Monday 8 March 2021

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – আটই মার্চ

প্রিমিয়ে রুতেঃ সামারের মধ্যে যদি সবার ভ্যাক্সিনের অন্তত প্রথম ডোজ নেয়া হয় তাহলে আমরা হয়ত আবার আমাদের স্বাভাবিক জীবনের দিকে এগুতে পারবো, হয়ত সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠবে না কিন্তু অনেককিছুই তার আপন গতিতে আবার ফিরবে। আমাদের আশেপাশে বাচ্চা, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে তাকালে, অর্থনীতির দুরবস্থতা দেখলে বোঝাই যাচ্ছে, সামার পর্যন্ত সামনের চার মাস লকডাউনে থাকা সম্ভব না। আমাদের দায়িত্বশীলতার মধ্যে দিয়ে সামনের পদক্ষেপগুলো নিতে হবে। হাসপাতালে রোগীর ভীড় আর সংক্রমণের উর্ধ্বগতি স্থিতিশীল থাকায়, দুর্যোগ পরিচালনা কমিটি বলেছে, ষোলই মার্চ থেকে নিয়মনীতি কিছুই শিথিল করা সম্ভব হচ্ছে না। ইস্টারের আগে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে এসব নিয়ে আলোচনা হবে। সাবসিডি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, আর লম্বা সময় ধরে কাকে কারে কোথায় সাপোর্ট করা যায় দেখা হচ্ছে। লকডাউন আর কার্ফিউ ত্রিশে মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। পনের, ষোল ও সতেরই মার্চ নির্বাচনে যারা সাহায্য করবে, তাদেরকে তাদের নিজের মিউনিসিপ্যাল্টি থেকে রাত নয়টার পর বাইরে থাকার লিখিত অনুমতিপত্র দেয়া হবে। বাকি যারা ঘোরাঘুরি করবে তাদেরকে জরিমানা করা হবে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ারও সময় এটা না। তবে ষোলই মার্চ থেকে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো হলোঃ বারো বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের সুইমিং লেসন আর সুইমিং এক্সাম খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে, অসুস্থ বাচ্চারা বাসায় থাকবে, বাবা মায়েরা বাইরে অপেক্ষা করবে, চেঞ্জিং রুম খোলা থাকবে কিন্তু শাওয়ার বন্ধ থাকবে। মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্যে সাতাশ বছর পর্যন্ত তরুণদের চারজনকে একসাথে বাইরে খেলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেসব দোকানের আয়তন পঞ্চাশ স্কয়ার মিটার, প্রতি তলায় দুজন কাস্টমার এটেন্ড করতে পারবে আর বড় দোকানের জন্যে প্রতি পঁচিশ মিটারে একজন ক্লায়েন্ট, একই সময় এক দোকানে ম্যাক্সিমাম পঞ্চাশ জন। ট্রাভেল ব্যান পনেরই এপ্রিল পর্যন্ত এক্সটেন্ড করা হলো। তেইশে মার্চের সাংবাদিক সম্মেলনে আশাকরছি ট্রাভেল, ভ্যাকেশান ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে পারবো। ভাইস প্রিমিয়ে হুগো দ্যা ইয়ংঃ গত ছয় মাসের মধ্যে যাদের করোনা হয়ে গেছে, তাদের জন্যে ভ্যাক্সিনের একটি ডোজই যথেষ্ঠ বলা হচ্ছে কারণ তাদের ন্যাচারাল এন্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। কেয়ার হোমে থাকা সব বয়োজোষ্ঠদের ভ্যাক্সিন দেয়া হয়ে গেছে। গতবছর যেখানে সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেশি ছিলো, এখন সংক্রমণ প্রায় নেই বললেই চলে। আর তাই প্রতিদিন দুইজন ভিজিটর এলাউ করা হয়েছে এমনকি চাইলে একদিনে দুইজন দুইজন করে বেশি মানুষও ভিজিটে আসতে পারে। সব পরিকল্পনামত ঠিক করে এগুলে একত্রিশে মার্চ থেকে টেরাস খুলে দেয়ার চেষ্টা করা হবে, প্রতি টেবিলে ম্যাক্সিমাম পাঁচজন। ইস্টারের সময় থেকে সপ্তাহে একদিন করে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। মেডিসিন শপ, সুপারমার্কেট সব জায়গায় টেস্ট করার কিট কিনতে পাওয়া যাবে, ঠান্ডা সর্দি জ্বরে সবাই এখন নিজেই বাসায় টেস্ট করতে পারবে। বড় বড় অনুষ্ঠানে ঢোকার আগের মুহূর্তে এরকম টেস্ট কিট দিয়ে টেস্ট করানোর ব্যবস্থা রাখা হবে, এছাড়াও করোনা এপ সচল থাকবে, সংক্রমণ আছে কিনা কিংবা ভ্যাক্সিন নেয়া আছে কিনা এপ সবই ডিকেক্ট করবে।
০৮/০৩/২০২১

No comments:

Post a Comment