Wednesday, 30 September 2020
সতের কোটি ভেড়ার পালের, হে মুগ্ধ জননী বাই জো! যাই করে রেখেছো, মানুষ কর নি।
Saturday, 26 September 2020
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ২৫শে (সেপ্টেম্বর)
Friday, 25 September 2020
প্রেম-প্রতিশোধ
ডাক নাম
জন্ম হোক যথা তথা #পার্ট ওয়ান
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ১৮ (সেপ্টেম্বর)
Thursday, 17 September 2020
শিক্ষায়-শিল্পে নবাব পরিবারের অবদান
https://www.jugantor.com/todays-paper/literature-magazine/346004/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8
ভোজন
রসিক যারা মোগলাই ঘরানার খাবার ভালবাসেন তাদের প্রথম পছন্দের ঠিকানা ছিলো আগে পুরান
ঢাকা। হোক সে বাখরখানি, কিংবা হাজি বা নান্নার বিরিয়ানি, পনির সমুচা, সূতা কাবাব আর
নইলে আনন্দের কেক-বিস্কিট। বলা হয়ে থাকে, এসবের বেশিটাই এসেছে নবাবদের রসুই ঘর থেকে।
সারা ঢাকায় নয়ন জুড়ানো স্থাপত্য, বিদ্যুতায়ন, পানি পরিশোধন, পার্ক, আধুনিক মার্কেট
তৈরী সহ নবাবদের বহু অবদান চোখে পড়ে, কিন্তু চোখে পড়ে না, এরকম অজানা অনেক তথ্য ও রয়ে
গেছে ইতিহাসের পাতায়। ব্রিটিশ
রাজ দ্বারা ভূষিত ঢাকার প্রথম নবাব ছিলেন খাজা আলিমুল্লাহ আর শেষ নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য
দেয়, নবাব সলিমুল্লাহই শিল্প, শিক্ষা, নগর উন্নয়নে তার পরিবারের অন্যান্যদের তুলনায়
অনেক বেশি অবদান রেখেছেন।
নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকার আহসান মঞ্জিলে ১৮৭১ সালের ৭ জুন
জন্মগ্রহণ করেন। কার্জন হলে পূর্ববঙ্গের ছোটলাট ল্যান্সলট হেয়ারের বিদায় এবং বেইলী-এর
স্বাগত অনুষ্ঠানে নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার
দাবি জানান। তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ ১৯১২ সালে ২৯ জানুয়ারি তিন দিনের
সফরে ঢাকা আসেন। এ সময় নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী,
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ ১৯ জন মুসলিম নেতার একটি প্রতিনিধিদল ৩১ জানুয়ারি গভর্নর
জেনারেলের সঙ্গে দেখা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লর্ড হার্ডিঞ্জ
ঘোষণা করেন, ‘The Government of India realized that education was the true
salvation of the Muslims and that the Government of India, as an earnest of
their intentions, would recommend to the Secretary of State for the constitution
of University of Dacca.’ ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দেন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও নবাব সলিমুল্লাহ জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেন
নি। ১৯১৫ সালের রাত ২-৩০ মিনিটে তার কলকাতার চৌরঙ্গী রোডস্থ ৫৩ নম্বর বাড়িতে মাত্র
৪৪ বছর বয়সে নবাব সলিমুল্লাহ ইন্তেকাল করেন।
নবাব সলিমুল্লাহর দান
করা জমিতে বুয়েট প্রতিষ্ঠিত। ১৯০২ সালে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল (বর্তমানে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠায় তিনি তাঁর পিতার দেয়া পূর্ব
প্রতিশ্রুতি অনুসারে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা মঞ্জুর করেন। ১৯০৮ সালে নবাব সলিমুল্লাহ
আরো অর্থ দান করে পিতার নামে স্কুলটির নামকরণ করেন ‘আহসানউল্লাহ স্কুল অব
ইঞ্জিনিয়ারিং।’ ১৯৪৭ সালের পর স্কুলটি কলেজে উন্নীত হয়। মুসলিম লীগ সরকার ১৯৬২
সালে কলেজটির উন্নয়ন করে প্রতিষ্ঠা করে পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় যা
ছিল তদানীন্তন প্রদেশের প্রথম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার পর এটির নামকরণ
করা হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বুয়েট)।
এতিম মুসলিম ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য ১৯০৮ সালে আজিমপুরে
২৮ বিঘা জমি দান করে সলিমুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেন এতিমখানা পরবর্তীতে নামকরণ করা হয় নবাব
সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা। লেখাপড়ার জন্য এতিমখানায় ছেলেদের জন্য একটি এবং মেয়েদের
জন্য একটি করে দুটি স্কুল রয়েছে। শত শত এতিম ছেলেমেয়ের থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা, পোশাক-পরিচ্ছদ
ও লেখাপড়ার যাবতীয় ব্যয় নবাব সলিমুল্লাহ মৃত্যু পর্যন্ত নিজের পকেট থেকে ব্যয় করেছেন।
১৮৬৩ খ্রি. নওয়াব আবদুল লতিফ-এর মোহামেডান লিটারারি
সোসাইটি প্রতিষ্ঠার সাথে নওয়াব খাজা আবদুল গনি ও খাজা আহসানুল্লাহ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত
ছিলেন। ১৮৭৮ খ্রি. সৈয়দ আমীর আলী ‘সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান এ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা
করলে ঢাকার নওয়াব তাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে মুসলমানদের
সংখ্যানুপাতে সুযোগ আদায়ের লক্ষ্যে উক্ত এ্যাসোসিয়েশন সরকারকে স্মারকলিপি দেয়ার
জন্য ১৮৮৫ খ্রি. এক স্বাক্ষর অভিযান চালায়। নওয়াব আবদুল গনি এ অঞ্চলের ৫ হাজার লোকের
স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ১৮৮৫ খ্রি. নভেম্বর মাসে বঙ্গীয় সরকারের নিকট এক স্মারকলিপি পেশ
করেন।
১৮৭৭ সালে জাহাজে করে জ্ঞানদান্দিনী, তিন
সন্তান নিয়ে পুরুষবিহীন একা বিলেতে যান যেটি ভারতবর্ষে সে সময় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি
করে। নবাবনন্দিনী পরীবানু ১৯২০ সালে কন্যা জুলেখা বানুকে সঙ্গে নিয়ে একা প্লেনে করে ইংল্যান্ডে
বেড়াতে গিয়েছিলেন, সে কথাটি আমরা কয় জন জানি? ঢাকার নবাব পরিবারের বিদুষী সদস্যা পরীবানু
নবাব খাজা আহসানউল্লাহর কন্যা। জন্ম ১৮৮৪ সালের ১ জুলাই। তিনি গৃহশিক্ষকের কাছে আরবি,
ফারসি এবং ইংরেজি শিক্ষা লাভ করেন। শিখেছিলেন ঘোড়ায় চড়া, জমিদারির কাজকর্মও। ১৯১৯ সালে
পরীবানু ৬০ বিঘা জমিসহ শাহবাগ বাগানবাড়ীর দক্ষিণাংশ নবাব হাবিবুল্লার কাছ থেকে নিজ
নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এরপর থেকে তিনি ঢাকার সম্ভ্রান্ত মহিলাদের বেড়ানোর জন্য প্রতি
শনিবার বাগানটি উন্মুক্ত রাখার ব্যবস্থা রাখেন। সম্ভবত সেই থেকেই লোকমুখে পরীবাগ নামটি
বিশেষভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। ঢাকার বিভিন্ন উন্নয়নে তিনি এবং তার বোনেরা মিলে লক্ষাধিক
টাকা ব্যয় করেছেন।
নবাব খাজা আলিমুল্লাহের মৃত্যুর
পর তার ও জিনাত বেগমের সন্তান খাজা আবদুল গণি নবাব হন। রক্ষণশীল সমাজের বিরোধিতা সত্ত্বেও
তিনি মহিলাদের মঞ্চ নাটকে অভিনয়ে সাহায্য করেন। ১৮৪৬ সালে খাজা আবদুল গণি ও ইসমতুন্নেসার সন্তান আহসানুল্লাহ
ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। আহসানুল্লাহ একজন উর্দু কবি ছিলেন।তিনি শাহীন নাম ব্যবহার করতেন। তার কিছু নির্বাচিত কবিতা,
কুলিয়াত-ই-শাহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে। তার বই তাওয়ারিক-ই-খানদান-ই-কাশ্মীরিয়া
পাকিস্তানি ইতিহাস ও সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
নবাব খাজা আহসানউল্লাহ এবং নবাব খাজা সলিমুল্লাহ
ছিলেন শিল্প ও সংস্কৃতির দুর্দান্ত অনুরাগী। দু'জনেই ১৮৮৮-৮৯ এবং ১৮৯০-১৯৬৬-এর কোলকাতা
ভিত্তিক ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সদস্য ছিলেন। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ফটোগ্রাফির বিকাশ ঘটে
ঢাকায়। ১৮৯৮ সালের এপ্রিলের বসন্তে, নবাব খাজা আহসানউল্লাহ কোলকাতা থেকে “সিনেমাটোগ্রাফ
কোম্পানী”কে আহসান মঞ্জিলে আমন্ত্রণ জানান। সে অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্যরা এবং শহরের
উচ্চবিত্তরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯১১ সালের ১৬ই ও ২২শে মার্চ “রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানী”
আহসান মঞ্জিলে শো প্রদর্শন করেছিল। খাজা ইউসুফজান, যাকে এর আগে নবাব উপাধি দেওয়া হয়েছিল,
তার সম্মানে নবাব সলিমুল্লাহ, এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন । আবদুল আলীম এবং খাজা
আজিজুল্লাহর বাসভবনে আরও দুটি অনুষ্ঠান যথাক্রমে ২৪ ও ২৫ তারিখে আয়োজন করা হয়েছিল।
১৯১৬ সালের ৫ই জুন থেকে দু'দিন ধরে নবাবজাদা খাজা আতিকুল্লাহ তাঁর দিলখুশার বাসায়
সিনেমাটির প্রিমিয়ারও করেছিলেন।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে শিল্পী, প্রযুক্তিবিদ
এবং স্টুডিওর পুরো সুযোগ সুবিধাসহ কোলকাতা ছিল চলচ্চিত্র প্রযোজনার দুর্গ। ঢাকায় এই
সমস্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ছিল। নবাব পরিবারের আর্থিক সহায়তায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে
প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ১৯২৭-২৮ সালে নবাব পরিবারের একদল
যুবক এগিয়ে এলেন। পরীক্ষার জন্যে তরুণ ছেলেরা 'সুকুমারী' নামে একটি শর্ট ফিল্ম প্রযোজনা
করেছিল। “সুকুমারী” পরিচালনা করে ছিলেন নাট্যকার ও জগন্নাথ কলেজের শারীরিক শিক্ষার
প্রশিক্ষক অম্বুজ প্রসন্ন গুপ্ত। নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নবাবজাদা নসরুল্লাহ।
মজার বিষয়, তখনকার সময় কোনও অভিনেত্রী খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল। সৈয়দ আবদুস সোবহান
নামে এক যুবককে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। দিলকুশা বাগানে
শুটিং হয়েছিল। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক খাজা আজাদ এবং ফটোগ্রাফি অধ্যয়নরত
বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ খাজা আজমল ক্যামেরাটি রোল করেছিলেন। এই সিনেমাটি তৈরিতে সহায়তা
করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আন্দালিব সাদানী, সৈয়দ আবদুস সোবহান, কাজী
জালালউদ্দিন প্রমুখ। সিনেমাটি ১৯২৮-২৯ -এর মধ্যে শেষ হয়েছিল, পরীক্ষার সফল সমাপ্তি।
এটি ছিল চারটি রিলের সম্পূর্ণ নীরব একটি সিনেমা। দুর্ভাগ্যক্রমে চলচ্চিত্রটি সবাই দেখার
জন্যে কখনোই উন্মুক্ত ছিল না। তবে ব্যক্তিগত পরিসরে কয়েকবার দেখানো হয়েছিল। “সুকুমারী'
চলচিত্রটির কোন প্রতিলিপি আর নেই, এটি চিরতরে হারিয়ে গেছে। একটি মাত্র অমূল্য স্থির
ছবি (নায়ক খাজা নাসারুল্লাহ এবং নায়িকা সৈয়দ আবদুস সোবহানের সাথে) বাংলাদেশ ফিল্ম
আর্কাইভের কোষাগারে রয়েছে।
“সুকুমারী”র
সাফল্যের পরে নবাব পরিবারের যুবকরা আরও বড় উদ্যোগ নেয়। তারা ঢাকায় ইস্ট বেঙ্গল সিনেমাটোগ্রাফ
সোসাইটি স্থাপন করে এবং “দ্য লাস্ট কিস” শিরোনামে একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্য নীরব চলচ্চিত্র
প্রযোজনা করেছিল। অনুপম হায়াতের ভাষ্য অনুযায়ী, খাজা আজমল নায়িকা লোলিতার বিপরীতে
অভিনয় করেছেন। ডাঃ এমডি আলমগীরের মতে, খাজা নাসারুল্লাহ প্রথমে নায়ক ছিলেন এবং পরে
কাজী জালালউদ্দিন তারও পরে খাজা আজমল স্থান পেয়েছিলেন। গ্যাংয়ের নেতা চরিত্রে অভিনয়
করেছিলেন, বিখ্যাত শিল্পী শৈলেন রায় (টোনা বাবু)। অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন, খাজা আদেল,
খাজা আকমল, খাজা শাহেদ, খাজা নাসারুল্লাহ এবং সৈয়দ সাহেব ই আলম। অভিনেত্রীরা হলেন
লোলিতা ওরফে বুড়ি (নায়িকা), চারুবালা, দেবাবালা ওরফে দেবী এবং হরিমতি। শিল্পীদের
প্রথম তিনজন এসেছিলেন পুরান ঢাকার পতিতালয় থেকে আর হরিমতি ছিলেন সেসময়ের একজন বিখ্যাত
বাইজি । ১৯৯৯ সালের অক্টোবর থেকে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছিল, দিলকুশা, মতিঝিল, পরীবাগ
এবং আজিমপুরের আশেপাশে শুটিং হয়েছিল। ক্যামেরাটি পরিচালনা করেছিলেন খাজা আজাদ। সহকারী
ক্যামেরাম্যান ছিলেন খাজা আজমল ও খাজা জহির। পরিচালক অম্বুজ গুপ্ত নিজেই ছবিটির ইংরেজি
ও বাংলা সাবটাইটেল তৈরী করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দালিব শাদানী উর্দু সাবটাইটেল
রচনা করেছিলেন। মুদ্রণ ও প্রসেসিংয়ের কাজ কলকাতায় হয়েছিল। মুভিটির মোট ব্যয় ধরা
হয়েছিল বারো হাজার টাকা। ১৯৩১ সালে, “দ্য লাস্ট কিস” মুকুল সিনেমা হলে (বর্তমানে আজাদ)
মুক্তি পেয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রমেশচন্দ্র মজুমদার চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার
শো উদ্বোধন করেন। সিনেমাটি কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলে। তারপর ছবিটি
সর্বসাধারণের জন্যে প্রদশর্নের উদ্দেশ্যে কোলকাতায় নেওয়া হয়েছিল। অরোরা ফিল্ম সংস্থা
সিনেমাটি নিয়েছিল কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে তাদের কাছে সিনেমাটি হারিয়ে যায়।
“দ্য
লাস্ট কিস” চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে নবাব পরিবারের এক সদস্য সাইদ সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য,
একটি দৃশ্যে দেখা যায়, ফয়জ আলমের বাবা কালু চাচা (সাহেব-ই-আলম), একটি দুর্দান্ত ঘোড়সওয়ার,
শিশু শাহেদকে অপহরণ করে এবং তারপর ঘোড়ায় চড়ে তারা চলে গিয়েছিলেন। আমার মা অনুভব
করেছিলেন যে এটি খুব বিপজ্জনক, এবং শাহেদকে তিনি দৌড়ানো ঘোড়ায় উঠতে দেয়নি। অতএব,
এই দৃশ্যের জন্য একটি পুতুল বা কিছু ব্যবহার করা হয়েছিল। আমাদের বাল্যকালকে কল্পনা
করুন। যখন এই দৃশ্যটি দেখানো হয়েছিল, আমরা প্রত্যেকে ছবিটি দেখছি, একে অপরকে ফিসফিস
করে বলছি, “কাউকে বলবেন না, এটি শাহেদ নয়।"
"দ্য
লাস্ট কিস" এর চিত্রগ্রহণের কথা আমার স্পষ্ট স্মরণ রয়েছে, যেমন কিছু দৃশ্য বায়তুল-আম্নে
চিত্রিত হয়েছিল, যেখানে আমরা থাকতাম। চাচা আজাদ ক্যামেরাটি পরিচালনা করছিলেন এবং রৌপ্য
কাগজে আচ্ছাদিত বড় স্কোয়ার কার্ডবোর্ডগুলি সূর্যের আলোতে প্রতিচ্ছবি হিসাবে ব্যবহৃত
হত। তারপর আমরা ছবিটি দেখেছি। মুকুল সিনেমার পুরো সারিটি আমার, ও আমার ছেলেমেয়েদের
দখলে ছিলো। স্মৃতিচারণ - আমার বোন তাহেরা ও বিলকুইস; নাজমা, আনোয়ার ও হামিদ; মাশুক;
শাহেনশাহ; ইফাত এবং শফিক, ফায়াজ এবং আমি - যদি কাউকে ভুলে গিয়ে থাকি তবে এটি স্মৃতি
বিবর্ণ হওয়ার কারণে। শুধু একজন অনুপস্থিত ছিলেন, আমার তিন বছরের বড় ভাই শাহেদ, যিনি
আমাদের সাথে খুব কম বয়সী ছিলেন, কিন্তু সিনেমায় শিশু অভিনেতা হিসাবে অভিনয় করার মত
যথেষ্ঠ পরিপক্ক ছিলেন। যদি আমার ভুল না হয়, তিনি এবং রাই বাহাদুর সাতেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কন্যা টুনটুনকে ঘিরে চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলি নির্মিত হয়েছিল।
গ্রন্থপঞ্জিঃ ড. মোহাম্মদ আলমগীর
সম্পাদিত “নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর জীবন ও কর্ম এবং ঢাকা নওয়াব এস্টেট”, ড. মো. আলমগীর রচিত ‘মুসলিম বাংলার অপ্রকাশিত ইতিহাস: ঢাকার নওয়াব
পরিবারের অবদান’, বাংলাপিডিয়া, অন্তর্জাল
http://www.nawabbari.com/main_arts.html?string=lastKiss.html
তানবীরা তালুকদার
০৩/০৯/২০২০
Wednesday, 2 September 2020
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ১১ (সেপ্টেম্বর)
“পরিস্থিতি
এখন উদ্বেগজনক নয়, কিন্তু উত্তেজনাপূর্ণ” বললেন মিনিস্টার প্রেসিডেন্ট মার্ক
রুতে তার পয়লা সেপ্টেম্বরের “করোনা” কনফারেন্সে। কোন বড় কিংবা অপ্রত্যাশিত কারণ ছিলো
না তারপরও কনফারেন্সটি রাখা হয়েছিলো, যাতে সচেতনতা বজায় থাকে সেই রুটিন মেইনটেইন করার
জন্যে। দুটি ব্যাপার নিয়ে কথা বলবেন তিনি, একঃ প্রায় ছয় মাস ধরে নেদারল্যান্ডস করোনা
সারভাইভ করছে, এই মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান কোথায়? আক্রান্তের এই সংখ্যা আমরা
কিভাবে দেখছি? আর দ্বিতীয়ঃ সেকেন্ড গলফ এড়ানোর জন্যে আমরা কি ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা
নিয়ে প্রস্তূত থাকবো? এই নিয়ে কথা বলবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডি ইয়ং। শুরু করার আগেই
মার্ক রুতে জানিয়ে দিলেন, প্রত্যেকের অধিকার আছে সংসদরা “করোনা” নিয়ে কি কাজ করছে সে
প্রশ্ন করার এবং তাদের কাজের সমালোচনা করার। এটা খুবই স্বাভাবিক ছয় মাস পরে মানুষ এই
কারণগুলো অনুসন্ধান করবেই। কেউ যদি কোন ধরনের পরামর্শ দিতে চান চিকিৎসা কিংবা ডিসিপ্লিন
নিয়ে সেটা নিয়ে সাংসদরা সংসদে আলোচনা করতে পারেন। এ ব্যাপারে সবাই স্বাগত। আজকেও তিনি
চতুর্থবারের মত যুব সমাজের সাথে এই নিয়ে মত বিনিময় করেছেন। ভাইরাস মোকাবেলা করার তো
শুধু একটি পন্থা নয়, অন্যান্য পন্থাগুলো নিয়েও আলোচনা আর কাজ করতে চান। আর তাই তিনি
আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সামনের সপ্তাহে অনলাইনে দেশের সবার সাথে এই
নিয়ে আলোচনা করবেন, ভবিষ্যতের কর্মপন্থা ঠিক করবেন। মার্ক রুতে বললেন, আমরা শতভাগ জ্ঞান
নিয়ে শুরু করি নি কিন্তু প্রতিদিনই নতুন নতুন জিনিস শিখছি।
দুই
সপ্তাহ আগের স্পীচের পর মানুষজন আবার সচেতন হয়েছে। সংক্রমণের হার শুধু স্থিতিশীল নয়,
কমছে। এই মুহূর্তে প্রতিদিন প্রায় পাঁচশো লোক আক্রান্ত হচ্ছে, আই-সি-ইউ আর হাসপাতালের
ওপর চাপ পরছে না কারণ প্রস্তূতি রয়েছে। পয়লা জুলাইয়ের তুলনায় সংক্রমনের হার অনেক বেড়েছে
কিন্তু পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল। আর এটা শুধু নেদারল্যান্ডসেই হচ্ছে তা নয়, অন্যান্য
দেশে যেখানে ‘করোনা” স্থিতিশীল ছিলো সেখানেও একই রকমই চিত্র। আজকেও বিশেষজ্ঞ দল বলেছেন,
সংক্রমনের আশঙ্কা বেশি থাকায় নাইট ক্লাব আর ডিস্কোথেক আপাতত বন্ধ থাকবে। আর সংক্রমনের
আশঙ্কা কম থাকায়, শূন্য থেকে বারো বছর পর্যন্ত বাচ্চারা ডে কেয়ারে যেতে পারে, তাদের
কেয়ারন্টিনের দরকার নেই।
কিছু
মানুষ সারাক্ষণ শুধু দুঃখ করছে, কি কি করতে পারছে না তাই নিয়ে। কিন্তু আজকে আমি সেই
কথাগুলো উল্লেখ করবো, অন্যদেশের তুলনায় নেদারল্যান্ডসে সবসময় মানুষ অনেক বেশি কিছু
করতে পেরেছে। এখানে কখনো বলা হয় নি, বাসা থেকে এক কিলোমিটারের বেশি দূরে যাওয়া নিষেধ
কিংবা বাজার করতে যাওয়ার জন্যে সিটি করপোরেশানের সীল লাগবে হাতে। তারওপর এখন স্কুল
খোলা, রেস্টুরেন্ট খোলা, সিনেমা-থিয়েটার খুলে দেয়া হয়েছে, শুধুমাত্র সামান্য কিছু প্রাথমিক
নিয়ম-নীতি পালন করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জানালেন, সচেতনতা বেড়েছে তাই পরীক্ষার সংখ্যাও বেড়েছে। শুধুমাত্র গত দুই সপ্তাহে পরীক্ষার
হার একশো হাজার থেকে একশো ষাট হাজারে পৌঁছেছে। ল্যাবের ওপর চাপ পরেছে তাই টেষ্ট করতে
আর রেজাল্ট জানতে মানুষকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে সামনের সময়টাতেও পরিস্থিতি
এরকমই থাকবে। তাই আবারও বলা হচ্ছে, উপসর্গ না থাকলে পরীক্ষার জন্যে ভীড় করতে না, আর
এই অবস্থা সাময়িক, পরীক্ষার হার বাড়ানোর জন্যে চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন যেহেতু সীজন চেঞ্জ
হচ্ছে, সর্দি-কাশি এ সময়টাতে এমনিতেই হয়ে থাকে। পরীক্ষার সুযোগ বাড়াতে, জার্মানের দুটো
ল্যাবের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। জিজিডি মানুষকে দ্রুত ট্রেইন করছে, যাতে তাড়াতাড়ি
পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো যায়। যেহেতু করোনার লক্ষন সব সময় একই রকম নয়, তাই স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে
প্রতি সপ্তাহে টেষ্ট করতে হবে।
এখন
থেকে করোনা ড্যাশবোর্ড ওয়েবসাইটে এলাকা ভিত্তিক বিধি-নিষেধ দেয়া থাকবে। প্রত্যেক এলাকার
পরিস্থিতি আলাদা হতে পারে বিধায় নিয়ম নীতিও আলাদা থাকতে পারে। পাঁচটি কোম্পানীর সাথে
ভ্যাক্সিন নিয়ে কথা হয়েছে আর আশা করা হচ্ছে সব ঠিক থাকলে দুই হাজার একুশের প্রথম দিকে
ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে। প্রথম সেপ্টেম্বর থেকে “করোনা এপ” চালু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি
সম্ভব হয় নি এখনও ট্রায়াল ফেজে আছে, চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত চালু করার।
Tuesday, 1 September 2020
নেদারল্যান্ডসবাসীকে কেন ডাচ বলা হয়?
https://bangla.bdnews24.com/kidz/article1796718.bdnews?fbclid=IwAR1I3OMW4KDU3SOPPMOrZHOaZVcKAMRPYBKnihM3OC69_RSb089WdWzQXX8
ইংল্যান্ডের লোকদের বলা হয় ‘ইংলিশ’, ফিনল্যান্ডের লোকদের বলা হয় ‘ফিনিশ’, তাহলে নেদারল্যান্ডসের লোকদের কি ‘নেদারিশ’ বলা ঠিক শোনাতো না!
কখনও কি ভেবে দেখেছো, নেদারল্যান্ডসের লোকদের ‘নেদারল্যান্ডিয়ান’, ‘নেদারিশ’ বা ‘নেথেরিস’ বলা হয় না কেন? আচ্ছা, আর ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন নেই। চলো, নেদারল্যান্ডসের লোকেরা ‘ডাচ’ হিসেবে কেন পরিচিত তা জেনে নেওয়া যাক।
তুমি যদি নেদারল্যান্ডসের রাস্তায় কোনও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করো যে নেদারল্যান্ডসের লোকদের ‘ডাচ’ বলা হয় কেন, সম্ভবত তারা তোমাকে উত্তর দিতে পারবে না। যতদূর কেউ মনে করতে পারে, এটা সবসময়ই এরকম ছিলো এবং এরকমই আছে।
এ ঘটনাটির পেছনের কারণটি অবশ্য বেশ সাধারণ। সারা পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে নেদারল্যান্ডস নামে পরিচিত এ দেশটির নাম নিয়ে এটিই একমাত্র বিভ্রান্তি নয়। আরও কিছুটা বিভ্রান্তি আছে হল্যান্ড নামটি নিয়েও। খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করলে, গোটা নেদারল্যান্ডসকে হল্যান্ড বলা যায়। কিন্তু হল্যান্ডকে নেদারল্যান্ডস বলা যায় না।
নেদারল্যান্ডসের বারোটি প্রভিন্স বা প্রদেশের মধ্যে নর্থ হল্যান্ড মানে রাজধানী আমস্টার্ডাম আর সাউথ হল্যান্ড মানে ডেনহাগে। নেদারল্যান্ডসের জাতীয় আকর্ষণ উইন্ডমিল, ক্যানাল, টিউলিপের রাজত্ব। আর এ কারণে দর্শনাথীদের কাছে এ স্থানগুলো প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়, আর তাই একসময় নেদারল্যান্ডস হয়ে যায় হল্যান্ড।
ওপরের অংশটি অবশ্য আমাদের প্রশ্নের উত্তর নয়। ডাচ নামটি কোথা থেকে এলো তার জবাব সেখানে নেই। ভূ-প্রকৃতি নিয়ে অবশ্য খানিকটা উত্তর লুকিয়ে আছে দেশটির নামের মধ্যে। ‘নেদার’ মানে হলো নিচু, আর নেদারল্যান্ডস মানে হলো ‘নিচু জমি’। এক তৃতীয়াংশ দেশই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিচে, যার কারণে দেশটি সবসময় বন্যা কবলিত ছিলো।
দেশটি যাতে উত্তর সমুদ্রে বিলীন হয়ে না যায় তার জন্য তারা যথেষ্ঠ বিনিয়োগ করে নিজেদের রক্ষা করেছে। তাহলে হল্যান্ড কোথা থেকে এলো? এটি এসেছে পুরনো ডাচ শব্দ ‘হট ল্যান্ট’ থেকে যার ইংরেজি হলো ‘উড ল্যান্ড’। তখন এ দেশের অর্ধেকের বেশি ছিলো বনাঞ্চল। হল্যান্ডের পুরনো বাসিন্দা হল্যান্ডারসদের ‘ডাচ’ বলা হতো যেটা নেদারল্যান্ডস কিংবা হল্যান্ডের কাছাকাছি শোনায় না।
নামের ইতিহাস জানতে আমাদেরকে পাশের দেশ জার্মানিতে হানা দিতে হবে। জার্মানরা তাদের দেশকে বলে ‘ডয়েচল্যান্ড’, ফ্রেঞ্চরা জার্মানিকে বলে ‘আলামাঞ্জ’, ফিনিশরা বলে ‘সাশকা’ আর সুইডিশরা বলে ‘টুইস্কল্যান্ড’। জার্মানের আদিবাসীরা যারা নিজেদেরকে আদিবাসী নয় বরং সাধারণ নাগরিক হিসেবেই দেখতো তারা জার্মানকে বলতো ‘থিউডিস্ক’, যার মানে জনসাধারণ। সময়ের সঙ্গে যা পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়ায় ‘ডয়েচ’।
ইংলিশরা ডয়েচল্যান্ডের পাশে নেদারল্যান্ডসকে বানায় ডাচ। ভাষা বুঝতে পারতো না বলে এটি ছিলো ইংলিশদের খানিকটা অজ্ঞতা আর ভুল। তবে এরও কিছু কারণ ছিলো। পনেরশ শতাব্দীতে জার্মান-নেদারল্যান্ডস একই দেশ ছিলো। যারা জার্মানের পাহাড়ের ওপর থাকতো তাদেরকে ইংলিশরা বলতো ‘হাই ডাচ’ আর যারা নেদারল্যান্ডসের নিচু জমিতে থাকতো তাদের বলতো ‘লো ডাচ’।
নেদারল্যান্ডসে বসবাসকারী অনেক জার্মান তাদের নিজেদের ভাষায় কথা বলতো যাদেরকে ইংলিশরা ডাচ ভাবতো। নেদারল্যান্ডসবাসীরা নিজেদেরকে ‘নেদারল্যান্ডসে’ বলে পরিচয় দেয় আর ইংলিশরা বলে ‘ডাচ’। নেদারল্যান্ডসবাসীর ‘ডাচ’ নামটি হলো ইংলিশদের অজ্ঞতা, সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা হিসেবে আপাতত এটিকেই গ্রহণ করা হয়েছে।
মূল লেখক: উইলাম নেহরা, ভাষান্তর: তানবীরা তালুকদার