Tuesday 5 May 2020

বিদ্যানন্দ

মাছরাঙা টিভিতে “বিদ্যানন্দে”র অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কিশোর কুমার দাসের ইন্টারভিউ দেখলাম।
ছোটবেলায় অনেকসময় ঠিক করে মনের মত খেতে পেতেন না। ভাল খাওয়ার দিকে প্রচন্ড লোভ ছিলো। মা’কে বলতেন, বড় হয়ে যখন তার টাকা হবে, তিনি মানুষকে পেট পুড়ে ভালমন্দ খাওয়াবেন। তার মা বলেছিলেন, এরকম সবাই ভাবে, বলে কিন্তু বড় হলে কারো মনে থাকে না। তিনি নিজেও স্বীকার করলেন, বড় চাকুরী, অনেক রোজগার, নিজের জীবন গোছাতেই ব্যস্ত ছিলেন, মানুষকে খাওয়ানোর কথা আর সবার মত তিনিও ভুলেই গেছিলেন।
“বিদ্যানন্দ” সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বললেন, প্রচন্ড মানসিক চাপে ছিলেন, নিজের ব্যক্তিগত বিষন্নতা, হতাশা থেকে বের হওয়ার জন্যে কিছু খুঁজছিলেন। কোথাও নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাইতেন, বারবার আত্মহত্যার কথা ভাবছিলেন। সেসময় বন্ধুর সাথে পরামর্শ করে এটি শুরু করেন। কোন সো কলড মহত উদ্দেশ্য বা ব্রত থেকে নয়, স্রেফ নিজেকে রক্ষা করতে, বাঁচাতে। “বিদ্যানন্দ” যেহেতু কোন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, এটিকে নিয়ে তার সেরকম কোন টার্গেট বা পরিকল্পনাও নেই। এটি ট্রাস্ট বোর্ড আর সাধারণ মানুষের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, যেরকম পাওয়া যাবে সেরকমই চলবে।
এই ভাবমূর্তির দুনিয়ায় এরকম নির্ভেজাল অকপট সত্যি কথা কি করে বললেন এই ভদ্রলোক! নিজের কোয়ালিটিজ আর লিমিটেশানস নিয়েও তার কোন লুকোচুরি নেই। বিদ্যানন্দের এখন যেরকম ধন্য ধন্য অবস্থা, অন্য মানুষ কেন, আমিও যদি যেতাম টিভিতে, বানিয়ে বানিয়ে বলে আসতাম, আর্ত মানবতার সেবায় জীবন উৎসর্গ করে দেবো, ছোটবেলা থেকেই এই ভেবে বড় হয়েছি, আমি জন্ম থেকেই এরকম ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
ইউটিউবে (কমেন্ট লিঙ্কেও) আছে এই সাক্ষাতকারটি, নমস্য একজন মানুষকে জানার জন্যে দেখে নেয়া যেতেই পারে।
*****
“মাহাব্বাত হ্যায় ইসি লিয়ে জানে দিয়া
জিদ হোতি তোহ বাহোন ম্যায় হোতি”
ইয়ে আপকে ওয়ার্ডস হ্যায় খান সাহাব। আপসে হাম ভি বেপানাহ মাহাব্বাত কারতে হ্যায়, আগার ইয়ে হাম পে হোতি তো হাম জিদ কারতে, আপকো জানে না দেতে। উইশ ইউ আ প্লেজেন্ট জার্নি এহেড, ইফ দেয়ার ইজ এনি।
******
ঋষি কাপুর, আজ আর একটি নক্ষত্রের পতন। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু মিছিল।

৩০/০৪/২০২০

No comments:

Post a Comment