Wednesday 25 November 2020

The Dunning-Kruger Effect

সক্রেটিস বলেছিলেন, দ্যা ওনলি ট্রু উইজডোম ইজ নোয়িং হোয়েন ইউ নো নাথিং। কিন্তু আমরা ভাবতে চাই, আমরা সব জানি। উনিশো পচানব্বই সালের উনিশে এপ্রিল, ম্যাকার্থার হুইলার নামের এক ব্যক্তি দুটো ব্যাঙ্ক ডাকাতি করেন। ডাকাতির সময় তিনি নিজেকে লুকানোর কোন চেষ্টা করেননি, মুখে কোন ধরনের মুখোশ পরেননি, পরচুলা লাগাননি, এমনকি বের হবার সময় সিকিউরিটি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হেসেও ছিলেন। কিন্তু মুখে লেবুর রস মেখেছিলেন। তার ধারনা ছিলো মুখে লেবুর রস মাখা থাকলে কোন ধরনের সিকিউরিটি ক্যামেরায় তার চেহারা ধরা পরবে না। তিনি এই ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, পুলিশ ধরার পর তিনি হতবিহবল হয়ে যান। লেবুর রসের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে তাঁর ভুল ধারনার কারণে এই বিশ্বাসটি তৈরি হয়েছিল। কগনিটিভ বায়াস। চিন্তার নিয়মতান্ত্রিক ত্রুটি থেকে মানুষ তার চারপাশে যা দেখে সেটাকে সে নিজের মত ভাবে এবং সেই ভাবনার ওপর আস্থা রেখে সিদ্ধান্ত নেয়, রায় দেয়, তৈরি হয় কগনিটিভ বায়াস। কগনিটিভ বায়াস আমাদের বাস্তবতা থেকে দূরে রাখে, আমরা এমন কিছুতে আস্থা রাখি যা সত্য নয়। এই কারণে আমরা অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেই যা ক্ষতিকর। “বিলিভিং ইউ নো সামথিং দ্যাট ইউ ডোন্ট” কল্ড ডানিং-ক্রুগার এফেক্ট। সবাই , ম্যাকার্থারের ব্যাপারটি নিয়ে হইচই করে ভুলে গেলেও ব্যাপারটি ভাবায় দুই সামাজিক মনোবিদ ডেভিড ডানিং আর জাস্টিন ক্রুগারকে। উনিশো নিরানব্বই সালে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারা দুজন এই নিয়ে তাদের গবেষণা প্রকাশ করেন।
অল্প বিদ্যা আর দক্ষতা নিয়ে মানুষ ভাবে তারা অন্যেরা চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরী কিন্তু সাথে এটা জানা থাকাও দরকার আমরা আসলে কতটুকু জানি। ডানিং-ক্রুগার এফেক্ট পুরুষ-নারী সবারই আছে। ডানিং-ক্রুগারের মজাদার তথ্য হলো, যারা আসলেই অনেক জানে তারা ভাবে তারা কম জানে। আমি কিছুই জানি না এইটুকু জানতে হলেও তোমাকে কিছু জানতে হবে। আর যারা বাস্তবেই কম জানে, তারা সেটা মানতে চায় না, সমালোচনা নিতে পারে না, নিজেকে উন্নত করার প্রতি কোন আগ্রহও থাকে না তাদের।
নিজেকে এর থেকে রক্ষা করতে হলেঃ নিজের মেধা সম্পর্কে জানতে হবে দুর্বলতাগুলোও জানতে হবে সমালোচনা গ্রহণ করতে জানতে হবে গোটা জীবন শিখে যেতে হবে আঠারশো একাত্তর সালে চার্লস ডারউইন লিখেছিলেন, ইগনোরেন্স মোর ফ্রিকোয়েন্টলি বিগেটস কনফিডেন্স দ্যান ডাজ নলেজ। দুই হাজার সালে এই দুই গবেষককে এই থিওরীর জন্যে "Ig Nobel" দেয়া হয়েছিলো যেটা স্যাটায়ারিক নোবেল" আর দুই হাজার সতেরতে এই থিওরীর ওপর ভিত্তি করে বানানো অপেরা নোবেল প্রাইজ সেরিমোনিতে পার্ফম করা হয়। তথ্যঃ অন্তর্জাল ২৫/১১/২০২০

No comments:

Post a Comment