সেই ছোটবেলায় যখন উইলামস্ট্রাট এর ফ্ল্যাটে পা রেখেছিলাম প্রায় প্রতিটি দিনই ছিলো বিভীষিকা। বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদু, বাড়ি থেকে দু'পা ফেললেই কাজিন, বন্ধু। এছাড়া আজকে ক্রিকেট তো কালকে ফুটবল, পরশু কনসার্ট তারপর দিন হরতাল। কি নেই, ভরপুর ছিলো জীবন। আর এখানে নিস্তব্ধতা, শুধু আমি আর আমি। কোথাও যাওয়ার নেই, করারও কিছু নেই। টিভি বলতে বিবিসি, সিএনএন, এমটিভি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি নয়তো ডিস্কোভারী। পেপার পড়ার কোন সুযোগ নেই, ফ্রীতে পেপার দিয়ে যায়, উল্টেপাল্টে ছবি দেখে রেখে দেই। ফ্ল্যাটের বাইরের পৃথিবীতে কি হচ্ছে তার কোন আঁচ ঐ ফ্ল্যাটের ভেতরে এসে লাগে না। বাইরের পৃথিবী বলতে ডাচ ক্লাশ। তখনও বাংলাদেশের কোন সংবাদপত্রের কোন ওয়েবসাইট নেই।
সেসময় কোথাও থেকে বেশ সস্তায় অনেক রঙ পেন্সিল কিনেছিলাম। প্রতিদিন একটু পর পর ঘড়ি দেখতাম, কতটা সময় গেলো, দিনটা কি শেষ হলো? সোমবার কি মংগলবারে গড়ালো? দেয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো দুপুরে এক কালার দিয়ে ক্রস করতাম, দুপুর কেটে গেলে সন্ধ্যায় আবার অন্য কালার দিয়ে ক্রস করতাম তারপর আবার রাত। বেশীর ভাগ দিন চারটা রঙের ক্রস থাকতো, একটা দিন কাটলো।
সেই থেকেই রঙ পেন্সিল অনেকটা সাথী। তবে এখন আর সময় নিয়ে এত ভাবতে হয় না। একাকীত্বও খানিকটা অভ্যাসের ব্যপার। সাঁতার শেখার মত, একবার পানি খেয়ে শিখে গেলে, তারপর ভেসে থাকা যায়। একা থাকা একবার অভ্যাস হয়ে গেলে, কিছুক্ষণ রঙ, কিছুক্ষণ বই সময় বেশ যায়, মন্দ না
সেসময় কোথাও থেকে বেশ সস্তায় অনেক রঙ পেন্সিল কিনেছিলাম। প্রতিদিন একটু পর পর ঘড়ি দেখতাম, কতটা সময় গেলো, দিনটা কি শেষ হলো? সোমবার কি মংগলবারে গড়ালো? দেয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো দুপুরে এক কালার দিয়ে ক্রস করতাম, দুপুর কেটে গেলে সন্ধ্যায় আবার অন্য কালার দিয়ে ক্রস করতাম তারপর আবার রাত। বেশীর ভাগ দিন চারটা রঙের ক্রস থাকতো, একটা দিন কাটলো।
সেই থেকেই রঙ পেন্সিল অনেকটা সাথী। তবে এখন আর সময় নিয়ে এত ভাবতে হয় না। একাকীত্বও খানিকটা অভ্যাসের ব্যপার। সাঁতার শেখার মত, একবার পানি খেয়ে শিখে গেলে, তারপর ভেসে থাকা যায়। একা থাকা একবার অভ্যাস হয়ে গেলে, কিছুক্ষণ রঙ, কিছুক্ষণ বই সময় বেশ যায়, মন্দ না
No comments:
Post a Comment