Wednesday 21 April 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – বিশে এপ্রিল

ইয়েইইইইই – এইবার এইবার প্রিমিয়ে মার্ক রুতে নাইমেইখেনের মেয়র হুবার্টস মারিয়া ফ্রান্সিসাস রোববারে এক টিভি ইন্টারভিউতে বলেছেন, ঝুঁকি না নিয়ে আমরা এই ক্রাইসিস থেকে বের হতে পারবো না। তবে দায়িত্বহীন ঝুঁকি নেয়া যাবে না। পাঁচটি পদক্ষেপের কথা ভাবা হয়েছে যার মাধ্যমে এই গরমের ছুটির সময় থেকে আমরা করোনা নিয়মানুবর্তিতা থেকে বের হতে পারবো। সাতাশে এপ্রিল কিংস ডে, ওয়েদার ভাল থাকলে নিয়মনীতিকে কলা দেখিয়ে এমনিতেই প্রচুর লোক বাইরে বের হবে। সো আমরা সবাই মোটামুটি আগে থেকেই জানতাম, শিথিলতা আটাশে এপ্রিল থেকেই আসবে। ধন্যবাদ মিনিস্টার প্রেসিডেন্ট আপনাকে সেটা কনফার্ম করার জন্যে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাব্বিশে এপ্রিল থেকেই খুলবে। আরআইভিমের চার্টে দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর কার্ভ নীচের দিকে তাই আমরা ভাবছি এখন শিথিলতার দিকে যাওয়া যায়। একঃ আটাশে এপ্রিল সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে আর কার্ফিউ থাকবে না। দুইঃ বুধবার থেকে বাড়িতে একজনের জায়গায় দুজন গেস্ট এলাউড। তিনঃ বারোটা থেকে ছয়টা অব্ধি বাইরের ক্যাফেগুলো খোলা থাকবে। আগে থেকে রিজার্ভ করতে হবে, চেকিং ও রেজিস্ট্রেশান বাধ্যতামূলক, প্রতিটি ক্যাফেতে পঞ্চাশ জন ম্যাক্সিমাম। এক পরিবারের বাইরের হলে দুজনের বেশি এক টেবলে বসতে পারবে না আর দেড় মিটারের দূরত্ব মেইনটেইন করতে হবে। চারঃ বুধবার থেকে নট এসেনসিয়াল প্রোডাক্টের দোকানে যেতে আগে থেকে আর এপয়ন্টমেন্ট নিতে হবে না তবে ছোট দোকানে ম্যাক্সিমাম দুইজন আর বড় দোকানে প্রতি পঁচিশ বর্গমিটারে একজন। মাস্ক বাধ্যতামূলক। পাঁচঃ বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের স্টুডেন্টরা সপ্তাহে অন্তত একদিন সশীরে ক্লাশে যেতে পারবে। ছয়ঃ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ম্যাক্সিমাম একশোজন যোগ দিতে পারবেন আর ড্রাইভিং এর থিওরি এক্সাম আবার শুরু হবে বুধবার থেকে। যেসব ক্যাফের রাস্তায় খুব ভীড় হবে, শপিং এর ওখানে ভীড় হবে বন্ধ করে দেয়া হবে। আমি জানি চিড়িয়াখানা, জিম, সিনেমা হল ইত্যাদির সবাই ভাবছে, তাহলে আমরা কেন বাদ? গত সামার থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি, পুরো দেশের সবকিছু একবারে খুলে দেয়া যাবে না। তাই স্টেপ বাই স্টেপ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ং ইউরোপীয়ান মেডিক্যাল বোর্ডের মতে, ইয়ানসেন (জনসন) ভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা খুব সামান্য আর তাই কাল থেকে হাসপাতাল, জিজিজেড সব জায়গায় প্ল্যাননুযায়ী ইয়ানসেন পুশ করা হবে। আশাকরছি ভ্যাক্সিনেশানের কার্যক্রম পরিকল্পনা মতই এগিয়ে যাবে। সাংবাদিকঃ আপনি গত সপ্তাহে বলেছেন, সংক্রমণের হারের উর্ধ্বগতির কারণে নিয়ম শিথিল করছেন না, এই সপ্তাহে সংক্রমণের হার অপরিবর্তিত থাকা সত্বেও এত নিয়ম শিথিল হচ্ছে, আপনি কি অনেক বেশি ঝুঁকি নিচ্ছেন না? প্রিমিয়ে রুতেঃ আমি গ্রহণযোগ্য ঝুঁকি নিচ্ছি। সাংবাদিকঃ আপনারা শিথিলতার দিকে যাচ্ছেন যেখানে এখন জানুয়ারীর চেয়েও বেশী সংক্রমণ আর রোগী হাসপাতালে ভর্তি? বিজ্ঞানের ওপর ভর করে এই সিদ্ধান্ত নাকি সামাজিক চাপ? প্রিমিয়ে রুতে আর মন্ত্রী হুগোঃ প্রতি মিনিটে দেড়শো জনকে ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে, চার মিলিয়ন মানুষ করোনাউ ভুগে এন্টিবডি তৈরী করে নিয়েছে সেসব হিসেব মাথায় রেখেই আমরা শিথিলতার দিকে আগাচ্ছি। সাংবাদিকঃ আজকে আপনারা শিথিলতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অথচ আজকেই ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের আর কোন বোনাস দেয়া হবে না, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি এটি কি খুব রুঢ় আচরণ নয়? তাদেরতো এখনো সেই আগের মতই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্রিমিয়েঃ এক দশমিক তিন মিলিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী আছে কিন্তু তাদের সবাই করোনা নিয়ে কাজ করে না, টাকাটা লিমিটেড, আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সবাইকে অল্প বোনাস দেবো নাকি শুধু করোনা নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের অনেক বেশী দেবো, আলোচনা এখনো চলছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেশকে বাইপাস করে, হাসপাতাল, সংক্রমণ, আইসিইউর অপ্রতুলতাকে এড়িয়ে গিয়ে শিথিলতার এই সিদ্ধান্ত কতখানি আত্মঘাতী হতে পারে তা নিয়ে সাংবাদিকরা এক ঘন্টা ধরে নানা প্রশ্ন করে গেছে কিন্তু প্রিমিয়ে আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশাবাদী। যদিও ডাক্তাররা এরপর লাল জোন থেকে কালো জোনে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। লেটস সি।

No comments:

Post a Comment