Friday 28 May 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – আটাশে মে টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – আটাশে মে টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান প্রিমিয়ে রুতেঃ স্বাভাবিক জীবনের প্রতি আমাদের তৃতীয় পদক্ষেপঃ হাসপাতালের ভীড় আর সংক্রমণ কমে আমাদের ভবিষ্যৎবানী এখন বাস্তবে রুপ নেয়া শুরু করাতে আমরা নয় জুনের পরিবর্তে পাঁচই জুন থেকে তৃতীয় পদক্ষেপের দিকে এগুনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাঁচই জুন থেকে নেদারল্যান্ডসে টানা সাত মাসের লকডাউনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হচ্ছে তবে কিছু রেস্ট্রিকশান আপাতত থাকছে। এর আগে সব বাইরের কর্মকান্ড খুলে দেয়া হয়েছিলো, তৃতীয় পদক্ষেপ থেকে এখন ভেতরের কর্মকান্ডও খুলে দেয়া হচ্ছে। শিল্প-সাহিত্য, রেস্টুরেন্ট-ক্যাফে, সাওনা, ক্যাসিনো, বোট রাইড সব খুলে দেয়া হচ্ছে, সর্বোচ্চ পঞ্চাশ জন। নাইট ক্লাব, ডিস্কো, গ্রীস্মকালীন মেলা, উৎসব এখনও বন্ধ থাকবে। বাসায় তের বছরের ওপরে চারজনকে নিমন্ত্রণ করা যাবে। যেখানে লোক হাঁটাহাটি করবে, যাদুঘর, শপিং সেন্টার ইত্যাদি সেখানে প্রতি দশ স্কয়ারমিটারে একজন, যেখানে মানুষ বসে থাকবে, যেমন থিয়েটার বা কনসার্ট সেখানে প্রতি হলে পঞ্চাশ জন। তবে এক হাজার মানুষের বসার ক্যাপাসিটি আছে এমন হলে আড়াইশো জন বসতে পারবেন। ছয়শো লোকের সিনেমা হলে, এন্ট্রি টেস্টের মাধ্যমে প্রায় দুশো মানুষ যেতে পারবে, সেখানে ম্যাক্সিমাম কত জনের ব্যাপার নেই কিন্তু দেড় মিটার সোশ্যাল ডিসটেন্সের ব্যাপারটি আছে। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে কিংবা ক্যান্টিনগুলো সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং রাত দশটার পর কোথাও কোন এলকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ, এর সাথে এটাও বলতে চাই, পার্কে কিংবা খোলা জায়গায় রাত দশটার পর এলকোহল পানও নিষিদ্ধ। তবে টেকওয়ে রাত একটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রতি সন্ধ্যায় এক টেবলে দুবারের বেশি খদ্দের বসাতে পারবে না। খাবার যারা পরিবেশন করবে তাদেরকে প্রতি সপ্তায় দুবার কাজ শুরু করার আগে নিজে নিজে বাসায় করোনা পরীক্ষা করতে হবে। ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ এবং ডিজে লাইভ প্রোগ্রামগুলো এখনও নিষিদ্ধ থাকবে। আঠারো বছর থেকে সবাই প্রতি অংশে পঞ্চাশ জন করে খেলা অনুশীলন করতে পারবে। সবসময় তাদের দেড় মিটার সোশ্যাল ডিসটেন্সের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। চেঞ্জ রুম আর ওয়াশ রুমও খুলে দেয়া হবে। আঠারো পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে তবে শৌখিন প্রতিযোগিতা আর দশর্ক সমাগম বন্ধ থাকবে। হুগো দ্যা ইয়ংঃ সোশ্যাল মিডিয়া ভরপুর মানুষের হাসিমুখের ছবিতে সবাই যারা করোনার প্রথম ভ্যাক্সিন পেয়েছে। ভ্যাক্সিন কাজ করছে, হাসপাতালে করোনা রোগীর ভীড় কমে আসছে, সংক্রমণের মাত্রাও কমে এসেছে। ভ্যাক্সিন আজকে নয় মিলিয়নের নাম্বার ছুয়েছে। আঠারোর ওপরের জনসংখ্যার অর্ধেক ভ্যাক্সিন পেয়ে গেছে। এখন প্রতি সপ্তায় এক মিলিয়ন ভ্যাক্সিন দেয়া হলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা সপ্তাহে দেড় মিলিয়নে পৌঁছবে। ভ্যাক্সিনের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় জুলাইয়ের প্রথম দিকে জায়গায় আমরা জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেয়া শেষ করতে পারবো। জনসংখ্যার প্রায় পঁচাশি ভাগকে ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে ত্রিশে জুন থেকে আরও অনেক নিয়ম শিথিল করে দেয়ার পরিকল্পনা আছে। শুরু হবে চতুর্থ ধাপ। পুরোপুরি সব হয়ত শিথিল করা যাবে না তবে যতটুকু সম্ভব নিয়ম উঠিয়ে নেয়া হবে। জুনের ত্রিশ তারিখ থেকে কোন অনুষ্ঠানে গেলে যাদের টিকার দুটো ডোজই দেয়া হয়ে গেছে সেই সার্টিফিকেট দেখালে টেস্ট ছাড়াই ঢুকতে দেয়া হবে। আর কোন অনুষ্ঠানে যদি এন্ট্রি টেস্ট আবশ্যিক হয়, তাহলে বাড়ির কাছে কোন ল্যাবে যেয়ে বিনে পয়সায় অনুষ্ঠানের চল্লিশ ঘন্টা আগে পরীক্ষা করাতে হবে। রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে ডিজিটাল এপের মাধ্যমে করোনাহীন প্রবেশ সার্টিফিকেট বানাতে পারবে। যতদিন দরকার এভাবে আমাদের করে যেতে হবে। প্রথম জুলাই থেকে ইউরোপের মধ্যে আমরা সবাই চেষ্টা করছি “ডিজিটাল করোনা সার্টিফিকেট” বানাতে যা দিয়ে আমরা ইউরোপের মধ্যে বিনা বাধায় চলাফেরা করতে পারবো। তবে হ্যাঁ ভ্রমণ নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। আশাকরছি এই গরমের পরে আমরা যতদূর সম্ভব স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো। ভ্যাক্সিনের প্রতিটি ডোজ আমাদেরকে স্বাভাবিক জীবনের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকঃ অনেকেই বলছে হেমন্তে আবার করোনার এক বিরাট ঢেউ আসবে। সে পর্যন্ত কি মাস্ক পরা আবশ্যক? হুগো দ্যা ইয়ংঃ কি হবে আর কি হবে না, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভাইরাসের মিউটেশান এবং আক্রমণ ঠেকাতে যেমন দরকার তেমনই ব্যবস্থা নিতে হবে। সাংবাদিকঃ প্রিমিয়ে রুতে, আপনি ১৯৬৭তে জন্মেছেন, আপনার টার্ন এসেছে, চিঠি পেয়েছেন? ভ্যাক্সিন নিয়েছেন? প্রিমিয়ে রুতেঃ এখনো নেইনি তবে এপয়ন্টমেন্ট নিয়েছি।

No comments:

Post a Comment