Tuesday 13 October 2020

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – তেরোই (অক্টোবর)

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – তেরোই (অক্টোবর) আগামী চার সপ্তাহের জন্যে আংশিক লকডাউন, দুই সপ্তাহ পর আবার পর্যালোচনা করা হবে, পুরোপুরি লকডাউনে যাওয়া হবে নাকি খানিক শিথিল করা হবে। সংক্রমণ ঠেকাতে হবে, কোন উপায় নেই। সামনের বছরের প্রথম দিকে কোন একসময় হয়ত ভ্যাক্সিন আসবে কিন্তু ভ্যাক্সিন এলেই কি? ভ্যাক্সিন প্রথমে পাবে যারা বিপদসীমায় আছে তারা বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ং। যদি এভাবেই সংক্রমণ বাড়তে থাকে তাহলে নভেম্বরের শেষের দিকে হাসপাতালের অন্যান্য যত সব নিয়মিত এপয়ন্টমেন্ট ক্যান্সেল করে দিতে হবে এর মানে হলো প্রত্যেক চার জন রোগীর তিন জনের এপয়ন্টমেন্ট বাতিল হবে। এটা ভেবেই অন্য অনেক রোগের রোগী আতঙ্কে অসুস্থ হচ্ছেন। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের পাশে সাধ্যমত দাঁড়ানোর জন্যে ক্যাবিনেট একমত হয়েছে। আটটি নিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন প্রিমিয়ে রুতে। “দেড় মিটার সামাজিক দূরত্বের” সাথে কোন আপোষ নেই। “শিক্ষা” প্রথম কারণ এটি সবচেয়ে জরুরী। আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে চলছে চলবে তাতে কোন কিছুর পরিবর্তন আসবে না। “রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, বার আর কফিশপ” আবার বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। টেকওয়ে চলতে পারে, কফিশপ থেকেও টেকওয়ে চলতে পারে। হোটেল তাদের নিজেদের মেহমানদের জন্যে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে পারে। যেসমস্ত জায়গায় এলকোহল বিক্রি হয় সব সন্ধ্যা আটটার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। এবং সন্ধ্যা আটটার পর বাড়ির বাইরে এলকোহল নিয়ে বের হওয়া কিংবা পান করাও নিষেধ। কংগ্রেস সেন্টার, থিয়েটার, সব জায়গায় ত্রিশ জনের বেশি মানুষ যেতে পারবে না, ক্যাবিনেট শুধু মাত্র ব্যতিক্রম। মিছিল, চার্চ এসব ব্যতিক্রম। এক পরিবারের বাইরে বন্ধুদের গ্রুপ চারজনের বেশি জমায়েত করতে পারবে না, ভেতরেও না বাইরেও না। দেড় মিটারের সামাজিক দূরত্ব আর তেরো বছরের নীচে বাচ্চাদের ধরা হচ্ছে না। চারজন মানে চারজন এ নিয়ে কোন তর্ক নেই, আমরা কঠোরভাবে নজর রাখবো। বাসায় তিন জনের বেশি মেহমান ডাকা যাবে না। আগে জন্মদিন বা অনুষ্ঠানে প্রতি ঘন্টায় তিন জন করে ডাকা হচ্ছিলো সেটিও চলবে না। একদিনে তিন জনের বেশি মেহমান ডাকা যাবে না। তেরো বছরের ওপরে তিন জন ম্যাক্সিমাম। খেলাধূলায় কোন দর্শক থাকবে না। আঠারো বছর পর্যন্ত সবাই টীমে অনুশীলন করতে পারবে তবে বাথরুম, ক্যান্টিন, চেঞ্জ রুম বন্ধ থাকবে তাই শাওয়ার বাড়ি এসে নিতে হবে। ট্রাভেল আর মানুষের ভীড় এড়াতে আপাতত কোন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যাবে না। দেড় মিটার দূরত্বে জিম করা যাবে। গ্রুপ স্পোর্টও চারজন ম্যাক্স। সব ধরনের অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ, বার্বিকিউ, ওপেন এয়ার কনসার্ট, মেলা ইত্যাদি সব বন্ধ। মিউজিয়াম, এমিউজমেন্ট পার্ক, চিড়িয়াখানা ইত্যাদি খোলা থাকবে আগের নিয়মে। সিটি সেন্ট্রামে সন্ধ্যায় আর কোন দোকান খোলা থাকবে না, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবাইকে দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। সুপারমার্কেট আর ওষুধের দোকান ছাড়া সব আটটায় বন্ধ। সুপারমার্কেট রাত আটটার পর কোন এলকোহল বিক্রি করতে পারবে না। ট্রলি স্যানিটাইজ করা আর দেড় মিটার দূরত্ব মেইনটেইন করে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি লোক দোকানে ঢোকানো হলে সেই মুহুর্তে দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে। হোম ওয়ার্কের ব্যাপারেও কঠোরতা দেখানো হবে। এই নিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠান আর ইউনিয়নের সাথে কথা বলছি। সামনে শরতের ছুটি আসছে। যারা দেশের বাইরে ছুটি কাটাতে চায় তাদের বলা হচ্ছে, বেশির ভাগ দেশই যেহেতু রেড জোনে আছে খুব দেখেশুনে ছুটিতে যেতে। আর যারা হল্যান্ডের মধ্যেই কোথাও ছুটি কাটাবে তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, যতদূর সম্ভব ভেতরে থাকতে, অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি কম করতে। তারপরও বাইরে গেলে, মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক। আমরা মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার জন্যে আদালতের সাথে ব্যস্ত আছি, তারপর যেকোন পাব্লিক প্লেসে সাধারণ মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে। এমনকি হাই স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীও স্কুলের ভেতরের পাব্লিক প্লেস, যেমন ক্যান্টিন কিংবা লাইব্রেরিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করবে। চার স্তরের ঝুঁকি মাথায় রেখে রোড ম্যাপ বানানো হয়েছে। আপাতত সেই রোড ম্যাপ ফলো করতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমি জানি পরিস্থিতি খুব হতাশাজনক কিন্তু আমরা কিছুতেই তা ফ্রন্টলাইনে কাজ করা মানুষের ওপর ঝেড়ে দিতে পারি না। স্বাস্থ্যকর্মী, দোকানে কাজ করা মানুষ, বাসের চালক সবার প্রতি সম্মানজনক আচরণ কাম্য। হাসপাতালের ভিজিটর পুরো বন্ধ করতে চাই না কিন্তু কম করতে চাই। যারা সেখানে তাদের শেষ দিন গুনছেন পরিবারের ভালবাসা তাদের দরকার আছে। চৌদ্দই অক্টোবর বুধবার রাত দশটা থেকে এসব নিয়ম কার্যকর হবে। সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছেন, ইউরোপের মধ্যে নেদারল্যান্ডস সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দিয়ে যাচ্ছে, এরমানে কি জার্মান, ডেনিশ কিংবা ইটালিয়ানরা যেভাবে নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছে, ডাচেরা দেখায় নি? মার্ক রুতে বলতে বাধ্য হলেন, আক্রান্তের সংখ্যা তো তাই দেখাচ্ছে তবে এবার আমরা কঠোরতর ভাবে দৃষ্টি রাখবো। পঞ্চাশ হাজার পুলিশ আছে, সাথে আছে নেইবারহুড গার্ডস তারা সবাই টহল দেবে, নিয়মের ব্যতিক্রম দেখলেই জরিমানা করা হবে। নিয়মনীতিতে কি কোন ফাঁক ছিলো মিস্টার প্রেসিডেন্ট? ফাঁক খুঁজলে তো পাওয়া যাবেই। চলুন ফাঁক খোঁজার চেষ্টা বাদ দিয়ে আমরা নিয়মগুলো পালনে সচেষ্ট হই, নিয়ম তো নিজ থেকে কাজ করে না, কাজ আমাদের করতে হবে। আর যেখানে যেখানে ফাঁক আছে ধরিয়ে দিন, আমরা শোধরাই, বারবার বলা হচ্ছে, আমরা যেকোন কার্যকারী পরামর্শ, পদক্ষেপের জন্যে উন্মুক্ত। এই প্রথম মিনিস্টার প্রেসিডেন্ট এত কঠোরভাবে সর্তকবানী উচ্চারণ করলেন। করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্যাবিনেটের বাইরে এখন জনগনও সোচ্চার। সামনের বছর নির্বাচন। উইশ ইউ অল দ্যা ভেরি বেসট মিনিস্টার প্রেসিডেন্ট। ১৪/১০/২০২০

No comments:

Post a Comment