Saturday 23 May 2020

দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ৬ {মে}

উনিশে মে প্রাই মিনিস্টার মার্ক রুতে জাতির উদ্দেশ্যে তার নিয়মিত বাই-উইকলি ভাষণ দিলেন, করোনা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়ন হওয়াতে, জুন মাস থেকেই নিয়ম আরও শিথিল করা হচ্ছে, যদিও বেসিক নিয়ম সব ঠিক থাকবে। তারপর শুরু হলো সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব। পরিস্থিতির যেহেতু উন্নতি হয়েছেই বলা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণে আছে সব, তাহলে কেন এত আস্তে আস্তে সব নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে? কেন সব খুলে দেয়া হচ্ছে না? অর্থনীতি মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত, তার কি হবে?


প্রাই মিনিস্টার জানালেন, দ্বিতীয়বার আবার লকডাউনে যেতে হলে অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে তাই সর্তকতার সাথে দ্বিতীয় ধাপে সব কিছু শিথিল করা হচ্ছে। আগের পরিস্থিতি যেনো আর ফিরে না আসে।

পহেলা জুন থেকে মুভি, থিয়েটার, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, কনসার্ট, মিউজিয়াম সব খোলা থাকবে তবে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন করতে হবে। একই পরিবারের মানুষ হলে সোশ্যাল ডিসটেন্স মানার বাধ্যবাধকতা নেই। মুভি-থিয়েটারে যারা কাজ করে তারা বাদেই ত্রিশ জন যেতে পারবে। তবে সবই হতে হবে প্রি-রিজার্ভেশানের মাধ্যমে। স্বাস্থ্য নিয়ে যা যা তথ্য জানতে চাওয়া হবে, সবাই সত্যি সত্যি বলতে বাধ্য থাকবে। এটার নাম, চেক ইন্টারভিউ।

স্পোর্টস স্কুল প্রথম সেপ্টেম্বরের আগে খোলা যায় কি না সেটার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত জিম বন্ধ। ডিস্কোথেক, ক্লাব, পার্টি হল বন্ধ থাকবে, কারণ ওখানে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।

বাস, ট্রাম, ট্রেন সব পহেলা জুন থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে, চল্লিশ পার্সেন্ট ক্যাপাসিটি যার মানে শুধুমাত্র কাজের পারপাসে সবাই ব্যবহার করবে, ফান রাইড নয় এই আশা করা হচ্ছে। পনের দিন আগের ভাষনে যখন পাব্লিক ট্রান্সপোর্টে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলা হলো তখন বিরোধী দল থেকে সাধারণ জনগনের তুমুল সমালোচনায় পরেছিলো প্রাই মিনিস্টার। “মাস্ক” দ্বারা উপকার হয় এটার যেহেতু কোন ফাস্ট হ্যান্ড প্রমাণ মেলে নি তাহলে কেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক? পনের দিনের ব্যবধানে তাই প্রাই মিনিস্টার বলেছে, তের বছর বয়স থেকে পাব্লিক ট্রান্সপোর্টে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়।

২রা জুন থেকে হাই স্কুল খুলবে কিন্তু হেঁটে, সাইকেলে অথবা স্কুলের গাড়িতে যেতে হবে, পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা যাবে না। ৮ই জুন থেকে প্রাইমারি স্কুল পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে সাথে ডে কেয়ারও। গভঃমেন্ট এই সেক্টরের সাবসিডি বন্ধ করে দেবে। ১৫ই জুন থেকে মেডিক্যাল কলেজ, সাধারণ কলেজ সব খুলে দেয়া হবে।

সমস্ত বাচ্চা, আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের প্রিমিয়ে আলাদা ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তাদের সহযোগিতার জন্যে। নেদারল্যান্ডসের সামনের জীবন কিভাবে যাবে সে নিয়ে তাদের আইডিয়া ও ক্রিটিক আহবান করা হয়েছে। সোসাইটি কিভাবে চলবে, নতুন গঠন কি হবে তা নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে।
ভবিষ্যত জীবন আর সমাজের রূপরেখা নিয়ে দেশের সবাইকেই ভাবতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো দ্যা ইয়ং বলেছেন, উপসর্গ দেখা দিলে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে, টেস্ট করা হবে, পজিটিভ এলে বাড়ির সবাই হোম কেয়ারন্টিনে থাকবে। স্বাস্থ্য দপ্তর ফোনে, চিঠিতে পরামর্শ দেবে। কেমন থাকে, কি অবস্থা, কি দরকার সেটা প্রতি নিয়ত স্বাস্থ্য দপ্তর ফলোআপ করবে।

হাসপাতাল, ওল্ডহোম, আর সব জায়গায় ২৫শে মে থেকে ভিজিটর এলাউড, যাদেরকে অলরেডি পারমিশান দেয়া হয়েছে, প্রতি রোগীর জন্যে একজন ভিজিটর। যেসব জায়গায় করোনা সংক্রমণ নেই সেসব জায়গায় ১৫ই জুন থেকে ভিজিটর এলাউড।

একটাই শর্ত ভীড় করা যাবে না কোথাও।

ঘরবন্দী থাকার এই সময়টাতে কি যেনো একটা কি মিশে ছিলো। অলরেডি এই সময়টাকে মিস করা শুরু করেছি। নির্দ্বিধায় বলা যায়, জুনের দুই তারিখ থেকে নেদারল্যান্ডস তার হারানো প্রাণস্পন্দন আবার ফিরে পাবে। তবে নিতান্ত নিরিবিলি এই সময়টা জীবনে নাম না জানা কিছু একটা খুব মূল্যবান উপহার মত যেনো রেখে গেলো।

তীরে এসে তরী ডুবল। মেঘ সিভিয়ার ডিপ্রেশানে আক্রান্ত। বসে আছি মেয়ে কোলে। আশাকরছি তরী তীরে ভিড়িয়ে নেবো।

২৩/০৫/২০২০





No comments:

Post a Comment