক্ট” অর “করোনা ইনভেশান”। ইতিমধ্যে পলিসি মেকাররা হয়ত লেগে পরেছে। নদীর একূল ভেঙেছে ওকূল গড়া হচ্ছে। হাজার লোকের যেমন চাকুরী যাবে তেমনি শত লোক আবার ওভারটাইমও কাজ করবে, তাদের মরার সময় নেই, বাজারে আসবে নতুন পলিসি।

লেসন অফ করোনাঃ অল্প কিবা বেশি, সবভাবেই জীবন কেটে যায়। সব পরিস্থিতিই একসময় স্বাভাবিক লাগে। মানুষ মানিয়ে নেয়ার অদ্ভূত ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে। প্রথমে ভেবেছিলাম, আড্ডা, পার্টি, মুভি, রেস্টুরেন্ট এগুলো ছাড়া কি করে বাঁচবো? কিন্তু এই যে জামা-কাপড় ইস্ত্রি করার কোন তাড়া নেই, নেলপালিশ ম্যাচ করার টেনশান নেই, বেশ ভালই বেঁচে আছি। জানুয়ারী মাসে হলিডে বুক করার সময় বললাম, আগস্টের পর আর কোন হলিডে করি নি, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। এখন হলিডে ক্যান্সেল, আবার কবে হবে তার কোন সম্ভাব্য পরিকল্পনার ও সুযোগ আপাতত নেই, কিন্তু দিব্যি ফোঁস ফোঁস নিঃশ্বাস নিচ্ছি। আপাতত জুন পর্যন্ত সব বন্ধ তারপর কি হবে সেটা এখনো কেউ জানে না।

অবাক করার ব্যাপার বেশ ভালই কাটছে দিন, অফিস করছি, রান্না করছি, মুভি দেখছি, ফেবু করছি রোজদিন একই রুটিন তারপরও বেশ লাগছে। একটা অন্যরকম সময় পার করছি, চেনা জীবনের সাথে এর তেমন কোন মিল নেই। অনেকটা প্রেগন্যান্ট থাকার অনুভূতি, সাবধানে থাকতে হবে, এটা ধরো না, ওটা করো না টাইপ ব্যাপার। বিশ্বজুড়ে “হোম কেয়ারান্টিন” চলছে, এমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া। পরিবারের সবাই ধরতে গেলে একসাথে আছি কিন্তু যার যার বাসায়। ভিডিও কলে গল্পসল্প শেষ হয়ে গেলে শুরু হয় গানের আসর। কবে এমন রুপকথার দিন কাটিয়েছি!



ইহা একটি অতিশয় লেইম পোস্ট।

03/25/2020

No comments:

Post a Comment