Thursday 12 November 2020

বিষফোঁড়া

“ইট ডাজ নট ম্যাটার ইফ ইট ইজ আ বয় অর আ গার্ল, হোয়েন আ প্রিস্ট ডাজ টু ইউ, ইট ইজ নট অনলি ফিজিক্যাল এবিউজ, ইট ইজ স্পিরিচুয়্যাল এবিউজ টু" ফ্রম দ্যা মুভি "স্পটলাইট" পড়লাম কওমী মাদ্রাসার ধর্মীয় শিক্ষাদানের পদ্ধতি নিয়ে সাইফুল বাতেন টিটো'র লেখা নিষিদ্ধ উপন্যাস "বিষফোঁড়া"। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই একবিংশ শতাব্দীতে, মধ্য আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ, যে জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে, তার আনুমানিক পঞ্চাশ লক্ষ বাচ্চা কওমী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে!!!!!! পিতৃমাতৃহীন অসহায় শিশুগুলোর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই বলে পশুর মত এদের বেঁচে থাকা! লেখক বলেছেন, উপন্যাসটি একশো ভাগ সত্যির ওপর দাঁড়িয়ে লেখা তবে এই উপন্যাসে পাশবিকতার বিশ ভাগ মাত্র উঠে এসেছে, বাকি আশি ভাগ অজানা, ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই যদি হয়, বাংলাদেশের চাই এখন দ্যা বোস্টন গ্লোবের মত সংবাদপত্র, যারা এই মাদ্রাসাগুলোর ভেতরে কি কি হচ্ছে তার প্রকৃত চিত্র তুলে আনবে। চাই টমাস জোসেপ ম্যাককার্থির মত চলচিত্র নির্মাতা যে বিশ্ববাসীকে জানাবে কি ঘটে চলছে সেখানে। আমরা কখনো ভেবে দেখেছি, আমরা মাস মাস এত এত টাকা দান করার পরও এই শিশুগুলো কেন এত দরিদ্র জীবন যাপণ করে? কোথায় যায় এই টাকাগুলো? "বিষফোঁড়া"কে ভিত্তি হিসেবে ধরলে কওমী মাদ্রাসার অপকর্মের পটভূমি হিসেবে যে কারণগুলো আমার চিন্তায় উঠে আসে ১। আবাসিক শিক্ষা ব্যবস্থা (ছাত্র-শিক্ষক), ২। নিদারুণ হতদরিদ্র সব ছাত্র (কিছু শিক্ষক), ৩। জবাবদিহিতা নেই, ৪। অশিক্ষা (ভবিষ্যতের উন্নত জীবনের কোন স্বপ্নই যেখানে নেই, ৫। সুস্থ চিত্ত বিনোদনের চরম অভাব। আমি এই হত দরিদ্র, অসহায় শিশুগুলোর সর্বাঙ্গীন মংগল কামনা করছি। ধর্ম, ধর্মীয় শিক্ষা, সৃষ্টিকর্তা তাদের রক্ষা করতে না পারলেও, আশা করছি তাদের মধ্যে সবাই উপন্যাসের বর্নিত খাদেম তৈরী হবে না, কেউ কেউ অন্তত মানুষের ধর্ম পালন করতে সচেষ্ট থাকবে।

No comments:

Post a Comment