Friday 16 April 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – তেরোই এপ্রিল ---- ইজ দেয়ার এনি লাইট ইন দ্যা টানেল?

প্রিমিয়ে মার্ক রুতে জীবন এখন দুটি ভাগে বিভক্ত। একদল যারা সমানে অভিযোগ করেই যাচ্ছে, রেস্টুরেন্টে যেতে পারছে না, কনসার্টে যেতে পারছে না, পার্টি করতে পারছে না। আর একদল যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। এখন প্রায় আড়াই হাজার করোনা রোগী হাসপাতালে, যাদের মধ্যে আটশোকে ইনটেন্সিভ কেয়ার দিতে হচ্ছে, এবং যারা মারা যাচ্ছে তাদের অনেকেরই বয়স ষাটের নীচে। একশো ষাট হাজার সংক্রমিত রোগী নিয়ে গত বছরের এপ্রিল মাসের মতই আমরা এখনও সংক্রমণের শীর্ষে আছি। অন্যসব চিকিৎসা এখন স্থগিত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যখাত সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাত আর স্বাস্থ্যকর্মীরা পাগলের মত ব্যস্ত রয়েছেন। কিন্তু জীবন থেমে থাকছে না। ভ্রমণ, শিক্ষা, নিঃসংগতা, বিনোদন, খেলাধূলা, রেস্টুরেন্ট সব জায়গায় সমস্যা বেড়েই চলছে। আঠাশে এপ্রিল থেকে শিথিলতার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশে এপ্রিল সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। আপাতত একটি পরিবর্তন আসছে, উনিশে এপ্রিল থেকে ডে কেয়ার পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে। হুগো দ্যা ইয়ং যদি সংক্রমণের তীব্রতা কমে আসে তবে আঠাশে এপ্রিল থেকে কার্ফিউ তুলে দিয়ে, দুজন মেহমান বাসায় ডাকার পার্মিশান দেয়া হবে। স্টেপ বাই স্টেপ আগানো হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই সপ্তাহ পর, চিড়িয়াখান, সুইংমিংপুল, বাইরে খেলার মাঠ এসব খুলে দেয়া যায় কিনা দেখা হবে। এভাবে ধীরে ধীরে গরমের ছুটির মধ্যে আর কি কি খুলে দেয়া যায় ভাবা হচ্ছে। চার মিলিয়ন মানুষকে ইতিমধ্যে ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছে, মধ্যে মে’র মধ্যে ষাটোর্ধ্ব সবাইকে ভ্যাক্সিন দেয়া হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জুলাইয়ের প্রথম দিকের মধ্যে সবাইকে অন্তত একটি ডোজ দেয়া হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উনিশো একান্ন সালের আগে যাদের জন্ম তারা ইচ্ছে করলে ভ্যাক্সিনের জন্যে এপয়ন্টমেন্ট নিতে পারে। ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্যে একশোতম টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে আর এই উইকএন্ডে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ টিকা নেয়ার জন্যে নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশান করেছে। বারবার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, এস্ট্রোজেনিকা ভ্যাক্সিন ষাটোর্ধ্ব মানুষের জন্যে নিরাপদ, ষাটের কম বয়সীদেরকে অন্য কোম্পানীর ভ্যাক্সিন দিতে হবে। সাংবাদিকঃ আইসিইউ নিয়ে এত সমস্যা, তারপরও কেন এতদিনে আইসিইউর সংখ্যা বাড়ানো হলো না? প্রিমিয়ে রুতেঃ দুটো পন্থা আছে, অন্য রোগী সরিয়ে করোনা রোগীকে আইসিইউ দিয়ে দেয়া, তাহলে আবার অন্য ডিপার্টমেন্টের পরিকল্পনা ইত্যাদিতে চাপ পড়ে। দুই, হাসপাতালের রিকনস্ট্রাকশান করে আইসিইউর সংখ্যা বৃদ্ধি করা, সেটা করতে গেলে বছরের পর বছরের সময় দরকার, মানুষকে ট্রেনিং দেয়া দরকার, ইকুইপমেন্টস দরকার যদিও আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনায় এই জিনিসগুলো আছে (সত্যিই মিনিস্টার প্রেসিডেন্ট!!!!!) সাংবাদিকঃ এতদিনে পরিস্থিতির তেমন কিছু পরিবর্তন হয়নি, আঠাশে এপ্রিলের আছে আর দু সপ্তাহ, তারমধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি আশা করাটা কি খানিকটা অবাস্তব নয়? প্রিমিয়ে রুতেঃ আমরা প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করবো, আঠাশে এপ্রিল সম্ভব না হলে আরো দুই সপ্তাহ বেশী দেখবো নইলে আরো দুই/তিন সপ্তাহ, অন্য কোন উপায় এই মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই। সাংবাদিকঃ আঠারোর নীচে যাদের বয়স, তাদের টিকা দেয়ার কথা কি ভাবা হয়েছে? স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগোঃ যাদের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তাদেরকে প্রায়োরাটাইজ ক্যাটাগরীতে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বয়সানুযায়ী বাকীদের টিকা দেয়া হয়ে গেলে, ষোল থেকে আঠারোদেরও টিকা দেয়া হবে। তার নীচের বয়সীদের ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপদেশ চাওয়া হয়েছে, এখনো তারা কিছু জানাননি। যারা যারা এস্ট্রোজোনিকার টিকা নিচ্ছেন না তাদের জন্যে সুখবর হলো, তাদের দ্বিতীয় ডোজ অনেক তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে স্টক এভেইলেবিটির কারণে। সাংবাদিকঃ এক্সেস/প্রবেশ পরীক্ষা করার জন্যে আপনাদের যে এক বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করার কথা ছিলো, বিশেষজ্ঞদের মতে আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারনে সেটি নাকি পুরোটাই ভুল দিকে গেছে? হুগো দ্যা ইয়ংঃ আমি পুরোটা ঠিক জানি না, এটি শুরু করার জন্যে প্রথম ধাপে আমরা পাঁচ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছি, আমরা এখন দ্বিতীয় ধাপে আছি, এটি পরিচালনার জন্যে আমাদের মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরোর দরকার কিন্তু এখন পাইলট প্রজেক্টে ইউরো যাচ্ছে, বস্তা বস্তা ইউরোতো কোথাও রাখা নেই। তবে সামনের ধাপের জন্যে নাম লেখানো শুরু হয়েছে, সামনের ধাপ থেকে এই প্রজেক্টে বিনিয়োগ করা হবে। “ওপেন নেদারল্যান্ডস” একটি অলাভজনক অর্গানাইজেশান যারা যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পে অংশ গ্রহণ করতে চায় তাদেরকে বিনিয়োগ করতে বলেছে। মাসে কত টেস্টের দরকার হতে পারে সেটি নিয়েও গবেষণা চলছে। ইউরোপীয়ান মেডিসিন এক্ট বাইপাস করেই এগুলো করা হচ্ছে, কারণ বেশীর ভাগ সময়ই তারা খুব বেশি সময় নেয়। বারবার করে প্রিমিয়ে রুতে আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো বলেছেন, কখন কি কতটুকু খোলা হবে তার কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। একটি পদক্ষেপ নেয়ার পর দুই তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করে তার ফলাফল দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এখনের সম্ভাব্য পরিকল্পনা পুরোই পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। রোড ম্যাপ পরিকল্পনামত এগোলে এগারোই মে থেকে ফিটনেস সেন্টার খোলা হবে আন্ডার রেস্ট্রিকশান। তারপরও ফিটনেস থেকে মেইল চলে এসেছে তারা রেডী দুবাহু বাড়িয়ে “ওয়ার্ম ওয়েলকাম” জানাতে। সবকিছুর পরেও জীবনের দিকে ধাবমান এই জগৎ।

No comments:

Post a Comment