Tuesday 23 February 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – তেইশে ফেব্রুয়ারী

গত বছর সাতাশে ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসে প্রথম অফিসিয়াল করোনা পেশেন্ট পাওয়া যায়। “স্বাভাবিক জীবন” কথাটা এখন ব্র্যাকেটে বন্দী। লকডাউন–কার্ফিউ এর পর কতদূর কি করা এখন স্বাভাবিক জীবন হবে? হাসপাতালে ভীড় কমেনি, কমেনি সংক্রমণের হারও। যদিও সংক্রমণ দশ হাজার থেকে চার হাজারে নেমেছে কিন্তু এখনো এক দশমিকের ওপর যার মধ্যে ক্ল্যাসিক করোনার চেয়ে ব্রিটিশ করোনার হার বেশী। এই স্থবির জীবন আর কতদিন? শুধু অর্থনৈতিক ভাবে নয়, সাংস্কৃতিক ও মানসিকভাবেও ছোটবড় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর তাই ঝুঁকি নিয়েই সামনের দিকে এগোনোর কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু বাসায় দিনে একজনের বেশি মেহমান আর কার্ফিউর নিয়ম আপাতত পনেরই মার্চ পর্যন্ত চালু থাকবে। মাস্ক পরা, দেড় মিটার ডিসট্যান্স, বাসা থেকে কাজ এগুলোর সাথে কোন আপোষ নয়। এতবার বলার পরেও দেখা যায়, চারজনের মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ মানুষ তবু কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে বের হচ্ছে কিংবা সুপারমার্কেটে বাজার করতে যাচ্ছে। আট তারিখের প্রেস কনফারেন্সে পনের মার্চের পরের নিয়মগুলো জানিয়ে দেয়া হবে। প্রিমিয়ে রুতেঃ সমস্ত বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু ছাত্রদের পড়াশোনার জন্যে নয়, সামাজিক ও সংবেদনশীল অনুভবের জন্যেও জরুরি। পহেলা মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে অন্তত একদিন স্কুলে যাবে যতটা সম্ভব দায়িত্বশীলতার সাথে। তেসরা মার্চ থেকে চুল কাটার সেলুন, ম্যাসাজ পার্লার, নেইল সেলুন, বিউটি সেলুন, ড্রাইভিং স্কুল ইত্যাদি সব খুলতে পারে, শুধু যৌনকর্মীরা এর আওতায় পরবে না। তেসরা মার্চ থেকে দোকান খোলা যাবে, যেখানে শুধুমাত্র তারাই কেনাকাটা করতে যেতে পারবে, যারা অন্তত চার ঘন্টা আগে এপয়ন্টমেন্ট নিয়েছে। প্রতি ফ্লোরে মাত্র দুইজন প্রবেশ করতে পারবে। দিনে ছয়বার দশ মিনিট ম্যাক্সিমাম একজন ক্রেতা কোন দোকানে অবস্থান করতে পারবে। মাস্ক আর দেড় মিটারের বাধ্যবাধকতা তো থাকছেই। কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নয় তবে তেসরা মার্চ থেকে সাতাশ বছর বয়স পর্যন্ত সবাই যার যার নিজের টিম আর ক্লাবের সাথে বাইরে খেলাধূলা করতে পারবে। ভাইস প্রিমিয়ে হুগো দ্যা ইয়ংঃ যতদিন না যথেষ্ঠ মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে ততদিন নিয়ম পালন আর সাবধানতার কোন ব্যাতায় নেই। আবার সবকিছু বন্ধ করে দেয়ার জন্যে বাধ্য হওয়ার চেয়ে আস্তে আস্তে খুলে দেয়ার দিকে যাওয়ার জন্যেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। এক মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছে। ভ্যাক্সিনের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে মধ্যে মার্চের মধ্যে দুই মিলিয়ন আর মার্চের শেষের মধ্যে তিন মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে অনেক বেশি ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা দেখা যাচ্ছে, কোভিড নিয়ে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণের হার কমে এসেছে, বয়স্কদের সংক্রমণের হারও অনেক কম। বসন্তের মধ্যে ঝুঁকিতে থাকা, গরমের মধ্যে বয়স্ক আর শরৎ এর মধ্যে সবাইকে ভ্যাক্সিন দেয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তারপর কি হবে সেটা এখনও পরিস্কার নয় তবে সেটার জন্যেও প্রস্তূতি নেয়া হবে। সাংবাদিকঃ প্রিমিয়ে রুতে, আপনি এই প্রেস কনফারেন্সগুলো আপনার নির্বাচনের ক্যাম্পিং হিসেবে ব্যবহার করছে না তো? প্রিমিয়ে রুতেঃ তাহলে ষোলই মার্চ প্রেস কনফারেন্স রাখতাম, আটই মার্চ নয়।

No comments:

Post a Comment