Monday 18 January 2021

জিও বেবির গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় আর নিমিসা সাজায়ান ও সুরাজ ভেনজারামডু অভিনীত মালায়াম মুভি “দ্যা গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন” দেখলাম। যারা খানিকটা প্যারালাল সিনেমা ভালবাসেন তাদের জন্যে মাস্ট সী। যাদের ইরফান খানের “লাঞ্চ বক্স” ভাল লেগেছিলো তাদের ভাল লাগতে পারে যদিও “লাঞ্চ বক্সে”র সাথে এর কাহিনীর তেমন কিছুই মিল নেই। সিনেমায় ম্যাসেজ আছে তবে সেটা খুব সূক্ষ্ণভাবে দেয়া। যাদের চোখ আছে শুধু তারাই বুঝতে পারবেন অন্যথায় বোর হবেন। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এই সিনেমার নাম অনায়াসে “দ্যা গ্রেট এশিয়ান কিচেন”ও হতে পারতো। আমার দেখা, ইন্দোনেশিয়া, চায়না, জাপান, কোরিয়া, সিংগাপুর কিংবা থাইল্যান্ডেও অবস্থা এরকমই, তেমন পার্থক্য নেই। সিনেমাটি নিয়ে মালায়লা মনোরামার লিটি সাইমন লিখেছেন, দুর্দান্ত দিকনির্দেশনা, সুনির্দিষ্ট চরিত্র এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বার্তার সাথে দক্ষ পরিবেশনা “দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেনকে” একটি পরিপূর্ণ সিনেমায় পরিণত করেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার অঞ্জনা জর্জ লিখেছেন, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন আই-ওপেনার হিসাবে আসে, এমন সময়েও অনেক মহিলাকে অন্য দক্ষতার চেয়ে রান্নার দক্ষতার জন্য বিচার করা হয়। এটি কেবল এমন নব্য মহিলাদের সম্পর্কেই কথা বলেনি যারা এরকম অদম্য দাসত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে সাথে সেই মহিলাদের জন্যও শ্রদ্ধা যাঁরা কয়েক শতাব্দী ধরে প্রতিটি বাড়ির ভেতরে নীরবে এটি পালন করে আসছেন। দ্য নিউজ মিনিটের সৌম্য রাজেন্দ্রন লিখেছেন, যে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন পরিবার ও ধর্ম প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পিতৃতন্ত্রের আধিপত্যকে তুলে ধরে। হিন্দুস্তান টাইমসের হরিচরণ পুদিপদী লিখেছেন: গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পুরুষতন্ত্রের উপর সবচেয়ে শক্তিশালী চলচ্চিত্র সিনেমা হিসেবে অভিহিত করেছেন। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাজিন শ্রিজিথ লিখেছেন: "এই ছবিটি আমাকে আমার পরিবারের প্রত্যেক মহিলার সাথে কথা বলতে এবং তাদের হতাশা কীভাবে সামাল দিয়েছে এবং তাদেরকে কেন তাদের বাড়ির পুরুষরা কখনো এ কথাটি জিজ্ঞাসা করেনি, জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য করে।"

No comments:

Post a Comment