Monday 16 May 2016

সরকারী কর্মচারী আর মন্ত্রীদের বেতন কী হালাল

যে কাজ দায়িত্ব নিয়ে করার জন্যে কেউ শপথ গ্রহন করে জনতা আর সৃষ্টিকর্তার কাছে ওয়াদা করে তারপর কাজটি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন না করে দিনের পর দিন জনতার করের পয়সায় তার বেতন নেয়, সেই বেতন নেয়াটা কি হালাল?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজের তালিকায় কি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ন্ত্রণ পরে না? প্রতিদিন দেশ জুড়ে এতো যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে তার দায় কার? অবশ্যই তার। কারণ কে কি কোথায় করেছে, ঘটনাটি ঘটে যাবার পর তা সম্বন্ধে তাৎক্ষনিক ভাবে তিনি আমাদেরকে তথ্য জানিয়ে দেন। সবই যদি তিনি জানেন তাহলে ঠেকান না কেন? পুলিশের আইজিপি থেকে শুরু করে যারা এ সকল বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধ করার জন্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে তারপর সেগুলো প্রতিরোধ না করে দায়িত্বহীনের মত নির্লজ্জ বক্তব্য দেন তাদের সম্বন্ধে জনতার কাছে জিজ্ঞাসা, তাদের বেতন কী হালাল? প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী কে ইসলামে কী বলে? জনগনের করের টাকায় বেতন নিয়ে তাদের জানমাল হেফাজত করার ওয়াদা দিয়েছিলেন তারা, একের পর এক খুন হচ্ছে যারা, তাদের টাকায় নেয়া বেতন কী হালাল রুজি?

ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি পালন ও আমানতদারী মানুষের কল্যাণমুখী গুণগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। তা সত্যবাদিতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আল কুরআনে মহান রাব্বুল আলামীন প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তির পরিচয় ও গুণাবলীর কথা উল্লেখ করে ইরশাদ করেন: এবং যারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। (সূরা মুমিনুন-৮) নেক বান্দা ও নেক আমলের আলোচনা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : এবং প্রতিশ্রুতি দিলে তারা পূর্ণ করে। (সূরা বাকারা-১৭৭) ইসলামে প্রতিশ্রুতি পালন বাধ্যতামূলক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন : এবং তোমরা প্রতিশ্রুতি পালন করবে, প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে তোমাদের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বনি ইসরাইল-৩৪)


নৈতিকতা, বৈধ এ শব্দগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আজ অচল। ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার এ জিনিসগুলো হালাল ধরে নিয়েই বাকীটা জিজ্ঞেস করছি, ওয়াদা করে ওয়াদা পালন  না কারীর রোজগার কী হালাল হয়?


১৬/ ৫/২০১৬

No comments:

Post a Comment