Wednesday 20 May 2020

আমিষ

যারা যারা আমাকে "আমিষ" (২০১৯) নিয়ে রিভিউ লিখতে বলেছো, আমি এখানে মাংস খাওয়া-খাওয়ির ওপরে যেটা দেখলাম সেটা একটা নিটোল নিরবিচ্ছিন প্রেম কাহিনী। দুটো মানুষের প্রেম হতে একটা কিছু "কমন ফ্যাক্টর" লাগে হয়ত। এখানে সেটা ছিলো খাওয়া কিংবা মাংস খাওয়া। 

প্রথমে ভাবলাম  আনফেইফুলের (২০০২) দিকে যাবে। পরে  মনে হলো সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার পার্ফিউম (২০০৬) এর কিছুটা আভাস আছে।  
যদিও সবার রিভিউ পড়ে পড়ে আমি সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে মুভিটা দেখেছিলাম, আন্দেজের সারভাইভারদের নিয়ে বানানো সিনেমা এলাইভ (১৯৯৩) এর মত না আবার মরা মানুষের মাংস খেতে দেখায়। শেষ পর্যন্ত তার কাছাকাছি যেয়েই থেমেছে। 

যারা পরিচিত লাইনের বাইরে সিনেমা দেখতে পছন্দ করে কিংবা ডার্ক রোমান্টিক থীম পছন্দ করে তারা দেখতে পারে। অনেকের মতে সাউথ কোরিয়ান মুভি থার্স্ট এর অনুকরণ করা হয়েছে এতে। 

জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ভাস্কর হাজারিকার পরিচালনায় মিষ্টি একটা সিনেমা, অসমীয়া ভাষার গান শুনেছি, সিনেমা এই প্রথম দেখলাম, দারুণ লেগেছে মেকিং। আমিষের অভিনেত্রী লিমা দাস জাস্ট গর্জেস। অনুরাগ কাশ্যপ তার নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ Phantom Films থেকে এই সিনেমার প্রচার করেছেন বলে সিনেমাটি সুধী সমাজে আরও আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। 

পরিশেষেঃ নিজের মাংস কেটে প্রেমিকাকে খাইয়ে দেবে, সেই প্রেম ও নাই, সেই প্রেমিকও নাই। বরং চুলের মুঠি ধরে খাবলা মেরে প্রেমিকার গালের মাংস খেয়ে ফেলবে এমন প্রেমিকই বাস্তব। প্রেমের তীব্রতা বোঝাতে নিজের শরীরের মাংস বা কাউকে খুন করে ফেলতে দ্বিধাহীন ব্যাপারটা এলেগোরিকাল। দিনের শেষ আমিষ একটা সিনেমাই। এত হাউকাউ এর কিছু নাই।

সিনেমার শেষ দৃশ্যটি মন কাড়া। পুরো সিনেমায় একান্তে যেখানে কেউ কাউকে স্পর্শ করে নি, সেখানে সবার সামনে দুজন দুজনের হাত ধরেছে। 




তানবীরা
২০/০৫/২০২০

No comments:

Post a Comment