Saturday 15 May 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – এগারোই মে টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – এগারোই মে টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান প্রিমিয়ে রুতেঃ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা ওপেন রেস্টুরেন্টে বসতে পারছি, এপয়ন্টমেন্ট ছাড়া শপিং আর বাড়িতে দুজন করে গেস্ট ডাকতে পারছি, আস্তে আস্তে আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনের দিকে ফিরছি। তাতে করে তিনটে জিনিস চোখে পড়ছে, রেস্টুরেন্ট আর দোকানের মালিকরা স্বাস্থ্যবিধির দিকে খুব নজর রাখছেন, সাধারণ মানুষও নিয়ম মেনে চলছেন, সবাইকে কমপ্লিমেন্ট। আবহাওয়া ভাল থাকায়, প্রচুর মানুষ বাইরে বের হচ্ছে, তাতে দেড় মিটারের দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না তাই এদিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। তৃতীয়টি হলো, একদিকে অনেকেই দাবী করছে আরো অনেককিছু খুলে দেয়ার জন্যে অন্যদিকে হাসপাতাল, আইসিইউ এখনো করোনা রোগী দিয়ে ভর্তি। শুধু এক কিংস ডে’তে সতেরটি বড় জটলা থেকে আমস্টার্ডামেই এত সংক্রমণ বেড়ে গেছে। যেমনটি আগে বলেছি, আবারও বলছি, ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের সম্মুখীন যাতে হতে না হয় তার জন্যে আমরা আমরা ব্যালেন্স খুজঁছি। তবুও আমি ভ্যাক্সিনের কারণে সবাইকে সুন্দর গরমের ছুটির আশ্বাস দিচ্ছি। স্বাভাবিক জীবনের প্রতি আমাদের দ্বিতীয় পদক্ষেপঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মতে, হাসপাতালে আরো বিশ পার্সেন্ট পেশেন্ট কম হওয়ার পর আমাদের দ্বিতীয় পদক্ষেপের প্রতি যাওয়া উচিৎ। আশাকরছি এ সপ্তাহের মধ্যে সেটা সম্ভব হবে আর তাই উনিশে মে থেকে দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার চিন্তা। যদি সংক্রমণ না কমে তবে পরের সোমবারে আমরা এই দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনা স্থগিত করে দেবো। একঃ যৌনকর্মীরা আবার কাজ শুরু করতে পারবে দুইঃ ওপেন রেস্টুরেন্ট সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। খেলার স্কুলের খাবার ক্যান্টিনও এর আওতায় পড়বে, সব বেসিক নিয়ম মেনে। তিনঃ জিম, ফিটনেস, সুইমিং ও অন্যান্য শরীরচর্চা ও খেলার স্কুল খুলে দেয়া হচ্ছে, ম্যাক্সিমাম ত্রিশ জন। প্রতিযোগিতা, দর্শনার্থী, গোসল ও চেঞ্জের রুম বন্ধ থাকবে। চারঃ ওপেন এয়ার মিউজিয়াম, থিয়েটার, মনুমেন্ট খুলে দেয়া হবে, ম্যাক্সিমাম ত্রিশ জন। গান, নাচ, আঁকার স্কুলও খুলে দেয়া হচ্ছে তবে কোন গ্রুপ লেসন হবে না, প্রাইভেট লেসন চলতে পারে। পাঁচঃ চিড়িয়াখানা, এমিউজমেন্ট পার্ক, খেলার পার্ক এসবও খোলা হবে, দশ মিটারের মধ্যে একজন, রিজার্ভেশান ও রেজিস্ট্রেশান মাস্ট। একই পরিবারের না হলে দুজনের বেশি রেজিস্ট্রেশান করতে পারবে না, টয়লেট খুলে দেয়া হবে। আবারো পরিস্কার করা হচ্ছে, পার্ক বা চিড়িয়াখানার ওপেন এয়ারের অংশটুকু খোলা থাকবে, বাকি সব বন্ধ। সবকিছু পরিকল্পনামত এগুলে পয়লা জুন আবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তৃতীয় পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলবো আমি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ংঃ এ সপ্তাহে সাত মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। সব ষাটোর্ধ্ব এবং ক্যান্সার পেসেন্টসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা সব মানুষকে অন্তত টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। ফ্লু ভ্যাক্সিন যারা নিতো তাদেরও ভ্যাক্সিন দেয়ার কাজ চলছে। সাথে সব ধরনের সেবামূলক কাজে যারা জড়িত তাদের সবাইকেও ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা হয়েছে, এসব ক্যাটাগরিতে বয়স নয় পেশাকেই প্রাধাণ্য দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনামত সরবরাহ এলে জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকে যারা যারা ভ্যাক্সিন নিতে চায় আশাকরি সবাই ভ্যাক্সিন নিতে পারবে। করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্যে আমরা প্রচন্ডভাবে ভ্যাক্সিনের ওপর নির্ভর করছি, দেখা যাচ্ছে, এমনকি প্রথম ডোজ নেয়া থাকলেও সংক্রমণ ঠেকাতে এটি কাজ করে থাকে। গরমের ছুটি নিয়ে সবার মনেই অনেক প্রশ্ন, এতদিন সবাইকে বলা হয়েছিলো জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যেকোন দেশে ভ্রমণ নিষেধ, পনেরই মে’তে থেকে সেটি তুলে নেয়া হচ্ছে। গত গরমের ছুটির মতই প্রত্যেক দেশে অবস্থা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, পরিস্থিতি বদলালে সিদ্ধান্তও বদলানো হবে। পুরো ইউরোপে ভ্যক্সিন পাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে আর সংক্রমণ কমছে। সব তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। হলুদ রঙের দেশগুলোতে যাওয়া যাবে কিন্তু যে দেশেই যাবে সে দেশের নিয়ম মেনে যেতে হবে, করোনা টেস্ট, কেয়ারন্টিন ইত্যাদি। অনেক দেশই নেদারল্যান্ডসে এখনও করোনা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে। কমলা রঙের দেশগুলোতে বিনা প্রয়োজনে ভ্রমণ করা যাবে না এবং ফিরে আসার পর নেগেটিভ করোনা রিপোর্ট দেখানো সহ বাধ্যতামূলক কেয়ারন্টিনে থাকতে হবে। ইউরোপে আমরা সবাই, “ডিজিট্যাল গ্রীন সার্টিফিকেট” নিয়ে কাজ করবো। কোভিড নিয়ে ইউরোপের মধ্যে সুইডেনের পরেই সবচেয়ে বাজে পার্ফম করেছে নেদারল্যান্ডস। এবার আর প্রিমিয়ে গর্ব করে বলতে পারলেন না, আমার দেশের মানুষের ওপর আমার আস্থা আছে, তারা আমার কথা শুনবে। সাংবাদিকঃ আমরা কি আশা করতে পারি এ বছরের শেষের দিকে আমাদের দেশ থেকে করোনা পুরোপুরি চলে যাবে? স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ংঃ করোনা পুরোপুরি চলে যাবে না, তবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি যাতে করোনা আর আমাদের প্রাত্যহিক জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, দরকারে আমরা বার্ষিক ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করবো। আমরা এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছি, দুই হাজার তেইশের জন্যে ভ্যাক্সিনের অর্ডার দেয়া হয়ে গেছে। সাংবাদিকঃ একটি পরিবার যদি দুটো বাচ্চা নিয়ে কোথাও বেড়াতে যেতে চায়, ডিজিটাল গ্রীন সার্টিফিকেট থাকার পরও তাকে করোনা টেস্ট করাতে হবে, এবং প্রতিজন প্রতি টেস্ট একশো থেকে দেড়শো ইউরো মানে হাজার ইউরো তাদের শুধু টেস্টের জন্যে ব্যয় করতে হবে? এ ব্যাপারে তুমি কি মনে করো? স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ংঃ ভ্যাকেশান অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষের জীবনে কিন্তু আবশ্যিক না। সবকিছু সরকারের পক্ষে বহন করা সম্ভবও না। কেউ যদি দেশের বাইরে ছুটি কাটাতে চায়, সেটা তার সিদ্ধান্ত এবং আপাতত তাকে সেভাবেই প্রস্তূত হতে হবে, যতদিন না পুরো দেশের সবাই ভ্যাক্সিনড হচ্ছে। ছুটিতে গেলে কত ধরনের খরচা হয়, এটিও তার মধ্যে একটি। কিছু কিছু পরিবারের ছুটির জন্যে সব পরিবারের ট্যাক্সের টাকা খরচা করাও আমি ন্যায় মনে করি না। সাংবাদিকঃ প্রিমিয়ে রুতে, আমরা শুধু করোনার ক্ষতির কথাই শুনে যাচ্ছি, কিন্তু ক্ষতি পুনরুদ্ধার কোন পরিকল্পনার কথা এখনো শুনতে পাইনি। প্রিমিয়ে রুতেঃ আমাদের মন্ত্রীরা পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, অচিরেই সেটা সামনে আসবে।

No comments:

Post a Comment